পরিবেশ
বড়শি ফেলে শৌখিন শিকারিদের অপেক্ষা
লেখক
প্রথম আলোতপ্ত রোদে ছাতার নিচে বসে বড়শিতে মাছ ঠোকর দিচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য একপলকে চেয়েছিলেন জায়েদ আহমদ। পেশায় ব্যবসায়ী হলেও বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের শখ তাঁর। শখের পূরণে বড়শি নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছুটে যান। আজ শনিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বড়শি দিয়ে প্রায় ৮ কেজির মতো মাছ শিকার করেছেন বলে জানান তিনি।
শুধু জায়েদ আহমদ নন, শনিবার সকাল ছয়টা থেকে সিলেট নগরের শাহি ঈদগাহ পুকুরে যেন হাট বসেছিল শৌখিন শিকারিদের। শিশু থেকে বৃদ্ধ শ খানেক মাছশিকারি বড়শি ফেলে বসে ছিলেন মাছের আশায়।বিজ্ঞাপন
পুকুরে তেলাপিয়া, সরপুঁটি, রুই, কাতলা, গজার মাছ রয়েছে। এর মধ্যে রুই, কাতলা ও গজার মাছ কিছুটা বড়। বড় মাছগুলোর ওজন দুই থেকে চার কেজির কাছাকাছি।
শাহি ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর শাহি ঈদগাহর পুকুরে মাছ শিকার করা হয়। কখনো টিকিট কেটে বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের আয়োজন করা হয়, আবার কখনো জাল দিয়ে মাছ ধরে নিলামে বিক্রি করা হয়ে থাকে। করোনার কারণে দেড় বছর ধরে ওই পুকুরে মাছ ধরা হয়নি। এখন করোনা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এক হাজার টাকা করে ৫০টি টিকিট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৪০টি। এসব মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে ঈদগাহের উন্নয়নকাজ করা হবে। তবে কমিটির পক্ষ থেকে ৪০টি টিকিট বিক্রির কথা বলা হলেও পুকুরে মাছ শিকার করছিলেন কয়েক শ শিকারি।
কমিটির সদস্যরা বলেন, পুকুরে তেলাপিয়া, সরপুঁটি, রুই, কাতলা, গজার মাছ রয়েছে। এর মধ্যে রুই, কাতলা ও গজার মাছ কিছুটা বড়। বড় মাছগুলোর ওজন দুই থেকে চার কেজির কাছাকাছি।বিজ্ঞাপন
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, চতুর্ভুজ আকারের পুকুরটির অবস্থান ঈদগাহের পুব পাশে। গরমেও পুকুরের চারপাশে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পুকুরের পূর্ব পাশের মাছশিকারিরা ছাতার তলে বসে মাছ শিকার করছিলেন। অন্যদিকে পশ্চিম পাশে, উত্তর ও দক্ষিণ পাশের মাছশিকারিরা গাছের ছায়ায় বড়শি পেতে রাখেন মাছের অপেক্ষায়।
সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টার দিকে সাড়ে তিন থেকে চার কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরেছিলেন। এর চেয়ে আর কোনো বড় মাছ ধরা না পড়লেও সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত প্রায় ৯ থেকে ১০ কেজি মাছ ধরেছেন বলে জানান।
খালেদ মাসুম নামের আরেক শিকারি বলেন, সকালে বেশি মাছ ধরা পড়েছিল। দুপুর গড়িয়ে আসায় রোদ পড়েছে পুকুরে। এতে মাছ তেমন ধরা পড়ছে না।
