আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

এগ্রোবিজ

শিল্প-বাণিজ্যখাতের বিকাশে অর্থনীতিতে দুরন্ত গতি

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে দেশ এখন অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সমৃদ্ধির পথে। উন্নয়নের তাক লাগানো সব চমকে বাংলাদেশ এখন গোটা বিশ্বের কাছে অনন্য দৃষ্টান্ত। শিল্প-বাণিজ্যসহ সব খাতের ক্রমবর্ধমান বিকাশে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে দেশের অর্থনীতি। দেশ যত উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে ততটাই শিল্প-বাণিজ্যের অবদান বাড়ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে এই খাতের বিকাশ ঘটেছে বহুগুণ।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পাশাপাশি রফতানি পণ্যের তালিকায় যোগ হয়েছে জাহাজ, ওষুধ এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী। এছাড়া চামড়াজাত পণ্যের চাহিদাও বেড়েছে বহুগুণ। বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের ৪৫টি দেশের মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার আওতায় খাতভিত্তিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।

 বাংলাদেশের প্রধান রফতানিখাত তৈরি পোশাক। দেশের রফতানির প্রায় ৮১ ভাগ আসে এ খাত থেকে। সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশের জন্য এ শিল্পখাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর রফতানি বাণিজ্য হবে আরও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক চ্যালেঞ্জও সামনে এসেছে। সেই সঙ্গে বিপুল সম্ভাবনা ও সুযোগও এসেছে দেশের জন্য। 

jagonews24

বাণিজ্যখাতের অগ্রগতি
মুক্ত বাজার অর্থনীতির ক্রমবিকাশে বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থায় প্রতিনিয়ত ব্যাপক পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হচ্ছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল ও বহুমুখী করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আমদানি-রফতানিকে।

বাংলাদেশের প্রধান রফতানিখাত তৈরি পোশাক। দেশের রফতানির প্রায় ৮১ ভাগ আসে এ খাত থেকে। সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশের জন্য এ শিল্পখাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর রফতানি বাণিজ্য হবে আরও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক চ্যালেঞ্জও সামনে এসেছে। সেই সঙ্গে বিপুল সম্ভাবনা ও সুযোগও এসেছে দেশের জন্য। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আস্থা পাচ্ছেন বিনিয়োগ করতে।

jagonews24

 মুক্ত বাজার অর্থনীতির ক্রমবিকাশে বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থায় প্রতিনিয়ত ব্যাপক পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হচ্ছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল ও বহুমুখী করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আমদানি-রফতানিকে। 

করোনার প্রকোপ শুরুর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে তৈরি পোশাক রফতানি করে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনার প্রকোপের কারণে সেই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করা কিছুটা কঠিন। তবে করোনা সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পোশাকখাত। বিশেষ উদ্যোগে এখন তৈরি পোশাক কারখানায় নিরাপদ ও কর্মীবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছেন। দেশে বর্তমানে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি’ গড়ে উঠছে। এক সময় তৈরি পোশাকখাতে ব্যবহৃত কার্টন থেকে শুরু করে সব সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। এখন দেশের চাহিদা পূরণ করে এসব সামগ্রী বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। বর্তমানে এ খাতে ৪.১ মিলিয়ন শ্রমিক কাজ করছেন, এর অধিকাংশই নারী। দেশের জনশক্তির প্রায় অর্ধেক নারী; এ বিপুল সংখ্যক নারী জনশক্তিকে উৎপাদনশীল খাতে অবদান রাখার সুযোগ করে দিয়েছে তৈরি পোশাকখাত।

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক আমদানি বাণিজ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যশস্য, কৃষি উপাদান, শিল্পের মেশিনারিজ, কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ, জ্বালালি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদার একটি বৃহৎ অংশ বিদেশ থেকে আমদানির মাধ্যমেই মেটানো হয়ে থাকে। জাতীয় বাজেটের অর্থ সংস্থানের ক্ষেত্রে আমদানি উদ্ভূত কর ও শল্ক দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের প্রধান আয়ের উৎস। স্বাধীনতার পরবর্তী বছরগুলোতে বার্ষিক আমদানির মধ্যে ভোগ্যপণ্য এবং তৈরি দ্রব্যাদির প্রাধান্য ছিল। সাম্প্রতিককালে এই প্রাধান্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে এবং তুলনামূলকভাবে শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রাংশ আমদানির হার ও পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে রফতানিমুখী শিল্প এবং আমদানি প্রতিকল্প শিল্পের ওপর অগ্রাধিকারের ফলে আমদানির হার ও পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

jagonews24

দেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, বিভিন্ন কৃষি পণ্য, হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক পণ্য, মেডিকেল পণ্যের মতো খাতগুলোর রফতানি বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে উৎসাহিত করছে সরকার। এ খাতগুলোর রফতানি সক্ষমতাবৃদ্ধি, মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের বিষয়ে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে ব্যাপক কার্যক্রম নেয়ার ফলে রফতানি বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে। সঙ্গত কারণে রফতানি বাণিজ্যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হচ্ছে। রফতানি ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদানের জন্য ২ শতাংশ থেকে শুরু করে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

 দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকে আগ্রহী করে তুলতে গড়ে তোলা হয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চল। এসব অঞ্চলে উদ্যোক্তারা তাদের শিল্প ইউনিট স্থাপন করছেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ইতোমধ্যে ৯৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও জমি অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ৬৯টি সরকারি এবং ২৯টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। নয়টি অঞ্চল ইতোমধ্যে উৎপাদনে গেছে এবং ২৮টি জোনের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। 

বাংলাদেশের সামগ্রিক বাণিজ্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশি-বিদেশি পণ্য উৎপাদনকারী ও ক্রেতাদের বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি কমন প্লাটফর্মে নিয়মিত ও সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে পূর্বাচল উপ-শহরে চীন সরকারের সহায়তায় ২০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে স্থায়ী মেলা কেন্দ্র ‘বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’। গত ৭ ফেব্রুয়ারি পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার জন্য নির্মিত এই এক্সিবিশন সেন্টার সরকারের কাছে হস্তান্তর করে চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে চীনা অনুদান ৫২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকারের ২৩১ কোটি টাকা এবং ইপিবি নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে।

jagonews24

বস্ত্রখাতকে উৎসাহিত করতে সরকার বন্ডেড ওয়্যার হাউজ সুবিধায় বিনা শুল্কে কাঁচামাল আমদানির সুবিধা, ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খোলার সুবিধা, হ্রাসকৃত শুল্কে মেশিনারিজ আমদানি, তৈরি পোশাকখাতে কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সরকার বিনা শুল্কে ফায়ার ডোর ও এ সংশ্লিষ্ট ইক্যুইপমেন্ট আমদানির সুযোগ করে দিয়েছে। রফতানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতে শুল্কবন্ড ও ডিউটি ড্র ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ হারে প্রদান করা হচ্ছে। বস্ত্রখাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে প্রদত্ত নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ দেয়া হচ্ছে। ইউরোপ অঞ্চলে রফতানির জন্য প্রচলিত ৪ শতাংশের বেশি আরও ২ শতাংশ বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। রফতানিমুখী শিল্পের অনুকূলে এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে অতি অল্প সুদে কাঁচামাল কেনার জন্য ঋণ প্রদানের সুযোগ রয়েছে, বর্তমানে এ ফান্ডে প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে।

তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রফতানিতে ১২ শতাংশ এবং গ্রিন ফ্যাক্টরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ করপোরেট কর হার বহাল রয়েছে। পণ্য বহুমুখী করণের লক্ষ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফুটওয়্যার (লেদার-নন লেদার), লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্লাস্টিক খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ১ হাজার ১২ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ‘এক্সপোর্ট কমপেটিটিভনেস ফর জবস’ শীর্ষক ছয় বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো- নির্ধারিত খাতের উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন, রফতানি বাজারে প্রবেশের জন্য বিদ্যমান শর্তাবলী প্রতিপালন এবং বাজার সংযোগ বৃদ্ধি করা।

বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোম্পানি আইনে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সংশোধন করেছে। এর ফলে ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশ আট ধাপ এগিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের ৪৫টি দেশের মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং এমওইউ স্বাক্ষর করা হয়েছে। যার আওতায় খাতভিত্তিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। বহুমাত্রিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সুবিধা যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বাণিজ্য সহজীকরণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল কাজ করে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দক্ষ করে গড়ে তুললে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট।

