আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মনের সুস্থতার জন্য যে কাজগুলো জরুরি

মানসিক স্বাস্থ্য হলো আমাদের মন, আচরণগত ও আবেগপূর্ণ স্বাস্থ্যের অপরিহার্য এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। আমরা কী চিন্তা করি, কী অনুভব করি এবং জীবনকে সামলাতে আমাদের চিন্তা-চেতনা কীভাবে ব্যবহার করি- এগুলোই আসলে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অর্থবহ অংশ। একজন মানসিকভাবে সুস্থ মানুষ নিজের সম্পর্কে যথাযথ ধারণা রাখেন এবং কখনোই মাত্রাতিরিক্ত আবেগ, যেমন রাগ, ভয়, হিংসা, অপরাধবোধ বা উদ্বেগ দ্বারা আবিষ্ট হন না। জীবনে যখন যেরকম পরিস্থিতি উদ্ভুত হয়, তা সামলে নেওয়ার ক্ষমতা তারা রাখেন।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা শুধু বাংলাদেশেই নয় বরং বিশ্বব্যাপী একটি ক্রমবর্ধমান সামাজিক ও স্বাস্থ্য সমস্যা। মানসিক স্বাস্থ্য কোনো অংশেই শারীরিক স্বাস্থ্যের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। শারীরিক সুস্থতার ক্ষেত্রে কেউ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হলে তার পরিপূর্ণ কর্মশক্তি থাকে এবং তিনি ভালো কাজে আত্মনিয়োগ করতে পারেন। একই রকমভাবে কেউ মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে তিনিও পূর্ণোদ্যমে অনেক ভালো কাজ করতে পারেন। অর্থাৎ পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উভয়েরই সুস্থতার সংযোগ আবশ্যক। একে অবহেলা করে কখনোই সামগ্রিক সুস্থতা অর্জন করা সম্ভব নয়। শারীরিক রোগ-ব্যাধি যেমন ব্যক্তির শারীরিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে; তেমনই ব্যক্তি যখন বিভিন্ন নেতিবাচক আবেগ, যেমন- উদ্বেগ বা ভয় দ্বারা আবিষ্ট থাকেন; তখন এই আবেগগুলো তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিতে পারে, যেমন- ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা, জেনারেল অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বা সাধারণ উদ্বেগজনিত ব্যাধি, বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার, অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার প্রভৃতির আবির্ভাব।

পরিতাপের বিষয় এবং বাস্তবতা হচ্ছে- আমরা শরীরের সুস্থতা নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন থাকি এবং সুস্থতার ব্যাপারে যতটা নজর রাখি, মনের সুস্থতার ব্যাপারে আমরা যেন ঠিক ততটাই উদাসীন। বয়স্ক মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে ৯২.৩ শতাংশ নানা কারণে মানসিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত। শিশু-কিশোর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ৯৪.৫ শতাংশই চিকিৎসাসেবার আওতার বাইরে। এমনকি যেসব শিশু-কিশোর মানসিক প্রতিবন্ধিতার চিকিৎসা পায়, তাদের প্রায় ২৯.২ শতাংশেরই চিকিৎসা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

নিবিড় এবং নিগূঢ় সত্য হলো, সুস্থ শরীর ছাড়া যেমন সুস্থ মন সম্ভব নয়; তেমনই সুস্থ মন ছাড়া সুস্থ শরীর এবং সুস্থ জীবন কোনোটাই সম্ভব নয়। একবার ভেবে দেখুন তো- শারীরিক অসুখ নিয়ে আমরা যেমন অস্থির ও অধীর হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেই; মনের অসুখ নিয়ে বা মনের সমস্যা নিয়ে আমরা আদৌ মানসিক ডাক্তারের কাছে যাই না। এজন্য আসলে দায়ী মন, মনের সমস্যা ও মানসিক ব্যাধি সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা ও উদাসীনতা। শরীরের অসুখের মতোই মনেরও যে অসুখ হতে পারে, সে সম্পর্কে অধিকাংশই স্পষ্ট ধারণা রাখেন না।

আবার অনেকে মনে করেন, মানসিক রোগ মানেই পাগল; সাইকিয়াট্রিস্ট মানেই পাগলের ডাক্তার। ব্যাপারটা কিন্তু আদৌ সে রকম নয়। মানসিক রোগ মানেই পাগল নয় এবং মানসিক রোগের ডাক্তার মানেই পাগলের ডাক্তার নন। মানসিক ব্যাধিগুলোকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়- গুরু মানসিক ব্যাধি এবং লঘু মানসিক ব্যাধি। সাধারণভাবে যাদের আমরা পাগল বলে আখ্যায়িত করি, তারা সবাই গুরু মানসিক ব্যাধির অন্তর্ভুক্ত এবং এ সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মানসিক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬.০৫ শতাংশ, এর মাঝে গুরু মানসিক ব্যাধিতে মাত্র ১ শতাংশ এবং বাকিরা সবাই লঘু মনসিক ব্যাধি, যেমন- বিষণ্নতা, উদ্বেগ, মানসিক চাপজনিত মানসিক ব্যাধি ইত্যাদিতে আক্রান্ত এবং এরা কেউ-ই পাগল নন। এদের সবারই চিকিৎসা করেন সাইকিয়াট্রিস্ট বা মানসিক চিকিৎসক।

এ ছাড়া রয়েছে মানসিক ব্যাধি সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা বা বিশ্বাস এবং সোশ্যাল স্টিগমা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই অনেক মানুষের ধারণা বা বিশ্বাস, মানসিক ব্যাধির মূলে আছে জ্বিন-ভূতের কারসাজি, ব্ল্যাক ম্যাজিক, জাদুটোনা বা কুফরি-কালাম ইত্যাদি। ফলে তারা এখনো এর চিকিৎসা খোঁজেন ঝাড়-ফুঁক, তাবিজ-কবজ প্রভৃতির মাধ্যমে। অথবা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেও বেশিরভাগ রোগীই লুকিয়ে কিংবা অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে সাইকিয়াট্রিস্টের সাহায্য নিতে আসেন।