শাহি ঈদগাহ হাজারীবাগ এলাকার ষাটোর্ধ্ব আবদুল নূর বলেন, টিকিটের মূল্য একটু বেশি হয়ে গেছে। টিকিটের মূল্য ৫০০ টাকা হলে অনেকে শখ মেটাতে পারতেন এবং শিকারিদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেত।
বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের আয়োজনের দেখভালের দায়িত্বে থাকা স্বপন আহমদ বলেন, মাছশিকারিদের জন্য দাগ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। শৌখিন শিকারিদের সঙ্গে স্থানীয় শিশুরাও শখের বসে পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছে। এ জন্য ৪০টি টিকিট বিক্রি হলেও পুকুরে বড়শি বেশি দেখা গেছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
ছাদে বেদানা চাষের সহজতম পদ্ধতি
সহজ উপায়ে টবে লঙ্কা চাষ
ফুলকপির মজাদার রেসিপি
ওজন নিয়ন্ত্রণে ফুলকপির ভাত
উপকারী ফুলকপির পাঁচ পদ
কেমন হবে আগামীর কৃষি:
“বসতবাড়িতে সবজি চাষ সুস্থ থাকি বারো মাস”
পরিবেশ আলোকচিত্রী ২০২১: এ বছরের পুরস্কার বিজয়ী ও চূড়ান্ত পর্বে আসা ছবির তালিকায় আছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রীরা
ছোলার ফলছিদ্রকারী পোকা
নারিকেলের তুষ (কোকোডাস্ট) থেকে জৈব সার তৈরি।কোকোপিটের ব্যবহার
বেদানা খেতে কার না ভালো লাগে। ছোট থেকে বড় বেদনার প্রতি আকর্ষণ সব্বার। দানাদার এই ফলের বীজ মুখের মধ্যে দিলেই, সুমিষ্ট রোষে মন উতলা হয়ে ওঠে। স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে অত্যন্ত বলবর্ধক এই ফল, রুগীদের পথ্য হিসাবে আদর্শ। বাজারেও এর চাহিদা থাকায়, এই ফলের চাষ বহুল পরিমাণে আমাদের রাজ্যে হয়। তবে বাড়ির ছাদে এই ফলের চাষ নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। সহজে, বুদ্ধিমত্ততার প্রয়োগে এই ফলের চাষ বাড়িতেও করা যায়। অনেকেই বাড়ির ছাদে ইদানিং এই ফলের চাষ নিয়ে মেতে উঠেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, বাড়ির ছাদে বেদনা চাষের সহজতম পদ্ধতি। যা শিখে আপনি আপনার পাড়া-পড়শীকেও তাক লাগিয়ে দিতে পারবেন।
script data-ad-client=”ca-pub-3140114751019908″ async=”” src=”https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js”>ছাদে বেদানার চারা লাগানোর জন্য প্রথমে ভালো মানের টব সংগ্রহ করতে হবে। গাছের গোড়ায় যাতে জল না জমতে পারে, তারজন্য টবের তলায় তিন থেকে চারটি ফুটো করে নিয়ে সেগুলি স্টোন চিপস দিয়ে ভালোভাবে বুজিয়ে দিতে হবে। ছাদে রোদ পড়ে এমন জায়গায় ডালিমের টবটিকে রাখতে হবে।
প্রস্তুতি কালে বেলে দোআঁশ মাটি ২ ভাগ, গোবর ১ ভাগ, টিএসপি ৪০-৫০ গ্রাম, পটাশ ৪০-৫০ গ্রাম এবং ২০০ গ্রাম হাড়ের চূর্ণ ভালো করে মিশিয়ে টবে জল দিয়ে প্রায় ১৫ দিন রেখে দিতে হবে। পনেরটা দিন কাটলে টবের মাটি খুঁচিয়ে আলগা করে দিতে হবে। এরপর ৫ থেকে ৬ এরকম আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এরপরেই লক্ষ্য করা যাবে টবের মাটি ঝুরঝুরে হয়ে আসবে। ঠিক সেইসময় বেদানার কলমের চারা টবে পুঁততে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, সোজা করে বসিয়ে যেন বেদানার চারা রোপণ করা হয়। সরু লাঠি দিয়ে চারাটিকে এরপর বেঁধে দেওয়া উচিত। চারা রোপণের শুরুর দিকে জল অল্প দিলেই চলবে। পরবর্তী কালে জল দেওয়ার পরিমাণ চারাতে বাড়াতে হবে। গাছের গোড়ায় কখনোই যাতে জল না জমে তাতে নজর রাখা উচিত।
