আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফল

শৌচাগারে আবিষ্কার ফলের বীজ, পচিয়ে খাওয়া এই ফলের জন্য পাগল ইউরোপীয়রা

জীবের বেঁচে থাকার জন্য খাবারের বিকল্প কিছুই নেই। একেক দেশ এবং অঞ্চলভেদে মানুষের খাবারের রয়েছে রকমফের। শাকসবজি, শস্য থেকে শুরু করে ফল শুধু যে ক্ষুধা মেটায় তা কিন্তু নয়। পুষ্টি যুগিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। আম, জাম, কাঁঠালের পাশাপাশি আজ ভিনদেশী কিউই, স্ট্রবেরি খুব সহজলভ্য হয়ে আমাদের কাছে। তবে কালের পরিক্রমায় অনেক ফলই আজ শুধু ইতিহাসের পাতায়।

তেমনই হাজার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ফল মেডলা। মধ্যযুগে অদ্ভুত এই ফলের জন্য পাগল ছিল ইউরোপীয়রা। এ ফলটি কেবল পচা অবস্থায় খাওয়া যেত। এককালের সর্বজনবিদিত মেডলার আজ ইউরোপের সর্বত্র অচেনা এক ফল। একসময় সবাই এর কথা বেমালুম ভুলে গেল। তবে কেন এই ফল এত পছন্দ করত ইউরোপীয়রা? কেনই বা ফলটি হারিয়ে গেল? চলুন আজ জানব এই ফলের ইতিকথা- দুই হাজার বছর আগে এই ফলের জন্য পাগল ছিল ইউরোপীয়রা

দুই হাজার বছর আগে এই ফলের জন্য পাগল ছিল ইউরোপীয়রাদুই হাজার বছর পর ২০১১ সালে এক রোমান ধ্বংসাবশেষের শৌচাগার থেকে বীজ আবিষ্কৃত হওয়ার পর ফলটি নিয়ে ফের আগ্রহ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। একটি শৌচাগারে অস্বাভাবিক এক জিনিস পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। দলটি ট্যাসগেটিয়াম (বর্তমানে ইসেঞ্জ, সুইটজারল্যান্ড) নামক এক প্রাচীন গ্রামে খননকাজ চালাচ্ছিল। গ্রামটি শাসন করতেন এক কেল্টিক রাজা। রাইনের তীরে গড়ে ওঠা ট্যাসগেটিয়াম তৎকালে অত্যন্ত সচল বাণিজ্যপথ ছিল। গ্রামটির ধ্বংসাবশেষ এখনও জলা অঞ্চলে রয়ে গেছে। শত বছর আগেই যে ধ্বংসাবশেষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, অক্সিজেনবিহীন জলাময় পরিবেশে থাকার কারণে তা আজও প্রায় অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।

পরিচিত খাদ্যের মধ্যে পাওয়া গেছে বরই, চেরি, কিশমিশ, পিচ ও আখরোটের অবশেষ। এছাড়াও প্রত্নতাত্ত্বিকরা বেশ বড় বড় ১৯টি অদ্ভুত বীজ পেয়েছেন। প্রায় ২ হাজার বছর রাখা হলেও, বীজগুলো প্রায় তাজা অবস্থায়ই পাওয়া গেছে। কিন্তু ওগুলো যে কীসের বীজ, তা-ই চেনা যাচ্ছিল না। কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় না এই ফলটি, বিশেষ প্রক্রিয়ায় পচানোর পরই খাওয়ার উপযোগী হয় মেডলার

কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় না এই ফলটি, বিশেষ প্রক্রিয়ায় পচানোর পরই খাওয়ার উপযোগী হয় মেডলারপরে জানা যায়, এই ফলটি বর্তমানে মেডলার (মেডলার) নামে পরিচিত। কিন্তু ৯০০ বছর আগে এর নাম ছিল ‘উন্মুক্ত পশ্চাদ্দেশ’। এই নামকরণের কারণ ফলটির বৃতি বা নিচের অংশের গঠন। ফ্রান্সে এর নানা নাম রয়েছে- চারপেয়ে প্রাণীর পশ্চাদ্দেশ, বানরের নিতম্ব, কুকুরের পশ্চাদ্দেশ।

তবু মধ্যযুগে গোটা ইউরোপ এই ফলের জন্য পাগল ছিল। মেডলারের নাম প্রথম পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব ৭​​ম শতাব্দীর একটি গ্রিক কবিতায়। ধারণা করা হয়, ফলটি দক্ষিণ ফ্রান্স ও ব্রিটেনে নিয়ে এসেছিল রোমানরা। ৮০০ খ্রিষ্টাব্দে, শার্লমেন একে রাজার বাগানে যেসব গাছ থাকা বাধ্যতামূলক, সে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। এর প্রায় ২০০ বছর পর, আইনশামের ইংরেজ মোহান্ত এবং লেখক অ্যালফ্রিক ফলটির নাম প্রথম জনসম্মুখে প্রকাশ করেন।

