আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মানুষ কেন দুই-নাম্বারি করে

আজ যে গল্পটা করব, সেটার নাম হলো দুই-নাম্বারির গল্প। শুরুতে বলে রাখি, এই দুই-নাম্বারির গল্পটা সাহিত্য কিংবা সিনেমার কোনো নায়ক-নায়িকা-ভিলেনের গল্প নয়, বরং ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় একটি ব্যাধি বা রোগের গল্প। এই দুই-নাম্বারি রোগটি ইঁদুর, বিড়াল, কুকুর ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায় না, বরং মানুষের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এটিকে একটি মানুষবাহিত রোগ হিসেবেও বিবেচনা করতে পারেন। এই দুই-নাম্বারি রোগকে সভ্য সমাজের মানুষেরা দুর্নীতি নামেও ডাকে।

যা হোক, চলুন এবার গল্পের ভেতর ডুব দেওয়া যাক। বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির যে র‍্যাঙ্কিং হয়, সেখানে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিবাজ দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের নাম প্রথম সারিতে ঘুরেফিরে আসে। দুর্নীতি করা, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া এবং দুর্নীতিকে পাশ কেটে যাওয়ার মতন বিষয়গুলোর সঙ্গে আমাদের মনোজগৎ সচেতনভাবে কিংবা অবচেতনভাবে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছে। তাই ইদানীং ‘দুর্নীতি’ শব্দটি শুনলে কেউ আর আগের মতন চমকে ওঠে না। এটি ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও জাতীয় জীবনের ক্ষেত্রে যেমন মারাত্মক ক্ষতিকর, নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ, ঠিক তেমনি ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এখন প্রশ্ন হলো সবকিছু জানা-বোঝা সত্ত্বেও মানুষ তবু কেন দুর্নীতি করে।

সেই রহস্য উন্মোচনের পথ ধরে মানুষের কোন ধরনের মন-মানসিকতা-আচরণ বা সাইকোলজি দুর্নীতির পেছনে কাজ করে, সেটার অনুসন্ধানই আজকের গল্পের ভেতরের গল্প।

আমরা সবাই জানি যে দুর্নীতি হলো একধরনের অসততা ও অপরাধমূলক আচরণ বা কাজ, যেটা ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিগত লাভের জন্য করে থাকে। এই একক লাভের বিপরীতে অনেক মানুষের সামগ্রিক লাভ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলতে গেলে, দুর্নীতিকে মানুষের চিন্তা ও আচরণের সমন্বয়ে সংগঠিত একটি কার্যাবলি হিসেবে চিহ্নিত করা যায়, যা ধর্মীয়ভাবে, সামাজিকভাবে ও আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মানুষকে করতে দেখা যায়।

মানুষ দুর্নীতি করবে নাকি করবে না, সেই সিদ্ধান্ত হঠাৎ এক দিনে নেয় না। দুর্নীতি করার মানসিক অবকাঠামো বা মেন্টাল স্কিমা মানুষের ভেতর ধীরে ধীরে তৈরি হয়। সঠিক সময় ও পরিস্থিতি বুঝে সেটা পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত হয়। ব্যক্তিস্বার্থকে যারা সব সময় এবং সব পরিস্থিতিতে মুখ্য হিসেবে দেখে, তাদের ভেতর দুর্নীতির প্রবণতা বেশি দেখা যায়। নীতি-নৈতিকতা যাদের ভেতর কম কাজ করে, যারা চরম মাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক, তাদের ভেতর ব্যক্তিস্বার্থ বেশি কাজ করে। যে কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন এলোমেলো করে দেওয়া করোনা মহামারির মধ্যেও মানুষের জন্য সকারের বরাদ্দকৃত টাকা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ হাপিস করতে দেখা যায় কিছু মানুষকে।

ব্যক্তিস্বার্থ যখন একজন মানুষের ভেতর মুখ্য হয়ে ওঠে, তখন তার ভেতরের নৈতিকতা ও অনৈতিকতার মধ্যকার ফারাক বা ব্যবধান কমে যায়। নৈতিকতা ও অনৈতিকতার মধ্যকার ব্যবধান কমে গেলে যেকোনো খারাপ কাজ করার পর মানুষের ভেতর অনুশোচনা বা অপরাধবোধ কম কাজ করে। মানুষের বিবেককে সব সময় সক্রিয় রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট মাত্রার অপরাধবোধপ্রবণতা থাকা অত্যাবশ্যক। এই অপরাধবোধপ্রবণতা সক্রিয় না থাকার কারণে দুর্নীতিবাজদের ক্ষেত্রে আমরা ‘বিবেক’ বলতে যা বুঝি, সেটা ঠিকঠাক কাজ করে না।