বেদানা গাছের চারা লাগানোর ৪-৫ মাস হয়ে গেলে, এক মাস অন্তর সরিষার খোল পচা জল গাছে দেওয়া উচিত। সরিষার খোল ১০ দিন ভালো রূপে জলে ভিজিয়ে নিয়ে সেই পচা খোলের জল হালকা ভাবে গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করে নিতে হবে। টবের কিছুটা মাটি ১ বছর হয়ে গেলে বদলে দিতে হবে। মাটি যখন বদলাতে হবে সেই সময়কাল বর্ষার শেষ ও শীতের আগে যাতে হয় তাতে খেয়াল রাখা উচিত। মাঝে মধ্যেই টবের মাটি খুঁচিয়ে উল্টে পাল্টে দেওয়া উচিত।
script data-ad-client=”ca-pub-3140114751019908″ async=”” src=”https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js”>সার প্রয়োগ (Fertilizer)
বেদানার চারা বসানোর আগেই টবে দেওয়া মাটির গর্তে সার দিয়ে নিতে হবে। প্রত্যেক বছর নিয়ম করে এই । গর্ত করার ৮-১০ র প্রয়োগ করা উচিত, এতে গাছের ফলনের মান উন্নত হবে। নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে সার প্রয়োগ করলে বেদনা গাছের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।
সারের নাম সারের পরিমাণ/গর্ত
কম্পস্টের গুঁড়া ৫০০ গ্রাম
ইউরিয়া ১৫০ গ্রাম
টিএসপি ১০০ গ্রাম
এমওপি ১০০ গ্রাম
জিপসাম ৭০ গ্রাম
১ বছর বয়সের প্রতিটি গাছে গোবর ১০ কেজি, ইউরিয়া ১২৫ গ্রাম, টিএসপি ১২৫ গ্রাম এবং পটাশ সার ১২৫ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি বছর সারের মাত্রা একটু করে বাড়াতে হবে। পূর্ণ বয়স্ক ১ টি গাছে ৬০ কেজি গোবর, ১.৫ কেজি ইউরিয়া, ১.৫ কেজি টিএসপি এবং ১.৫ কেজি এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার প্রয়োগ করতে হবে। ওই পরিমাণ সার ২ বারে গাছে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম বারে মে- জুন মাসে এবং দ্বিতীয় বারে সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাসে গাছের গোড়ায় সারগুলি প্রয়োগ করতে হবে।
ফল সংগ্রহ: (Harvest)
৩-৪ বছর বয়স থেকেই বেদনা গাছে ফল আসতে শুরু করে। ফল পাকতে প্রায় ৬ মাসের মতো সময় লাগে। পরিপুষ্ট ফলের খোসার রঙ হলদে বাদামি বর্ণ নিলেই ফল পেড়ে নিতে হবে। ফল গাছে বেশিদিন থাকলেই তা ফেটে যেতে পারে। বেদনার খোসা অত্যন্ত শক্ত হওয়ার জন্য এই ফল অনেকদিন জমিয়ে রাখা যায়।
ফলন:(Yield)
চার-পাঁচ বছর বয়স হয়ে গেলেই ডালিম গাছ ফল দিতে শুরু করে। তবে জেনে রাখা ভালো প্রথম দিকে এই গাছ ভালো ফলন দেয় না। গাছের বয়স ৮ থেকে১০ বছর হয়ে গেলেই পরিপুষ্ট ডালিম গাছে আসতে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে ডালিম গাছের ফলনও বেড়ে যায়। সঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে একটা বেদনা গাছ কম করে ২০০ টির মতন ফল দিতে পারে। কম করে ৩০ বছর বেদনা গাছ অত্যন্ত ভালো মানের ফলন দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