শরীর ফিট রাখার জন্য আমরা নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম, জিমে যাওয়া, ডায়েট কন্ট্রোল ইত্যাদি কত কিছুই না করি। কিন্তু মনকে ফিট রাখার জন্য এবং মনের সুস্বাস্থ্যের জন্য কি আদৌ আমরা কিছু করি? অনেকে হয়তো মেডিটেশন, ইয়োগা ইত্যাদি করে থাকেন। কিন্তু কেবল এগুলোই পর্যাপ্ত নয়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, প্রতিদিনই আমরা কিন্তু শারীরিক সমস্যা অনুভব করি না, যেমন- প্রতিদিনই একজন মানুষের জ্বর হয় না বা শরীরে ব্যথা হয় না। তবে এমন কোনো দিন নেই, যে দিন আমরা কোনো না কোনো মানসিক সমস্যার লক্ষণ অনুভব করি না। যেমন প্রতিদিনই কোনো না কোনো সময় আমরা নানা কারণে উদ্বিগ্ন হই, বিষণ্নতা অনুভব করি, মানসিক চাপ অনুভব করি কিংবা উত্তেজিত হই। এগুলো সবই মানসিক সমস্যার লক্ষণ।

আবার এটাও মনে রাখতে হবে, এগুলো অনুভব করা মানেই যে কেউ মানসিক রোগী, তা কিন্তু নয়। এগুলো কিছুটা সময়ের জন্য হলেও আপনার মানসিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। বাস্তবতা হলো, পৃথিবীতে বসবাস করতে গেলে এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতেই হবে। প্রতিদিনই নানা রকম জাগতিক সমস্যা ও জটিলতার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করতে হয়। যেহেতু প্রতিদিনই নানা রকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়; সেগুলোর সুন্দর সমাধানের জন্য অবশ্যই মনের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। মনের স্থিতিশীলতা-অস্থিতিশীলতা আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভর করে চিন্তার প্রক্রিয়ার ওপর। দৈনন্দিন জীবনযাপনকে সুন্দর করতে হলে মানসিক স্বাস্থ্যের স্থিতিশীলতা অতীব জরুরি। শরীরকে ফিট রাখার জন্য যেমন আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করি; তেমনই মনের ফিটনেসের জন্যও আমাদের কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি।

ভালো থাকা, সুন্দর থাকা এবং শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করা একটি চর্চার বিষয়। তাই জীবন সংসারে আনন্দে থাকার অভ্যাস তৈরি করুন। সাধ্যের মধ্যে থাকা শখগুলোকে সব সময় উজ্জীবিত রাখুন। একটি সুন্দর শখের মৃত্যু মানে একটা মননশীল মানুষের মৃত্যু। দিনের মধ্যে কিছু সময় প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ব্যায়ামের জন্য বরাদ্দ রাখুন। এ ছাড়া প্রতিদিন নিজের জন্য কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় রাখুন, যে সময়টায় আপনি আপনাকে মূল্যায়ন করতে পারবেন। একটি বিষয় ঠিক, সমস্যামুক্ত জীবনের কথা কল্পনা করা অসম্ভব। যতদিন কেউ পৃথিবীতে জীবিত থাকবেন, সমস্যা তার জীবনে থাকবেই। কিন্তু নিজের মতো করে এগুলো মোকাবেলা করতে হবে। সবগুলোতেই যে নিজেকে সফল হতে হবে এমন কোনো কথা নেই, কারণ জীবন শুধু সফলতাই নয়। সফলতা-বিফলতার সমন্বয়েই জীবন। এ সত্য স্বীকার করতেই হবে। এ প্রত্যয় নিয়েই প্রতিদিন নিজের কাজ শুরু করতে হবে।

তবে মনের সমস্যার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হলে অর্থাৎ চিন্তাধারা, মনের সমস্যা প্রভৃতি পারিবারিক, সামাজিক, কর্মজীবন, শিক্ষাজীবন ইত্যাদি জীবনের নানা ক্ষেত্র ব্যাহত করলে অবশ্যই সব সামাজিক বাঁধার ঊর্ধ্বে উঠে এর চিকিৎসা করাতে হবে- প্রয়োজনে মানসিক চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে। কারণ এ অবস্থা চলতে থাকলে উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় জীবন একদিন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। যদি আপনার কাছের মানুষ, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের কারো মাঝে হঠাৎ করে আচরণের কোনো লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখতে পান অথবা মানসিক রোগের কোনো লক্ষণ তাদের মধ্যে লক্ষ্য করেন, তবে আন্তরিকতার সঙ্গে তাকে সাইকিয়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দিন। সম্ভব হলে নিজে তাকে নিয়ে যেতে পারেন মানসিক চিকিৎসকের কাছে। এ ব্যাপারে তার মধ্যে কোনো ভয়-ভীতি কাজ করলে, তা ঝেরে ফেলতে তাকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন। পরিপূর্ণ এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীকে সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ মতো নিয়মিত ফলোআপে থাকাও জরুরি।

সচেতনতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্ভব। কমিউিনিটি বেইজড মেন্টাল হেলথ সার্ভিস প্রকল্প এ ক্ষেত্রে রোল মডেল হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে কেউ না কেউ আত্মহত্যার কারণে প্রাণ হারান। আর অধিকাংশ ব্যক্তিরই আত্মহত্যার কারণ মানসিক বিপর্যস্ততা বা মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়া। তাই এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে সার্বিক সুস্থতা অর্জনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com