এরপর থেকে ক্রমেই ফলটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। মধ্যযুগীয় মঠ ও রাজকীয় বাড়িগুলোর পাশাপাশি সাধারণ বাড়ির বাগানেরও প্রধান গাছ হয়ে ওঠে এটি। চসারের ‘ক্যান্টারবেরি টেলস’, শেকস্পিয়রের ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ এবং রানির সখি ব্রিটানির অ্যানের ‘বুক অফ আওয়ারস’-এও এ ফলের উল্লেখ পাওয়া যায়। সপ্তম হেনরি হ্যাম্পটন কোর্টে মেডলার লাগিয়েছিলেন। ফ্রান্সের রাজাকেও এ ফল উপহার দিয়েছিলেন তিনি।

সতেরো শতকের প্রথম দশকে ফলটি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠে। সে সময় ইংল্যান্ডের সর্বত্র এর চাষ হতো। এরপর ক্রমেই এর জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। জনপ্রিয়তা কমে গেলেও, ২০ শতকের গোড়ার দিকেও ফলটি ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিল। তারপরে ১০৫০ এর দশকে আচমকা ফলটির কথা বেমালুম ভুলে যায় লোকে। একসময়ে প্রতি ঘরে যে ফল লাগানো হতো, এখন সেই মেডলার জন্মানো হয় অতীতের বিলুপ্ত ফলের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে।

এক সময় অনেক চিত্রকলায় এই ফল চিত্রিত হয়েছে, বিশেষ করে ১৫০০ শতকে। হারিয়ে যাওয়ার কয়েক দশক পর প্রায় সব সবজিওয়ালার কাছেই ফলটি অচেনা হয়ে যায়। ১৯৮৯ সালে, একজন আমেরিকান গবেষক লিখেছেন, ১০০ জনে একজন উদ্ভিদবিজ্ঞানীও আজ সম্ভবত মেডলার দেখে চিনতে পারবেন না। ব্রিটিশ সুপারমার্কেটের কোথাও এ ফল বিক্রি করা হয় না। অথচ মধ্যযুগে এই ফলের জন্যই রীতিমতো উন্মাদ ছিল গোটা ইউরোপ। তবে হঠাৎ করে কোথায় এবং কীভাবে হারিয়ে গেল এই ফল, তা আজো মানুষের অজানা। মেডলার আকৃতির জন্যই এর এমন অদ্ভুতসব নাম ছিল

মেডলার আকৃতির জন্যই এর এমন অদ্ভুতসব নাম ছিলমেডলারের জন্ম কোথায়, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে কারও কারও বিশ্বাস, প্রায় ৩ হাজার বছর আগে পশ্চিম এশিয়ায় কাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে এই ফল ফলত। ওই অঞ্চলে আজও হরেক পদের মেডলার জন্মে। ‘মেডলার’ এবং ‘উন্মুক্ত পশ্চাদ্দেশ’ দিয়ে মেডলার ফল এবং ফলটি যে গাছে জন্মায় মেসপাইলাস জার্মানিকা দুটোকেই বোঝানো হয়। গাছটি গোলাপ, বুনো আপেল ও নাশপাতির নিকটাত্মীয়। গোড়ায় বাঁকা, মোচড়ানো শাখা এবং শামিয়ানার মতো ছড়ানো লম্বা পাতাওয়ালা গাছটি শুধু ফলের জন্যই বিখ্যাত ছিল না—বিখ্যাত ছিল এর সৌন্দর্যের জন্যও। প্রতি বসন্তে নিয়মিত বিরতিতে এতে তারকাকৃতির ফুল ফোটে। শরতে গাছটি সবুজ, হলুদ, বাদামি ও টকটকে লাল রঙে ছেয়ে যায়।

মেডলার ফল বেশ কয়েকটি কারণে অস্বাভাবিক। প্রথম কারণ, এই ফল গাছ থেকে পাড়া হয় ডিসেম্বরে। মধ্যযুগে শীতকালে চিনির উৎস ছিল খুবই কম। সেই স্বল্প উৎসের একটি ছিল মেডলার। দ্বিতীয় কারণ, এই ফল পচার পরই কেবল খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে। ১৯ শতকে মেডলার ফলের জ্যাম-জেলি বড়দিনের মূল্যবান উপহার হিসেবে বিবেচিত হত।সমাজের অভিহাত শ্রেণির মানুষেরা এওি ফলটি খেতেন পনিরের সঙ্গে

