আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

স্ট্রোকের পর ফিজিওথেরাপি

স্ট্রোকের পরপরই ফিজিওথেরাপি শুরু করা জরুরি। কারণ, ফিজিওথেরাপি যত দেরিতে শুরু হবে, রোগীর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়ার বিষয়টি ততই দীর্ঘায়িত হতে পারে।

স্ট্রোকের পর যত দ্রুত সম্ভব ফিজিওথেরাপি শুরু করা উচিত। দুই দিনের মধ্যে তো অবশ্যই। তবে স্ট্রোকের একবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ফিজিওথেরাপি কেবল বড় হাসপাতালের অ্যাকিউট কেয়ারে বা বিশেষায়িত হাসপাতালেই সম্ভব। এমনকি রোগী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকাকালীন অবস্থায়ও ফিজিওথেরাপি দেওয়া সম্ভব। রোগী আইসিইউতে বা লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় দ্রুত ফিজিওথেরাপি শুরু করলে ফুসফুসের কার্যকারিতাও উন্নত হয়।

এখন জেনে নেওয়া যাক, স্ট্রোকের পর কোনো সমস্যায় ফিজিওথেরাপি নিলে দ্রুত কার্যকর ফল পাওয়া যেতে পারে। অবশ্য রোগীর ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা, ল্যাব পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্ট্রোকের পর যেসব সমস্যা দেখা দেয় ও দীর্ঘদিন থাকতে পারে, সেগুলো হলো:
বিজ্ঞাপন

  • শরীরের এক পাশের হাত–পা নড়াচড়া করতে না পারা বা কম শক্তি পাওয়া
  • হাত দিয়ে ভালো করে কিছু ধরতে না পারা
  • হাত–পায়ের পেশির স্থিতিস্থপাকতা কমে যাওয়া
  • শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া
  • সমন্বয়হীনতা বা কো–অর্ডিনেশনের অভাব
  • শরীরের স্বাভাবিক দেহভঙ্গি বা অ্যালাইনমেন্ট নষ্ট হওয়া
  • হাঁটাচলা করতে না পারা, শোয়া থেকে নিজে নিজে উঠে বসা বা বসে থাকার শক্তি না থাকা
  • মুখ বেঁকে যাওয়া
  • কর্মদক্ষতা কমে যাওয়া
  • শ্বাসকষ্ট, কফ বের করা বা খাবার গেলার ক্ষমতা নষ্ট হওয়া

স্ট্রোক হলে সব রোগীরই একসঙ্গে সব কটি সমস্যা হবে তা নয়। একেকজনের একেক সমস্যা হতে পারে। কারও কম দিন, কারও দীর্ঘদিন সমস্যা রয়ে যেতে পারে। একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক সমস্যার ধরন ও পর্যায় অনুযায়ী চিকিৎসা পরিকল্পনা করেন। এ ক্ষেত্রে রোগীর যদি হাত–পায়ের কোনোটায় নড়াচড়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়, সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাতের বা পায়ের নড়াচড়া স্বাভাবিক করতে ফিজিওথেরাপির সুনির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে। একইভাবে মুখ বেঁকে গেলে কিংবা কর্মদক্ষতা কমে গেলে অথবা অন্য কোনো সমস্যায়ও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ফিজিওথেরাপি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এ কারণেই স্ট্রোকের পরপরই ফিজিওথেরাপি শুরু করা জরুরি। কারণ, ফিজিওথেরাপি যত দেরিতে শুরু হবে, রোগীর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়ার বিষয়টি ততই দীর্ঘায়িত হতে পারে। এমনকি কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে আজীবন সমস্যা রয়ে যেতে পারে স্ট্রোকের পর ফিজিওথেরাপি না পাওয়ার কারণে। কাজেই স্ট্রোক–পরবর্তী চিকিৎসায় রোগীকে আবারও কর্মক্ষম করে তুলতে ফিজিওথেরাপির কোনো বিকল্প নেই।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com