আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

শারীরিক অসুস্থতার মানসিক প্রভাব

শরীর ও মনকে আমরা দুটি আলাদা সত্তা ভেবে থাকলেও এ দুটির মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। একটা কথা আমরা প্রায়ই শুনি, ‘মন ভালো তো সব ভালো’। মন ভালো না থাকলে অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। আবার এর উল্টোটাও কিন্তু হচ্ছে। কারও কারও ক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতা মনকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। দীর্ঘকালীন শারীরিক অসুস্থতা ও চিকিৎসা রোগীর চিন্তাভাবনা ও অনুভূতিকে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু অসুস্থ হলে শরীরের যত্নের প্রতি মানুষ যতটা গুরুত্ব দেন, মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি ঠিক ততটাই উদাসীন। ফলে শারীরিক রোগের জন্য অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন।

এ ধরনের সমস্যা ও এর প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলো এসকেএফ নিবেদিত স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘করোনাকালের অসুখ-বিসুখ’-এর নবম পর্বে। এবারের বিষয়: শারীরিক রোগে মানসিক সমস্যা। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও মেডিসিন-বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. লুবাইনা হক। অনুষ্ঠানটি ২ অক্টোবর প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল এবং এসকেএফের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জানা গেল শারীরিক সমস্যার জন্য কী কী ধরনের মানসিক সমস্যা হতে পারে। শরীর ও মন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এ জন্য শরীরের অনেক রকম সমস্যা রয়েছে যেগুলো মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে থাকে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের নানা রকম অসুখ হয়ে থাকে। এই অসুখ দুই রকমের—স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন অসুখ। স্বল্পকালীন অসুস্থতায় একরকম মানসিক সমস্যা দেখা দেয় আবার দীর্ঘকালীন অসুস্থতায় মানসিক সমস্যা আরেক রকম হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ।

স্বল্পকালীন হিসেবে যে মানসিক সমস্যা বেশি দেখা যায় সেটি হলো ডেলিরিয়াম। এ সমস্যায় রোগী কিছু সময়ের জন্য পরিবেশ ও পরিস্থিতি থেকে একেবারে আলাদা হয়ে যান। অর্থাৎ রোগীর পরিবেশসচেতনতা হ্রাস পায় ও চিন্তাশক্তি বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। যেমন একজন মানুষ টাইফয়েড জ্বর বা নিউমোনিয়া বা অন্য কোনো সংক্রমণের জন্য অসুস্থ হলে অনেক সময় দেখা যায় তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না, তার কী সমস্যা হয়েছে, তা বলতে পারছেন না। আবার ডেলিরিয়াম সমস্যায় ভোগা কোনো রোগীকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আজ কী বার বা তিনি কোথায় আছেন, তাহলে তার জবাবও ঠিকমতো তিনি দিতে পারেন না। আর অন্যান্য মানসিক সমস্যার মধ্যে আছে বিষণ্নতা, দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা।

হরমোনজনিত সমস্যার জন্যও অনেকের মানসিক অসুবিধা হয়ে থাকে। যেমন থাইরয়েডের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের অনেক মানসিক সমস্যা দেখা যায়। থাইরয়েড কম কাজ করলে বিষণ্নতা দেখা দেয় বা বেশি কাজ করলে দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ দেখা দেয়। আবার হরমোনজনিত আরেকটি সমস্যা আছে যাকে বলে কুশিং সিনড্রোম। শরীরে স্টেরয়েড হরমোন বেড়ে গেলে এই সমস্যাটি হয়। এর ফলে বিভিন্ন রকমের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা হয়ে থাকে। এমনকি এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি সাইকোসিস হতে পারে। এ ছাড়া, ব্রেন টিউমার, মৃগী রোগ, গ্লুকোজ হঠাৎ করে কমে যাওয়া বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া, মাথায় আঘাতজনিত সমস্যা, দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ বা অ্যালকোহল সেবনে মানুষের বিষণ্নতা, দুশ্চিন্তা, খিটখিটে মেজাজ, ভুলে যাওয়া সমস্যা হতে পারে।

হৃদরোগ রোগে কী ধরনের মানসিক সমস্যা হতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা করেন ডা. খান আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, কিছু হার্টের সমস্যায় মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়, ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটে। এ ছাড়া বিভিন্ন রকমের হার্টের রোগে যে মানসিক সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হলো কার্ডিয়াক নিউরোসিস। আবার হৃদযন্ত্রের কোনো সমস্যার কথা শুনেও রোগীর স্বল্পমেয়াদি দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা দেখা দিতে পারে অথবা দীর্ঘমেয়াদি ডিপ্রেশন বা হতাশা হতে পারে। কার্ডিয়াক নিউরোসিস রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়, একজন রোগীর হার্টের অসুখ সেরে গেলেও প্রায়ই ওই মানসিক সমস্যাগুলো ফিরে আসে। এ ধরনের রোগীর রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না, বিষণ্নতায় ভোগেন, অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করা কমিয়ে দেন।

