আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

হার্নিয়ার চিকিৎসায় উদাসীনতা নয়

হার্নিয়া থাকলেই যে সবার উপসর্গ থাকবে তা নয়, বিশেষ করে ছোট হার্নিয়ার ক্ষেত্রে। আপনার কোনো নির্দিষ্ট উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক, হার্নিয়া আপনার কাজে বা অবসরে যেকোনো সময় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। উপসর্গগুলোর মধ্যে সচরাচর ব্যথাই প্রধান। এ ছাড়া পেটে বা কুঁচকিতে ভারী ভাব অনুভূত হতে পারে। আপনার যদি হার্নিয়ার কারণে নির্দিষ্ট উপসর্গ থেকে থাকে, বিশেষ করে ব্যথা থাকে, তবে সার্জন আপনাকে অপারেশন করতে বলবেন। যদি কোনো উপসর্গ না থাকে, তবে সার্জন হয়তো আপনাকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণের কথা বলবেন।

কাজেই অত্যন্ত সততার সঙ্গে আপনার সার্জনকে জানান, হার্নিয়ার উপস্থিতির কারণে আপনার শারীরিক কী কী অসুবিধা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, হার্নিয়া বড় হতে থাকে এবং পারিপার্শ্বিক কোষ কলাগুলো দুর্বল করতে থাকে। এ কারণে উপসর্গের তীব্রতার ঝুঁকি বাড়তে থাকে, যেমন ব্যথা বাড়তে থাকে এবং এর ফলে আপনার জীবনযাত্রায় সমস্যা বাড়তে পারে।

আগে কিংবা পরে হার্নিয়ার অপারেশন লাগবেই; আপনার যদি হার্নিয়ার উপসর্গ না-ও থাকে, আপনি দেরি না করে এখনই অপারেশন করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অপারেশন দেরি করার কারণে হার্নিয়া বড় হতে থাকে। পারিপার্শ্বিক কোষকলা ও মাংসপেশি দুর্বলতর হয়ে পড়ায় অপারেশন জটিলতর হতে পারে এবং অপারেশন–পরবর্তী সুস্থতা বিলম্বিত হতে পারে।

হার্নিয়া অপারেশনের মাধ্যমে ঠিক না করলে এটি পেটের দেয়ালের বাইরে আটকে গিয়ে ঘায়ের সৃষ্টি করতে পারে, যাকে ইনকার্সেরেটেড হার্নিয়া বলা হয়। এর কারণে হার্নিয়াতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং অন্ত্রের মধ্যে খাদ্য চলাচলে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। যাকে প্যাঁচালো বা স্ট্র্যাংগুলেটেড হার্নিয়া বলা হয়। সব হার্নিয়াই যে এই ঝুঁকিতে পড়বে তা নয়, তবে এটি একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ ধরনের একটি অতি জরুরি অবস্থা, যা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে যে ক্ষেত্রে অপারেশন জরুরি, সে অবস্থায় যেন আপনি না পড়েন, সে জন্য হলেও হার্নিয়া অপারেশনে বিলম্ব করা উচিত নয়।

হার্নিয়া অপারেশনের মাধ্যমে ঠিক না করলে এটি পেটের দেয়ালের বাইরে আটকে গিয়ে ঘায়ের সৃষ্টি করতে পারে, যাকে ইনকার্সেরেটেড হার্নিয়া বলা হয়।

হার্নিয়া অপারেশনে দেরি করলে তা ঝুঁকিপূর্ণ হবে কি না, তা নির্ধারণ করতে পারে আপনার বয়স। হার্নিয়া অপারেশনকে কয়েক মাস বা কয়েক বছরের জন্য বিলম্বিত করলে এখনকার মতো তুলনামূলক ভালো স্বাস্থ্য–সামর্থ্য বা শারীরিক সতেজতায় পরবর্তী সময়ে আপনি না-ও থাকতে পারেন, যা আপনার অপারেশনকে জটিলতর করে তুলতে পারে এবং ভালো হয়ে ওঠাকে ব্যাহত করতে পারে।

হার্নিয়া নিজে নিজে ভালো হয়ে যায় না। অপারেশনের মাধ্যমেই হার্নিয়া রিপেয়ার করা সম্ভব। হার্নিয়া অপারেশনের সময় শরীরের স্বস্থান থেকে বিচ্যুত অঙ্গ বা অঙ্গের কোনো অংশকে আবার এর যথাস্থানে ফিরিয়ে দিয়ে দুর্বল পারিপার্শ্বিক মাংসপেশি ও কোষকলাগুলোকে শক্ত ও টানটান করে দেওয়া হয়। ছোট আকারের হার্নিয়া অপারেশন করে ঠিক করা একটি বড় আকারের হার্নিয়া অপারেশনের চেয়ে কম জটিল। কাজেই হার্নিয়া অপারেশন করে না ফেলে অপারেশন বিলম্বিত করলে, উপসর্গগুলো আরও অবনতি হতে পারে। অপারেশন দ্রুত করে ফেললে আপনার কর্মব্যস্ত দিনগুলো বা অবসরের সময় অকারণে নষ্ট হবে না।

হার্নিয়া অপারেশন পেট না কেটে ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে করা যায়, যাতে অনেক দ্রুততর সময়ে সুস্থ হয়ে কর্মক্ষম জীবনে ফিরে আসা সহজতর হয়।

লেখক: সিনিয়র কনসালট্যান্ট, জেনারেল অ্যান্ড ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি, ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেড

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com