অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করে অনেকেরই। পুষ্টিগুণ বজায় রেখেও তৈরি করা যায় মজার স্বাদের খাবার।বিজ্ঞাপন
সবজি পাকোড়া
উপকরণ
আলু মাঝারি ২টি, গাজরকুচি আধা কাপ, ফুলকপিকুচি আধা কাপ, বাঁধাকপিকুচি আধা কাপ, বেসন ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, কসুরি মেথি ১ চা–চামচ, আদাবাটা ১ চা–চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা–চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ ও তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি
আলু চিকন লম্বা করে কেটে নিন। একইভাবে গাজর, বাঁধাকপি কেটে নিন। ফুলকপি ছোট ছোট করে টুকরা করে নিন। চাইলে আপনার পছন্দমতো অন্য সবজিও ছোট টুকরা করে দিতে পারেন। এবার তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মেখে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে পাকোড়ায় আকারে মাঝারি আঁচে বাদামি করে ভেজে তুলে নিন।
মুরগির পাকোড়া
উপকরণ
হাড় ছাড়া মুরগির মাংস ২৫ গ্রাম, গরমমসলার গুঁড়া আধা চা–চামচ, কুসুম গরম তেল ১ চা–চামচ, চাট মসলা আধা চা–চামচ, বেসন ৩ টেবিল চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, সয়া সস ১ চা–চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা–চামচ, কর্নফ্লাওয়ার বা চালের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, পুদিনাকুচি ১ চা–চামচ, আদাবাটা ১ চা–চামচ, রসুনবাটা আধা চা–চামচ, লবণ সামান্য ও তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি
মুরগির মাংস হাড় থেকে আলাদা করে নিন। তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মেশান। এবার ১ টেবিল চামচ কুসুম গরম তেল এতে মেশান। পাত্রে তেল মাঝারি আঁচে গরম করুন। তেল গরম হলে অল্প অল্প করে পাকোড়ার আকারে তেলে ছাড়ুন। বেশি আঁচে ভাজবেন না, তাহলে ভেতরে কাঁচা থেকে যাবে। এক পাশ হয়ে গেলে উল্টে অন্য পাশ ভেজে তেল থেকে তুলে নিন।বিজ্ঞাপন
ফলের সালাদ
উপকরণ
আপেল ২টি, কলা ৩টি, আঙুর ১ কাপ, কমলার রস ২ কাপ, চাট মসলা ১ চা–চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা–চামচ, পুদিনাকুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা–চামচ ও চিনি ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আপেল, কলা, আঙুর ছোট টুকরা করে কেটে নিন। কমলার রসের সঙ্গে চাট মসলা, পুদিনাকুচি, লেবুর রস, চিনি, গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এবার টুকরা করা ফল ঢেলে সালাদ তৈরি করে নিন।
ম্যাকারনি চিজ পাস্তা
উপকরণ
পাস্তা ২০০ গ্রাম, পানি ৬ কাপ, লবণ আধা চা–চামচ, তেল আধা চা–চামচ, বাটার ২ টেবিল চামচ, রসুনকুচি ১ চা–চামচ, পেঁয়াজ (মাঝারি) ১টি, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা–চামচ ও গাজর বা ক্যাপসিকাম আধা কাপ (ঐচ্ছিক)।
সসের জন্য: বাটার ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, তরল দুধ দেড় কাপ, চিজকুচি ৪ টেবিল চামচ, চিলি ফ্ল্যাকস ১ চা–চামচ ও গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা–চামচ।
প্রণালি
পাস্তার সঙ্গে পানি, তেল ও লবণ দিয়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। এবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। একটি প্যানে বাটার ও ময়দা দিয়ে ৫ মিনিট ভাজুন। এবার অল্প অল্প করে দুধ দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে থাকুন, যেন দলা জমে না যায়। চিলি ফ্ল্যাক্স ও গোলমরিচের গুঁড়া দিন, এবার সেদ্ধ করে রাখা পাস্তা ঢেলে দিন। অন্য একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ বাটারে রসুনকুচি বাদামি করে ভেজে নিন। এরপর বড় টুকরা করা ২টি মাঝারি পেঁয়াজ দিয়ে ২ মিনিট ভাজুন। এবার মিশ্রণটি পাস্তার ওপর ঢেলে দিন। সবশেষে সামান্য গোলমরিচ ও চিজকুচি দিয়ে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
চটপটি
উপকরণ
মটর ডাল আধা কেজি, বেকিং সোডা আধা চা–চামচ, আলু (মাঝারি) ২টি, চটপটি মসলা ১ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা–চামচ, ভাজা জিরাগুঁড়া ১ চা–চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
তেঁতুলের টকের জন্য: তেঁতুল আধা কাপ, চটপটির মসলা ১ চা–চামচ, ভাজা শুকনা মরিচগুঁড়া ১টি, বিট লবণ আধা চা–চামচ, লবণ সামান্য, চিনি ১ চা–চামচ, কাঁচা মরিচকুচি আধা চা–চামচ (পছন্দমতো) ও পানি আধা কাপ।
পরিবেশনের জন্য: সেদ্ধ ডিম ২টি (কুচি করা), পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, লেবু–ধনেপাতাকুচি, ফুচকার ঝুরি, গাজরকুচি ও শসাকুচি পছন্দমতো।
প্রণালি
মটর ডাল ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ডাল ভেজানোর সময় আধা চা–চামচ বেকিং সোডা দিয়ে দেবেন। এতে মটর ডাল তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে এবং রং সুন্দর থাকবে। মটর ভিজে ফুলে উঠলে সামান্য হলুদগুঁড়া ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ২টি মাঝারি আকারের আলু সেদ্ধ করে হাত দিয়ে ভেঙে এর সঙ্গে মিশিয়ে দিন। এবার চটপটি মসলা, ভাজা জিরাগুঁড়া দিয়ে গরম-গরম বাটিতে ঢেলে দিন।
তেঁতুল অল্প পানিতে ভিজিয়ে বিচি থেকে তেঁতুল আলাদা করে নিন। এবার তেঁতুলের টকের সব উপকরণ মিশিয়ে চটপটির টক তৈরি করুন। এবার চটপটির ওপর সেদ্ধ ডিমকুচি, পেঁয়াজকুচি, লেবুর রস, ধনেপাতাকুচি, ফুচকা, গাজর–শসাকুচি, তেঁতুলের টক দিয়ে পরিবেশন করুন।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন