আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

ভোলাও হতে পারে পেঁয়াজভান্ডার

ভোলা জেলায় পেঁয়াজ চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সময়মতো আবাদ করলে ও আবহাওয়া বৈরী না হলে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। কিন্তু খরচ বেশি হওয়ায় চাষিদের আগ্রহ কম। তবে ন্যায্যমূল্যে উন্নত বীজ সরবরাহ ও সংরক্ষণাগার নির্মাণের পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হলে তাঁরা পেঁয়াজ চাষ করবেন বলে জানান।

একই অভিমত কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের। তাঁরা বলেন, সরকারি হিসাবে ভোলায় ৭৪টি চরাঞ্চলে পেঁয়াজ চাষের উপযোগী পর্যাপ্ত জমি আছে। এসব জমিতে এখন কৃষকেরা কম খরচে তরমুজ, বাঙ্গি ও ক্ষীরার আবাদ করেন। পর্যাপ্ত প্রণোদনা দেওয়া হলে তাঁদের পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা যাবে।

দৌলতখান উপজেলার দুর্গম মদনপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. ফারুক দৌলত বলেন, অগ্রহায়ণের শুরুতে চরের জমি শুকিয়ে যায়। কিন্তু খরচের কারণে কৃষকেরা পেঁয়াজ-রসুনের আবাদ করেন না। তাঁরা সবজি আর সয়াবিনের আবাদ করেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ভোলা জেলায় ২০১৮-১৯ রবি মৌসুমে ৬০৮ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। গড় ফলন ছিল হেক্টরে সাড়ে ৬ মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ মৌসুমে ৬২০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। গড় ফলন হয়েছে হেক্টরে ৮ মেট্রিক টন। তবে ভোলা সদর উপজেলায় হেক্টরপ্রতি ১৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। কৃষি বিভাগ হেক্টরে ১২-১৪ মেট্রিক টন হলে সেটাকে বাম্পার ফলন বলে।

ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সবুজ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার নামের খামারের পরিচালক ইয়ানুর রহমান (বিপ্লব মোল্লা) জানান, গত রবি মৌসুমে তিনি প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ৬ একর জমিতে আবাদ করে প্রায় ১ হাজার মণ বা ৪০ মেট্রিক টন উন্নত জাতের পেঁয়াজ পেয়েছেন। একরপ্রতি তাঁর প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দেশীয় পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন, যা এখন ভালো দামে বিক্রি করছেন।

ইয়ানুর রহমান জানান, পেঁয়াজ তোলার শুরুতে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে ৪০০ মণ বা ১৪ মেট্রিক টন বিক্রি করেছেন। বাকি ৬০০ মণ বা ২৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশীয় জোগার পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করেছেন। এ পদ্ধতিতে ১৫ শতাংশ ঘাটতি হলেও পেঁয়াজের কোনো ক্ষতি হয়নি। শতভাগ ভালো আছে। এ জন্য তাঁর প্রচুর ব্যয় করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে তাঁর খরচ হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা।

ইয়ানুর রহমান জানান, আগামী মৌসুমে ২৫ একরে পেঁয়াজের আবাদ করবেন বলে আশা করছেন।

ইয়ানুর রহমানসহ অন্তত ২৫ জন কৃষক প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভোলায় পেঁয়াজ আবাদ সম্ভব। জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও পাঠানো সম্ভব। এ জন্য অবশ্য তাঁদের চারটি দাবি আছে—

  • ১. ন্যায্যমূল্যে উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করতে হবে। কারণ, এক কেজি বীজের দাম আট হাজার টাকা।
  • ২. পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য প্রতি উপজেলায় সংরক্ষণাগার বানাতে হবে। এ জন্য স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণ নিশ্চিত করতে হবে।
  • ৩. সংরক্ষণাগারে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দিতে হবে।
  • ৪. সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে হবে।

কৃষকেরা আরও জানান, আমন ধান ঘরে তুলতে ৩০ থেকে ৫০ দিন দেরি হওয়ার কারণেও অনেকে পেঁয়াজ চাষ করতে পারেন না। তাঁরা এই অঞ্চলে ১০০ দিনে ফলন ঘরে তোলা সম্ভব, এমন জাতের আমন ধানের আবাদ জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।

জানতে চাইলে ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হরলাল মধু প্রথম আলোকে বলেন, কৃষকদের দাবিগুলো যৌক্তিক। পেঁয়াজ তোলার সময় বৃষ্টি হলে এটি সংরক্ষণগুণ নষ্ট হয়। তাই মৌসুমের শুরুতেই আবাদ করতে হবে। আর আবাদ বাড়াতে চরাঞ্চলকে বেছে নেওয়া উত্তম।

ভোলা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ১০০ দিনে পেঁয়াজ ঘরে তোলা সম্ভব। কিন্তু ভোলায় যে জাতের আমনের আবাদ হয়, সেটির ফলন পেতে ১৩০-১৫০ দিন সময় লাগে। বাজারে এই ধানের নতুন একটি জাত এসেছে, যার ফলন পাওয়া যায় ১০০ দিনে। এ জাতে কৃষকদের অভ্যস্ত করতে পারলে পেঁয়াজের জমি দ্রুত তৈরি করা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com