আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মোদি সরকারের কৃষি বিল ‘কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানা’

বিরোধীদের তুমুল প্রতিবাদের মধ্যেই রোববার ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পেশ হল কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার সংক্রান্ত মোদি সরকারের দুটি বিতর্কিত বিল। বিলগুলো নিম্নকক্ষ লোকসভায় ওঠার পর থেকেই দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস বলেছে, এই বিল ‘কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানা’।

বিলটির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন বিজেপি সরকারের জোট শরিক অকালি দলের এক মন্ত্রী। তবে কেন্দ্রীয় কৃষি উন্নয়ন, কৃষক কল্যাণ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার রোববার বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করে বলেন, ‘কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম পাওয়ার পথে এই বিল কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না।’

করোনাকালে কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বিজেপিদলীয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। নিয়ম মেনে এবার সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে সেগুলো আইনে পরিণত করা হচ্ছে। লোকসভায় সে জন্য তিনটি বিল পাস করা হয়েছে। কিন্তু বিরোধিতায় নেমে গেছে কৃষিপ্রধান রাজ্যগুলো।

পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যের চাষীরা রোববার সকাল থেকেই মোদি সরকারের এই কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে পথে নেমেছেন। উত্তর ভারতের প্রভাবশালী কৃষক সংগঠন ‘ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন’ স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে পথ অবরোধ আন্দোলন ঘোষণা করছে।

‘অত্যাবশ্যক পণ্য আইন’ সংশোধন, ‘কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’ নামে তিনটি বিল ইতোমধ্যেই লোকসভায় পাস হয়েছে। রোববার ‘অত্যাবশ্যক পণ্য আইন’ সংশোধন বাদে বাকি আইন দুটি পাশের জন্য রাজ্যসভায় পেশ করা হয়েছে।

আন্দোলনকারী চাষী ও বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, এই বিলগুলো কৃষকদের স্বার্থ উপেক্ষা করে বড় ব্যবসায়ী এবং করপোরেট সংস্থাগুলোকে একতরফাভাবে ফসলের দাম নির্ধারণ এবং মজুতদারির অধিকার দেয়া হয়েছে।

বিরোধী ছাড়াও লোকসভায় কৃষি সংস্কার বিলের প্রতিবাদে বিজেপির সবচেয়ে পুরনো শরিক অকালি দলের প্রধান প্রকাশ সিং বাদলের পুত্রবধূ হরসিমরত কৌর বাদল মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন। এ ছাড়া হরিয়ানায় বিজেপির জোটসঙ্গী জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে।

বিল নিয়ে বিতর্ক এতটাই মাথা চাড়া দিয়েছে যে স্বয়য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও বিলটি নিয়ে মুখ খুলতে হয়েছে। বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘কৃষি বিল নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে যে, সরকারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) মিলবে না। ঐতিহাসিক এই বিল কৃষকদের রক্ষাকবচ।’

মোদির এমন দাবির পর কংগ্রেসদলীয় সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম শনিবার প্রশ্ন তোলেন, ‘চাষীরা সরকারি মন্ডির বাইরে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাকে ফসল বিক্রি করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা তার চেয়ে বেশি দরে ফসল কিনতে বাধ্য থাকবেন, এমন কোনও শর্তের কথা বিলে নেই কেন?’

তবে বিরোধিতা যত হোক অংকের হিসাবে রাজ্যসভায় সরকারপক্ষের জয় নিশ্চিত। কেননা ২৪৫ সদস্যের রাজ্যসভায় অন্তত ১৩০টি ভোট পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বিজেপি। এনডিএ জোটের শরিকরা ছাড়াও বিজু জনতা দল, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো দলগুলো বিলের পক্ষে ভোট দেবে বলে সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com