এ ছাড়া বর্তমান সময়ে প্রচলিত পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা মানুষের ভেতর লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিস্বার্থ নামক প্রবণতাকে সফলতার নামে, প্রতিযোগিতার নামে প্রায় সময় উসকে দেয়। মানুষের আকাঙ্ক্ষা/লোভ পাগলা ঘোড়ার মতন শুধু দৌড়ায়। ব্যক্তি এবং অবস্থানভেদে সেই পাগলা ঘোড়াকে কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কেউ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। ব্যক্তিস্বার্থের প্রবণতাকে যারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাদের ভেতর আত্মনিয়ন্ত্রণ, ব্যক্তিগত আদর্শ, অপরাধবোধ, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা, সামগ্রিক কল্যাণ ইত্যাদি বিষয় প্রধান প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

প্রচলিত পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা মানুষের ভেতর লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিস্বার্থকে উসকে দেয়

আমরা প্রায় সময় একটি কথা শুনি, সেটা হলো ‘অমুক’ লোকটি আগে সৎ ছিল, কিন্তু চাকরিতে কিংবা ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার পর লোকটি দুর্নীতিবাজ হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন হলো, কেন এ রকম ঘটে। নৈতিকভাবে সৎ একজন লোক যে পরিবেশে কাজ করে, সেই পরিবেশে যদি অন্যান্য লোকজন কমবেশি দুর্নীতিমূলক কাজ করে, তবে সেসব পারিপার্শ্বিক মানুষের অনৈতিক কাজকর্ম ওই সৎ লোকের ভেতর প্রথম দিকে নৈতিক অস্বস্তি তৈরি করে।

যেহেতু মানুষের মন কোনো ধরনের অস্বস্তির ভেতর বেশিক্ষণ থাকতে চায় না, সেহেতু নৈতিক অস্বস্তি থেকে মুক্তির জন্য হলেও ওই সৎ লোক চারপাশের মানুষের অনৈতিক কাজগুলো নিজের মতন করে একটি মানসিক যুক্তির অধীনে নিয়ে আসে, যেমন: বেতন কম তাই হয়তো দুর্নীতি করছে, দৈনন্দিন খরচ বেড়ে গেছে তাই হয়তো দুর্নীতি করছে, ছোটখাটো দুর্নীতি প্রতিষ্ঠানের তেমন বড় কোনো ক্ষতি করে না ইত্যাদি। এটাকে বলে আত্মযুক্তিকরণ পদ্ধতি।

এই পদ্ধতি ওই লোককে মানসিক অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয় এবং পরবর্তী সময়ে সেও ধীরে ধীরে অনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলানো শুরু করে। আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজেরা যেসব আত্মযুক্তিকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হলো ধর্মীয় উপাসনালয়ে বা এতিমখানায় দুর্নীতির টাকা ও সম্পত্তি দান করা। এটাকে কালোটাকা সাদা বানানোর একটি মানসিক সংস্করণ বলা যেতে পারে।

যে দেশে গুণীর কদর নেই, সেই দেশে গুণী জন্মায় না, অনেক আগে বলেছেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। যে পরিবারে, সমাজে, প্রতিষ্ঠানে এবং রাষ্ট্রের ভেতর সততার কদর নেই, সেখানে সৎ মানুষ জন্মায় না। কদর করা মানে হলো পুরস্কৃত করা, সম্মানিত করা। সৎ মানুষ, সৎ চাকরিজীবী, সৎ আমলা, সৎ ব্যবসায়ী এবং সৎ রাজনীতিবিদকে যথাযথ সময়ে পুরস্কৃত করা না হলে সততাকেন্দ্রিক চিন্তা ও আচরণের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও অনুশীলন কমে যাবে। ফলে, খুব স্বাভাবিকভাবেই অসততা বা দুর্নীতি বেড়ে যাবে।

অন্যদিকে, শাস্তিযোগ্য অপরাধ জানা সত্ত্বেও মানুষ সাধারণত তখনই দুর্নীতি করার সিদ্ধান্ত নেয়, যখন সে বুঝতে পারে যে দুর্নীতির বিচার ও শাস্তি সে যেকোনো উপায়ে এড়িয়ে যেতে পারবে। এ ছাড়া দুর্নীতিমূলক কাজের প্রাপ্তি বা লাভ যদি দুর্নীতির শাস্তির ফলাফলের চেয়ে বেশি হয়, তবে সেই শাস্তি মানুষের দুর্নীতিপ্রবণতাকে রোধ করতে পারে না। দুর্নীতির বিচার না হওয়া, শাস্তি না হওয়া বা সামাজিক চাপ তৈরি

একজন ব্যক্তি কোন ধরনের আচরণ করবে এবং কোন ধরনের আচরণ করবে না, সেটার পেছনে সামাজিক চাপ/পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে একঘরে করে রাখা, তিক্ত সমালোচনা করা, বিদ্রূপ করার বদলে উল্টো সামাজিকভাবে সম্মানিত করা কিংবা ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করার প্রবণতা অনেক দিন ধরে আমাদের সমাজে দেখা যাচ্ছে। এই ধরনের সামাজিক প্রবণতা বর্তমানের ও ভবিষ্যতের দুর্নীতিবাজদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টির বদলে উল্টো মানসিক প্রেরণা জোগায়।

এ পর্যায়ে এসে একটি বিষয়ে কথা না বলেই নয়, সেটা হলো পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা। কারণ, এই দুই শিক্ষাব্যবস্থা মানবমনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। আমরা সবাই দেখছি যে যারা বড় বড় দুর্নীতি করছে, তারা সবাই কমবেশি পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত। তাই বলতে দ্বিধা নেই যে আমাদের এই দুই শিক্ষাব্যবস্থায় নিশ্চয় বড় ধরনের কোনো ত্রুটি আছে, যা মানুষের ভেতরকার সততা ও নৈতিকতার ভিত্তিকে ঠিকঠাকভাবে তৈরি করতে পারছে না

আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপনিবেশবাদী ধ্যানধারণাকে লালন-পালন করে

ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে সামগ্রিক স্বার্থকে বড় করে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে দিতে পারছে না। মানুষের প্রতি মানুষের দায়বদ্ধতা শেখাতে পারছে না। ব্রিটিশসহ অন্যান্য উপনিবেশের অধীনে দীর্ঘদিন থাকার ফলে একধরনের দাসত্বের মনোভাব আমাদের মনোজগৎকে অবচেতনভাবে গিলে ফেলেছে। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেই উপনিবেশবাদী ধ্যানধারণাকে লালন-পালন করে যার মূল্য লক্ষ্য হলো বাজারের জন্য লেখাপড়া জানা দক্ষ শ্রমিক তৈরি করা। অথচ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল মুক্ত ও মানবিক মানুষ তৈরি করা।

উপনিবেশবাদী ও দাসত্বমূলক শিক্ষাব্যবস্থার একটি বিশেষ অসুবিধা হলো এই শিক্ষায় মানুষগুলো সুযোগ পেলেই দাস থেকে মালিক বনে যাওয়ার চেষ্টা করে। মালিকানার পূর্বশর্ত হলো প্রচুর টাকাপয়সা ও সম্পদের অধিকারী হওয়া, যা সৎভাবে অর্জন করতে গেলে অনেক বেশি সময় এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে। তাই অল্প সময়ে এবং কম পরিশ্রমে মালিকানাস্বত্ব অর্জনের জন্য শিক্ষিত দুর্নীতিবাজদের কাছে দুর্নীতি ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা থাকে না। তাই বলতে চাই, দুর্নীতির মনস্তাত্ত্বিক শিকড় সমূলে উৎপাটন করতে হলে পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে উপনিবেশবাদী কাঠামো থেকে বের করে আনতে হবে এবং ঢেলে সাজাতে হবে।

এক নিশ্বাসে অনেক গল্প করে ফেললাম। এখন একটু দম নেওয়া দরকার। তবে দম নেওয়ার আগে বলতে চাই, দিন শেষে ক্ষমতা এবং ক্ষমতার বিন্যাসের ওপরই কিন্তু একজন ব্যক্তিমানুষের দুর্নীতি করা বা না করার সিদ্ধান্ত অনেকাংশে নির্ভর করে। ক্ষমতা এমন একটি বিমূর্ত বিষয়, যেটার মধ্যে ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ নিশ্চিত করতে না পারলে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে সেটা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থের জন্য বেশি ব্যবহৃত হয়, অন্ততপক্ষে ইতিহাস তাই বলে। ফলে দেখা যায়, ক্ষমতার পিরামিড বিন্যাসে যারা ওপরে অবস্থান করে, তারা যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, তবে অধস্তনরাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে।

দম নিয়ে বলতে চাই, একজন নাগরিকের মনোজগৎকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে চাইলে তাঁর ভেতর নীতি-নৈতিকতা ও মানবিকতার বীজ ছোটবেলা থেকেই বপন করে দিতে হবে। যাতে সেই বীজ থেকে চারা, চারা থেকে পরিপূর্ণ গাছ হয়, ফুলফল হয়, সে জন্য পর্যাপ্ত উর্বর মাটি, পানি, রোদ, আলো-বাতাস হিসেবে উদার পারিবারিক শিক্ষা, মানবিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, সামাজিক ন্যায়বিচার-মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক প্রশাসনিক কাঠামো এবং ক্ষমতার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com