শরীরের সব অঙ্গের মধ্যে পা সবচেয়ে বেশি নোংরা হয়। ফলে পা ছত্রাক-ব্যাকটেরিয়ার আবাসস্থলে পরিণত হয়। যদি নিয়মিত পা ধুয়ে না থাকেন; তাহলে জীবাণুরা ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো শরীরে। সেইসঙ্গে পায়ের চামড়া ওঠা, চুলকানি, ঘা, র্যাশ, আঙুলের ফাঁকে ফাঙ্গাল ইনফেকশনসহ চর্মরোগ হতে পারে।
চর্ম বিশেষজ্ঞের মতে, ঘুমানোর আগে পা না ধুয়ে বিছানায় ঘুমালে শারীরিক বিভিন্ন অসুখের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই রাতে ঘুমানোর আগে ভালো করে পার ধুতে হবে। এর ফলে বেশ কয়েকটি উপকারও পাবেন আপনি। যেমন-ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে, রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, জয়েন্ট এবং পেশীর ব্যথা দূর হবে।
জেনে নিন পা পরিষ্কার করার সঠিক উপায়
> একটি পাত্রে হালকা গরম পানি নিন। > পানির মধ্যে সামান্য লবণ বা ভিনেগার মিশিয়ে নিতে পারেন। > এবার এই পানির মধ্যে ৫-১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। > তারপর পা পরিষ্কার করতে একটি লুফাহ স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। > ভালো করে পায়ের আঙুলগুলো পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। > এরপর পা শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। > পায়ের আঙুলের ফাঁকে ভালো করে মুছে নিন। কারণ এখানেই ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়াগুলো লুকিয়ে থাকে। > পা মোছার পর কিছুটা নারকেল তেল হাতে নিয়ে ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেল কেবল আপনার পা ময়েশ্চারাইজড করবে না, এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও আছে। > এরপর একটি পাতলা মোজা পরে তবেই ঘুমাতে যান।
নিয়মিত ঘুমানোর আগে পা ধুলে যেসব উপকার মিলবে-
জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথা সারবে
আমাদের পা পুরো শরীরের ওজন বহন করে। তারপর আবার টাইট বা ভুল মাপের জুতো পরাসহ বিভিন্ন কারণে পায়ে ব্যথা, ফাঙ্গাল ইনফেকশন ইত্যাদি হতে পারে।
তাই চুল, ত্বক এবং শরীরের অন্যান্য অংশের মতো পায়ের প্রতিও যত্নবান হতে হবে। রাতে হালকা গরম পানিতে পা ধুলে আপনি আরাম পাবেন। পায়ের জয়েন্ট এবং পেশীগুলো তখন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে।
শারীরিক তাপমাত্রা বজায় থাকবে
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে নিয়মিত এভাবে পা ধোয়া উচিত। জুতো পরার করাণে পায়ের তাপ বেড়ে যায়। কারণ সারাদিন পা বন্ধ অবস্থায় থাকে। ঘুমানোর আগে পা ধুলে রাতে আরও ভালো ঘুম হবে।
বায়ু প্রবাহ হবে ভালোভাবে
সারাদিন পা মাটিতে বা জুতার মধ্যে থাকে। তাই পায়ের তলা কখনো আরাম পায় না। সেইসঙ্গে ছত্রাক-ব্যাকটেরিয়া তো আছেই! তাই রাতে ঘুমানোর আগে পা ভালো করে ধুয়ে নিলে, পায়ের তলায় বায়ু প্রবাহ ঘটবে ভালোভাবে।
পা এবং মস্তিষ্ক ঘুমানোর পর বিশ্রাম পায়। নিয়মিত পা ধুয়ে ঘুমালে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন এবং যখন ঘুম থেকে উঠবেন তখন আর পায়ে ব্যথা বা অবশভাব থাকবে না।
খারাপ গন্ধ দূর করে
অনেক সময় জুতো পরার কারণে পা ঘামার ফলে দুর্গন্ধ হতে পারে। সেই দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা সময় হলো রাত। রাতে ঘুমানোর আগে ভালো করে গরম পানিতে পা ধুলে দুর্গন্ধ মুহূর্তেই দূর হবে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন