আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

বিশ্ব

‘রঙ ফর্সা না কালো’ : গাত্রবর্ণ নিয়ে নিজ জাতির কাছেই যারা বৈষম্যের শিকার

দোকানে বিক্রি হচ্ছে ফেয়ার এন্ড লাভলির সামগ্রী
দোকানে বিক্রি হচ্ছে ফেয়ার এন্ড লাভলির সামগ্রী

গায়ের রঙ নিয়ে বৈষম্য মোটামুটি সব সমাজেই আছে।

একই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে যাদের গায়ের রঙ একটু ফর্সা বা হালকা তারা একটু বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে। বিশ্বের প্রায় সব সমাজে এর মারাত্মক প্রভাব থাকলেও এনিয়ে আলোচনা খুব কমই হয়।

হার্ষারিন কাউর বেড়ে উঠেছেন নিউজিল্যান্ডে। বড় হয়ে প্রথমবারের মতো তার পূর্ব পুরুষের দেশ ভারতে বেড়াতে গিয়ে একটা জিনিস দেখে তিনি খুবই অবাক হন। আর সেটা হলো গায়ের রঙ পরিবর্তন করার ব্যাপারে সামাজিক চাপ।

চারপাশে সিনেমার যেসব বিলবোর্ড লাগানো সেসব দেখে মনে হয় যাদের গায়ের রঙ ফর্সা বা হালকা শুধু সেসব নারী পুরুষরাই যেন এই শিল্পে সফল হতে পেরেছে।

টেলিভিশনেও ত্বকের যত্ন নেওয়ার যেসব সামগ্রীর বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় সেগুলোতে জোর দিয়ে বলা হয় যেসব নারীর গায়ের রঙ ফর্সা তারা চাকরি, স্বামী ও সুখ খুঁজে পায়।

“নিউজিল্যান্ডে আমি কখনো গার্নিয়ে কিম্বা ল’রিয়াল কোম্পানিকে কখনো তাদের পণ্যের প্রচারণা চালাতে দেখিনি। কিন্তু ভারতে এনিয়ে সবখানেই বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে,” বলেন কাউর, যিনি ইন্সটাগ্রামে দ্য ইন্ডিয়ান ফেমিনিস্ট নামে জনপ্রিয় একটি পাতা পরিচালনা করেন।

ব্যাপক সমালোচনার মুখে ল’রিয়াল কোম্পানি ২০২০ সালের জুন মাসে ঘোষণা করে যে তারা ত্বক সংক্রান্ত তাদের সকল পণ্য থেকে “শাদা”, “ফর্সা” এবং “হালকা” এই শব্দগুলো তুলে নেবে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গায়ের রঙ ফর্সা করার কথা বলে এসব পণ্যের বড় আকারের বাজার গড়ে উঠেছে।

এসব দেশের মানুষের গায়ের রঙ সাধারণত একটু কালো হয়। বিষুবরেখার কাছাকাছি অবস্থানের কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে গায়ের এই রঙ প্রয়োজনীয়।

বৈষম্য ও কালারিজম

একই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে যাদের গায়ের রঙ ফর্সা বা হালকা তাদের সঙ্গে বাকিদের যে বৈষম্য তাকে বলা হয় কালারিজম।

কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়। তবে দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে এটা নিয়ে তেমন কথাবার্তা হয় না, যদিও এসব দেশে গায়ের রঙ নিয়ে অনেকে মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে থাকে।

আইভোরি কোস্টে রঙ ফর্সা করার বিজ্ঞাপন
আইভোরি কোস্টে রঙ ফর্সা করার বিজ্ঞাপন

তবে ২০২০ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ এবং বর্ণবাদ নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার সমাজেও লোকজন গায়ের রঙ সংক্রান্ত বৈষম্য বা কালারিজম নিয়ে আলোচনা করছে।

নেটফ্লিক্সের নতুন একটি রিয়েলিটি সিরিজ ‘ইন্ডিয়ান ম্যাচ-মেকিং’ নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে যেখানে কাঙ্ক্ষিত পাত্র পাত্রী খুঁজতে গিয়ে ফর্সা পাত্রপাত্রীকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

এসব প্রতিবাদের মুখে লোকজন এখন এধরনের পণ্যের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে আরো বেশি সোচ্চার হয়েছে।

‘ফেয়ার এন্ড লাভলি’

কোন কোন কোম্পানি এসব প্রতিবাদে সাড়া দিয়েছে। ফেয়ার এন্ড লাভলি ব্র্যান্ডের মালিক কোম্পানি ইউনিলিভার ঘোষণা করেছে ত্বক সংক্রান্ত তাদের যেসব পণ্য আছে সেগুলো থেকে “সুন্দর”, “ফর্সাকারী” এবং “রঙ হালকা করে” এধরনের কথা সরিয়ে নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ফেয়ার এন্ড লাভলির নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়া হবে গ্লো এন্ড লাভলি।

