আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য উপযোগী করে তোলা ভাসানচরে একসঙ্গে তিন মাসের বিভিন্ন খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক লাখের বেশি লোকের খাদ্য সংরক্ষণে ২০৫ ফুট দৈর্ঘ্যের চারটি সুবিশাল ওয়্যারহাউস (গুদামঘর) বানানো হয়েছে সেখানে। রোহিঙ্গারা নিজেদের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর এসব ওয়্যারহাউস বাংলাদেশের ভূমিহীনদের জন্য ব্যবহার করা হবে।

রোহিঙ্গাদের রাখার জন্য এখানে যে আবাসিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, তার আওতায় প্রতিটি ব্যারাকে পৃথক সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকছে। প্রতিটি শেল্টারে ৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পৃথক সোলার সেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি শেল্টার স্টেশন আলোকিত রাখার পাশাপাশি সৌর পাম্প ব্যবহার করে পানি তোলা সম্ভব। এক মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেল জেনারেটর এবং দুটি ৫০০ কিলোওয়াট ডিজেল জেনারেটর বসানো হয়েছে। এছাড়া রয়েছে ফুয়েল ট্যাংকও।

মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা নোয়াখালীর ভাসানচর ঘুরে সম্প্রতি এসব চিত্র দেখা গেছে

জানা গেছে, প্রকল্পটি মূলত ক্লাস্টার হাউজ, শেল্টার স্টেশন বা গুচ্ছগ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। প্রতিটি ক্লাস্টার হাউজ ও শেল্টার স্টেশন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মিত ভবনসমূহ ভূমি থেকে ৪ ফুট উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাস্টার হাউজে ১২টি ঘর, প্রতিটি ঘরে ১৬টি করে রুম রয়েছে এবং একটি চারতলা বিশিষ্ট কম্পোজিট স্ট্রাকচারের (স্টিল) শেল্টার স্টেশন রয়েছে। মোট ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা এক হাজার ৪৪০টি এবং ১২০টি শেল্টার স্টেশন নিয়ে গুচ্ছগ্রামটি গঠিত। প্রকল্পটিতে যাতে এক লাখ এক হাজার ৩৬০ জন শরণার্থী বসবাস করতে পারে সেই ব্যবস্থার আলোকে গুচ্ছগ্রামসমূহ নির্মাণ করা হয়েছে

রোহিঙ্গাদের জন্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক নৌবাহিনীর কমোডর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, সৌর বিদ্যুৎ ছাড়াও প্রকল্পের আওতায় ভাসানচরের প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহের জন্য ৩২টি ফুয়েল ট্যাংক (২,২৫০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন) নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য দুটি শেল্টার আছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সেখানে প্রশাসনিক কাজের প্রতিনিধিদের জন্য একটি, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রতিনিধিদের জন্য একটি, রেডক্রস ও আন্তর্জাতিক এনজিওর জন্য একটি, এতিমখানার ব্যবহারের জন্য একটি, ডে কেয়ার সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য একটি শেল্টার রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নোয়াখালী, তালপুর, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ছোট জাহাজ/কার্গো ভেসেলসমূহ নিরাপদে যাতায়াতের জন্য কিছুসংখ্যক নেভিগেশনাল বয়া স্থাপিত রয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় ভাসানচর সংলগ্ন অত্যন্তরীণ নৌপথে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ছোট জাহাজ/কার্গোর সঠিক নেভিগেশনের জন্য ৯১ দশমিক ৫ ফুট উচ্চতা এবং ১৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত নেভিগেশন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি লাইটহাউজ নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের ক্লাস্টারে নির্মিত পুকুরের পানি অগ্নিনির্বাপণের কাজে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া স্থায়ী ফায়ার স্টেশনের জন্য প্রকল্প এলাকায় ৩১ একর জমি রাখা হয়েছে।

ক্লাস্টার ঘুরে দেখা যায়, ভাসানচরে আশ্রিতদের রান্নাবান্নার জন্য প্রায় তিন হাজার চুলা বসানো হয়েছে ঘরগুলোতে। এক লাখ লোকের জন্য প্রতি মাসে এক হাজার ১২৫ টন জ্বালানির প্রয়োজন হবে। এই জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার হলে আশপাশে বনভূমি উজাড় হওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে, যেজন্য জ্বালানি হিসেবে চারকোল বা কাঠকয়লা ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া বসানো হয়েছে আড়াইশ বায়োগ্যাস প্লান্ট।

jagonews24

প্রথমে সেখানে ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে রাখা হয়েছে। এরা প্রত্যেকে অবৈধপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিচ্ছিলেন। সাগরে ভাসতে ভাসতে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছিল। কিন্তু কোথাও ভিড়তে পারছিলেন না। পরে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় দেয়। এদের মধ্যে ৯৭ জন পুরুষ, ১৭৬ জন নারী এবং ৩৩ জন শিশু। তাদের অনেক নারী ইতোমধ্যে সেলাই কাজে অংশ নিচ্ছেন।

এদিকে, সেখানে প্রশস্ত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলও তৈরি করা হচ্ছে, যা ঘূর্ণিঝড়কালীন সমুদ্রের ঢেউয়ের প্রকোপ থেকে দ্বীপের ভূমি রক্ষা করবে। এ প্রকল্পটি সরকার প্রণীত ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সেখানে প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাছ কাটা হয়নি। ফলে এখনো বিস্তৃত বনাঞ্চল রয়েছে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com