আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মহামারি কী অফিসকে গিলে খাবে?

মহামারিকালে কাজের ধরন বদলেছে। মানুষ ঘরে বসে কাজ করছেন গত কয়েক মাস। বিশ্বের বড় বড় টেক জায়ান্ট থেকে শুরু করে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের আগামী বছর পর্যন্ত বাড়িতে বসেই কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। অফিসের রুপান্তরিত এই ধরন নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্ট।

বিংশ শতাব্দীর ধ্বংসাবশেষ হিসেবে কতগুলো অফিস টিকে আছে মহামারি চোখে আঙ্গুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিচ্ছে, এমনকি গণহারে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হওয়া সত্ত্বেও। ফলস্বরূপ কোভিড-১৯ বিপর্যয় প্রযুক্তি ও সামাজিক পরীক্ষার দীর্ঘমেয়াদী পর্যায়ে প্ররোচিত করবে, না স্বাভাবিক হিসেবে ব্যবসায় এবং না অফিসে মারাত্মক আঘাত।

অবশ্য এই যুগের কিছু প্রতিশ্রুতি রয়েছে। রয়েছে নানা রকম হুমকিও। তবে তা কোম্পানি কালচারের মধ্যে সীমাবন্ধ নয়। আর এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার পরিবর্তে সরকারগুলোকে বিদ্যমান প্রাচীন কিংবা অপ্রচলিত কর্মসংস্থান আইন হালনাগাদ করার সঙ্গে সঙ্গে শহর কেন্দ্রগুলোকে নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত।

দুইশো বছর আগে বাষ্পশক্তির আবিষ্কার শ্রমিকদের কারখানায় নিয়ে আসে, যেন সেখানে তারা নতুন মেশিন ব্যবহার করতে পারেন। উনিশ শতকের শেষদিকে করপোরেট জায়ান্টদের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিচালনা করার জন্যও কর্মীদের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তখনকার পরিপ্রেক্ষিত তো ছিল একেবারে ভিন্ন।

কর্মীরা নিজেরা কি কাজ করছে এর রেকর্ড রাখার জন্য পরিকল্পনা সভা এবং মেমো প্রকাশ, চালান এবং অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন ছিল তাদের। এসব কারণে এই সমস্ত শ্রমিক-কর্মীকে একসঙ্গে থাকা এবং কেন্দ্রীয় অফিসে মিলিত হওয়ার জন্য গাড়ি বা ট্রেনে করে যাতায়াতের ধাঁচ তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে।

তবে এই পদ্ধতির কিছু চাক্ষুষ ত্রুটি ছিলই। এর মধ্যে কিছু ত্রুটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। বেশিরভাগ অফিস কর্মী যাত্রাপথের এই ঝাক্কি-ঝামেলা এবং এর কারণে হওয়া ব্যয় সহ্য করতে পারেন না। ইকোনমিস্ট জানাচ্ছে, যাত্রাপথের কারণে সপ্তাহে গড়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় নষ্ট হয় আমেরিকান কর্মীদের।

কিছু কর্মী যাত্রাপথে শব্দ এবং অফিসের আনুষ্ঠানিকতা পছন্দ করেন না আবার এর মধ্যে অনেকেই বৈষম্যের শিকার হন। অফিসে গিয়ে কাজ করা কর্মীরা এটা অনুধাবন করেন যে, তারা তাদের সন্তানদের দেখাশোনা করতে পারেন না। আর যেসব পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে কর্মী, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা ক্রমাগত প্রকট হচ্ছে।

অনেকে হয়তো এটা ভাবতে পারেন যে, নতুন নতুন প্রযুক্তিই এই অসন্তোষজনক স্থিতাবস্থাকে নাড়া দিয়েছে। তাহলে শুনুন পিডিএফ এর যাত্রা শুরু ১৯৯১ সালে, ২০০০ এর দশকে ব্যান্ডউইথের দাম ব্যাপক কমে যায় এবং প্রযুক্তিতে দূরবর্তী কাজ করার ক্ষমতাসম্পন্ন জুম এবং স্ল্যাক— উভয়ই প্রায় এক দশক পুরানো।

তবুও আলস্যের কারণে ভয়াবহ নানারকম বাধা-বিপত্তি নিয়ে এখনও অফিসে আগের মতো কাজ চলছে। কোভিড-১৯ আঘাত হানার আগে, নমনীয়-অফিসগুলোর বাজারের শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৫ শতাংশের নিচে। গ্রাহকদের আগে বেশিরভাগ কোম্পানি পাইকারি ব্যবসায় দূরবর্তী প্রযুক্তিতে কাজ শুরু করতে রাজি ছিল না।

কোভিড-১৯ এর অবসান ঘটিয়েছে। মহামারির আগে মাত্র ৩ শতাংশ আমেরিকান নিয়মিত বাড়িতে বসে কাজ করতেন; আর এখন বিশাল সংখ্যক কর্মী এটা করছে। এমনকি জেরক্সের মতো কোম্পানির অনেক কর্মীও ঘরে বসে কাজ করছে। ইকোনমিস্ট বলছে যত বেশি মানুষ ঘরে বসে কাজ করবে তত এই নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হবে।

বর্তমানে মাইক্রোসফট টিমস, জুম, গুগল মিট এবং সিসকো ওয়েবএক্স এর মতো ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপগুলোর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০ কোটিরও বেশি। দেওয়ানি আদালত এখন আদালতে না গিয়ে ঘরে থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ঘরে বসেই কাজ করা যায় এমন অনেক সেবা ইন্টারনেটে দিচ্ছে ব্যাংকগুলো।

অবশ্য ভ্যাকসিন আসার পর এটা কতটা চলবে তা বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে। কিন্তু ঘরে বসেই যে অনেক কাজ করা সম্ভব এটা আমরা মহামারিকালে প্রত্যক্ষ করলাম। এটা যে চলমান রাখলে কোনো সমস্যা হবে না তাও প্রমাণিত। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এভাবে কাজ করার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com