কোম্পানির একজন মুখপাত্র বলছেন, ব্রান্ডের নাম পরিবর্তনের জন্য যা যা করা দরকার সেগুলো ইতোমধ্যেই করা হচ্ছিল কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে এই প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত হয়েছে।

এর মধ্যে ফেয়ার এন্ড লাভলির পণ্য দোকানের শেল্ফ থেকে সরিয়ে নেয়ারও আবেদন জানিয়েছে অনেকে। এই মর্মে একটি পিটিশনও শুরু হয়েছে।

এধরনের পণ্য বিক্রি অব্যাহত রেখে বর্ণবাদের সমালোচনা করায় ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালেন জোপেরও নিন্দা জানানো হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়।

উল্লেখ্য যে ইউনিলিভার তাদের পণ্য বিক্রি করে বছরে আড়াইশো মিলিয়ন পাউন্ড আয় করে থাকে।

একই সাথে ফেয়ার এন্ড লাভলির নাম পরিবর্তন করে গ্লো এন্ড লাভলি করার সিদ্ধান্তে ইউনিলিভারের প্রশংসাও করছে কেউ কেউ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নাম পরিবর্তনই যথেষ্ট নয়। কারণ এই পণ্যগুলো এখনও বাজারে রয়ে গেছে।

নতুন নামেরও সমালোচনা

“আমি জানি না এটি ভিন্ন কিছু কিনা। আমি তাদের প্রশংসা করি কারণ তারা নাম বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্ভবত এটিই সবচেয়ে পরিচিত ব্র্যান্ড। তবে আমি নতুন নাম গ্লো এন্ড লাভলি দেখে হতাশ হয়েছি। কারণ গ্লো হচ্ছে ফর্সাকারীর মতোই আরেকটি শব্দ,” বলেন নিক্কি খান্না, ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক, যিনি গায়ের রঙ এর কারণে বৈষম্য নিয়ে ২০ বছর ধরে গবেষণা করছেন।

“গ্লো শব্দটি বলতে যা বোঝায় এবং বছরের পর বছর ধরে তারা যেসব বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে তার অর্থ একই। এতে রঙ ফর্সা করাকেই বোঝানো হচ্ছে। আমি আশা করবো তারা এতে পরিবর্তন আনবে। এই পরিবর্তন মানে এসব পণ্য পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা।”

কালারিজমের পরিণতি

এবিষয়ে যদিও খুব বেশি গবেষণা হয়নি, তার পরেও কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে কালারিজমের ফলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব পড়ে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে এশীয়-আমেরিকান নারীদের বিষণ্ণতার সাথে গায়ের রঙ কালো হওয়ার কুসংস্কারের সম্পর্ক রয়েছে।

দোকানে সজ্জিত প্রসাধনী সামগ্রী
দোকানে সজ্জিত প্রসাধনী সামগ্রী

“ইতিহাসে দেখা যায় যে অনেক সমাজেই গায়ের রঙ কালো হওয়াকে খারাপ বিষয় হিসেবে দেখা হয়। ধরে নেওয়া হয় যে তারা ‘নোংরা’ এবং ‘কম শিক্ষিত।’ সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে এই ধারণাই চলে এসেছে,” বলেন এলিজিয়া ট্র্যান, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং এই গবেষণার সাথেও তিনি যুক্ত ছিলেন।

“দক্ষিণ এশীয় সমাজে এরকম বহু বছর ধরেই চলে আসছে। সেখানে জাতপাতের সাথে সামাজিক অবস্থানের একটা সম্পর্ক রয়েছে।”

ভারতীয় বিয়ে শাদি

ভারতীয় সমাজে গায়ের রঙ নিয়ে এই বৈষম্য অনেক বেশি প্রকাশ পায় বিয়ে শাদির ঘটনায়। এসময় সাধারণত মুরুব্বিরা গায়ের রঙ-এর বিষয়টি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সাধারণত পিতামাতারা তাদের সন্তানদের বিয়ে ঠিক করেন। সম্ভাব্য পাত্র পাত্রী ও তাদের পরিবার দেখেই তারা বর ও কণে পছন্দ করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে তাদের অনুমতির পরেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।

তবে সময়ের সাথে সাথে এখন তরুণ তরুণীদের নিজেদের পছন্দে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে, যাকে বলা হয় লাভ ম্যারেজ বা প্রেম করে বিয়ে।

কখনও কখনও এনিয়ে পরিবারের সঙ্গে তাদের বিরোধের ঘটনাও ঘটে।

ভারতে পারিবারিক-ভাবে যেসব বিয়ে হয় তার ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে যে হবু শাশুড়িরা যেসব মেয়ের গায়ের রঙ কালো তাদেরকে পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করতে চান না। ঘরে তোলার জন্য তারা ফর্সা রঙের মেয়েদেরকেই প্রাধান্য দেন।

