আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

রোজ পাতে রাখুন সাদা পেঁয়াজ

পেঁয়াজ শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং এটা খেলে আপনাকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করবে। লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঁচা বা রান্না করা সাদা পেঁয়াজ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।  

ডায়াবেটিস
সাদা পেঁয়াজে থাকে ক্রোমিয়াম এবং সালফার, যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পরিমিত মাত্রায় সাদা পেঁয়াজ খাওয়া ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। পেঁয়াজে থাকা বিভিন্ন যৌগ, যেমন কোয়ার্সেটিন এবং সালফারে অ্যান্টিডায়াবেটিক প্রভাব বিদ্যমান।

হার্ট
সাদা পেঁয়াজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এটি ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। ফলে হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এছাড়া সাদা পেঁয়াজের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং রক্ত জমাট বাঁধা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।


হজমে সহায়তা করে
সাদা পেঁয়াজ ফাইবার এবং প্রিবায়োটিকের ভালো উৎস। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক। পেঁয়াজ প্রিবায়োটিক ইনুলিন এবং ফ্রাকটুলিগোসাচারিডস সমৃদ্ধ। ফলে এর নিয়মিত সেবন অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়তেও সহায়তা করে।

হাড় ভালো রাখে
সাদা পেঁয়াজের অন্যতম স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো, এটি বয়স্ক নারীদের হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করতে পারে। তাছাড়া সাদা পেঁয়াজের সেবন অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ায়, হাড়ের ক্ষয় কমাতে পারে। ফলে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ হয় এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে।

ক্যানসার থেকে সুরক্ষা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাদা পেঁয়াজে সালফার যৌগ এবং ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যানসার বিরোধী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী বলে প্রমাণিত। পেঁয়াজে থাকা ফিসেটিন এবং কোয়ার্সেটিন, ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে পারে।  

রক্ত প্রবাহ কমাতে সহায়তা
রক্ত পাতলা রাখতে অত্যন্ত বেশ সহায়ক এই সাদা পেঁয়াজ। এতে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং সালফারের মতো উপাদান বর্তমান, যা রক্ত পাতলা রাখতে সহায়ক। ব্লাড থিনিং এজেন্ট, শিরা এবং ধমনী দিয়ে মসৃণভাবে রক্ত প্রবাহ কমাতে সহায়তা করে।

ইমিউনিটি শক্তিশালী করে 
সাদা পেঁয়াজে উপস্থিত সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। তাছাড়া সেলেনিয়াম ভাইরাল এবং অ্যালার্জির সমস্যা প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।  

চুলের জন্য উপকারী
সাদা পেঁয়াজের রস, চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি, খুশকির সমস্যা এবং অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে সহায়তা করে। চুল উজ্জ্বল করে তোলে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com