আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মাস্ক ছাড়া সবই হচ্ছে গণপরিবহনে!

করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সরকার বারবার ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস (মাস্ক নেই তো সেবা নেই)’ নীতির কথা বললেও পথেঘাটে, মাঠ পর্যায়ে তার প্রয়োগ নেই। গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়াই যাত্রী চড়ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চালক ও তার সহকারীর মাস্কই নেই। মাস্ক না থাকলেও সরকারি দপ্তরে সেবা মিলছে। রেলের কাউন্টারে মাস্কহীন যাত্রীও টিকিট পাচ্ছেন।


গত তিন দিন রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাসে উঠে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যাত্রীদের প্রায় অর্ধেকই মাস্ক ছাড়া। দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ হলেও তা মানা হচ্ছে না। বাসে ওঠার আগে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিস্কারের শর্তও মানা হচ্ছে না।
যাত্রী ওঠার হুড়াহুড়ির মধ্যেই কথা হয় বলাকা বাসের চালকের সহকারী মো. রনির সঙ্গে। তার নিজেরও মাস্ক নেই। তিনি জানালেন, সকালে মাস্ক নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর কোথায় যেন পড়ে গেছে! বাসটির চালকের মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি।
এর আগে মগবাজার মোড়ে মিডলাইন পরিবহনের বাসেও একই দৃশ্য দেখা যায়। বাসটির চালক মোহাম্মদ নবীও ছিলেন মাস্কহীন। তার ভাষ্য, মাস্ক পরে গরমে বাস চালানো কঠিন। আর যাত্রীরা যেহেতু তার সংস্পর্শে আসে না, তাই মাস্ক পরা জরুরি নয়!


বিজয় সরণি মোড়ে কথা হয় ট্রাফিক সার্জেন্ট রাইসুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানালেন, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকলে তারা মামলা দেন, জরিমানা করেন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, মাস্ক না পরলে শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে  তাদের কাছে এমন কোনো নির্দেশনা নেই।
করোনার কারণে ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর ১ জুন থেকে ১১ শর্তে চলছে গণপরিবহন। যার একটি শর্ত হলো- চালক, যাত্রীসহ বাসের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। গত জুনে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা গতি হারিয়েছে।
গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতির কথা বলেন। তার বরাত দিয়ে সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- মাস্ক ছাড়া কেউ সরকারি-বেসরকারি অফিসে প্রবেশ করতে পারবেন না; সেবা পাবেন না। হাটবাজার, গণপরিবহন, ধর্মীয় স্থানসহ লোকসমাগম হয় এমন স্থানে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
এ সিদ্ধান্তের পরদিনই কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মাস্ক ছাড়াই কাউন্টার থেকে টিকিট নিচ্ছেন যাত্রীরা। তবে ট্রেনে চড়তে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগে মাস্ক পরতে হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ যাত্রী প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেই মাস্ক খুলে ফেলছেন।

কমলাপুরের ২১টি কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, টিকিটপ্রত্যাশীদের অর্ধেকের বেশির মুখে মাস্ক নেই। অনেকে মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছেন। মাস্ক ছাড়াই টিকিট পাওয়া যাত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবাব না দিয়ে চলে যান। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মো. আমিনুল হকের ভাষ্য, মাস্ক ছাড়া যাত্রীদের টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা কার্যকরও করা হচ্ছে। কিন্তু কিছু যাত্রী মানতে না চাওয়ায় পুরোপুরি কার্যকর করা যাচ্ছে না।
সরকারি অফিসে মাস্ক ছাড়া সেবা পাওয়ার কথা না থাকলেও বিআরটিএতে তা কার্যকর নেই। প্রতিষ্ঠানটির মিরপুর সার্কেলে সেবার জন্য ভিড় করা অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। মাস্ক না থাকলেও প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে বাধা পেতে হচ্ছে না। তবে বিআরটিএর কর্মীদের জন্য সুরক্ষা রয়েছে। তাদের টেবিলে কাচের ঘেরাও দেওয়া হয়েছে। তারা সেবা দিচ্ছেন কাচের ওপার থেকে। সহকারী পরিচালক শামসুল কবির জানালেন, কর্মকর্তাদের কক্ষে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com