লকডাউনের সময়ে বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকার কারণে কারও কারও ওজন বেড়ে গেছে হঠাৎ। কারও কারও আবার আগে থেকেই বাড়তি ওজন। আর বাড়তি ওজন যে অনেক রকম অসুখের কারণ হতে পারে একথা প্রায় সবারই জানা। তাইতো ওজন কমানোর চেষ্টা করেন প্রতেক্যেই।
ডায়েট, জিম, ইয়োগা- নানা রকম প্রচেষ্টা করছেন? এর পাশাপাশি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের ডাল রাখতে পারেন, তাতে ওজন তো কমবেই, পাশাপাশি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিও মিলবে। বোল্ডস্কাই প্রকাশ করেছে তিন ধরনের ডালের কথা, যা খেলে কমবে ওজন। চলুন জেনে নেয়া যাক-
মসুর ডাল প্রায় সবার বাড়িতেই মসুর ডাল রান্না হয়। এটি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়। এই মসুর ডালও আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই ডাল সঠিক পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট এবং লো-ফ্যাট যুক্ত। এতে ফাইবার বেশি থাকে। এটি হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে। মসুর ডালে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রন, প্রভৃতি প্রচুর পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম মসুর ডালে ৩৫২ ক্যালোরি এবং ২৪.৬৩ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে, যা প্রোটিনের দৈনিক মানের ৪৪ শতাংশ।
মুগ ডাল সুন্দর গন্ধের জন্য মুগ ডাল পরিচিত। সাধারণত বাজারে দুই প্রকারের মুগ ডাল পাওয়া যায়, একটি খোসা ছাড়া হলুদ রঙের আর একটি খোসাসহ সবুজ রঙের। এই ডাল খাওয়ার সবচেয়ে লাভজনক দিকটি হলো, এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। মুগডাল ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা আমাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য তৃপ্ত রাখে। এছাড়াও, এই ডাল খুব সহজেই হজম হয়ে যায়।
কুলথি ডাল ইংরেজিতে এটি হর্স গ্রাম নামেও পরিচিত। কুলথি ডাল ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। কুলথি ডাল প্রোটিনের সেরা উৎস, যা আপনি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এই ডালে ভিটামিন, ফাইবার, মিনারেলস রয়েছে এবং এতে ক্যালোরিও কম থাকে, যা ওজন হ্রাসে খুবই সহায়ক। ওজন কমাতে চাইলে এসব ডাল নিয়মিত পাতে রাখুন। পাশাপাশি বজায় রাখুন স্বাস্থ্যকর ডায়েট, শরীরচর্চা ও ভালো ঘুম।
যে ৩ ধরনের ডাল খেলে কমবে ওজন
যে ৩ ধরনের ডাল খেলে কমবে ওজন
যে ৩ ধরনের ডাল খেলে কমবে ওজন
যে ৩ ধরনের ডাল খেলে কমবে ওজনযে ৩ ধরনের ডাল খেলে কমবে ওজন
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন