আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফল

শীতেও পাওয়া যাচ্ছে সুস্বাদু আম

নিজের ৭০ একর জায়গায় গড়ে তুলেছেন বাগান। তাতে রয়েছে ৮০ প্রজাতির আম। এর মধ্যে বারি-১১ (বারোমাসি) আমটিকে উৎপাদন ও গুণাগুণের দিক থেকে সেরা হিসেবে মনে করেন বাগানি মো. সোলায়মান। ফেনীর সোনাগাজীতেছবি: সৌরভ দাশ

ছয় বছর আগে আমের এই জাতটি ছিল দেশের বিজ্ঞানীদের গবেষণাকেন্দ্রে। ১২ মাস ফল দেবে, এমন আমের এই জাতটি নিয়ে নতুন আশা ডানা মেলছিল বিজ্ঞানীদের মধ্যে। তবে শঙ্কাও কম ছিল না। কৃষকের খামারে সারা বছর একই রকমভাবে ফল দেবে তো? এই সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে কৃষকের খামারে আলো ছড়াচ্ছে সুমিষ্ট ফলটি। আর এ ক্ষেত্রে অন্যতম পথিকৃৎ মেজর (অব.) সোলায়মানের সোয়াস অ্যাগ্রো। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বারি–১১ জাতের আমটিকে তিনি সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

ফেনীর সোনাগাজীতে মেজর (অব.) সোলায়মানের গড়ে তোলা খামার এখন ওই বারোমাসি আমের জাত ছড়িয়ে পড়ার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাঁর খামারে তো ১২ মাস আমের ফলন দিচ্ছেই। একই সঙ্গে সেখান থেকে কলম বা চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানের খামারিরা।

‘একটি গাছ থেকে বছরে তিনবারে ১০০ কেজির বেশি আম পাচ্ছি। ফলন ভালো, আকারে বড়, মিষ্টতা ভালো, দাম ভালো। শীত–গরম সব সময় মিলছে। আমি এই বারোমাসি আমের কোনো দোষ খুঁজে পাচ্ছি না। আমার বাগানে ৮০ জাতের আম রয়েছে। কিন্তু বারি-১১ তুলনাহীন।’

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) চট্টগ্রাম শাখার বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বারি-১১ আমের জয়গান এভাবেই করলেন মো. সোলায়মান।

মো. সোলায়মান ১৯৮৬ সালে অবসরে যাওয়ার পর গ্রামের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজীতে খামারটি প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত আমের প্রতি তাঁর আসক্তি। মধু, জৈব সার, মৎস্য চাষসহ নানা প্রকল্প রয়েছে তাঁর।

দেশ–বিদেশের ৮০টি জাতের আমের গাছ রয়েছে তাঁর বাগানে। তবে ভালোবাসায় মজেছেন বারি-১১ আমের। বারি-১১ বারোমাসি আম। চারা লাগানোর তিন থেকে চার বছরের মধ্যে প্রায় প্রতিদিন এ আম সংগ্রহ করা যায়। তবে বছরে তিনবার বড় আকারে ফলন আসে বারি-১১ থেকে।

তাঁর এ বাগান থেকেই মূলত বারি–১১ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সবখানে। বিভিন্ন জেলায় তাঁর কাছ থেকে চারা নিয়ে যান লোকজন। চট্টগ্রাম কৃষি গবেষণাগার বারি–১১–এর উদ্ভাবক হলেও তাদের কাছে বেশি আকারে বিক্রি করার মতো চারা থাকে না।

মো. সোলায়মান বারি–১১–এর প্রেমে মজার গল্পটি শুরু করলেন এভাবে, ২০১২-১৩ থেকে একটি বারোমাসি আম নিয়ে কৃষি গবেষণাগার চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ চলছিল। গবেষণাগার এই বারোমাসি আমে সফলতা পায়। পরে ২০১৪ সালে আমটি স্বীকৃতি পায় বারি-১১ নামে। এরপর তিন বছর ধরে আম ধরতে শুরু করেছে। কিন্তু গত বছর থেকে বাম্পার ফলন হচ্ছে। এবার শীতেও ফলন ভালো হয়েছে। সোয়াস অ্যাগ্রোতে কোনো রাসায়নিকের ব্যবহার ছাড়া সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে আমের ফলন হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সোলায়মানের বাগানে ৭০টি বারি-১১ আমগাছ ফল দিচ্ছে। আরও ১৩০টি আগামী এক বছরের মধ্যে ফলনের আওতায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথম দুই টন বারি-১১ আম পাওয়া যায়। এরপর নভেম্বরে পাওয়া যায় আরও দুই টন। বাগানে ২৫টি পুকুর রয়েছে। পুকুরের পাড়ে বিভিন্ন জাতের আমগাছ বেড়ে উঠছে।

কৃষিবিদেরা জানান, অন্য প্রজাতির একটি গাছ থেকে বছরে ৩৫ কেজি আম পাওয়া যায়। আর বারি-১১ বছরে তিনবারে ১২০ কেজি পর্যন্ত আম দিচ্ছে।বিজ্ঞাপন

সরেজমিন

সরেজমিনে সোনাগাজীর বাগানটিতে দেখা গেছে, ছয়-সাত ফুট উঁচু বারি-১১ গাছগুলো। বয়স ছয়–সাত বছর। এক গাছে একসঙ্গে আম, ফুল, মুকুল, গুটি—সব থাকে। গাছের কোনো অংশে আমের মুকুল। কোনো অংশে মুকুল থেকে বের হয়ে আসা বোল। আবার বোল থেকে গুটি গুটি আম। কোনো কোনো ডালে পরিপূর্ণ পাকা আম। পাকা আম খেতে না খেতেই পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা কাঁচা আমটিরও পাকার সময় হয়ে যায়। মুকুলগুলো গুটিতে আর গুটি আম পরিপূর্ণ আমের দিকে পা বাড়ায়।
একটিমাত্র গাছের মধ্যে আমের বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনচক্রই যেন ফুটে উঠেছে। ফলে সারা বছর একই গাছ থেকে পাওয়া যায় সুস্বাদু আম। বাগান থেকে আম সংগ্রহে ব্যস্ত কর্মীরা। প্রায় ৩০ জন এই খামারে কর্মরত।

কৃষিবিদ আবদুল আজিজ বলেন, চারা লাগানোর এক বছর পর মুকুল আসে। তবে প্রথম দুই বছর মুকুল ঝেড়ে ফেলে দিতে হয়। তৃতীয় বছর থেকে পর্যাপ্ত ফল ধরে।

কৃষিবিদেরা জানান, অন্য প্রজাতির একটি গাছ থেকে বছরে ৩৫ কেজি আম পাওয়া যায়। আর বারি-১১ বছরে তিনবারে ১২০ কেজি পর্যন্ত আম দিচ্ছে।

বারি-১১–এর আদ্যোপান্ত

বৈচিত্র্যময় বারোমাসি এই আমের প্রজাতির উদ্ভাবন করেছেন বারির পাহাড়তলী চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। কয়েক বছর ধরে দীর্ঘ গবেষণার পর ২০১৪ সালের জুন মাসে জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে এ প্রজাতির আমটির নিবন্ধন পাওয়া যায়।
এরপর থেকে বিভিন্ন সরকারি খামার এবং বাগানিদের কাছে স্বল্প পরিসরে বারি-১১–এর চারা বিতরণ শুরু হয়। তবে সোয়াস অ্যাগ্রো খামারের মতো কোথাও উৎপাদন এখনো সে পর্যায়ে যায়নি।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দেশে মধুমাস বলা হয় মে থেকে আগস্ট মাসকে। তখন বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়। এটা মোট ফলের জোগানের ৬০ শতাংশ। বাকি আট মাসে পাওয়া যায় ৪০ শতাংশ ফল। বারি-১১ ব্যাপক হারে চাষাবাদ করে সেই ঘাটতি পূরণের পথ দেখাচ্ছে।’

গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, বারি-১১ জাতের আমের মিষ্টতা ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বারি আম-১১ বছরব্যাপী ফুল ও ফল দেয়। তার মধ্যে বছরের তিনটি সময়ে ফুল ও ফল তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ, মে-জুন ও আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ফল আহরণ করা যায়। এ জাতের আমগুলোর আকৃতি মাঝারি। এক থোকার মধ্যে গুচ্ছাকারে পাঁচ থেকে ছয়টি পর্যন্ত আম থাকে। প্রতিটি ফলের ওজন ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম। পাকা অবস্থায় হলুদ বর্ণের হয়। আমটি খেতেও সুমিষ্ট।বিজ্ঞাপন

