আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মধু সুগন্ধি চা

ওয়াইট টি, ইয়েলো টি ও রোজ টি’র পর এবার বাজারে এসেছে হানি টি। এই চায়ে রয়েছে মধুর সুগন্ধ। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশে দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্রে এক কেজি হানি টি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ১০০ টাকা টাকায়। ওইদিন হানি টি ছাড়াও নিলামে উঠেছিল লেমন টি, বিশ্বখ্যাত মাচা টি ও আল গ্রে টি। এক কেজি লেমন টি বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৪২০ টাকায়। এক কেজি মাচা টি ১ হাজার ৫০০ টাকা ও এক কেজি আল গ্রে টি ১ হাজার ২০০ টাকা। 

গত ২৩ জুন চলতি মৌসুমের  ৪র্থ  নিলামে নতুন এই চার প্রকারের চা নিলামে তুলেছিল শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকার লি.। আর নিলাম থেকে লেমন টি ও মাচা টি কিনে নেয় এশিয়ান টি হাউজ। হানি টি কিনেছে আলমগীর টি হাউজ।নিলাম কেন্দ্র থেকে জানা যায়, এবারই প্রথম শ্রীমঙ্গল নিলাম কেন্দ্রে লেমন টি, হানি টি, আল গ্রে টি ও মাচা টি অফারিং করা হয়। এগুলো ছিল বড়লেখার শাবাজপুর চা বাগানের চা। 

মাচা টি একমাত্র জাপানে উৎপাদন হয়। আর আল গ্রে টির উৎপাদন হয় একমাত্র ইংল্যান্ডে। লেমন ও হানি টি উৎপাদন হয় চীন ও শ্রীলঙ্কায়। এই প্রথম বিশ্বখ্যাত এসব চা  বাংলাদেশেই উৎপাদন করা হলো।

শাবাজপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চায়ের একটি পাতা ও একটি কুঁড়ির সঙ্গে ন্যাচারাল মধু মিশিয়ে হানি টি তৈরি করা হয়েছে। এই চা পান করলে মধু ও চা দুটি ঘ্রাণ পাওয়া যাবে। হানি টিতে চায়ের কাপে আলাদা করে চিনি দেওয়া লাগবে না। একইভাবে চায়ের পাতার সঙ্গে লেবু মিশিয়ে লেমন টি তৈরি করা হয়েছে। তবে মিশ্রণের আগে লেবু প্রসেসিং করে রাখা হয়। লেমন টি পান করার সময় চায়ের কাপে কোনো লেবু দেখা যাবে, তবে প্রতি চুমকে পাওয়া যাবে লেবুর ঘ্রাণ। আর চায়ের পাতার সঙ্গে সুগন্ধি ক্যামমিল ফুলের ফ্লেবার মিশিয়ে ইংল্যান্ডের আল গ্রে তৈরি করা হয়েছে। এই ফ্লেভার তারা ইংল্যান্ড থেকে কিনে এনেছেন।

জাপানের বিখ্যাত মাচা টি পাউডারের মতো। এই চা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করতে হয়। শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকার লি. এর এমডি হেলাল আহম্মদ বলেন, ‘আমরা নতুন চার প্রকারে চা নিলামে তুলেছিলাম। সবগুলোই ভালো দামে বিক্রি হয়েছে।’

এশিয়ান টি সাপ্লাইয়ার’র মালিক মো. রিয়াম চৌধুরী জানান, পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলে নতুন এই চায়ের চাহিদা রয়েছে। মূলত ক্রেতাদের চাহিদার কারণেই আমরা এগুলো কিনে এনেছি।’

শাহবাজপুর চা বাগানের ব্যাবস্থাপক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশে সবাই ব্ল্যাক টি উৎপাদন করে। শুধু ব্ল্যাক টি দিয়ে তো বিশ্বের বাজার ধরা যাচ্ছে না। তাই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে টিকে থাকলে হলে, আমাদেরও নতুন নতুন চা উৎপাদন করতে হবে। এই চিন্তা ধারা থেকেই আমরা নতুন ১০ প্রকারের চা উৎপাদন করি। এর মধ্য সাতটি চট্টগ্রামে নিলাম কেন্দ্রে বিক্রি হয়েছে। শ্রীমঙ্গল নিমালে বিক্রি হয়েছে চারটি। আল গ্রে টি দুটি নিলাম কেন্দ্রেই বিক্রি হয়েছে। 

তিনি বলেন, হানি টি পান করলে মধুর স্বাদ ও গন্ধ পাওয়া যাবে। ঠিক তেমনি লেমন টি পান করলে লেবুর সুগন্ধ পাওয়া যাবে। আর মাচা টি হলো জানানি চা। আল গ্রে টি ইংল্যান্ডের। আল গ্রে টি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় রাজার খুব পছন্দের চা ছিল।’

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com