আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

হাসপাতালের আইসিইউতে যে ভেন্টিলেটার দিয়ে মানুষকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস নিতে সাহায্য করা হয়

বর্তমান করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিশ্বে গুরুতর আক্রান্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচাতে এখন অপরিহার্য কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখার যন্ত্র ভেন্টিলেটার ।

এই জীবন বাঁচানো যন্ত্রের উদ্ভাবন হয়েছিল আরেকটি মহামারির সময় ইউরোপের ডেনমার্কে মরণাপণ্ন হাজার হাজার শিশু কিশোরের প্রাণ বাঁচাতে । আর এর হাতে ধরেই জন্ম নিয়েছিল আজকের চিকিৎসা জগতে আমরা যাকে জানি নিবিড় পরিচর্যা সেবা বা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট।

সেটা ছিল ১৯৫২ সাল। পশ্চিমে সে বছর পোলিও ছড়িয়ে পড়েছিল মহামারি আকারে। বিশেষ করে আমেরিকা এবং ইউরোপের কিছু কিছু দেশে। এই রোগে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছিল প্রচুর শিশু. এমনকী প্রাপ্তবয়স্করাও।

বিশ্বের যেসব দেশে ১৯৫২-য় পোলিও মহামারি মারাত্মক আকার নিয়েছিল, তার একটি এপিসেন্টার ছিল ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহর।

কোপেনহেগেনে সেসময় সংক্রামক ব্যাধির একমাত্র হাসপাতাল ছিল ব্লেগডাম। কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি পড়তেন অ্যানা হলটন, তার বয়স তখন বিশ। বিবিসিকে তিনি বলেছেন কীভাবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সেই ইতিহাস গড়ার মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিলেন তিনি।

“এখন ঠিক করোনাভাইরাস নিয়ে যেমন, তখনও ঠিক তেমনই পোলিও মহামারি ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। আমরা এ রোগের কথা – রোগের উপসর্গের কথা কিছুই জানতাম না। প্রচুর সংখ্যায় শিশু আর প্রাপ্তবয়স্করা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছিল।”

তখন জুলাই মাসের শেষ।

“প্রথম দিনে ভর্তি হলো একসাথে প্রায় তিরিশ জন রোগী। এদের মধ্যে ২৬জন রোগীই মারা গেল। মৃত্যু হারের দিক দিয়ে সেটা ৮০ শতাংশের বেশি। আমার একজন খুব ভাল বন্ধু- তখন নার্স হবার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্লেগডাম হাসপাতালেই পড়ত। দিনটা ছিল পয়লা অগাস্ট। আমার সাথে তার প্রায়ই দেখা হতো।

“সে বলল – ভয়ঙ্কর অবস্থা- ভয়ঙ্কর! ভয়ঙ্কর! প্রতিদিন জরুরি সেবার দশটা গাড়ি প্রায় ৫০ জন করে রোগী নিয়ে আসছে ভর্তি করার জন্য। আমরা হিমশিম খাচ্ছি,” বলছিলেন অ্যানা হলটন

পঞ্চাশের দশকে শ্বাসযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়া রোগীর চিকিৎসার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহারের চল ছিল তা শুধু যে ব্যয়বহুল ছিল তাই নয়, এই যন্ত্র ব্যবহারের কারণেই অনেক রোগী মারা যেত

প্রথম কয়েক সপ্তাহে ভর্তি হওয়া রোগীদের ৮৭ শতাংশেরই মৃত্যু হয় এবং প্রত্যেকেই মারা যায় পোলিও ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শ্বাসযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে।

ছোঁয়াচে ভাইরাসে আক্রান্তরা ছিল মূলত শিশু। ভাইরাস তাদের স্নায়ু ও মাংসপেশী এমনভাবে বিকল করে দিচ্ছিল যে তাদের অনেকের শ্বাস ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, অনেকের হাত ও পায়ের পেশী প্যারালাইজড হয়ে যাচ্ছিল। পেশী সচল করার চেষ্টায় ডাক্তাররা মালিশের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।

কিন্তু গুরুতর আক্রান্ত যাদের শ্বাসযন্ত্রের পেশী বিকল হয়ে যাচ্ছিল, তাদের কৃত্রিমভাবে শ্বাস নেওয়ার জন্য একটাই পদ্ধতি চালু ছিল। একে বলা হতো আয়রন লাং চিকিৎসা।

রোগীকে একটা বিশাল লোহার নলের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হতো। নলের ভেতর রোগীর শরীরের চারপাশে কৃত্রিমভাবে একটা শূণ্যস্থান তৈরি করা হতো, যেখানে বাতাসের নেগেটিভ চাপের কারণে রোগীর পাঁজর আর ফুসফুস ফুলে উঠত বাতাস টানার জন্য। ওই প্রযুক্তিতে রোগীকে বাতাস টানার জন্য ফুসফুসের বায়ুথলিগুলো প্রসারিত করতে হতো

কৃত্রিমভাবে নি:শ্বাস নেবার প্রাচীন যন্ত্রটি ছিল এরকম, যার নাম ছিল আয়রন লাং বা লৌহ ফুসফুস, যা আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৯২৮ সালে

হাজার হাজার শিশুর জীবনরক্ষায় তখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল ওই আয়রন লাং বা লৌহ ফুসফুস প্রযুক্তি। কিন্তু এই আয়রন লাং-এর গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও ছিল। অনেকে ওই লোহার নলের ভেতরেই মারা যাচ্ছিল, নিজেদের লালারস ও পাকস্থলি থেকে উঠে আসা খাবার গলায় আটকে।

এছাড়াও এই প্রযুক্তি এতই ব্যয়সাপেক্ষ ছিল যে পুরো ডেনমার্কে এই যন্ত্র ছিল মাত্র একটি।

পরিস্থিতি তখন দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

এর মধ্যেই হাসপাতালের সিনিয়ার ডাক্তার হেনরিক লারসেন ডাক্তারদের ডেকে বৈঠকে বসলেন কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে। ওই বৈঠকে তরুণ অ্যানাসথেটিস্ট ডাক্তার বিয়র্ন ইবসেন সম্পূর্ণ নতুন এক চিকিৎসার প্রস্তাব দিলেন।

অ্যানা হলটন বলছেন, বিয়র্ন ইবসেনের প্রস্তাবে অধ্যাপক লারসেনের একেবারেই মত ছিল না।

বিয়র্নের প্রস্তাব ছিল নলের ভেতর ওভাবে নেগেটিভ চাপ তৈরি না করে পোলিও আক্রান্তদের ফুসফুসে বাইরে থেকে সরাসরি অক্সিজেন ঢোকানোর ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে রোগী সহজে যন্ত্রের সাহায্যে কৃত্রিমভাবে নি:শ্বাস নিতে পারে।

বাইরে থেকে বাতাস বা অক্সিজেন ঢোকালে তা সহজে ফুসফুসের বায়ুথলিগুলোকে ভরে তুলবে এবং রোগীর ফুসফুস যখন শিথিল হবে তখন শ্বাস ছাড়ার মত ব্যবহৃত বাতাস বেরিয়ে আসবে।

১৯৫২ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে ব্লেগডাম হাসপাতালে একজন পোলিও আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসার দায়িত্বে হাসপাতালের একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী।

ডা. ইবসেন প্রস্তাব করলেন গলার মধ্যে ফুটো করে একটা নল ঢোকানো হবে শ্বাসনালীতে। আর ওই নলের মধ্যে দিয়ে ফুসফুসে বাতাস ঢোকানো আর বের করা হবে রবারের বেলুন পাম্প করে।

অধ্যাপক লারসেনের প্রস্তাবটা পছন্দ না হলেও অবস্থা তখন এমনই সঙ্কটজনক পর্যায় পৌঁছেছিল যে ডা. ইবসেনকে পরেরদিনই তার পদ্ধতি চেষ্টা করে দেখার অনুমতি দেয়া হলো।

তখন মৃত্যুমুখে ১২-বছরের এক কিশোরী ভিভি ইবার্ট। ২৭শে অগাস্ট ১৯৫২, তার ওপরই নতুন পদ্ধতি প্রথম পরীক্ষা করলেন ডা. ইবসেন।

“তার গায়ের রং তখন নীল। মুখ থেকে প্রচুর ফেনা বেরচ্ছে। সে শ্বাস নিচ্ছে না, অজ্ঞান অবস্থা । বিয়র্ন প্রথমে তাকে অচেতন রাখার জন্য অল্পমাত্রায় ওষুধ দিল। তারপর মেয়েটির গলা ফুটো করে সেখান দিয়ে একটা নল ঢোকালো।

“বেলুন পাম্প করে তাকে ভেন্টিলেট করলো বিয়র্ন- অক্সিজেন ঢোকানো হল এবং মেয়েটি বেঁচে গেল,” বিবিসিকে বলেছেন অ্যানা হলটন।

ডা. ইবসেনের এই সাফল্যের পর অধ্যাপক লারসেন মত পাল্টিয়েছিলেন, বলেছিলেন এই নতুন পদ্ধতিতেই এগুতে হবে।

৫০এর দশকের পোলিও মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিখ্যাত চিত্র তারকা মিয়া ফারো-ও। তার বয়স তখন নয়। তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার পর লস এঞ্জেলেসের জেনারেল হাসপাতালের পোলিও ওয়ার্ড থেকে তাকে কোলে করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন তারা চিত্র পরিচালক বাবা জন ফারো।

কিন্তু সমস্যা দেখা দিল চিকিৎসা দেবার মত যথেষ্ট কর্মী না থাকায়। হাত দিয়ে পাম্প করে এত রোগীকে অক্সিজেন দিতে প্রচুর চিকিৎসা কর্মী প্রয়োজন। অন্তত চারজন করে চিকিৎসা কর্মীকে প্রতি রোগীর বিছানার পাশে হাজির থাকতে হবে ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহে সাত দিন।

শেষ পর্যন্ত সমাধান একটা বের করা হলো। তখন গরমের ছুটিতে কলেজ বন্ধ ছিল। ডেকে পাঠানো হল অ্যানা হলটনের মত শত শত মেডিকেল শিক্ষার্থীকে।

“আমরা হাসপাতালের ডাক পেয়ে কোপেনহেগেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গেলাম। হাসপাতালে যেতে ওরা বলল তুমি আজ সন্ধ্যা থেকেই কাজ শুরু করো। কোনরকম প্রশিক্ষণ আমাদের দেয়া হলো না। শুধু বলা হল রোগীর পাশে বসতে আর বেলুন দিয়ে হাত পাম্প করে সমানে অক্সিজেন সরবরাহ চালিয়ে যেতে, যাতে রোগী নি:শ্বাস নিতে পারে।”

অ্যানা বলছিলেন উঁচু ক্লাসের একজন শিক্ষার্থী তাকে দেখিয়ে দিয়েছিল কীভাবে বেলুন পাম্প করতে হবে। অ্যানার দায়িত্বে প্রথম রোগী অল্পক্ষণের মধ্যেই মারা গেল।

পরদিন আরেকজন রোগীর দায়িত্ব দেয়া হলো তাকে। বাচ্চা ছেলে – নাম পল। ৪/৫ বছর বয়স। দু হাত অবশ, প্যারালাইজড- পোলিও ভাইরাসের আক্রমণে। কিন্তু পা দুটো সচল ছিল।

“তার শ্বাসযন্ত্রের পেশীগুলোও প্যারালাইসড হয়ে গিয়েছিল। ভেন্টিলেটার ছাড়া নি:শ্বাস নেবার ক্ষমতা তার ছিল না। আমি তাকে পাম্প করে অক্সিজেন দিতাম,” বলেন অ্যানা। “প্রায় তিন মাস তাকে আমি ভেন্টিলেট করেছি প্রতি মুহূর্ত। নিজে নিজে সে নি:শ্বাস নিতে পারতো না।

চব্বিশ ঘন্টা ধরে হাতে বেলুন পাম্প করে রোগীদের অক্সিজেন দেবার কাজটা তরুণ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কঠিন ছিল। অনেক রোগীকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ, কখনও মাসের পর মাস একনাগাড়ে অক্সিজেন দিতে হয়েছে।

মহামারি যতদিন ছিল, প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী যারা ডাক্তারি ও দাঁতের ডাক্তারি পড়ছিল কোপেনহেগেনে, তারা মোট এক লক্ষ ৬৫ হাজার ঘন্টা শ্রম দিয়েছিল পোলিও আক্রান্তদের ফুসফুসে অনবরত অক্সিজেন পাম্প করার জন্য

ডেনমার্কে পোলিও মহামারি সামাল দেবার মধ্যে দিয়ে চিকিৎসা জগতে তৈরি হয় এক ইতিহাস- আবিষ্কার হয় আধুনিক ভেন্টিলেশান প্রযুক্তি।

ডা. বিয়র্ন ইবসেনের পরিকল্পনা কাজ করেছিল। মৃত্যুর হার ৮৭% থেকে নেমে এসেছিল মাত্র ১৫ শতাংশে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে তৈরি হয়েছিল ইতিহাস।

অ্যানা হলটন এত বছর পর সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বললেন, “তখন বুঝিনি সেটা ছিল ইতিহাসের একটা সন্ধিক্ষণ। আমরা শুধু বুঝতে পারছিলাম আমরা যেটা করছি সেটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য অপরিহার্য। তখন মনে হয়েছিল ডাক্তারি পড়া খুবই জরুরি। মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য ডাক্তার হওয়াই দরকার।”

ডা. ইবসেন শুধু যে যুগান্তকারী জীবন রক্ষার একটা প্রযুক্তি আবিস্কার করেছিলেন তাই নয়, চিকিৎসা জগতে নিবিড় পরিচর্যার শুরুও হয়েছিল তারই হাত ধরে। ওই হাসপাতালে ডা. বিয়র্ন ইবসেন ১৯৫৩ সালে প্রথম গড়ে তুলেছিলেন রোগীদের ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট।

পরবর্তীকালে গুরুতর অসুস্থদের ২৪ ঘন্টা চিকিৎসকদের নজরে রাখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাসপাতালগুলোতে তৈরি হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র।

ডা. ইবসেনের তত্ত্বাবধানে অ্যানাসথেটিস্ট হয়েছিলেন অ্যানা হলটন – নিবিড় পরিচর্যায় তিনি শিশুদের ডাক্তারি করতেন।

উনিশশো তেপান্ন সালে সুইডেনের একটি কোম্পানি রোগীর ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য একটা যন্ত্র তৈরি করেছিল, যাতে মানুষকে হাত দিয়ে বেলুন পাম্প করে কায়িক শ্রমের মাধ্যমে আর ফুসফুসে অক্সিজেন ঢোকাতে না হয়।

প্রথম যন্ত্রটির নাম দেয়া হয়েছিল মেকানিকাল স্টুডেন্টস – যান্ত্রিক শিক্ষার্থী। এটাই আধুনিক কালের ভেন্টিলেটার যন্ত্র।

  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

    ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

    ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

    ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

    ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

    ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

    ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়

  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়
  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়
  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়
  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়
  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়
  • ভেন্টিলেটার: কোভিডে অপরিহার্য আজকের এই যন্ত্রের উদ্ভাবন আরেক মহামারির সময়
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com