আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

যেমন মেঝে তেমন যত্ন!

মেঝে যেরকমই হোক না কেন একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু যত্ন নেওয়া যায়! রইলো ধরনভেদে মেঝের যত্নের কিছু টিপস

মার্বেলের তৈরিই হোক বা কাঠের, বাড়ির মেঝেকে ঝকঝকে রাখতে গেলে দরকার নিয়মিত যত্নের। তেল, ময়লা জমে অকালেই আপনার সাধের মেঝে হয়ত মলিন হয়ে পড়েছে। তবে চিন্তা করবেন না, মেঝে যেরকমই হোক না কেন একটু চেষ্টা করলেই যত্ন নেওয়া যায়। রইলো ধরনভেদে মেঝের যত্নের কিছু টিপস।

মার্বেলের মেঝে

১.আপনার ঘরের সুন্দর ঝকঝকে মার্বেলের মেঝেতে যদি দাগ হয়ে যায় বা অ্যাসিড জাতীয় কিছু পড়ে দেখতে খারাপ হয়ে যায়, তাহলে মার্বলের মেঝে পরিষ্কার করার জন্য বারবার জোরে ঘষাঘষি বা স্ক্রাব করবেন না। আলতো করে ভিজে নরম কাপড় বা মপ দিয়ে নিয়ম করে ঘর মোছার চেষ্টা করুন। সার্কুলার মোশনে মোছার চেষ্টা করবেন না, ওতে খুব তাড়াতাড়ি মার্বলের চকচকে ভাবটা চলে যেতে পারে। 

২.কোনও খাবার (কফি, কোল্ড ড্রিঙ্ক, সোডা) বা রং বা অন্য কোনও কেমিক্যাল যদি সাদা মার্বেল পাথরের মেঝেতে পড়ে, সেক্ষেত্রে সঙ্গেসঙ্গে তা মুছে ফেলার চেষ্টা করুন। মোছার জন্য কিন্তু ভিনিগার, লেবুর রস ইত্যাদি অ্যাসিডযুক্ত জিনিস ব্যবহার করবেন না। পি এইচ নিউট্রাল কোনও লিক্যুইড সাবান পানিতে গুলে তা দিয়ে মেঝে মুছে নিন।

মোজাইক মেঝে

রোজ নিয়ম করে মেঝে তো পরিষ্কার করবেনই। মোজ়েইকের মেঝে যদি ঝকঝকে রাখতে চাইলে, লিক্যুইড ডিটারজেন্ট দিয়ে ভাল করে মুছে নিন। পুরনো জেদি দাগ বা মেঝের পাথরের টুকরোর খাঁজে জমে থাকা ময়লা তোলার জন্য এক বালতি জলে অল্প ব্লিচিং পাউডার দিয়ে মুছে নিতে পারেন।

কাঠের মেঝে

আমাদের এখানে যেরকম আবহাওয়া বা বাতাসে বছরভর যেরকম আর্দ্রতা থাকে, তাতে কাঠের মেঝে কিন্তু বেশিদিন না টেকার আশঙ্কাই বেশি। কিন্তু তা-ও বাড়ির কোনও একটা নির্দিষ্ট জায়গায় শখ করে কাঠের ফ্লোরিং আপনি করেই ফেলেছেন। সেক্ষেত্রে যত্ন নিতে হলে কিন্তু খুব সতর্ক থাকতে হবে। কাঠের মেঝেতে পানি ফেলা বা পানি দিয়ে মোছামুছি ভুলেও করবেন না। রোজ শুকনো কাপড় বা মপ দিয়ে পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে একদিন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা কিন্তু মাস্ট। এছাড়া কাঠের মেঝে পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ ক্লিনার পাওয়া যায়। সেগুলো দিয়েও কিন্তু মাসে দুই থেকে তিনবার মেঝে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

টাইলস

নানারকম টাইলস দিয়ে মেঝে আজকাল অনেকেই তৈরি করেন। আর সেগুলোর ঠিক করে যত্ন-আত্তি না করলে দেখতে খারাপ হয়ে যায়। রোজ মেঝে তাই ভাল করে শুকনো কিছু দিয়ে মুছে নিন। এক্ষেত্রে টাইলস পরিষ্কার করার নন-অয়েল বেসড, পি এইচ ফ্রি কোনও লিক্যুইড সাবান পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন।

বাথরুমের মেঝে

বাথরুমের মেঝে পোর্সিলেন বা সেরামিকের তৈরি টাইলস দিয়ে তৈরি করাই সবথেকে ভাল। তবে অন্য কিছু দিয়ে যদি মেঝে তৈরি করে থাকেন, তাহলে চিন্তা নেই। বাথরুম এমনিতেই সারাক্ষণই ভিজে থাকে, তাই পিছল হয়ে যায়। বাজারে বাথরুম পরিষ্কার করার নানারকম ক্লিনিং সোপ পাওয়া যায়। সেগুলো দিয়ে নিয়ম করে বাথরুম পরিষ্কার করুন। আর প্রতিবার ব্যবহার করার পর সম্ভব হলে মুছে নিতে ভুলবেন না।

রান্নাঘরের মেঝের যত্ন

রান্নাঘরের মেঝেতে তেল বা মশলা ও অন্যান্য জিনিস পড়ে চিটচিটে হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। তাই রান্নাঘরকে রোজই খুব ভাল করে পরিষ্কার করা দরকার। হালকা গরম পানি করে তাতে ভাল, শক্তিশালী কোনও লিক্যুইড সোপ দিয়ে পরিষ্কার করলে তাড়াতাড়ি তেলতেলে ভাব উঠে যায়। টাইলসের খাঁজে ময়লা জমে থাকলে সেগুলোর দিকেও আলাদা করে নজর দিন।   

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com