আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

বাংলা একাডেমির মূল ফটকের সামনে বোর্ড টানিয়ে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে-মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ, মাস্ক পরিধান করুন, সেবা নিন। নো মাস্ক নো সার্ভিস। গেটের সামনে দুজন কর্মচারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে তাদের কারোর মুখে মাস্ক নেই। এ সময় একজনকে মাস্ক ছাড়াই দিব্যি গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

অল্প দূরত্বের ব্যবধানে দোয়েল চত্বর সংলগ্ন শিশু একাডেমির প্রবেশদ্বারে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ সাইনবোর্ড ঝুললেও নিরাপত্তারক্ষীদের মাস্ক ছাড়াই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সরকারি এ দুটি প্রতিষ্ঠানে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সরকারি অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন স্থানে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস (মুখে মাস্ক না পরলে সেবা দেয়া হবে না) নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও কার্যত এটি এখনো স্লোগানেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে।

গত কয়েকদিন করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সংক্রমণরোধে ঘরের বাইরে বের হলে প্রত্যেকেই মুখে মাস্ক পরিধানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় যেকোনো সময় সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে।

জানা গেছে, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ইতোমধ্যেই ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নির্দেশনার কঠোর বাস্তবায়ন, ঘরের বাইরে মাস্ক পরিধান ও ঘনঘন হাত ধৌত করার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। জনগণকে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। সচিবালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর নিয়মাবলী অনুসরণ করা হচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে মসজিদ ও মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারণ চালাতে বলা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে বিভিন্ন স্পটে ঢাকা ওয়াসার উদ্যোগে নগরবাসীর হাত ধোয়ার জন্য স্থাপিত বেসিন ও পানির ড্রামগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলেও গত বেশ কিছুদিন যাবত সেগুলো প্রায় অব্যবহৃত থাকায় ড্রাম ও বেসিনে ময়লা ও শ্যাওলা জমে গেছে। তবে সেকেন্ড ওয়েভ প্রতিরোধে নতুন করে বিভিন্ন স্পটে পানির ড্রামগুলো ধোয়ামোছা ও বেসিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ২৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয় হাজার ৯২ জনে। করোনায় মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৬৮৮ জন (৭৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৪০৪ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ)।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৫টি পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার পাঁচটি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪ হাজার ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৮৩ জন।

ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল চার লাখ ২১ হাজার ৯২১ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪৪টি।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com