সমাজের অভিহাত শ্রেণির মানুষেরা এওি ফলটি খেতেন পনিরের সঙ্গেবাদামি বর্ণ ধারণ করার পর গাছ থেকে ছেঁড়া হয় মেডলার। তখন একে দেখতে লাগে অদ্ভুত আকারের পেঁয়াজ বা খেজুরের মতো। গাছ থেকে পাড়ার পর সরাসরি এগুলো খেলে আপনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। ১৮ শতকের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, এর ফলে ডায়রিয়া হয়। তবে পাড়ার পর যদি মিহি কাঠের গুঁড়া বা খড়ের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ রেখে দেয়া হয়, তাহলে মেডলার ধীরে ধীরে কালো ও শক্ত হয়ে যায়। বেক করা আপেলের মতো নরম হয়ে যায় ফলটি।

এ সময় মূলত ফলের এনজাইমগুলো জটিল কার্বোহাইড্রেটকে ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ জাতীয় সরল শর্করা হিসাবে ভেঙে দেয় এবং এতে ম্যালিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। এদিকে তিক্ত স্বাদের জন্য দায়ী ট্যানিনগুলোর পরিমাণ কমে যায়। ফলে মেডলার পরিণত হয় অদ্ভুত স্বাদযুক্ত অতি মিষ্টি এক ফলে। ঠিকমতো পাকলে এই ফল অত্যন্ত সুস্বাদু লাগে খেতে।অতীতকে বাঁচিয়ে রাখতে বর্তমানে এই গাছ লাগানো হচ্ছে

অতীতকে বাঁচিয়ে রাখতে বর্তমানে এই গাছ লাগানো হচ্ছেতবে পচিয়ে খেতে হতো বলে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকার সময়ও ফলটি নিয়ে নানা বৈরী মতবাদ প্রচলিত ছিল। ১৯৮৯ সালের এক গবেষণা নিবন্ধে লেখা হয়, ‘এটি খেতে পচা আপেলের চেয়ে সামান্য ভালো ছিল। পাকার আগে মেডলার খাওয়ার উপযুক্ত হতো না। আর তখন এর স্বাদ হয়ে উঠত জঘন্য।’

সাধারণ মানুষ ফলটি হাতে নিয়ে স্রেফ মুখের ওপর চেপে ধরে আঁশ খেয়ে নিত। অভিজাতদের খাবার টেবিলে একে পনিরের সঙ্গে পরিবেশন করা হতো। ফলগুলোতে তখনও কাঠের গুঁড়ার প্রলেপ লেগে থাকত। অভিজাতরা চামচ দিয়ে আইসক্রিমের মতো সেই ফল খেত। মেডলারকে বেক করা যেত, এ থেকে জেলি বা ব্র্যান্ডি বা সুরাও বানানো যেত। একেকটি মেডলার ফলে ছয়টির মতো বড় বিচি থাকে।ইউরোপীয় ইতিহাসে এখনো অনেক জায়গায় এই ফলটি পাওয়া যায়

ইউরোপীয় ইতিহাসে এখনো অনেক জায়গায় এই ফলটি পাওয়া যায়১৯ শতকের শেষভাগ এবং ২০ শতকের গোড়ার দিকেও শীতের সময় ইউরোপের প্রধান ফলগুলোর একটি ছিল মেডলার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার জনসাধারণকে মেডলার খেতে উৎসাহিত করে। কিন্তু এর কদিন পরই ফলটি চিরতরে হারিয়ে যায়।

এর একটি সম্ভাব্য কারণ হলো কলা ও আনারসের মতো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফলগুলো সস্তা হয়ে যায় এবং সারা বছর ধরে চাষ হতে শুরু করে। সেজন্য শীতের সময় মেডলারের চাহিদা ফুরিয়ে যায়। আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হলো, প্রচণ্ড শীতের মধ্যে কেউ কষ্ট করে মেডলার পাড়তে বাইরে যেতে চাইত না। ইউরোপে আজও ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় মেডলার গাছ পাওয়া যায়। মেডলারের ঝোপ কখনও গ্রামাঞ্চলে বাগানে বেড়ার কাজ করে তো কখনও বাগানের শোভা বাড়ায়। কিন্তু আলাদা করে মেডলার গাছ হিসেবে একে চেনে খুব কম লোকেই।চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, মেডলার নানান জটিল রোগের উপসমও বটে