এলডিসি সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ উন্নত দেশে প্রায় শতভাগ শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা পাচ্ছে। চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চিলি ও থাইল্যান্ড থেকেও উল্লেখযোগ্য শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রফতানি ও সেবা খাতে ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি সম্ভব হয়েছে। অতিসম্প্রতি জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণার চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে; তা কার্যকর হওয়ার পর বাংলাদেশ আর এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা পাবে না। উল্লিখিত সময়ের পর বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নত দেশ থেকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ ভুটানের সঙ্গে পিটিএ স্বাক্ষর করেছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ স্বাক্ষর করে বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণ করার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ। অনেক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা চলছে।

jagonews24

শিল্পখাতে অগ্রগতি
২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপির পরিমাণ ছিল ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে শিল্পখাতের অবদান ৩৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছর ছিল ৩৫ শতাংশ। জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬ প্রণয়নের ফলে দেশে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের নতুন ধারা সূচনা হয়েছে। এসএমই খাতের উন্নয়ন, গুণগত মান অবকাঠামো সৃষ্টি, মেধা সম্পদের সুরক্ষা, শিল্প উদ্ভাবন, অ্যাক্রেডিটেশনসহ শিল্পায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনুঘটকগুলোর অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেখা যায়- বৃহৎ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এই তিন ধরনের শিল্পেরই আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি ভালো। সেখানে রফতানিমুখী খাত ও অভ্যন্তরীণ শিল্পখাত দুটোই এগিয়েছে। সরকারের চলতি মেয়াদে জাতীয় আয়ে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশ এবং এ খাতে শ্রমশক্তি ২৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে দ্রুত শিল্পায়নের মাধ্যমে আমদানি পণ্যের নির্ভরশীলতা হ্রাস ও রফতানি বাড়াতে গুরুত্ব দেয়া হবে। নারীদের শিল্পায়নের মূল ধারায় নিয়ে আসা, পুঁজিঘন শিল্প স্থাপনের পরিবর্তে শ্রমঘন শিল্প স্থাপন, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সম্প্রসারণ, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। বেসরকারিখাতের বিকাশে নীতি সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বার্ষিক ৫ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন গ্রানুলার ইউরিয়া সার উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন শাহজালাল ফার্টিলাইজার স্থাপনা করা হয়েছে। যার ফলে কৃষকদের কাছে স্বল্প মূল্যে ও দ্রুততম সময়ে সার সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে এখন আর কোনো সারের সংকট নেই, কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। লবণ শিল্পের ফলে লবণ চাষের জমিতে লবণ মৌসুমের পরবর্তীতে ধান ও চিংড়ি চাষ বাড়তি আয় সম্ভব হচ্ছে। লবণ চাষ সম্প্রসারিত হওয়ার ফলে সুন্দরবনের অবৈধ কাঠ কাটার প্রবণতা কমে এসেছে।

রাজধানীর হাজারীবাগসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ট্যানারি শিল্পগুলোকে একটি পরিবেশবান্ধব স্থানে স্থানান্তরের লক্ষ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও সাভারে ধলেশ্বরী নদীর তীরে ২০০ একর জমিতে পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্প নগরী স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে সেখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, পরিবেশ বান্ধবভাবে ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কাজ করছে।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বিসিকের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেডে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকে আগ্রহী করে তুলতে গড়ে তোলা হয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চল। এসব অঞ্চলে উদ্যোক্তারা তাদের শিল্প ইউনিট স্থাপন করছেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ইতোমধ্যে ৯৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও জমি অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ৬৯টি সরকারি এবং ২৯টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। নয়টি অঞ্চল ইতোমধ্যে উৎপাদনে গেছে এবং ২৮টি জোনের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। ৩৫ শিল্পের নির্মাণ কাজ চলছে; আর ২৬ শিল্প উৎপাদনে গেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ইতোমধ্যে ৩৯ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

সরকার বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চলে সব ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। স্থানীয় এবং বিদেশি উভয় ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করলে একই সুবিধা ভোগ করবেন। এদিকে নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বেজা এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রায় ২৭ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে। প্রস্তাবিত এ বিনিয়োগ দেশে ১০ লাখেও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এর মধ্যে প্রায় ২৩ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে সরকারি এবং ৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেসরকারি খাতের জন্য।

এ প্রসঙ্গে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে আমাদের দেশ এগিয়ে চলছে। কৃষিখাতের পাশাপাশি শিল্প-বাণিজ্য খাতও এগিয়ে চলছে। শ্রমিক পাওয়া যায় না বিধায় কৃষিখাত এখন যান্ত্রিকীকরণ করা হয়েছে। এখন ধান লাগানো-ধান কাটা সবকিছু যন্ত্রের মাধ্যমে করা হচ্ছে। কৃষি দিয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে নেয়া যায় না, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য শিল্প খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা কৃষি খাতের পাশাপাশি উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছেন। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিসিকের মাধ্যমে বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের দেশে শেখ হাসিনার ক্ষমতার ধারাবাহিকতার কারণে দেশের শিল্প খাত দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে, যেটা অবিস্মরণীয়। আমি মনে করি অদূর ভবিষ্যতে এই খাত আরও এগিয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