পারিবারিক বিয়ের বিজ্ঞাপন

গবেষণার এসব ফলাফলে বিস্মিত হওয়ার মতো কিছু নেই।

পরিবারের উদ্যোগে যেসব বিয়ে হয় এবং তার জন্য পত্রিকায় দেওয়া ‘পাত্র চাই’ ‘পাত্রী চাই’ বিজ্ঞাপনের মধ্যেও সেটা পরিষ্কার। সেখানে দশকের পর দশক ধরে ফর্সা মেয়েদেরকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

পাত্রীর পরিবার থেকে দেওয়া বিজ্ঞাপনেও মেয়ের রঙ যে ফর্সা সেটি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

পাত্র পাত্রী সন্ধান করার যেসব ওয়েবসাইট আছে সেখানেও ত্বকের রঙ এর কথা উল্লেখ করে ফিল্টার করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে জানতে চাওয়া হয় আপনি ‘ফর্সা’, ‘গমের মতো’ নাকি ‘শ্যামলা’ কোন ধরনের পাত্রী চান। এসব সিলেক্ট করে করে আপনি আপনার পছন্দের মতো জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে পারেন।

বলিউড মুভির পোস্টারে ফর্সা নায়ক নায়িকা
বলিউড মুভির পোস্টারে ফর্সা নায়ক নায়িকা

স্কিন ফিল্টার

“পত্র পত্রিকার বিজ্ঞাপনে গায়ের রঙ এর কথা উল্লেখ করা হতো পাত্র-পাত্রী বাছাইর এর ক্ষেত্রে ফিল্টারিং এর জন্য। তাতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মানুষের মতো কোম্পানিরও পরিবর্তন ঘটেছে। চার থেকে পাঁচ বছর আগে আমরা এই স্কিন ফিল্টার পরিহারের সিদ্ধান্ত নেই,” বলেন আধিশ জাভেরি, শাদিডটকমের মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক।

কিন্তু স্কিন ফিল্টারের এই ছায়া ওয়েবসাইটে রয়ে গেছে: ব্যবহারকারীরা সেখানে গিয়ে পাত্র পাত্রীর স্কিন টোন বা গায়ের রঙ সিলেক্ট করতে পারেন।

এই খবরটি যখন উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় নারীদের একটি ফেসবুক গ্রুপের কাছে গিয়ে পৌঁছালো তারা বিষয়টি শাদিডটকমের নজরে আনার জন্য সাথে সাথেই এর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে শুরু করে দিল।

“২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা দেড় হাজার স্বাক্ষর পেয়ে গেলাম,” বলেন হেতাল লাখানি, টেক্সাসে ডালাসের একজন বাসিন্দা যিনি এই পিটিশন শুরু করেছিলেন।

“এর পর শাদিডটকম ফিল্টারটি উঠিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।”

সাংস্কৃতিক পরিবর্তন

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অতীতে গায়ের রঙ নিয়ে বৈষম্য বা কালারিজমের বিষয়ে খুব একটা নজর দেওয়া হয়নি। কিন্তু বর্তমানে সোশাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটের কারণে এই মানসিকতায় পরিবর্তন ঘটছে।

পুরুষদের টার্গেট করেও বাজারে এধরনের পণ্য ছাড়া হচ্ছে
পুরুষদের টার্গেট করেও বাজারে এধরনের পণ্য ছাড়া হচ্ছে

এবিষয়ে একটি বই লিখেছেন ভারতীয়-আমেরিকান নারী নিক্কি খান্না: এশিয়ান আমেরিকান উইমেন অন স্কিন কালার এন্ড কালারিজম। তাতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন নারীর এসংক্রান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেছেন, “কালারিজমের মতো বিষয়ের ওপর আলোচনা আজকের ডিজিটাল জগতে কীভাবে বদলে যাচ্ছে তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই বই।”

সোশাল মিডিয়ায় প্রচারণা

নিক্কি খান্না এই প্রকল্পটি শুরু করেছিলেন ২০১৭ সালে ফেসবুকে এসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আহবান জানিয়ে।

তিনি বলেন, “সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমি আমি আমার নিজের নেটওয়ার্কের বাইরের নারীদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি।।”

নিক্কি খান্না জানান, শুরুতে তিনি অবাক হয়েছিলেন কালারিজম যে এশীয় নারীদের জন্য একটি সমস্যা সেবিষয়ে তাদের কোন ধারণা ছিল না।

কিন্তু পরে এই ধারণায় পরিবর্তন ঘটেছে। তাতে বড়ো ধরনের ভূমিকা রেখেছে সোশাল মিডিয়াতে চলা বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা। তার মধ্যে রয়েছে ডার্ক ইজ বিউটিফুল বা কালোই সুন্দর এবং হ্যাশট্যাগ দিয়ে ব্রাউন ইজ বিউটিফুল – এধরনের ক্যাম্পেইন।

সেখানে দক্ষিণ এশীয় নারীরা এবিষয়ে কথা বলার সুযোগ পায় এবং এক পর্যায়ে নিরবতা ভেঙে তারা মুখ খুলতে শুরু করে।

সোশাল মিডিয়া যে শতাব্দী-প্রাচীন এসব বিশ্বাস ভেঙে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেবিষয়ে এলিজিয়া ট্র্যানও একমত।

কালারিজমের কথা যারা তুলে ধরছেন তাদের বেশিরভাগই নতুন প্রজন্মের। তারা বুঝতে পারছেন গায়ের রঙ নিয়ে যে বৈষম্য তাতে জেনারেশন গ্যাপের ভূমিকা রয়েছে।

“সামান্য একটু আলোচনা, অল্প কিছু কথাবার্তা- এসব অনেক বড় বিষয়। এসবের মাধ্যমে আমরা সমাজের অনেক কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আসতে পারবো,” বলেন এলিজিয়া ট্র্যান।

  • পুরুষদের টার্গেট করেও বাজারে এধরনের পণ্য ছাড়া হচ্ছে

    পুরুষদের টার্গেট করেও বাজারে এধরনের পণ্য ছাড়া হচ্ছে

  • বলিউড মুভির পোস্টারে ফর্সা নায়ক নায়িকা

    বলিউড মুভির পোস্টারে ফর্সা নায়ক নায়িকা

  • দোকানে সজ্জিত প্রসাধনী সামগ্রী

    দোকানে সজ্জিত প্রসাধনী সামগ্রী

  • আইভোরি কোস্টে রঙ ফর্সা করার বিজ্ঞাপন

    আইভোরি কোস্টে রঙ ফর্সা করার বিজ্ঞাপন

  • দোকানে বিক্রি হচ্ছে ফেয়ার এন্ড লাভলির সামগ্রী

    দোকানে বিক্রি হচ্ছে ফেয়ার এন্ড লাভলির সামগ্রী

  • পুরুষদের টার্গেট করেও বাজারে এধরনের পণ্য ছাড়া হচ্ছে
  • বলিউড মুভির পোস্টারে ফর্সা নায়ক নায়িকা
  • দোকানে সজ্জিত প্রসাধনী সামগ্রী
  • আইভোরি কোস্টে রঙ ফর্সা করার বিজ্ঞাপন
  • দোকানে বিক্রি হচ্ছে ফেয়ার এন্ড লাভলির সামগ্রী
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

ফসল

লাভজনক সবজি চাষ পদ্ধতি

সবজি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। কৃষি বিজ্ঞানের ভাষায় সবজিকে উদ্যানতাত্বিক ফসল (Horticultural crops) বলা হয়ে থাকে। পুষ্টিমানের দিক থেকে সবজি ফসল যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বাণিজ্যিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। সেজন্য সবজি চাষের আধুনিক কলাকৌশল জানা জরুরি।

আর আধুনিক কলাকৌশল বলতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষাবাদকেই বোঝানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তবে সারাদেশে যেমন সব ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়না ঠিক তেমনি সকল সবজিই আবার সারাবছর উৎপাদিত হয়না। একেক অঞ্চলে একেক ধরনের শাকসবজি উৎপাদিত হয়ে থাকে। আবার বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে বিশেষ বিশেষ সবজির জাত উৎপাদন করা যায়।

সারাদেশে সারাবছরই যেসকল সবজি সহজে উৎপাদিত হয়ে থাকে তাদের কিছু শাকসবজির কথা এখানে তুলে ধরছি। লালশাক, ডাটাশাক, পুইশাক, কলমিশাক, মিষ্টিআলু শাক, ঢেড়শ, গাজর, বরবটি, টমেটো, লাউ ও লাউশাক, পাটশাক, শশা, কাঁচকলা, বেগুন, পেপে, করলা, কচুশাক, কচুর লতি, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা ইত্যাদি পরিচিত শাকসবজি। তাছাড়া অপরিচিত বিশেষ কিছু সবজি বিশেষ বিশেষ এলাকার বিশেষত্ব হিসেবে উৎপাদিত হয়ে থাকে। উপরোক্ত ফসলগুলোর মধ্যে কিছু শুধু শাক আর বাকীগুলো শাক এবং সবজি উভয় হিসেবেই প্রচলিত রয়েছে।

কৃষিতাত্বিকভাবে রবি (শীতকাল) ও খরিপ (গ্রীষ্মকাল)- এ দুধরনের মৌসুম রয়েছে। খরিপের আবার দুটি ভাগ, যথা- খরিপ-১ (আগাম গ্রীষ্ম) এবং খরিপ-২ (বর্ষাকাল)। তবে শীতকালীন শাকসবজির মধ্যে বাহারি ও রকমারি বৈচিত্র একটু বেশি। শুধুমাত্র শীতকালে উৎপাদিত হয় এমন ফসলগুলোর মধ্যে রয়েছে- টমেটো, শীতলাউ, ফুলকপি, বাধাকপি, গাজর, সীম, মূলা, ব্রকলি, বাটিশাক, ওলকপি, শালগম, বেগুন, গোল আলু ইত্যাদিই প্রধান। অপরদিকে শুধুমাত্র গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে উৎপাদিত হয় এমন ফসলের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের কচু, ওলকচু, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, কাকরোল, পটোল, করলা, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া ইত্যাদিই প্রধান।

