আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

স্বাস্থ্য খাতে চাই সর্বোচ্চ অঙ্গীকার ও একাগ্রতা

করোনার বৈশ্বিক বিস্তার, বিপর্যয় ও নতুন ঝুঁকির মুখেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জীবন ও জীবিকাকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু আসলেই কি আমরা সেদিকে এগোচ্ছি? করোনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে অস্থিরতা, তার একটি ভাগ আমাদের ভাগ্যেও জুটেছে। ভাইরাস সম্পর্কে আমাদের অসম্পূর্ণ জ্ঞান তার একটি কারণ। বিজ্ঞান এগিয়ে যাচ্ছে সেই অসম্পূর্ণ জ্ঞানকে সমৃদ্ধ ও সম্পূর্ণ করতে। করোনার এখনো কোনো কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি বের হয়নি—যা হচ্ছে, তা অনেকটা অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মতো।

বাংলাদেশে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চলছে। রাস্তায় বের হলে এখনো যে করোনাকাল চলছে, তা বোঝার খুব একটা উপায় নেই। আমার মতো কয়েকজন ছাড়া সবাই নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বেশ নির্বিকারভাবে। অর্থনীতির চাকা চলছে প্রায় আগের মতোই। আপাতত তেমন কোনো সংকট নেই। করোনার ফলে অনেক কিছুই বদলে গেছে। আমাদের সুখবর হলো, দেশে এখনো খাদ্যসংকটের তেমন কোনো লক্ষণ নেই। উপরন্তু বিশ্ব খাদ্য সূচকে বাংলাদেশ অনেক ধাপ এগিয়ে গেছে।বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য খাতে চাই সর্বোচ্চ অঙ্গীকার ও একাগ্রতা

উন্নয়নে আমাদের ভিত কি আসলেই সুদৃঢ়, নাকি আমরা একটা বুদ্‌বুদের মধ্যে বাস করছি? স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমরা যে একটা বুদ্‌বুদের মধ্যে বাস করছিলাম, তার প্রমাণ তো করোনা দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে আমরা সবাই আন্দোলিত ছিলাম। জগজ্জুড়ে এর প্রশংসা আমরা পেয়েছি। বাংলাদেশি হিসেবে অত্যন্ত গর্বিত বোধ করেছি। এই নিয়ে বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট যখন পুরো একটি সংখ্যা বের করল, তখন সে সম্পর্কে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকল না। প্রথম আলোর গত বছরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। স্বাস্থ্য সূচক উন্নয়নে আমরা যা করেছি, তা অপেক্ষাকৃত সহজলভ্য ছিল—সর্বজনীন টিকাদান, খাওয়ার স্যালাইনের ব্যবহার, পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ, মৌলিক ভৌত কাঠামো তৈরি ইত্যাদি। তার সঙ্গে ছিল স্বাস্থ্যবহির্ভূত বিনিয়োগ, যেমন রাস্তাঘাট তৈরি, মেয়েদের শিক্ষা, ক্ষুদ্রঋণসহ দারিদ্র্য বিমোচনের বিভিন্ন কার্যক্রম, নারীদের ক্ষমতায়ন, তৈরি পোশাকশিল্প ইত্যাদি। এই যাত্রায় আমরা ভারত বা পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। আমি এ–ও লিখেছিলাম, এখানে আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই। আমাদের আরেক প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা। তারা কিন্তু আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। একটি উদাহরণ দেওয়া যায়। বাংলাদেশে যেখানে মাতৃমৃত্যুর হার এক লাখ জন্মে ১৯৬, সেখানে শ্রীলঙ্কার হলো ৩০। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার হিসাবে আমাদের এই হার ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০-এ কমিয়ে আনার কথা। মাতৃস্বাস্থ্যের ওপর অনুষ্ঠিত জরিপ অনুযায়ী ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মৃত্যুহার একটুও কমেনি। প্রশ্ন করেছিলাম, এই অবস্থায় কি আমরা ২০৩০ সালে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব? স্বাস্থ্য উন্নয়নে আমাদের সনাতন কৌশলের আমূল পরিবর্তন না ঘটালে আমরা পিছিয়ে থাকব।

এবার এসেছে নতুন চাপ। কোভিড-১৯ আমাদের সব কৌশল, সমীকরণ ও আশা-আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিয়ত প্রশ্নবিদ্ধ করে যাচ্ছে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলো, যার মধ্যে রয়েছে সুব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের ঘাটতি, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় কম গুরুত্ব, স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জনবলের অপ্রতুলতা, নিয়ন্ত্রণহীন বেসরকারি খাত, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিনিয়োগ (জিডিপি বা জাতীয় আয়ের শতাংশ হারে), উচ্চতর গবেষণার অভাব ও নাগরিক সম্পৃক্ততার অনুপস্থিতি।

কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ এখন তৈরি করছে তাদের ইউএইচসি, যার মধ্যে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ফিলিপাইন, মরক্কো ইত্যাদি।

বলা হয়ে থাকে, প্রতিটি সংকটেরই একটি ইতিবাচক দিক থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের দেশগুলো ধ্বংসাবশেষের ওপরই তৈরি করল তাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা, যার মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিখরচায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হলো। নব্বইয়ের দশকে রুয়ান্ডায় গণহত্যার পর নির্মিত হলো তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি বা ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ (ইউএইচসি)। কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ এখন তৈরি করছে তাদের ইউএইচসি, যার মধ্যে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ফিলিপাইন, মরক্কো ইত্যাদি।

উন্নত দেশগুলোর স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যাপারে আমরা কমবেশি অবগত। যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা খুবই উন্নত বলে ধরা হয়। সেখানে কেউ অসুস্থ হলে সে যে-ই হোক না কেন, দেশের মেহনতি মানুষ থেকে শুরু করে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, সবাই সমান ও উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা পায়। তার নিজের একটি টাকাও খরচ করতে হয় না। আমাদের কাছাকাছি দেশ থাইল্যান্ডেও এই একই ব্যবস্থা বিদ্যমান। এটাই হলো ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ(ইউএইচসি) বা সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা।বিজ্ঞাপন

কাগজে-কলমে আমাদের দেশেও নিখরচায় স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার কথা। কিন্তু আসল চিত্রটি কী? স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে চিকিৎসক নেই, ওষুধ নেই, ভালো ব্যবহারও নেই। এ অবস্থায় মানুষ নিজে নিজেই বেসরকারি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে একজন নাগরিককে তার স্বাস্থ্য খরচের ৭৪ ভাগ নিজের পকেট থেকে জোগান দিতে হয়। এর ফলে কম করে হলেও ২০ থেকে ৩০ লাখ লোক প্রতিবছর চরম দারিদ্র্যে নিপতিত হয়। ইউএইচসি বাস্তবায়িত হলে এই অবস্থার অবসান ঘটবে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ইউএইচসি ব্যবস্থার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। দেখা গেছে, স্বাস্থ্য খাতে জাতীয় আয় ১ শতাংশ বাড়ালেই ইউএইচসির অর্থায়ন সম্ভব। বর্তমানে জাতীয় আয়ের মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় হয়। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এত কম ব্যয় করে, এমন দেশ আর দ্বিতীয়টি নেই। জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য উন্নয়নের কথা আগে এসেছে। তারা আমাদের চেয়ে চার গুণ বেশি খরচ করে। সুখবর হলো, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগ বর্তমানের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক শূন্য শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বাড়তি টাকা ঠিকমতো বিনিয়োগ করতে হলে ইউএইচসি বাস্তবায়ন ছাড়া গত্যন্তর নেই।

কোভিড-১৯ আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে
কোভিড-১৯ আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে

গত এক দশকে সরকার বারবার ইউএইচসি বাস্তবায়নে তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে ইউএইচসি–সংক্রান্ত সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের পূর্ণ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এখন সময় এসেছে সেই অঙ্গীকারের প্রকৃত বাস্তবায়ন। আমরা যদি ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন করতে চাই, যদি ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে নাম লেখাতে চাই, তাহলে স্বাস্থ্য খাতে আমাদের নজর দিতেই হবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হলে সেখানে সংস্কার প্রয়োজন। সরকারের কোনো অফিসে কিছু লোককে শুধু পরিবর্তন করলে সেই সংস্কার হবে না। সরকারকে সাহসী ভূমিকা নিয়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থার আমূল সংস্কারে হাত দিতে হবে। অর্থাৎ এই কাজে সরকারের সৎ সাহস এবং পূর্ণ অঙ্গীকার দরকার। আমরা পদ্মা সেতু বা বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রে সরকারের সাহসী ভূমিকা দেখেছি। স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কার কার্যক্রমে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সেই একই ধরনের অঙ্গীকার ও একাগ্রতা প্রয়োজন।

সরকারের সব পরিকল্পনা ও সদিচ্ছা সব সময় সঠিকভাবে ও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয় না। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগ জিডিপির শূন্য দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ১ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে। এই পরিকল্পনার শেষ বর্ষে আমরা দেখছি, সেটা তো বাড়েইনি, বরং কমেছে।

একইভাবে মাস্ক ব্যবহারসহ সব স্বাস্থ্যবিধির কথা অহরহই বলা হচ্ছে কিন্তু তা বাস্তবায়ন করবে কে? মাস্ক ব্যবহার একটি আচরণগত পরিবর্তন। মানুষের আচরণ বদলানো একটা সুকঠিন ও দুরূহ কাজ। তবে তা দুঃসাধ্য নয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, এই ধরনের কাজে একটা মৌলিক উপাদান হলো সব নাগরিকের সম্পৃক্ততা বা অংশগ্রহণ। দুঃখজনক হলেও সত্যি, করোনা মোকাবিলায় এই সম্পৃক্ততা আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি।