আবার পেটের কিছু সমস্যা আছে যেমন ফাংশনাল বাওয়েল ডিজঅর্ডারের ফলে দীর্ঘ বা স্বল্পকালীন মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ। এর ভেতর আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের জন্য রোগীর ভেতর দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, খিটখিটে মেজাজ, খুঁতখুঁতে স্বভাব দেখা দেয়। সেই সঙ্গে এ সমস্যা হলে রোগী ঠিকমতো খাবার খেতে পারে না, রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না, এমনকি ঠিকমতো কাজে মনও দিতে পারে না।

এ ছাড়া যখন একজন মানুষ জানতে পারেন যে তাঁর কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছে না বা তাঁর মাথার ভেতরে টিউমার হয়েছে বা অন্য কোনো বড় রোগ হয়েছে, তখন তাঁর ভেতর দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।

কোনো একটা বড় অসুখ বা মানসিক আঘাত থেকে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার হতে পারে। এর ফলে রোগী দীর্ঘদিন একটা মনস্তাত্ত্বিক সমস্যায় ভুগে থাকেন। যেমন এখন দেখা যায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে ছিলেন, তাঁদের সেই সময়ের অভিজ্ঞতা দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়ায়। পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার হলে রোগী অনেক রাত ঘুমাতে পারেন না, অস্থিরতায় ভোগেন, মনোযোগের অভাব দেখা দেয়, কিছু খেতে পারেন না, ভুলে যাওয়ার সমস্যা হয়ে থাকে।

ডা. খান আবুল কালাম আজাদের আলোচনা থেকে বেশ কিছু মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা সম্পর্কে জানা যায়, যা শারীরিক সমস্যাকে বেশ প্রভাবিত করে। এর মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে সোমাটোফর্ম বা সোমাটাইজেশন ডিজঅর্ডার। এ মানসিক সমস্যায় রোগীর মধ্যে কিছু শারীরিক সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দেয় যেমন মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া, কাজের স্পৃহা কমে যাওয়া, মনোযোগের অভাব হওয়া। কিন্তু পরীক্ষা

একে হাইপোকন্ড্রিয়াসিস বলে। কনভারসন ডিজঅর্ডার নামের একটি মানসিক অসুখ আছে যেখানে রোগীর হাত অবশ হয়ে যায়, খিঁচুনি হয়; কিন্তু পরীক্ষা করে কোনো রোগ শনাক্ত করা যায় না। আর আমদের দেশে খুব সাধারণ একটি সমস্যা দেখা যায় যার নাম ম্যালিংগারিং ডিজঅর্ডার। এ সমস্যায় একজন মানুষ কাজের দায়িত্ব থেকে পালাতে অসুস্থ হওয়ার ভান করেন। এই সমস্যাকে মুনচাউসেন সিনড্রোমও বলে। শিশুদের মধ্যে এই ম্যালিংগারিং বেশি দেখা যায়। স্কুলে যেতে না চাইলে তারা অনেক সময় ভান করে যে তার পেটে ব্যথা করছে বা শরীরের কোথাও সমস্যা হচ্ছে।

এসব সমস্যার জন্য একজন চিকিৎসককে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ভালোমতো রোগীকে পরীক্ষা করতে হবে। রোগীর সমস্যাটা কতটুকু শারীরিক ও কতটুকু মানসিক, সেটি যাচাই করতে হবে। এ জন্য একজন চিকিৎসকের কয়েকটি বিষয়ে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমটি হচ্ছে কোনো কোনো শারীরিক অসুস্থতার জন্য রোগীর মানসিক সমস্যা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, শারীরিক অসুস্থতার জন্য ওষুধ যেমন দেবে, তেমন মানসিক সমস্যার জন্য কোন ওষুধ কতটুকু এবং কী ডোজে দিতে হবে, তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ দুটি ওষুধের বিক্রিয়ায় রোগীর শরীরে অন্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে জন্য রোগী দেখার সময় চিকিৎসকের অবশ্যই সময় নিয়ে রোগীর অসুস্থতার ইতিহাস ভালো করে জানতে হবে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগীর জন্য সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

অনুষ্ঠানের শেষদিকে ডা. খান আবুল কালাম আজাদ দর্শকদের মানসিক সমস্যাসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

করার পর কোনো নির্দিষ্ট রোগ ধরা পড়ে না। অর্থাৎ শারীরিক সমস্যার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com