সবজি ফসল উৎপাদন অন্যান্য ফসলের মতো নয়। সবজি ফসল উৎপাদনের জন্য বিশেষ ধরনের যত্নের প্রয়োজন হয়। আর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আবাদ করতে গেলে অল্প পরিমাণ জায়গায় অধিক পরিমাণ ফসল ফলিয়ে লাভবান হওয়া সম্ভব। সবজি আবাদেও জন্য বাড়ির আঙ্গিনায় অথবা অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গা বেছে নিতে হবে। সেখানে ভালোভাবে চাষ-মই দিয়ে জমির মাটি জো অবস্থায় ঝুরঝুরে করে সেখানে এক মিটার প্রশস্ত এবং প্রয়োজনমত জমির আকার-আকৃতির সাথে সঙ্গতি রেখে লম্বা বেড তৈরী করে নিতে হবে। প্রতিটি বেডের মাঝখানে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি পরিমাণ গর্ত করে নালা সৃষ্টি করতে হবে। অর্থাৎ নালার মাটি তুলেই দুইপাশে বেড প্রয়োজনমত উঁচু করতে হবে।

এভাবে বেড তৈরীর একটি বিশেষত্ব হলো শাকসবজি চাষাবাদ অন্য সাধারণ ফসল আবাদের চেয়ে একটু ভিন্ন। এর জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি সতর্কতা ও যত্নের। শাকসবজির চাষাবাদে যেমন শুষ্ক মৌসুমে সেচের চাহিদা থাকে অপরদিকে বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি বের করে দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সেজন্যই বেড তৈরী করে মাটি কিছুটা উঁচু করা হয় সেখানে আবার নালা তৈরী করে নিষ্কাষনের ব্যবস্থাও রাখা হয়। কিন্তু বেড এবং নালা তৈরী না করলে সেটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আবাদ হয়না। সেঠা হয় সাধারণ শাকসবজি চাষ। এতে ফলন অনেক কমে যায়।

পেপে, কাঁচকলা- এ জাতীয় সবজি বসতবাড়ির আঙ্গিনায়, রাস্তা বা পুকুরের ধারে সহজেই আবাদ করা যায়। লালশাক, ডাটা শাক, পাটশাক, মূলাশাক, গাজর, শালগম ইত্যাদি সবজি তৈরীকৃত বেডে ছিটিয়ে বীজ বুনে দিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি, ঢেড়শ, কচু, ওলকচু ইত্যাদি সবজি এক মিটারের বেডে দুই সারি করে নির্ধারিত দূরত্বে চারা লাগিয়ে আবাদ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। সেজন্য এসব সবজি উৎপাদনের জন্য আলাদাভাবে নার্সারিতে চারা তৈরী করে নিতে হয়। অপরদিকে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শশা, চাল কুমড়া, পটোল, কাকরোল, করলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, সীম, বরবটি ইত্যাদি লতাজাতীয় সবজি চাষের জন্য উক্ত বেডে দুইটি সারি করে সেখানে জাংলা দিয়ে দিতে হয়। সাধারণত বেডের দুইপাশে খুটি দিয়ে পরে তা ইংরেজি অক্ষর ‘এক্স’ আকৃতিতে বা ‘ভি’ আকৃতিতে বাঁকিয়ে বেঁধে দিতে হয়।

বেড ছাড়াও লতাজাতীয় এসব সবজি অতি সহজেই ক্ষেতের আইলে, রাস্তার ধারে, পুকুরের পাড়ে বিশেষ ব্যবস্থায় আবাদ করে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য যেকোন ফসলের তুলনায় এসব সবজি ফসলের একটু বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। বিনা আবাদেই এসব সবজি চাষ করা যেতে পারে। সেজন্য বন্যা পরবর্তীতে পুনর্বাসনের সময় বিনাচাষে এসব আবাদের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ জৈবভাবেই এসব সবজি ফসল উৎপাদন সম্ভব। আবাদের পূর্বে সামান্য পরিমাণ প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার ব্যবহার করে বাকীটা মেটাতে হবে বাড়িতে উৎপাদিত জৈব সারের মাধ্যমে। তারপর আন্তপরিচর্যা এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতেও জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। তখন এসব উৎপাদিত ফসল সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

কাজেই এভাবেই সারাবছর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বষ্পপরিসরে শাকসবজি উৎপাদন করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে তা বাণিজ্যিকভাবেও লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমাদের শারীরিক পুষ্টি চাহিদার একটি বিরাট অংশ শাকসবজি থেকে আসা দরকার। দৈনিক একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের গড়ে কমপক্ষে আড়াইশ গ্রাম শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। আর সেটা নিবিড়ভাবে এবং নিরাপদভাবে খেতে হলে নিজের উৎপাদিত শাকসবজি খাওয়াই সবচেয়ে উত্তম। কাজেই আমাদের সারাবছর অলস সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আসুন নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় সবজির বাগান গড়ে তুলি।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

