আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মাস্ক ব্যবহার করুন: টিকা এখনই করোনাভাইরাসের সমাধান দেবে না

করোনাভাইরাস কখনই একেবারে শেষ হয়ে যাবে না এবং মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এমন অনেক মৌসুমী ভাইরাসগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠবে

শিগগিরই সময় আপনার মাস্কটি ফেলে দেওয়ার কথা ভাববেন না। কারণ টিকা এখনই করোনাভাইরাস সমস্যার সমাধান দেবে না। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কোভিড-১৯ টিকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি ২০২১ সালেরও কয়েক মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।

চলতি সপ্তাহে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ৭০% কার্যকর বলে জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিনটির যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে ট্রায়ালের পর এই ফল পাওয়া গেছে।

ফাইজার গত সপ্তাহে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনকে তাদের টিকা বিতরণ শুরু করতে জরুরি অনুমোদনের জন্য বলেছে এবং মডার্নাও যে কোনোদিন এর জন্য আবেদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে বেশিরভাগ লোককে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করার জন্য কয়েক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

ফাইজার এবং মডার্নার টিকাগুলোর জন্য দুটি করে ডোজ প্রয়োজন, যার অর্থ হলো মানুষের পুরো সুরক্ষার জন্য যথাক্রমে তিন এবং চার সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।

মডার্নার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা একজন ব্যক্তিকে কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা দেবে। কিন্তু এটি নেওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে ভাইরাসটি অন্যদের মধ্যে ছড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন মডার্নার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ড. টাল জ্যাকস।

অর্থাৎ, এই টিকা নিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সুরক্ষিত থাকলেও তার মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। টিকা গ্রহীতা ভাইরাসটি বহন করতে পারেন। এই টিকা ভাইরাসটির বাহক হওয়া থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিরত রাখতে কতটা কার্যকর, তা এখনো নিশ্চিত করে বলার সুযোগ নেই।

মাস্ক ব্যবহার দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে

টিকাগুলো সর্বদা সবার জন্য কার্যকর থাকে না, উদাহরণস্বরূপ- মৌসুমী ফ্লু টিকাগুলো প্রায় ২০% থেকে ৬০% ক্ষেত্রে কার্যকর হয়েছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার এবং মডার্না জানিয়েছে, তাদের তৈরি টিকা কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ৯০% বা তার চেয়েও বেশি কার্যকর। তবে গবেষণা শেষ হওয়ার সাথে সাথে এই হারগুলো পরিবর্তিত হতে পারে।

সম্পূর্ণরূপে সংক্রমণ রোধ করার পরিবর্তে প্রথমে কোভিড-১৯ টিকা কেবল অসুস্থতা প্রতিরোধ করতে পারে। টিকা নেওয়া লোকেরা ভাইরাস সংক্রমণ করতে সক্ষম হতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক ব্যবহার কিছু সময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

টিকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা বিশেষজ্ঞ দেবোরাহ ফুলার বলেন, একটি কোভিড-১৯ টিকার প্রথম প্রয়োগ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এক ডিগ্রি সুরক্ষা আনতে পারে, যার অর্থ সংক্রমিত লোকেরা অন্যথায় যেমন অসুস্থ নাও হতে পারে। তবে দ্বিতীয় প্রয়োগের পরে বা পুরো প্রয়োগ হওয়ার প্রায় ছয় সপ্তাহ পরে সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিতে পারে।

উইসকনসিনের মার্শফিল্ড ক্লিনিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের টিকা গবেষক ড. এডওয়ার্ড বেলঙ্গিয়া বলেন, আগামী কয়েক বছরে ভাইরাস পরিবর্তিত হবে এবং টিকার সুরক্ষা কতদিন স্থায়ী হয় তার ওপর নির্ভর করে পরে বুস্টার প্রয়োগ প্রয়োজন হতে পারে।

বেলঙ্গিয়াসহ বেশ কয়েকজন বলেছেন যে, করোনাভাইরাস কখনই একেবারে শেষ হয়ে যাবে না এবং মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এমন অনেক মৌসুমী ভাইরাসগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠবে। তাহলে টিকাগুলো কীভাবে ভাইরাসটির হুমকিকে সেই পর্যায়ে কমাতে সাহায্য করবে?

বেলঙ্গিয়া বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের কেবল অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে।”

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com