ছোট বাচ্চাদের চেয়ে ১০ বা তার বেশি বয়সী শিশুরা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আরও সহজেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে পারে
করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি ও আসন্ন শীতে পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কার মধ্যে শিশুরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু করবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে নীতি নির্ধারণী মহল।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে কওমি মাদরাসাগুলোতে যথারীতি একাডেমিক কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে সরকার।
সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার সময় শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো অসুস্থ হয়ে পড়ে না বা লক্ষণগুলো তাদের মধ্যে দেখা যায় না। তবে, বেশ কিছু লক্ষণ ছোট শিশুদের মধ্যে দেখা দিতে পারে বলে বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শিশু ও কিশোরদের মধ্যে কত সহজে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে তবে বয়স অনুসারে তারতম্য হতে পারে। এ নিয়ে গবেষণা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে অন্যান্য শিশুদের ও প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে কম বলে মনে হচ্ছে।
বিশ্বের কয়েকটি দেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে আবারও চালু করছে। তবে, এ মাসের শুরুতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছিলেন, কোভিড-১৯ অবস্থার উন্নতি না হলে ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত স্কুলগুলো পুনরায় চালু করা হবে না।
এ বছরের চূড়ান্ত এবং অন্যান্য পরীক্ষা সম্ভবত বাতিল করা হবে। বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাস করছে তবে এটি ডিজিটাল বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
দেশের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করা হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, অল্প বয়সী শিশুদের যাদের কোনো লক্ষণ নেই বা খুব হালকা লক্ষণ রয়েছে তারা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তবে এ হার অনেক কম।
একটি বড় সমীক্ষা শেষে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, ছোট বাচ্চাদের চেয়ে ১০ বা তার বেশি বয়সী শিশুরা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আরও সহজেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই খুব সহজেই এটি ছড়িয়ে দিতে পারে।
আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়েট্রিক্স ডা. সিন ওলেরি বলেন, শ্বাসপ্রশ্বাসের অন্যান্য ভাইরাসের ক্ষেত্রে ছোট বাচ্চারা হলো জীবাণুর কারখানা। তবে কোভিড-১৯ এ ক্ষেত্রে ভিন্ন এবং এটা কেন এমন আমরা তা জানি না।
চলতি বছরের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩ লাখ ৫৫ ৩৮৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং পাঁচ হাজার ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১০ বছরের নিচে ২৪ জন রয়েছে।
সন্তানের সুরক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশের বাবা-মা ও অভিভাবকরা চিন্তিত। এদিকে সঠিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে স্কুল চালু করার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সকলকে আশ্বস্ত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না।”
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন