আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

সমস্যাটা কিশোরীর

বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীর শরীরে ঘটে নানা পরিবর্তন। হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে ধাপে ধাপে আসে কৈশোর, আর মাসিক পিরিয়ড বা মেনস্ট্রুয়েশন হলো এই কৈশোরপ্রাপ্তির চূড়ান্ত ধাপ। সাধারণত ১২-১৩ বছর বয়সে শুরু হয় বালিকার পিরিয়ড। এমনিতেই বিষয়টা নিয়ে কাজ করে ভীতি, দ্বিধা, লজ্জা—তার ওপর যদি বিষয়টা বেদনাদায়ক বা পেইনফুল হয়, তবে তা আরও ভীতিকর হয়ে ওঠে।

অনেক কিশোরীরই পিরিয়ডের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা খুব ভালো নয়। কিশোরীদের ডিসমেনোরিয়া বা মাসিকের সময় অতিরিক্ত ব্যথা হওয়ার হার বেশি। অনেক সময় এটা এত তীব্র যে প্রায়ই স্কুল কামাই দিতে হয়, কিশোরীরা প্রায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে আর দৈনন্দিন কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়। লজ্জায় তারা বিষয়টি কারও সঙ্গে শেয়ারও করতে পারে না।বিজ্ঞাপন

বয়ঃসন্ধিকালে এই ডিসমেনোরিয়া বা রজঃকালীন ব্যথার কারণ বিবিধ।

  • অল্প বয়সে জরায়ুর পেশিগুলো শক্ত বা টান টান থাকে বেশি, তাই মাসিকের সময় পেশির অতিরিক্ত সংকোচন প্রসারণে ব্যথা হয় বেশি।
  • কারও কারও এন্ডোমেট্রিওসিস থাকতে পারে। এর অর্থ হলো জরায়ুর বাইরে জরায়ু কোষের অবস্থান। ফলে মাসিকের সময় কেবল জরায়ু নয়, এর বাইরে ডিম্বাশয়, পেলভিস বা তলপেটেও একই রকম পরিবর্তন ঘটে আর প্রচণ্ড ব্যথা হয়। সঙ্গে হতে পারে প্রদাহ।
  • এ ছাড়া পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ, তলপেট বা শ্রোণিচক্রের মধ্যে প্রদাহ, সংক্রমণ ইত্যাদির কারণেও মাসিকের সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
  • এ ছাড়া জরায়ু বা ডিম্বকোষের টিউমার, সিস্ট, জন্মগতভাবে অস্বাভাবিক গঠনের জরায়ু বা পেশির অস্বাভাবিক বিন্যাসের কারণে ব্যথা হয়।
  • মাসিক–সম্পর্কিতভীতি, উদ্বেগ, টেনশন ও পারিবারিক ইতিহাসও ব্যথার অনুভূতির পেছনে দায়ী।

করণীয় কী

কিশোরীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য, পুষ্টি ব্যবস্থাপনা, বয়স, মানসিক অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। প্রচণ্ড ব্যথা হলে মাসিক চলাকালীন চিকিৎসকের পরামর্শে আইবুপ্রফেন, প্যারাসিটামল, মেফেনামিক অ্যাসিড বা অ্যান্টিস্পাজমোটিক গোত্রের ব্যথানাশক সেবন করা যাবে। কখনো কখনো হরমোন ওষুধ বা জন্মবিরতিকরণ পিল দিয়েও চিকিৎসা করা হয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে, চাই পর্যাপ্ত ঘুম। এর সঙ্গে মাসিক নিয়ে ভীতি, জড়তা আর অতিরিক্ত উদ্বেগ দূর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকেরা ভূমিকা রাখতে পারেন। নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম এ ধরনের ব্যথাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে ও ফিটনেস বাড়ায়। সংক্রমণ রোধে পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিন মেনে চলতে হবে মাসিকের সময়।

ব্যথা কমাতে তলপেটে গরম পানি বা হট ব্যাগ দিয়ে সেঁক, গরম পানিতে গোসল, পেটের ম্যাসাজ উপকারী হতে পারে। এ ছাড়া যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, আকুপাংচার, রিলাক্সেশন ইত্যাদির কিছু ভূমিকা প্রমাণিত। তবে জরায়ুর টিউমার, গঠনগত সমস্যা বা চকলেট সিস্টের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com