রান্নাতে লঙ্কা না হলে, খাবার যেন ঠিক জমে না। খাদ্যে স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ তৈরীতে এবং মসলা হিসাবেও লঙ্কা দেশ তথা গোটা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশে নানাবিধ লঙ্কার চাষ হয়ে থাকে। সৌখিন মানুষ যারা বাড়িতেও বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ টবে করে থাকেন, তারাও এই বিশেষ ধরনের সবজি অর্থাৎ লঙ্কার চাষ করতে ভীষণই পছন্দ করেন।
মাটি (Soil):
গোটা বছর ধরেই লঙ্কার চাষ করা যায়। শীতকাল নাগাদ এই চাষ করলে ফলন বেশি ভালো হয়। বাড়ির বাগান, ছাদে লঙ্কার চাষ অত্যন্ত সহজেই করা যায়। দো-আঁশ মৃত্তিকা লঙ্কা চাষের জন্য আদর্শ। গোবর সার, ইউরিয়া সার লঙ্কা গাছ টবে চাষ করার জন্য জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
নার্সারির থেকে প্রথমে ভালো মানের লঙ্কা চারা কিনে আনতে হবে। মাটি ভালো করে তৈরী করে চারাগাছে বা বীজ বপন করতে হবে। শুকনো লঙ্কার বীজ ৬ ঘন্টার মতন ভিজিয়ে নিয়ে ভালো করে শুকিয়েও টবের মাটিতে পোঁতা যেতে পারে। অঙ্কুরোদ্গম এর ফলে ভালো হবে গাছে যাতে জল না জমে তার জন্য টবের নিচে ছোট ছিদ্র করে দেওয়া উচিত। যেই স্থানে আলো বাতাস পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে সেখানে লঙ্কার গাছ করা উচিত
সার প্রয়োগ (Fertilizer):
লঙ্কা গাছ বাড়ির টবে করতে গেলে সবসময় জৈব উপায়ে করাই ভালো। রাসায়নিক সার না দিয়ে ঘরের উচ্ছিষ্ট সবজি খোসা পচাও জৈব সার হিসাবে লঙ্কা গাছে প্রয়োগ করা যায়। গাছের পরিচর্যা অবশ্যই ভালোবেসে করতে হবে। সময় করে জল দেওয়া থেকে শুরু করে, গাছের আগাছা দূর করা সব নিজের হাতেই করা উচিত। লক্ষ্য রাখতে হবে, জল দেওয়ার পর টবে যেন কখনোই জল না জমে।
কীটপতঙ্গ প্রতিকার (Pest Control):
ঠিকঠাক ভাবে যত্ন করলে একটি লঙ্কা গাছ দু’ দফায় কম করে ৫০ থেকে ৮০ টি লঙ্কা উৎপাদন করতে পারে। কৃষিক্ষেত্রে বেশি পরিমানে লঙ্কা চাষ করা হলে, মূল পচা, পাতা পচা, পাতা কুঁকড়ে যাওয়া, ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা যায়। স্বল্প পরিসর অর্থাৎ টবে চাষ করলে এই রোগগুলির তেমন প্রাদুর্ভাব ঘটে না। অনেক সময় টবের লঙ্কা চাষে, পিঁপড়েরা আক্রমণ করে থাকে। এই বিপদ থেকে গাছকে বাঁচাতে সাবান গুঁড়োর ব্যবহার করা যেতে পারে। অল্প পরিমানে সাবানের গুঁড়ো গাছে ছিটিয়ে দিলে পিঁপড়ে হানার থেকে গাছকে রক্ষা করা যায়।
এই পদ্ধতিতে লঙ্কা চাষ করলে, লঙ্কার উৎপাদনও ভালো হবে, সঙ্গে খাবার পাতে ঝালের অভাবও হবে না।
বিভিন্ন কৃষি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে কৃষিবিদদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে আমরা পেয়েছি অধিকাংশ ফসলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উন্নত ফলনশীল জাত। এর ফলে বেড়েছে ফসলের উৎপাদন ক্ষমতা এবং দেশের মোট খাদ্য উৎপাদন।
