আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

শিশুর পেটব্যথার কারণ যখন অজানা

শিশুদের পেটব্যথা খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। অনেক শিশু প্রায়ই পেটব্যথার কথা বলে। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে এই পেটব্যথার কারণ নির্ণয় করা যায় না। ব্যথার ধরনও নির্দিষ্ট থাকে না। প্রায়ই এই শিশুদের মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, পা কামড়ানো ও অন্যান্য নানা উপসর্গ থাকে। এরা ঠিকমতো ঘুমায় না, অস্থির, অবসাদগ্রস্ত ও খিটখিটে মেজাজের হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও থাকতে পারে। তবে ব্যথার কথা বললেও এই শিশুরা আবার ব্যথা ভুলে খেলাধুলা, দৌড়ঝাঁপও করে।

শিশুদের এ ধরনের পেটব্যথা নিয়ে অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। এই দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ হলো কী সমস্যায় ব্যথা হচ্ছে, তা নির্ণয় করতে না পারা। কয়েকটি কারণে শিশুদের এই পেটব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম অন্যতম কারণ হতে পারে। এ সমস্যায় শিশুদের বারবার, বিশেষ করে খাওয়ার পর বাথরুমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা পাতলা পায়খানা অথবা দুটি সমস্যাই থাকতে পারে। আবার কৃমির কারণেও পেটব্যথা হতে পারে। কারও কারও ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে বলে দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার যেমন কেক, চকলেট ডেজার্ট খেলে পেট ব্যথা করে।

পেটের অভ্যন্তরে কোনো অঙ্গে প্রদাহ হলে হঠাৎ প্রচণ্ড পেট ব্যথা করতে পারে। এসব সমস্যার মধ্যে অ্যাপেন্ডিসাইটিস, অন্ত্র প্রদাহ, ফুটো বা ব্লক হয়ে যাওয়া (ইন্টেসটাইনাল পারফোরেশন বা অবস্ট্রাকশন) অন্যতম। যক্ষ্মা, হেনোক শেনলেন পারপুরা, ক্রনস ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, কিটোএসিডোসিস, হাইপোভলিউমিয়া ইত্যাদি নানা গুরুতর কারণেও পেট ব্যথা হতে পারে। কাজেই শিশুর পেটব্যথায় প্রথমেই খতিয়ে দেখতে হবে কোনো রোগ আছে কি না।

তবে শিশুর পেটব্যথার ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কারণটা পেটের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে না। কারণটা থাকে শিশুর মনের গভীরে। আজকাল মানসিক কারণে শিশুদের পেট ব্যথা হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। অনেক শিশুর মানসিক কারণেও পেটব্যথা হতে পারে। স্নায়বিক চাপ, বিষাদ, অবসাদ, উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ, পরিবার বা স্কুলে কোনো সমস্যা থেকে এ ধরনের পেটব্যথার উৎপত্তি। অনেক সময় শিশুরা নিজেকে অবহেলিত বা অপাঙ্‌ক্তেয় মনে করে। মনোযোগ আকর্ষণে তারা ব্যথার কথা বলে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। একে বলে অ্যাটেনশন সিকিং বিহেভিয়ার।

শিশুর পেটব্যথার ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কারণটা পেটের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে না। কারণটা থাকে শিশুর মনের গভীরে।

যেসব শিশু অনেক অনুভূতিপ্রবণ, তাদের ব্যথার উপলব্ধি বেশি। শিশুর মনের ব্যথা বা সমস্যা প্রকাশ পায় এই রহস্যজনক পেটব্যথার মধ্য দিয়ে। তাই এরও চিকিৎসা প্রয়োজন। অবহেলা করলে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, অবসাদ বাড়তে পারে। তাই প্রথমে দরকার হলে পরীক্ষা–নিরীক্ষার মাধ্যমে আগে নিশ্চিত হতে হবে যে শিশুর পেটব্যথার পেছনে কোনো শারীরিক কারণ রয়েছে কি না। এ ধরনের কোনো সমস্যা না থাকলে ধরে নিতে হবে মানসিক কারণে শিশুর পেটব্যথা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে শিশুর সমস্যা ও তার সমাধানে করণীয় ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। প্রয়োজন পড়লে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করতে হবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com