এগ্রোবিজ

যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে হতে পারে সারের সংকট

সারের সংকট
সারের সংকট
সারের সংকট

চলতি বোরো মৌসুমে সার কিনতে কৃষকদের সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে বেশি দিতে হয়েছে। আর সরকারকেও সার বাবদ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বাজেটে বরাদ্দের তিন গুণের বেশি—প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ এখন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার আমদানি নিয়ে বিপাকে পড়েছে।

ধান, আলু ও সবজি চাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমওপি সারের ৬০ শতাংশ আনা হতো রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে। ওই দুই দেশ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ায় এখন বাংলাদেশকে এমওপি কিনতে হচ্ছে কানাডা থেকে। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া ও আমদানিতে অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশে সারের সংকট হতে পারে। ভর্তুকির চাপ সামলাতে বাংলাদেশকে সব ধরনের সারের খুচরা মূল্য বাড়াতে হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিষয়ক সংস্থা ইউএসডিএর চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ‘বাংলাদেশে সার সরবরাহ ও ব্যবহারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এমওপি সারের ২০ শতাংশ সরবরাহ কমানো হলে সামনের বোরো মৌসুমে ধান, গম ও রবি মৌসুমের অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমতে পারে। এতে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

এমনিতেই এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সারের কারণে নতুন করে যাতে আর সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ এম এম শওকত আলী, সাবেক কৃষিসচিব

তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, দেশে চলতি বোরো মৌসুমে নতুন করে আর সারের দরকার হবে না। সামনে আলুর মৌসুমে ইউরিয়া, এমওপিসহ অন্যান্য সারের চাহিদা বাড়বে। ওই সময়ের জন্য সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কানাডা ও মধ্যপ্রাচ্যের সার সরবরাহকারী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।

জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কানাডা থেকে মোট আট লাখ টন এমওপি সার আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। এ ব্যাপারে ওই দেশের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা স্মারক হয়েছে। ফলে এই সার নিয়ে সরকারের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। তবে সার বাবদ সরকারের বিপুল পরিমাণে ভর্তুকি বাড়ছে। এই চাপ নিয়েও সরকার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ওই ভর্তুকি দিয়ে যাবে।’

কমানো হয়েছে চাহিদা

বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে ৬৯ লাখ টন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি—এই চার ধরনের সার ব্যবহার হয় ৫৭ লাখ টন। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের ওই চার ধরনের সারের চাহিদা কমিয়ে ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টনে নামিয়ে আনা হয়েছে।

দেশে প্রয়োজনীয় সারের ৮০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর মধ্যে এমওপি সারের বড় অংশ আসে রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে।

প্রসঙ্গত, ওই চারটি প্রধান সার কৃষকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরে সরকার প্রাথমিকভাবে সারে ভর্তুকি বাবদ ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে গত ছয় মাসে সারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বেশির ভাগ সারের দাম তিন থেকে চার গুণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারকে ভর্তুকির পরিমাণ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা করতে হয়। কিন্তু অর্থবছরের শেষের দিকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে হিসাব করে দেখা হয়েছে, ভর্তুকির পরিমাণ এবার বেড়ে কমপক্ষে ৩০ হাজার কোটি টাকা গিয়ে দাঁড়াবে।

জিপসাম, জিংক সালফেট ও অ্যামোনিয়াম সালফেট ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সারে সরকার কোনো ভর্তুকি দেয় না। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছে তা বিক্রি করে থাকেন। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষককেও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।

সাবেক কৃষিসচিব এ এম এম শওকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমনিতেই এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সারের কারণে নতুন করে যাতে আর সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আর সরকারের অন্যান্য খাতের ভর্তুকি কমিয়ে প্রয়োজনে সারে ভর্তুকি বাড়াতে হবে, যাতে সারের দাম কম থাকে। কারণ, কৃষকের হাতে এখন টাকা কম। বিশ্ববাজার থেকেও খাদ্য আমদানি করা সামনের দিনে আরও কঠিন হতে পারে। ফলে দেশের উৎপাদন ঠিক রাখতে সারের দাম ও জোগান ঠিক রাখা উচিত।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য

বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম
বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম

মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।

মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।

ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।

মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।

মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

নাসিরনগরে বন্যায় তলিয়ে গেল কৃষকের বাদামখেত

নাসিরনগরের গোয়ালনগর ইউনিয়নে অতিবৃষ্টি ও আগাম বন্যায় তলিয়ে গেছে কৃষকদের বাদামখেত। আজ মঙ্গলবার ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে
নাসিরনগরের গোয়ালনগর ইউনিয়নে অতিবৃষ্টি ও আগাম বন্যায় তলিয়ে গেছে কৃষকদের বাদামখেত। আজ মঙ্গলবার ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের প্রায় ৩০ হেক্টর বাদাম চাষের জমি। কয়েক দিন আগে উজানের পানিতে তাঁদের পাকা ধানের জমি তলিয়ে গিয়েছিল। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকেরা বাদাম চাষ করেছিলেন। আবারও ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হলেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল উপজেলায় শিলাবৃষ্টি এবং ১৪ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত উজানের পানিতে কৃষকের পাকা ধানের জমি তলিয়ে যায়। কৃষকেরা সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করেছিলেন। এর মধ্যে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নে ৩০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়। উপজেলায় এবার প্রায় ৫০ হাজার মণ বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু উজানের পানিতে হঠাৎ বন্যায় সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজহারুল হক বলেন, ‘নাসিরনগর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাদাম চাষ করা হয় আমাদের ইউনিয়নে। কিন্তু এ বছর আগাম বন্যার কারণে কৃষকেরা তাঁদের ফসল ঘরে তুলতে পারেননি। তাঁদের সব ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।’

ওই এলাকার বাদামচাষি মেরাজ মিয়া বলেন, তিনি ছয় বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেন। দু-এক দিনের মধ্যে বাদাম তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খেতে গিয়ে দেখেন সব বাদাম পানির নিচে। এখন এই বাদাম তুলে কোনো লাভ নেই। এগুলো গরুও খাবে না।

মো. রজব আলী নামের এক কৃষক বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের জামারবালি, সোনাতলা ও মাইজখোলা গ্রামে বাদামখেত আছে। গত তিন দিনে পাঁচ-ছয় ফুট পানি বাড়ায় সব তলিয়ে গেছে। এখন বাদাম তুলতে কাজের লোকও পাওয়া যাচ্ছে না।’

কৃষক ফতু মিয়া বলেন, গোয়ালনগর ইউনিয়নের বাদাম চাষের জমিগুলো হঠাৎ পানি আসায় তলিয়ে গেছে। ফসল তলিয়ে তাঁদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। কয়েক দিন আগেও পাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল। কৃষকদের দাবি, গোয়ালনগরে বাদাম চাষের জমি তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার কয়েকটি চরাঞ্চলে বাদাম চাষ করা হয়। চরাঞ্চলের উঁচু জমিতে প্রথমে আলু চাষের পর বাদাম চাষ করা হয়। আগাম বন্যার কারণে নিচু এলাকার কিছু বাদামখেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

আবু সাইদ আরও বলেন, ১৫-২০ দিন আগে উপজেলার প্রায় সব বাদাম উঠে গেছে। গোয়ালনগর ইউনিয়নে ৩০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছিল। এর মধ্যে এক হেক্টর জমির বাদাম তলিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ৭০ হাজার টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিলেটে বন্যা হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে তিনি জানান।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

পানি দিতে অতিরিক্ত টাকা

পানি দিতে অতিরিক্ত টাকা
পানি দিতে অতিরিক্ত টাকা

ঠাকুরগাঁওয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) একটি গভীর নলকূপের সেচের পানি সরবরাহে কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী কৃষকদের কাছ থেকে পাওয়া এমন অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড় বালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলছেন, সেচের পানির জন্য প্রিপেইড কার্ডের বাইরে কোনো টাকা দেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু বিএমডিএর ১০৮ নম্বর গভীর নলকূপের অপারেটরের দায়িত্বে থাকা বিউটি বেগমের স্বামী আকতারুজ্জামান বোরো ধান চাষের জন্য প্রতি বিঘার জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা ও অন্য মৌসুমে ৩০০ টাকা নেন। ১০ বছর ধরে তিনি এভাবেই বাণিজ্য করে আসছেন।

সম্প্রতি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিএমডিএর গভীর নলকূপ থেকে খেতে সেচের পানি পেতে হয়রানির শিকার দুই কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলায় বিএমডিএর ১ হাজার ৪৩১টি গভীর নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে সচল ১ হাজার ৪১৮টি। সেচের আওতায় ৭৬ হাজার ৫০০ পরিবারের জমি রয়েছে ৫৩ হাজার ৫০০ হেক্টর।