৮০টির মধ্যে ১ নম্বর

প্রথম দিকে শখের বশে আমের গাছ লাগান। এখন তা রীতিমতো নেশা এবং পেশায় পরিণত হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোলায়মানের। দেশ–বিদেশের আমের নতুন নতুন প্রজাতি সংগ্রহ করা তাঁর নেশা। গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, হাঁড়িভাঙার মতো দেশি জাতের পাশাপাশি ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের আমও এখানে রয়েছে।

সোলায়মান বলেন, ‘আমার বাগানে ৮০ জাতের আম আছে। নতুন আমের জাতের খোঁজ পেলে ছুটে যাই। আমার ইচ্ছা জীবদ্দশায় আমের জাতের সংখ্যা ১০০ করার। তবে এত আমের মধ্যে বারি-১১ আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে। সামান্য আঁশ থাকলেও এই আম মিষ্টতা, উৎপাদন—সবদিক থেকে চ্যাম্পিয়ন।’

বারি-১১–এর প্রতি এত পক্ষপাতের কারণটা টের পাওয়া গেল উৎপাদনের হিসাবে চোখ বুলিয়ে। সোয়াস অ্যাগ্রোতে সব জাত মিলে আমগাছের সংখ্যা চার হাজার। আমের মূল মৌসুমে মে-জুন মাসে সব মিলিয়ে ২২ টন আম তিনি বিক্রি করেছেন। ২০ টন ১০০ টাকা করে এবং ২ টন ২০০ টাকা করে। এরপর ৭০টি বারি-১১ আমগাছ থেকে সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে দুই দফায় ৪ টন আম পান। জানুয়ারিতে ৩ টন বারি-১১ পাবেন বলে আশা করছেন মো. সোলায়মান।

সংগ্রহ করা আম বাগান থেকেই সাধারণ লোকজন এবং দোকানিরা নিয়ে যান। ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে সোয়াস অ্যাগ্রো এই আম বিক্রি করে।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম হারুনুর রশীদ বলেন, সোয়াস অ্যাগ্রোতে অনেক জাতের আম রয়েছে। শুধু বারি-১১ আম উৎপাদন করছে না, তারা প্রতিবছর কলম (চারা) বিক্রি করে অনেক আয় করে। তাদের কাছ থেকে অনেকে খাগড়াছড়ি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফেনী, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জায়গায় চারা নিয়ে গেছেন।

এ বছর পাঁচ হাজার বারি-১১ আমের চারা বিক্রি করে ১৩ লাখ টাকা পেয়েছেন বলে জানান সোলায়মান। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই আম ছড়িয়ে পড়ুক সব জায়গায়। সবাই উৎপাদনে আসুক। তাহলে ঘাটতি থাকবে না।’

বারি–১১ পরিচর্যা

উর্বর দোআঁশ মাটি আম চাষের জন্য উপযোগী। চারা রোপণ করতে হয় মূলত জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে। বিভিন্ন সময়ে জৈব সার, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও সিংক সালফেট ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে পাহাড়তলী কৃষি গবেষণাগারের। চারা রোপণের পর গাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত গোবরসহ নানা সার প্রয়োগ করা দরকার বলে জানান কৃষিবিদেরা।

আমের পোকা দমনের জন্যও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তাঁরা। আমের হপার পোকা এবং অ্যানথ্রাকনোজ রোগ আমের প্রধান শত্রু। এ ছাড়া ভোমরা পোকা দমনের জন্য কিছু আগাম ব্যবস্থা নিতে হয় বলে জানান কৃষিবিদেরা।

গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, বারি-১১ জাতের আমের মিষ্টতা ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বারি আম-১১ বছরব্যাপী ফুল ও ফল দেয়। এ জাতের আমগুলোর আকৃতি মাঝারি। এক থোকার মধ্যে গুচ্ছাকারে পাঁচ থেকে ছয়টি পর্যন্ত আম থাকে। প্রতিটি ফলের ওজন ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম। আমটি খেতেও সুমিষ্ট।

ছড়িয়ে পড়ছে বারি–১১

রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, খাগড়াছড়ি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় বারি–১১ (বারোমাসি) আমের চাষ হচ্ছে। বেশির ভাগ চারা সোয়াস অ্যাগ্রো থেকে সংগ্রহ করেছেন বাগানিরা।

বগুড়ার শেরপুরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম আড়াই বছর আগে প্রতিটি ৩০০ টাকা দরে ২০০টি বারোমাসি আমের চারা সংগ্রহ করেন। বর্তমানে তাঁর গাছের সংখ্যা ৩০০। আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গাছ এনে দুই বছর ধরে কলম বিক্রি করেছি। প্রায় পাঁচ হাজার কলম বিক্রি করেছি। আমও এসেছে কিছু। সামনের বছর বেশি আকারে আম ধরবে। তবে আমার কাছ থেকে যাঁরা কলম নিয়ে গেছেন, তাঁদের বাগানে আগামী দু–তিন বছরের মধ্যে প্রচুর ফল আসবে।’

খাগড়াছড়ির লিটন চাকমা ৩০০ কলম নিয়ে যান সোয়াস অ্যাগ্রো থেকে। বছরখানেক আগে তিনি বাগানটি শুরু করেন। গাছগুলো এখন চার–পাঁচ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়েছে। আগামী বছর থেকে অল্প অল্প ফল ধরবে বলে লিটন চাকমার আশা।

চুয়াডাঙ্গার আবদুল কাদেরের ‘মনমিলা গার্ডেন অ্যান্ড নার্সারি’ নামে একটি বাগান রয়েছে। তিনি থাইল্যান্ডের বারোমাসি জাতের একটি আমের বাগান করছেন ২০১৭ সাল থেকে। বছরখানেক আগে বারি–১১–এর খোঁজ পান। কাদের বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম থেকে ১২টি বারি–১১ সংগ্রহ করেছি। এগুলো এখনো ছোট। কৃষি গবেষণাগারের এই জাতের এখনো ব্যাপকহারে আমাদের এদিকে ছড়িয়ে পড়েনি। এখন এটার নাম শোনা যাচ্ছে।’

এ ছাড়া রাজশাহীর বিভিন্ন বাগানিরা সোয়াস অ্যাগ্রো থেকে চারা সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে সবচেয়ে বড় বাগান রয়েছে মিরসরাইয়ের ওমর শরীফের। তাঁর কাছে শতাধিক বারি–১১ রয়েছে বলে জানা গেছে। বছরখানেকের মধ্যে তাতেও ফল আসবে, এমন আশাবাদ মো. সোলায়মানের।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বাগানিরা এ চারা নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের কাছে জোগান কম। তাই সোয়াস অ্যাগ্রো থেকে সংগ্রহ করতে বলি। একসময় এটা সারা দেশে দেখা যাবে।’বিজ্ঞাপন

আমাদের দেশে মধুমাস বলা হয় মে থেকে আগস্ট মাসকে। তখন বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়। এটা মোট ফলের জোগানের ৬০ শতাংশ। বাকি আট মাসে পাওয়া যায় ৪০ শতাংশ ফল। বারি-১১ ব্যাপক হারে চাষাবাদ করে সেই ঘাটতি পূরণের পথ দেখাচ্ছে।

এ এস এম হারুনুর রশীদ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র

প্রতিযোগিতা থাইল্যান্ডের বারোমাসির সঙ্গে

দেশে বারি–১১–এর পাশাপাশি থাইল্যান্ডের কাটিমুন নামে একটি বারোমাসি আমের চার–পাঁচ বছর ধরে চাষাবাদ চলছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় এই আমটির চাষাবাদ হয়। বারি–১১ দেশে উদ্ভাবিত বারোমাসি আম। বিজ্ঞানীরা দেশীয় প্রজাতিটিকে এগিয়ে রাখলেন। তাঁদের মতে, মাত্র ছয় বছর হলো এই আমের বয়স। কাটিমুনের চেয়ে গুণাগুণ এবং উৎপাদনক্ষমতায় বারি–১১–কে এগিয়ে রাখলেন বিজ্ঞানীরা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ফল গবেষণা ও উদ্যানতত্ত্ব) মো. শরফুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, থাইল্যান্ডের কাটিমুন ও বারি–১১ দুটি বারোমাসি জাতের আমের এখন চাষ হচ্ছে। বারি–১১ আমটি মধ্যম মানের সুস্বাদু। জুন–জুলাই মাসে যখন বারি–১১ হয়, তখন একটু আঁশ থাকে। তবে অকালে অর্থাৎ শীতে যখন বারি–১১ হয়, তখন আঁশ থাকে না। দামও তখন ভালো পাওয়া যায়।
মাত্র ছয় বছর বয়সের আমের জাত বারি–১১। এখন চট্টগ্রাম, ফেনী কিংবা পাহাড়ি অঞ্চলে বাগান রয়েছে। রাজশাহীর দিকে বাগানগুলোর বয়স এখনো দু–তিন বছর। আগামী দু–এক বছরের মধ্যে এসব বাগান থেকে ফল আসবে। তখন আরও ছড়িয়ে পড়বে এই আম।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

এগ্রোবিজ

বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য

বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম
বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম

মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।

মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।

ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।

মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।

মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোটেক

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি

ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।

আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।

আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।

কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।

কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

পেঁয়াজের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে সাথি ফসল বাঙ্গি

পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার
পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার

পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম তাঁর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছেন। অথচ পেঁয়াজের জমিতেই সাথি ফসল হিসেবে লাগানো বাঙ্গি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকার মতো লাভ করবেন বলে আশা করছেন। এই বাঙ্গি আবাদে তাঁর কোনো খরচ হয়নি। ফলে পেঁয়াজ আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঙ্গি আবাদ কইর‌্যা যে টাকা পাইল্যাম তা হলো আমাগরে ঈদের বোনাস। পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় আমরা (কৃষকেরা) যে ক্ষতির মধ্যে পড়িছিল্যাম, বাঙ্গিতে তা পুষায়া গেছে। এই কয়েক দিনে ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচছি। সব মিলায়া ৫০ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচার আশা করতেছি।’

সাইদুল ইসলামের মতো পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার অনেক কৃষক এবার পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গির আবাদ করেন। কৃষকেরা পেঁয়াজ আবাদ করতে গিয়ে বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। সেই হিসাবে প্রতি মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে তাঁদের খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি। কিন্তু বাজারে সেই পেঁয়াজ কৃষকেরা বিক্রি করতে পেরেছেন প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদে কৃষকদের এবার ২০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।

কৃষকেরা বলেন, পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর পর তা কিছুটা বড় হলে এর ফাঁকে ফাঁকে এসব সাথি ফসল লাগানো হয়। পেঁয়াজের জন্য যে সার, কীটনাশক, সেচ দেওয়া হয়, তা থেকেই সাথি ফসলের সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে সাথি ফসলের জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয় না।

কৃষকেরা বলেন, বাঙ্গিতেই কৃষকের লাভ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। রমজান মাস হওয়ায় এখন বাঙ্গির চাহিদা ও দাম দুই-ই বেশি।

সাঁথিয়ার শহীদনগর গ্রামের কৃষক আজমত আলী জানান, তাঁর জমিসহ এই এলাকার জমি থেকে ৮ থেকে ১০ দিন হলো বাঙ্গি উঠতে শুরু করেছে। এবার বাঙ্গির ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বাজারে এসব বাঙ্গি আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম থাকলে এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হবে।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসলের আবাদ কৃষকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে তাঁরাও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

কাঁঠালের আইসক্রিম জ্যাম ও চিপস

জাতীয় ফল কাঁঠালের জ্যাম, চাটনি ও চিপস উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহের প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক। তাঁরা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

গত শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) ‘কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।

কর্মশালায় ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, কাঁঠাল স্বত্ব, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশ কাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষক।’

কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করার জন্য নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরে পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফল

কমলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা, সেচ, আগাছা ব্যবস্থাপনা ও ফসল তোলা- দা এগ্রো নিউজ

কমলা

সার ব্যবস্থাপনা:  প্রতি গর্তে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার ও এমওপি সার ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:  চারা গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা দমন করতে হবে।

ফসল তোলা: মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য পৌষ মাসে ফল সংগ্রহ করতে হয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com