বাংলাদেশ

কৃষকের বন্ধু ও কৃষি উন্নয়ন এর পথিকৃৎ শাইখ সিরাজের ৭০তম জন্মদিন আজ

একজন টেলিভিশন তারকা, কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজের জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৫৪ সালের এদিনে জন্মগ্রহণ করেন চাঁদপুরে (সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ২৮শে জুন ১৯৫৬)। শাইখ সিরাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ভূগোলে। ছাত্রজীবনেই সম্পৃক্ত হন বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও সংবাদপত্রের সঙ্গে।

কৃষকের বন্ধু ও কৃষি উন্নয়ন এর পথিকৃৎ শাইখ সিরাজের ৭০তম জন্মদিন আজ

শাইখ সিরাজ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড, চ্যানেল আই-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বার্তা প্রধান। টানা সাড়ে চার দশক ধরে তিনি গণমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে দেশের কৃষি ও কৃষক তথা উৎপাদন-অর্থনৈতিক খাতে অপরিসীম ভূমিকা রেখে চলেছেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠান উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে বিপুল গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেন তিনি। পরে তার নিজস্ব পরিচালনাধীন টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’তে শুরু করেন কৃষি কার্যক্রম হৃদয়ে মাটি ও মানুষ। উন্নয়ন সাংবাদিকতার জন্য তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দু’টি রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৮) ও একুশে পদক (১৯৯৫) লাভ করেন।

কৃষকের বন্ধু ও কৃষি উন্নয়ন এর পথিকৃৎ শাইখ সিরাজের ৬৮তম জন্মদিন আজ
কৃষকের বন্ধু ও কৃষি উন্নয়ন এর পথিকৃৎ শাইখ সিরাজের ৭০তম জন্মদিন আজ

টেলিভিশনসহ গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রায় চার দশকের একনিষ্ঠ পথচলার মধ্য দিয়ে শাইখ সিরাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন উন্নয়ন সাংবাদিকতার এক অগ্রপথিক হিসাবে। গণমাধ্যমে তার উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণায় আমূল পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের কৃষিতে। বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সূচিত হয়েছে বৈপ্লবিক সাফল্য।

গ্রামীণ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। একইসঙ্গে শহর-নগরের মানুষকে করেছেন কৃষিমুখি। ফলে দেশের অর্থনীতিতে কৃষির বহুমুখি অবদান সূচিত হয়েছে।

‘মাটি ও মানুষ’

বাংলাদেশের কৃষিতে গত কয়েক দশকে যে বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে, শাইখ সিরাজকে বর্ণনা করা হয় সেই পরিবর্তনের পেছনে অন্যতম প্রধান এক চরিত্র হিসেবে।

বাংলাদেশে যখন বিজ্ঞানীরা একের পর এক নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান উদ্ভাবন করে চলেছেন, কৃষিতে নতুন ধ্যান ধারণা এবং কৌশল চালুর জন্য সরকারের নানা পর্যায় থেকে চেষ্টা চলছে, সেগুলো সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে বিরাট ভূমিকা রাখে তার কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান, ‘মাটি ও মানুষ।’

“শুরুতে এই অনুষ্ঠানটা হতো আমার দেশ নামে। তখন এটি ৫০ মিনিটের পাক্ষিক অনুষ্ঠান। পরে এটিকেই ‘মাটি ও মানুষ’ নামে সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানে রূপান্তরিত করি। আমার মনে হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের চেয়ে বেশি দরকার শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল অনুষ্ঠান। কৃষকদের যদি নতুন বীজ, নতুন প্রযুক্তি, নতুন কৌশল, এসব ঠিকমত বোঝানো যায়, তাহলে কৃষিতে বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব।”

গত চার দশক ধরে শাইখ সিরাজ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের কৃষকদের কাছে কৃষি বিষয়ক তথ্যের প্রধান উৎস। উনিশ’শ আশির দশকে, যখনো টেলিভিশন ঘরে ঘরে পৌঁছায়নি, তখনো গ্রামের হাটেবাজারে, কমিউনিটি সেন্টারে প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় ‘মাটি ও মানুষ’ দেখার জন্য ভিড় করতো মানুষ।

কৃষকের বন্ধু ও কৃষি উন্নয়ন এর পথিকৃৎ শাইখ সিরাজের ৬৮তম জন্মদিন আজ
কৃষকের বন্ধু ও কৃষি উন্নয়ন এর পথিকৃৎ শাইখ সিরাজের ৭০তম জন্মদিন আজ