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগ জিডিপির শূন্য দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ১ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে। এই পরিকল্পনার শেষ বর্ষে আমরা দেখছি, সেটা তো বাড়েইনি, বরং কমেছে।

টেকসই স্বাস্থ্যব্যবস্থার একটি প্রধান নিয়ামক হলো মানুষের অংশীদারত্ব। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের সাফল্যের কথা বারবার চলে আসে। নাগরিক সম্পৃক্ততার একটি উজ্জ্বল মডেল হলো থাইল্যান্ড। থাইল্যান্ডের উন্নয়নে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়নে যে উপলব্ধিটি বেশি কাজ করেছে, সেটা হলো সমাজের বিভিন্ন অংশের সম্পৃক্ততা। আশির দশক থেকেই থাইল্যান্ডে এই ধারণা আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। এই ধারণার মূলে রয়েছে নিম্নলিখিত দর্শন— দ্য ট্রায়াঙ্গেল দ্যাটস মুভস দ্য মাউন্টেন। এর মূল ভিত্তি হলো একটি ট্রায়াঙ্গেল বা ত্রিভুজ এবং তার তিনটি চূড়া বা কোণ (ছবি দেখুন)। চূড়াগুলো যদি একই সঙ্গে এবং একই উদ্দেশ্যে একাকার হয়, তাহলে সব বাধা ডিঙানো সম্ভব, সে বাধা পর্বতপ্রমাণ হলেও। ত্রিভুজের তিনটি চূড়া হলো—রাজনৈতিক অঙ্গীকার, নাগরিকের অংশীদারত্ব ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের যথোচিত ব্যবহার ।

রাজনৈতিক অঙ্গীকার তৈরি ও বাস্তবায়নে যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা হলেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সরকারি আমলা ও টেকনোক্রেট। নাগরিক সম্পৃক্ততা অর্জনে যাদের দরকার, তারা হলো সুশীল সমাজ, বেসরকারি খাত ও সংবাদমাধ্যম। জ্ঞান-বিজ্ঞান খাতে যাঁদের জড়িত হওয়া প্রয়োজন, তাঁরা হলেন বিজ্ঞানী, উচ্চশিক্ষিত নাগরিক, একাডেমিয়া প্রমুখ। এই তিন চূড়াকে একত্রে এবং একই সূত্রে নিয়ে আসতে পারলেই সাফল্য। দরকারি ব্যাপার হলো সমন্বয়। থাইল্যান্ডে জনগণের সম্পৃক্ততা অর্জনে একটি কার্যকর পন্থা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ‘ন্যাশনাল হেলথ অ্যাসেম্বলি’।

স্বাস্থ্য খাতে চাই সর্বোচ্চ অঙ্গীকার ও একাগ্রতা

এই অ্যাসেম্বলিতে তিন ‘চূড়া’র সমানসংখ্যক প্রতিনিধি যোগদান করেন। এখানে যেসব আলোচনা বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তাতে সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই সত্য, তবে এর মাধ্যমে অনেক জবাবদিহি তৈরি হয়। ‘ন্যাশনাল হেলথ কমিশন’ হলো আরেকটি বিশেষ অঙ্গ, যার মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

হেলথ কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভাকে স্বাস্থ্যনীতি ও কৌশল সম্পর্কে উপদেশ দেওয়া এবং ন্যাশনাল হেলথ অ্যাসেম্বলি–সংক্রান্ত সব কার্যক্রম দেখাশোনা করা। এখানে অন্যান্য মন্ত্রণালয় যেমন শিক্ষা, শিল্প, পরিবেশ, কৃষি, স্বরাষ্ট্র ইত্যাদির প্রতিনিধিত্ব থাকে। আন্তসেক্টর সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়াতে এই ব্যবস্থা। একটি সুষম টেকসই স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়তে থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।বিজ্ঞাপন

এই লেখাতে জাতীয় পর্যায়ে কী করা উচিত, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ অ্যাসেম্বলি ও ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের উদাহরণ টেনে আনা হয়েছে। দ্বিতীয় যে বিষয় গুরুত্বসহ এসেছে, তা হলো ইউনির্ভাসেল হেলথ কাভারেজ বা ইউএইচসি। সরকারের এই শীর্ষ অঙ্গীকার রক্ষা করা সরকারেরই দায়িত্ব। জাতি এখন মুজিব বর্ষ পালন করছে এবং আগামী বছর আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ইউএইচসি বাস্তবায়নে এখনই মোক্ষম সময়।

ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী ব্র্যাকের সাবেক ভাইস চেয়ারপারসন, জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের প্রতিষ্ঠাতা ডিন, বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের আহ্বায়ক এবং অধ্যাপক, যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যায়ের অধ্যাপক।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com