আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

শ্বাসকষ্ট হাঁচি কাশিতে প্রফেটিক মেডিসিন

শ্বাসকষ্ট, হাঁচি-কাশি, গলা ব্যথার প্রফেটিক মেডিসিন (হাদিসে বর্ণিত ওষুধ) কুস্ত। কুস্ত নামের গাছের শিকড় বহু বছর ধরে গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নবী হজরত মুহাম্মদ সা: ও তাঁর বেশ কয়েকজন সাহাবি কুস্তকে হাঁচি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথার ওষুধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিশুদ্ধতম হাদিস বই বুখারি শরিফে এই হাদিসগুলো রয়েছে। কুস্ত আরবিতে কুদ আল হিন্দ নামে পরিচতি। এ ছাড়া আবু দাউদ শরিফেও এর বর্ণনা আছে। কেউ কেউ বলছেন, করোনা সংক্রমণ যেহেতু ফুসফুস ও গলায় প্রদাহ তৈরি করে সে কারণে করোনা সংক্রমণেও কুস্ত কাজ করতে পারে। কারণ মুসলমানরা বিশ্বাস করেন নবী মুহাম্মদ সা: যা বলেছেন, তার সবই আল্লাহর পক্ষ থেকেই বলেছেন।

বুখারির ৫ হাজার ৬৯২তম হাদিসে উম্মে কাইস বিনতে মিহসান (রা:) বলেন, নবী হজরত মুহাম্মদকে সা: বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন- কুদ আল হিন্দ দিয়ে চিকিৎসা করো। গলার সমস্যায় এবং কণ্ঠ ও ফুসফুসের সূক্ষ্ম ঝিল্লির প্রদাহে এটা মুখে ভেতরের এক অংশে রাখো। ৭টি রোগকে এটি সাড়াতে পারে।’

বুখারির ৫ হাজার ৬৯৬ নম্বর হাদিসে আনাস (রা:) নবী মুহাম্মদ সা থেকে বলেছেন, তোমাদের সন্তানদের গলাব্যথা হলে তাদের গলায় চাপ না দিয়ে কুস্ত দাও। আবু দাউদ শরিফে মিহসানের কন্যা উম্মে কাইস (রা:) বর্ণনা করেছেন, আমি আমার ছেলেকে নবীর সা: কাছে আনলাম। তখন আমি গলা ফুলে যাওয়ায় তার আল জিহবায় চাপ দিয়েছিলাম। নবী সা বললেন, কেন তোমরা তোমাদের ছেলেদের কষ্ট দাও? কুদ আল হিন্দ ব্যবহার করো। এতে ৭টি রোগের উপসম রয়েছে। এর মধ্যে ফুসফুসের সমস্যা একটি। আবু দাউদ (র) বলেন, কুদ আল হিন্দ বলতে তিনি ভারতীয় কুস্তকে বুঝিয়েছেন।

গলার সংক্রমণবিষয়ক আরেকটি হাদিস বর্ণনা করেছেন হজরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা:)। তিনি বলেন, একদিন নবী সা: তাঁর বাড়িতে আসলেন এবং দেখলেন একটি ছেলেকে তাঁর কাছে আনা হয়েছে। ছেলেটির মুখ ও নাক থেকে রক্ত ঝরছিল। নবী সা: জানতে চাইলেন কী হচ্ছে? আয়িশা (রা:) বললেন, ছেলেটি গলা সংক্রমণে ভুগছে। নবী বললেন, ভবিষ্যতে যেকোনো ছেলে এ রকম গলার সংক্রমণে অথবা মাথা ব্যথায় ভুগলে ওর মধ্যে কালো কুস্ত ঘষো এবং ছেলেটাকে এটা চুষতে দাও। আয়েশা (রা:) নবী মুহাম্মদের সা:-এর কথামতো কাজ করলেন এবং শিশুটি স্বাস্থ্যবান (সুস্থ) হয়ে গেল। (মুসনাদ আবি ইয়ালা : ১৯১২)। কুস্ত বা কুদ আল হিন্দবিষয়ক আরো কয়েকটি হাদিস রয়েছে।

দুই ধরনের কুস্ত পাওয়া যায়। এর মধ্যে কুস্ত আল হিন্দ একটু কালো এবং গরম। অপরটি হলো কুস্ত আল বাহরি। এটা মৃদু ও সাদা। কুস্ত আল হিন্দ কুথ আল সাংস্কৃতও বলা হয়। কুস্ত উত্তরপশ্চিম ও উত্তরপূর্ব হিমালয়ের পাদদেশীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। ভারতীয় উপমহাদেশে কুস্ত নিউমোনিয়া, ফুসফুস সংক্রমণসহ অন্যান্য ফুসফুস সংক্রান্ত অসুস্থতা, গলা সংক্রমণের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ ছাড়া চীনা, কোরিয়ান গাছ-গাছরা সম্পর্কীয় ঔষধী বইয়ের মধ্যেও একই রোগের ওষুধ হিসেবে বর্ণনা করা আছে।

মক্কার ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চিলড্রেন হাসপাতালে কুস্ত আল হিন্দ নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। মিসরেও হাদিসে বর্ণিত এই ওষুধটি নিয়ে গবেষণা চলছে। বাংলাদেশে এই ওষুধটি চকবাজারের হার্বাল ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়। গাছ-গাছড়া নিয়ে যারা ওষুধ তৈরি করেন তারা কুস্ত ব্যবহার করেন।

এ বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। তিনি নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, ‘প্রত্যেক রোগের ওষুধ রয়েছে’ এমন একটি হাদিস রয়েছে। তাই আমি খোঁজা-খুঁজি করি হাদিসে করোনা রোগের কোনো ওষুধ পাওয়া যায় কি না। হাদিসগুলো ঘেটে আমি এ সম্বন্ধে কয়েকটি হাদিস পাই। তিনি বলেন, ইন্টানেটে কুস্ত ফুলের ছবি রয়েছে। কুস্ত ফুলের ছবি ঠিক করোনা ভাইরাসের ছবির মতো। এটা নিয়ে গবেষণা করা হলে দেখা যাবে এই কুস্ত দিয়েই করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা সম্ভব। তিনি জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আমার কিছু শুভাকাক্সক্ষী কুস্ত পাউডার নিয়মিত খেলে দেখা যায় তাদের করোনাভাইরাসে কাবু করতে পারেনি। তারা খুব দ্রুত তারা সুস্থ হয়ে গেছেন। তিনি জানান, কুস্ত সম্বন্ধে আমি বলছি এ কারণে যেন তা মানুষের উপকারে আসে। কুস্ত নিয়ে আমি কোনো গবেষণাও করিনি বা এ বিষয়ক কোনো ব্যবসাও আমার নেই।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com