তবে কৃষকদের নতুন ধরণের কৃষিতে উৎসাহিত করার কাজটা সহজ ছিল না।

“আজকের কৃষক এবং তিরিশ বছর আগের কৃষকের মধ্যে তফাৎ আকাশ আর পাতাল। তখন কৃষকের কাছে একজন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা যে কথা বলতেন, একজন টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে আমি যেকথা বলতাম, সেটা তারা মানতে চাইতো না। তারা ভাবতো, আমরা যেধরণের কৃষির কথা বলছি, যদি সেটাতে ভালো ফসল না হয়? এ কারণে সে সহজে মোটিভেট হতে চাইতো না। সহজে নতুন প্রযুক্তি নিতে চাইতো না।”

“আমি যখন আশির দশকে উচ্চফলনশীল নতুন জাতের ধানের কথা বলছি, গমের কথা বলছি, তখন পরিস্কার তারা আমাকে বলতো এই রাবার ভাত খাবো না। তখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধানের মান তেমন ভালো ছিল না। ভাতটা ছিল রাবারের মতো, ভাতের দানা উপর থেকে থালার উপর ফেললে সেটি রাবারের মতো ড্রপ করতো।”

কিন্তু বিজ্ঞানীরা যখন তাদের গবেষণায় নতুন নতুন সাফল্য পাচ্ছিলেন, আর সেই সঙ্গে শাইখ সিরাজও তার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকদের মন জয় করার জন্য নতুন কৌশল নিচ্ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অশোকা ফেলো শাইখ সিরাজ খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র বিমোচন বিষয়ে সাংবাদিকতায় অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসাবে তিনি ২০০৯ সালে অর্জন করেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এ এইচ বুর্মা এ্যাওয়ার্ড। এ ছাড়া তিনি পেয়েছেন এশিয়ার মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গুসি পিস প্রাইজ, বৃটেনের বিসিএ গোল্ডেন জুবিলি অনার এ্যাওয়ার্ডস। বৃটিশ হাউজ অব কমন্স তাকে প্রদান করেছে বিশেষ সম্মাননা, বৃটিশ-বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সংগঠন তাকে দিয়েছে গ্রীন এ্যাওয়ার্ড। এ ছাড়া পেয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির স্বর্ণপদক, ডা. ইব্রাহিম মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক, রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদকসহ অর্ধশত দেশি-বিদেশি পুরস্কার ও সম্মাননা।

কৃষকের বন্ধু ও কৃষি উন্নয়ন এর পথিকৃৎ শাইখ সিরাজের ৭০তম জন্মদিন আজ
কৃষকের বন্ধু ও কৃষি উন্নয়ন এর পথিকৃৎ শাইখ সিরাজের ৭০তম জন্মদিন আজ

চ্যানেল আই ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখে থাকেন। তিনি এদেশে কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে নিরস বিষয় হিসাবে উপেক্ষিত কৃষিতে জাতীয় সংবাদের প্রধান খবরের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শাইখ সিরাজের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- মৎস্য ম্যানুয়েল, মাটি ও মানুষের চাষবাস, ফার্মার্স ফাইল, মাটির কাছে মানুষের কাছে, বাংলাদেশের কৃষি: প্রেক্ষাপট ২০০৮, কৃষি ও গণমাধ্যম, কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট (সম্পাদিত), আমার স্বপ্নের কৃষি, কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট (২০১১), সমকালীন কৃষি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (২০১১), কৃষি ও উন্নয়ন চিন্তা (২০১৩) ইত্যাদি।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে হতে পারে সারের সংকট

সারের সংকট
সারের সংকট
সারের সংকট

চলতি বোরো মৌসুমে সার কিনতে কৃষকদের সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে বেশি দিতে হয়েছে। আর সরকারকেও সার বাবদ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বাজেটে বরাদ্দের তিন গুণের বেশি—প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ এখন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার আমদানি নিয়ে বিপাকে পড়েছে।

ধান, আলু ও সবজি চাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমওপি সারের ৬০ শতাংশ আনা হতো রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে। ওই দুই দেশ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ায় এখন বাংলাদেশকে এমওপি কিনতে হচ্ছে কানাডা থেকে। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া ও আমদানিতে অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশে সারের সংকট হতে পারে। ভর্তুকির চাপ সামলাতে বাংলাদেশকে সব ধরনের সারের খুচরা মূল্য বাড়াতে হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিষয়ক সংস্থা ইউএসডিএর চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ‘বাংলাদেশে সার সরবরাহ ও ব্যবহারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এমওপি সারের ২০ শতাংশ সরবরাহ কমানো হলে সামনের বোরো মৌসুমে ধান, গম ও রবি মৌসুমের অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমতে পারে। এতে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

এমনিতেই এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সারের কারণে নতুন করে যাতে আর সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ এম এম শওকত আলী, সাবেক কৃষিসচিব

তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, দেশে চলতি বোরো মৌসুমে নতুন করে আর সারের দরকার হবে না। সামনে আলুর মৌসুমে ইউরিয়া, এমওপিসহ অন্যান্য সারের চাহিদা বাড়বে। ওই সময়ের জন্য সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কানাডা ও মধ্যপ্রাচ্যের সার সরবরাহকারী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।

জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কানাডা থেকে মোট আট লাখ টন এমওপি সার আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। এ ব্যাপারে ওই দেশের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা স্মারক হয়েছে। ফলে এই সার নিয়ে সরকারের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। তবে সার বাবদ সরকারের বিপুল পরিমাণে ভর্তুকি বাড়ছে। এই চাপ নিয়েও সরকার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ওই ভর্তুকি দিয়ে যাবে।’

কমানো হয়েছে চাহিদা

বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে ৬৯ লাখ টন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি—এই চার ধরনের সার ব্যবহার হয় ৫৭ লাখ টন। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের ওই চার ধরনের সারের চাহিদা কমিয়ে ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টনে নামিয়ে আনা হয়েছে।

দেশে প্রয়োজনীয় সারের ৮০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর মধ্যে এমওপি সারের বড় অংশ আসে রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে।

প্রসঙ্গত, ওই চারটি প্রধান সার কৃষকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরে সরকার প্রাথমিকভাবে সারে ভর্তুকি বাবদ ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে গত ছয় মাসে সারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বেশির ভাগ সারের দাম তিন থেকে চার গুণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারকে ভর্তুকির পরিমাণ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা করতে হয়। কিন্তু অর্থবছরের শেষের দিকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে হিসাব করে দেখা হয়েছে, ভর্তুকির পরিমাণ এবার বেড়ে কমপক্ষে ৩০ হাজার কোটি টাকা গিয়ে দাঁড়াবে।

জিপসাম, জিংক সালফেট ও অ্যামোনিয়াম সালফেট ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সারে সরকার কোনো ভর্তুকি দেয় না। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছে তা বিক্রি করে থাকেন। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষককেও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।

সাবেক কৃষিসচিব এ এম এম শওকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমনিতেই এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সারের কারণে নতুন করে যাতে আর সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আর সরকারের অন্যান্য খাতের ভর্তুকি কমিয়ে প্রয়োজনে সারে ভর্তুকি বাড়াতে হবে, যাতে সারের দাম কম থাকে। কারণ, কৃষকের হাতে এখন টাকা কম। বিশ্ববাজার থেকেও খাদ্য আমদানি করা সামনের দিনে আরও কঠিন হতে পারে। ফলে দেশের উৎপাদন ঠিক রাখতে সারের দাম ও জোগান ঠিক রাখা উচিত।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোটেক

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি

ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।

আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।

আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।

কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।

কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

পতিত জমিতে চিনাবাদাম চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

মেহেরপুর: পতিত ও অনুর্বর বেলে মাটির জমিতে চিনাবাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের চাষিরা। ফলন ও বাজার দর ভালো এবং কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন এই এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদামের চাষ। 

সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা, শ্যামপুর, টেংগারমাঠ ও গোপালপুর গ্রামের অধিকাংশ জমির মাটি বেলে। ফলে এই এলাকার চাষিরা ধান, গম, পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না।

ধান কাটার পর এ সব জমি সাধারণত পতিত থাকে। এজন্য ৯০ দিনের ফসল হিসেবে অল্প খরচে বাদাম চাষ করছেন এলাকার চাষিরা।  

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার বাদাম চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। এবার এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে চাষিদের খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা সেক্ষেত্রে বাদামের ফলন হয়েছে ৬ থেকে ৭ মণ। আর এ  ফলনে প্রায় ২০ হাজার টাকা ঘরে তুলছেন তারা। বাজারে প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ২৭শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।  সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের বাদাম চাষি খাঁজা আহমেদ, কাওছার আলী ও ফিরোজ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এলাকার মাটি বেলে হওয়ায় সাধারণত সবজি, আলু ও অন্যান্য ফসল চাষ করার পর জমি পতিত থাকে। সে সময়ে চিনা বাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে খরচ কম এবং উৎপাদন ও বাজার দর ভাল। তাই দিন দিন চাষিরা তাদের পতিত জমিতে চিনা বাদামের চাষ শুরু করছেন।  

এছাড়া বাদাম ছাড়ানো, শুকানোসহ যাবতীয় কাজ করে থাকেন এখানকার নারীরা। বাদামের গাছ আবার শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করছেন গৃহিণীরা।  

নারী শ্রমিক সাহানা খাতুন ও জরিমন নেছা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাদাম ছাড়ানো ও শুকানোর কাজ করে থাকি। এলাকার ২৫/৩০ জন নারী শ্রমিক এ কাজ করে আসছেন।  
গৃহিণী সাজেদা খাতুন ও জামেলা খাতুন জানান, বাদামের লতা জালানি হিসেবে বেশ ভাল। তাই লতাও বিক্রি হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, চিনা বাদামের চাষ সাধারণত পতিত জমিতে হয়ে থাকে। এলাকার চাষিরা এই জমিতে বাদামের চাষ করে বাড়তি আয় করছেন। তাই বাদাম চাষ যাতে আরও সম্প্রসারিত হয় সেজন্য কৃষি বিভাগ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে।  

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com