আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মেস্তা বা রোজেলার গুণের নেই শেষ

রোজেলা টি ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চা-প্রেমী মানুষের কাছে। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও ডি থাকার কারণে অনেকেই করোনা প্রতিরোধের জন্য টোটকা হিসেবে পান করছেন রোজেলা ফুল গরম পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে বানানো রোজেলা টি। এই রোজেলা টি পান করতে করতে এর বংশ-পরিচয় খুঁজে ফেলা যাক।

মেস্তা বা রোজেলা
মেস্তা বা রোজেলা

সরেল (Sorell) নামেও পরিচিত এই গুল্মজাতীয় উদ্ভিদটির আদি ভূমি পশ্চিম আফ্রিকা বলে মনে করা হয়। জবা ফুলের সমগোত্রীয় এই গাছের আঁশ থেকে একসময় কাপড় তৈরির সুতা উৎপন্ন করা হতো। এ ছাড়া পাটের বিকল্প হিসেবেও এটি চাষ করা হতো আমাদের দেশে। মেস্তাশাক এখনো খাওয়া হয়। আবার কোনো কোনো অঞ্চলে এর ফুল পানিতে ফুটিয়ে পানের প্রচলন ছিল। পরবর্তী সময়ে এর ফুল, পাতা ও বীজের ঔষধি গুণের কথা ব্যাপকভাবে জানা যায়।বিজ্ঞাপন

নামের বাহার

জনপ্রিয় জবা ফুলের চা বা হিবিস্কাস টির মতোই এখন বিশ্বে রোজেলা টি সবার কাছে সমাদৃত। আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মতো আমাদের এই উপমহাদেশেও এই গাছ আনাচকানাচে ছড়িয়ে আছে। তবে অঞ্চলভেদে এর নামকরণের বিভিন্নতা সত্যি বিস্ময়কর। আমাদের এই বাংলাদেশে বাংলাভাষীদের মধ্যে রোজেলা যে নামগুলোতে প্রধানত পরিচিত, সেগুলো হচ্ছে চুকই, চুকর, মেস্তা, মেসট, হইলফা ইত্যাদি।

বিভিন্ন ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর মধ্যে এর ব্যাপক ব্যবহার ও প্রচলন রয়েছে, যা ভাষা ভেদে ইপলি আরা, জেঙ্গা, কোটলে আরা, লাল কুদরুম, যুগি থেপা ইত্যাদি নামে পরিচিত। আবার ওপার বাংলায় কোনো কোনো স্থানে একে খুব মজার এক নামে ডাকা হয়। তা হলো টক ঢ্যাঁড়স। এই নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে চুকই বা মেস্তা অম্ল স্বাদযুক্ত। এর পাতা আমাদের বাংলাদেশে টক পাতা নামে পাওয়া যায়, যা কিনা শাক হিসেবে খাওয়া হয়।

পুষ্টিগুণ

দেখতে অদ্ভুত মনোহর এই লাল টুকটুকে চুকই ফুলের রসাল পাপড়িগুলোর রূপ-গুণ দুই-ই উল্লেখ করার মতো। এতে আছে গসিপেক্টাইন, হাইবিসিসটাইন এবং সাবদারেটিন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কিনা আজকালকার বহুল প্রচলিত বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত ও জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড খাদ্যে থাকা খুবই ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অত্যন্ত কম খরচে এই মেস্তা আমাদের ভিটামিন সির প্রধানতম উত্স হয়ে উঠতে পারে। এতে কমলালেবুর তুলনায় প্রায় ৯ গুণ এবং পেয়ারার তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে। এ ছাড়া চুকই বা মেস্তা থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন বি ওয়ান, বি টু, বি সিক্স, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন ইত্যাদি।

মেস্তা ফুল
মেস্তা ফুল

গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বাস্থ্য রক্ষা ও চিকিৎসার উদ্দেশ্যে চুকই বা মেস্তার প্রচুর ব্যবহার দেখা যায়। এতে যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিন থাকায় প্রাকৃতিকভাবে জেল তৈরি করার সক্ষমতা আছে বলে এর পাপড়ি, বৃতি ও বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমে ব্যবহৃত হয়।বিজ্ঞাপন

চুকই বা মেস্তা একাধারে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণসম্পন্ন বলে আমাদের প্রাত্যহিক খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে এর অন্তর্ভুক্তি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এই মহামারির বিপৎসংকুল সময়ে চুকই চা পানের অভ্যাস আমাদের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের প্রধান উৎস হয়ে উঠতে পারে। সাধারণভাবে আমাদের দেশের বনে-বাদাড়ে, আনাচকানাচে, এমনকি বাড়ির উঠোনে নিজে নিজেই জন্মানো এই চুকইগাছ আদিকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে খাদ্য, পানীয় ও ঔষধি হিসেবে।

খাবারে

শুকনো মেস্তা বা রোজেলা
শুকনো মেস্তা বা রোজেলা

গরম ভাতের সঙ্গে শুকনা মরিচ ও রসুনে ভাজা চুকই বা মেস্তার শাক অত্যন্ত উপাদেয়। এ ছাড়া এর ফুলের লাল পাপড়িগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে তা যুগ যুগ ধরে রান্নায় ব্যবহার করা হয় গ্রামবাংলায়। ছোট মাছের চচ্চড়ি, ভর্তা, খাট্টা, ডাল, চাটনি—সবকিছুতেই টক স্বাদের চুকই বা মেস্তা এক অনন্য মুখরোচক স্বাদ নিয়ে আসে। এ ছাড়া মেস্তা দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি তৈরি করে বহু দিন সংরক্ষণ করা যায়।

চা বা পানীয়ের উপকারিতা

প্রতিদিন অন্তত এক কাপ  রোজেলা টি আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে
প্রতিদিন অন্তত এক কাপ রোজেলা টি আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে 

চুকই ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে তা দিয়ে প্রস্তুত করা চা পুরো বিশ্বে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তের তারল্যসংকট, হৃদ্‌রোগ, রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো প্রাণঘাতী রোগের চিকিৎসায় সমাদৃত। এই ফুলের লাল রঙের পাপড়ি শুকিয়ে গরম পানিতে ভিজিয়ে চা বা পানীয় বানালে তার রূপ, স্বাদ, গন্ধ—সবকিছুই হয় অনন্য, যা বেশির ভাগ ঔষধি পানীয়ের সঙ্গে তুলনা করলে খুবই ব্যতিক্রমধর্মী। স্বাদ বাড়ানোর জন্য এতে সামান্য মধু, গোলমরিচের গুঁড়া, ভাজা জিরার গুঁড়া বা বিট লবণও দেওয়া যায়। এই পানীয় ঠান্ডা বা গরম যেভাবে ইচ্ছা, দিনে যতবার ইচ্ছা পান করা যায়। শুধু গ্যাস্ট্রিক-আলসারের রোগীদের এই অম্ল স্বাদযুক্ত চা সেবনের বেলায় একটু সাবধান হওয়া উচিত। হাড়ের ক্ষয়রোগ, হাড়ের গিঁটে বাত, মূত্রজনিত বা মূত্রনালির সমস্যা, মুখের ঘা ইত্যাদি রোগেও চুকইয়ের চা পান করে অনেক সুফল পাওয়া যায়।

বাণিজ্যিক চাষ

উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই চুকই বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে একে ফসল হিসেবে একটি সম্ভাবনাময় খাতে পরিণত করা যেতে পারে। চুকই বা মেস্তা দিয়ে উৎপাদিত চা, আমসত্ত্বের মতো ফ্রুট স্ন্যাক্স, জ্যাম, জেলি, জুস, আচার ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। ভূমিরূপ ও জলবায়ুজনিত কারণে সিলেট অঞ্চলে এই চুকই ব্যাপক আকারে চাষ করা সম্ভব। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট সাম্প্রতিক সময়ে বন্য প্রজাতির চুকই (এম-৭১৫) থেকে গবেষণার মাধ্যমে একটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। এই জাত ২০১০ সালে বিজেআরআই মেস্তা-২ (সবজি মেস্তা-১) নামে পরিচিত।

ভূমিরূপ ও জলবায়ুজনিত কারণে সিলেট অঞ্চলে এই চুকই ব্যাপক আকারে চাষ করা সম্ভব
ভূমিরূপ ও জলবায়ুজনিত কারণে সিলেট অঞ্চলে এই চুকই ব্যাপক আকারে চাষ করা সম্ভব

চুকই বা মেস্তার গুণের কথা যেমন বলে শেষ হওয়ার নয়, আমাদের দেশে একেবারে সর্বজনীনভাবে কিছুটা অপ্রচলিত খাদ্য উৎস হওয়ার কারণে এর যথাযথ প্রচার-প্রসারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিদিন অন্তত এক কাপ চুকই চা বা রোজেলা টির রক্তিমাভ সৌন্দর্য আর চনমনে স্বাদ আমাদের সবার ঘরে ঘরে সুলভে সুস্বাস্থ্যের বার্তা নিয়ে আসুক।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com