* সেচের পানির জন্য প্রিপেইড কার্ডের বাইরে কোনো টাকা দেওয়ার নিয়ম নেই। * সেচের আওতায় ৭৬ হাজার ৫০০ পরিবারের জমি আছে। * কৃষকদের নলকূপের আবেদন পেলে যাচাই করে স্কিম তৈরি করা হয়।

বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, কৃষকদের নলকূপের আবেদন পেলে যাচাই করে স্কিম তৈরি করা হয়। এরপর সমবায়ের ভিত্তিতে অংশীদারি ফি বাবদ এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। এই নলকূপ পরিচালনার জন্য বিএমডিএ একজন অপারেটর নিয়োগ দেন। প্রিপেইড মিটারিং পদ্ধতিতে কৃষকের নিজ নামে প্রিপেইড কার্ড থাকতে হয়। সেই কার্ড থেকে প্রতি ঘণ্টায় সেচের পানির জন্য ন্যূনতম ১১০ টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হয়। এর বাইরে অতিরিক্ত কোনো টাকা দেওয়ার নিয়ম নেই।

বড় বালিয়া এলাকার কৃষকেরা জানান, ২০১১ সালের দিকে বড় বালিয়া মণ্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আকতারুজ্জামান এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ফি হিসেবে এক লাখ জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও কোনো কৃষক সেটা দিতে এগিয়ে আসেননি। ফলে আকতারুজ্জামান, দাউদুল ইসলাম ও জোবায়দুর রহমান মিলে অংশীদারি ফি দেন। আকতারুজ্জামানের ৮০ শতাংশ টাকা থাকায় গভীর নলকূপের নিয়ন্ত্রণ তিনিই পান। অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পান তাঁর স্ত্রী বিউটি বেগম। যদিও কৃষকেরা আকতারুজ্জামানকেই অপারেটর হিসেবে জানতেন।

সেচের পানি পেতে হয়রানির শিকার হয়ে সদর উপজেলার বড় বালিয়া এলাকার ৫০ জন কৃষক গত ১৭ এপ্রিল বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ দেন। সেখানে গিয়ে কৃষক ও অপারেটরের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলেন, ২০১২ সালে নলকূপটি চালু হলে আওতাধীন কৃষকের কাছ থেকে আকতারুজ্জামান সেচের পানির জন্য প্রিপেইড কার্ডের অতিরিক্ত টাকা আদায় শুরু করেন। আর সেই টাকা থেকে তিনি মাঝেমধ্যে অন্য দুই অংশীদারকে কিছু টাকা ভাগ দেন।

ভুক্তভোগী কৃষক মো. শাহজাহান আলী বলেন, গভীর নলকূপটির আওতায় তাঁর ১০ বিঘা জমি রয়েছে। কার্ডের বাইরে টাকা দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও আকতারুজ্জামানকে প্রতি বিঘায় সেচের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা দিতে হয়। এই টাকা না দিলে তিনি পানি দেন না।

ওই নলকূপের আওতায় চার বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছেন কৃষক মো. হেলাল। তিনি অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় অপারেটর খেতে পানি দেননি। এতে জমি ফেটে যায়। পরে তিনি শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে জমিতে সেচ দিয়ে খেত রক্ষা করেছেন।

আরেক ভুক্তভোগী মোকলেসুর রহমান বলেন, ১০ বছর ধরে সেচের পানির জন্য অতিরিক্ত টাকা দিয়ে আসছেন। এখন বিরক্ত হয়ে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এরপরও কোনো বিচার পাননি।

এ বিষয়ে মো. আকতারুজ্জামান বলেন, তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর দেখেন গ্রামে কোনো গভীর নলকূপ নেই। পরে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে নলকূপটি স্থাপন করেন। কৃষকেরা অংশীদারত্বের টাকা দিতে রাজি না হলে তিনি বিএমডিএকে জানান। সে সময় তাঁরা টাকা দিয়ে দিতে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘পরে আপনি টাকাটা ধীরে ধীরে তুলে নেবেন।’ সেই পরামর্শেই সেচের পানি বাবদ প্রিপেইড কার্ডের অতিরিক্ত কিছু টাকা তিনি নিচ্ছেন। জোর করে কিছু নিচ্ছেন না।

বিএমডিএ ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি যাচাই করে সত্যতা পাওয়া গেছে। নলকূপটি সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই অপারেটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোটেক

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি

ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।

আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।

আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।

কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।

কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com