আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

হবু মায়ের যত্নে

করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময় প্রথমবারের মতো যাঁরা মা হতে যাচ্ছেন, তাঁদের কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে বৈকি। কারণ, এ সময়টায় খুব বেশি বাইরে বের হওয়া তাঁদের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়। এ ছাড়া গর্ভকালে হবু মায়ের শরীরে দেখা দেয় নানা ধরনের উপসর্গ, যেগুলো সম্পর্কে একেবারেই অনভিজ্ঞ থাকেন তাঁরা। এর মধ্যে অন্যতম হলো ত্বকের সমস্যা। শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ঔজ্জ্বল্য কমে যাওয়া, অ্যালার্জি হওয়াসহ নানা ধরনের ত্বকের সমস্যায় পড়তে হয় হবু মাকে। এই সময়ে যাঁদের পক্ষে সৌন্দর্যচর্চা কেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব নয়, তাঁরা কিন্তু সমস্যার সমাধান পেতে পারেন বাড়িতে বসেই।

হারমোনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা মনে করেন, যদি আগে থেকেই সচেতন হওয়া যায়, তবে হবু মা এড়িয়ে যেতে পারেন অনেক সমস্যাই। গর্ভকালে ঘরে থাকা উপাদানে খুব সহজে কীভাবে নিজের যত্ন নেবেন, এই বিষয়ে পরামর্শ দিলেন তিনি।

গর্ভকালে গোসল করার জন্য সাবানের ব্যবহার না করার পরামর্শ দিলেন এই রূপবিশেষজ্ঞ। কারণ, সাবান ব্যবহারের কারণে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে পড়ে। গর্ভকালে যেহেতু ত্বকে অ্যালার্জি আর ফুসকুড়ির মতো সমস্যা বেশি দেখা দেয়, তাই সাবানের বিকল্প হিসেবে চালের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার স্ক্রাবিং করুন। বাড়িতে স্ক্রাব তৈরি করতে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে আধা কাপ তরল দুধ ও ১ চা-চামচ মধু মেশান। তবে যদি একান্তই সাবান ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, তাহলে গ্লিসারিনসমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করাই ভালো।

গোসলের পরপরই ত্বক ভেজা থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন, ভেজা ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার পর ময়েশ্চারাইজার মাখলে কোনো কাজ হবে না। তাই ত্বক ভেজা থাকতে থাকতেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

ময়েশ্চারাইজার হিসেবে গ্লিসারিনের পরিবর্তে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। গ্লিসারিন হলো সবচেয়ে ভালো ময়েশ্চারাইজার। এক ভাগ গ্লিসারিনের সঙ্গে দুই থেকে তিন ভাগ পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। গ্লিসারিন ত্বকে লাগানোর পর একটা ভিজে তোয়ালে বা কাপড় হালকা করে ত্বকে চেপে ধরলে আঠালো ভাব চলে যাবে। যাঁদের এই সময়ে বাইরে যেতে হয়, তাঁরা রোদে বের হওয়ার আগে অবশ্যই ত্বকে সানস্ক্রিন ক্রিম মেখে বের হবেন।

গর্ভকালে গলার ত্বকে কালচে দাগ পড়া এক সাধারণ সমস্যা। এই দাগ কমাতে বাড়িতেই মাস্ক তৈরি করতে পারেন। ২ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মসুর ডালের বেসন ও ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। সপ্তাহে ২ বার এই মাস্ক গলার ত্বকে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। পেট, ঊরু বা শরীরের যে অংশেই ফেটে দাগের সৃষ্টি হবে, সেখানে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে পারেন। সম্ভব হলে দিনে বেশ কয়েকবার তা ব্যবহার করুন।

হাত ও পায়ের ত্বকের যত্নে বাড়িতেই পেডিকিওর ও ম্যানিকিওর করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, বাড়িতে নিজে নিজে পায়ের যত্ন নিতে গিয়ে যাতে খুব বেশি নিচু হতে না হয়। যদি নিচু হয়ে পা পরিষ্কার করতে হয়, তবে বাড়িতে অন্য কারও সাহায্য নিন। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকলে অনেকের পা ফুলে যায়। যাতে দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকতে না হয়, সেদিকেও বিশেষ খেয়ার রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com