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, মেডলার নানান জটিল রোগের উপসমও বটেকাস্পিয়ান সাগরের কাছে, জন্মভূমিতে আজও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে এই ফল। এখনও ইরান, আজারবাইজান, কিরগিজস্তান, জর্জিয়া ও তুরস্কে মেডলারের ব্যাপক চাষ হয়। এ অঞ্চলের বাজারে এটি মুসমুলা নামে বিক্রি হয়। এই অঞ্চলে গ্রাম্য পথ্য হিসেবেও মেডলার গাছের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। উত্তর ইরানের গালান প্রদেশের গ্রামাঞ্চলে ডায়রিয়া, পেট ফুলে যাওয়া এবং অনিয়মিত ঋতুস্রাবসহ আরও নানা রোগের চিকিৎসায় মেডলার পাতা, ছাল, ফল ও কাঠ ব্যবহার করা হয়।

মধ্যযুগে ইউরোপেও মেডলার গাছের এমন ব্যবহার ছিল। ১৭ শতকের উদ্ভিদবিদ ও ডাক্তার নিকোলাস কার্লপপার লিখেছেন, মেয়েদের ঋতুস্রাব নিয়মিত করতে এবং পেটের অসুখ নিরাময়ে মেডলার খুব উপকারী। এককালের সর্বজনবিদিত মেডলার আজ ইউরোপের সর্বত্র অচেনা এক ফল। দুই হাজার বছর পর এক রোমান ধ্বংসাবশেষের শৌচাগার থেকে বীজ আবিষ্কৃত হওয়ার পর ফলটি নিয়ে ফের আগ্রহ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। 

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

এগ্রোবিজ

বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য

বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম
বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম

মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।

মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।

ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।

মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।

মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোটেক

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি

ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।

আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।

আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।

কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।

কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

পেঁয়াজের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে সাথি ফসল বাঙ্গি

পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার
পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার

পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম তাঁর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছেন। অথচ পেঁয়াজের জমিতেই সাথি ফসল হিসেবে লাগানো বাঙ্গি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকার মতো লাভ করবেন বলে আশা করছেন। এই বাঙ্গি আবাদে তাঁর কোনো খরচ হয়নি। ফলে পেঁয়াজ আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঙ্গি আবাদ কইর‌্যা যে টাকা পাইল্যাম তা হলো আমাগরে ঈদের বোনাস। পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় আমরা (কৃষকেরা) যে ক্ষতির মধ্যে পড়িছিল্যাম, বাঙ্গিতে তা পুষায়া গেছে। এই কয়েক দিনে ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচছি। সব মিলায়া ৫০ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচার আশা করতেছি।’

সাইদুল ইসলামের মতো পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার অনেক কৃষক এবার পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গির আবাদ করেন। কৃষকেরা পেঁয়াজ আবাদ করতে গিয়ে বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। সেই হিসাবে প্রতি মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে তাঁদের খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি। কিন্তু বাজারে সেই পেঁয়াজ কৃষকেরা বিক্রি করতে পেরেছেন প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদে কৃষকদের এবার ২০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।

কৃষকেরা বলেন, পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর পর তা কিছুটা বড় হলে এর ফাঁকে ফাঁকে এসব সাথি ফসল লাগানো হয়। পেঁয়াজের জন্য যে সার, কীটনাশক, সেচ দেওয়া হয়, তা থেকেই সাথি ফসলের সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে সাথি ফসলের জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয় না।

কৃষকেরা বলেন, বাঙ্গিতেই কৃষকের লাভ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। রমজান মাস হওয়ায় এখন বাঙ্গির চাহিদা ও দাম দুই-ই বেশি।

সাঁথিয়ার শহীদনগর গ্রামের কৃষক আজমত আলী জানান, তাঁর জমিসহ এই এলাকার জমি থেকে ৮ থেকে ১০ দিন হলো বাঙ্গি উঠতে শুরু করেছে। এবার বাঙ্গির ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বাজারে এসব বাঙ্গি আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম থাকলে এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হবে।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসলের আবাদ কৃষকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে তাঁরাও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

কাঁঠালের আইসক্রিম জ্যাম ও চিপস

জাতীয় ফল কাঁঠালের জ্যাম, চাটনি ও চিপস উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহের প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক। তাঁরা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

গত শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) ‘কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।

কর্মশালায় ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, কাঁঠাল স্বত্ব, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশ কাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষক।’

কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করার জন্য নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরে পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফল

কমলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা, সেচ, আগাছা ব্যবস্থাপনা ও ফসল তোলা- দা এগ্রো নিউজ

কমলা

সার ব্যবস্থাপনা:  প্রতি গর্তে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার ও এমওপি সার ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:  চারা গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা দমন করতে হবে।

ফসল তোলা: মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য পৌষ মাসে ফল সংগ্রহ করতে হয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com