বর্তমানে যেভাবে সরকারী এবং বেসরকারীভাবে কৃষির উপর গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করবে ইনশাল্লাহ।
যদিও আমাদের কৃষি আমার মতে সঠিক পথেই এগোচ্ছে, কিন্তু কথা হলো আগামী দিনে কেমন হবে আমাদের কৃষি। আমাদের কৃষি উৎপাদন কি দিন দিন বাড়তেই থাকবে? বিজ্ঞান সম্মত উত্তর হবে বাড়তেই থাকবে না কিন্তু আরো উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। কেননা আমাদের ফসলের জাত সমূহের উৎপাদন ক্ষমতা উপযুক্ত পরিবেশে আরো বেশি। প্রশ্ন এখানেই যে, আমরা চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ কি ধরে রাখতে পারব? প্রতিবছর কৃষি জমি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে বাড়ি-ঘর ও শিল্প কারখানা নির্মানের জন্য। নিবিড় চাষাবাদের ফলে আমাদের মাটির উর্বরতা ও উৎপাদন ক্ষমতা আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে। চাষযোগ্য জমিতে লবনাক্ততা বাড়ছে দিন দিন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষির উপর, ফলে উৎপাদন দিন দিন কমছে। এসব সমস্যার বাহিরে যে সমস্যা আমাদের জন্য অদূর ভবিষ্যতে প্রকট হয়ে দাড়াবে তা হলো আর্সেনিক বিষাক্ততা।
জমিতে ফসল ফলানোর জন্য শতকরা ৫ ভাগ জৈব পদার্থ থাকা জরুরী। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ জমিতে এর পরিমাণ মাত্র শতকরা ২ ভাগ এর কাছাকাছি। এছাড়াও আমাদের মাটিতে গাছের বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদন এর পরিমাণ আশংকাজনক হারে কমে গেছে। ৯০ এর দশকে আমাদের জমিতে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট সার প্রয়োগ করার প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু এখন আমাদের জিংক, বোরন সার জমিতে প্রয়োগ করতে হচ্ছে এবং আশংকা করা হচ্ছে যে, অদূর ভবিষ্যতে মাটি থেকে গ্রহণকৃত ১৪টি খাদ্য উৎপাদনের অধিকাংশ সার হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। এর ফলে আমাদের জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাবে।
বাংলাদেশের ২০ ভাগ অঞ্চল উপকূলীয় এবং দেশের চাষযোগ্য জমির ৩০ ভাগ এই উপকূলীয় অঞ্চলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে, আমাদের অধিকাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার পরিমান দিন দিন বাড়ছে। ফলে এসব অঞ্চলে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। উপকূলীয় অধিকাংশ অঞ্চলে শুধুমাত্র কিছু স্থানীয় লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাত বছরে একবার চাষ করা হয়। ফলে আশানুরুপ ফলনও পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এসব কিছু ছাড়িয়ে আর্সেনিক বিষাক্ততা আমাদের কৃষির জন্য। স¤প্রতি এক গবেষনা সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের ৬১টি জেলায় আর্সেনিক পাওয়া গেছে। অপরিকল্পিতভাবে ভুগর্ভস্থ পানি উত্তোলন এই আর্সেনিক দূষণের প্রধান কারণ। কৃষিবিদদের জন্য চিন্তার কারণ হলো যে, আর্সেনিক দূষিত পানি দ্বারা যে সকল ফসলে সেচ প্রদান করা হয় সেসব ফসলের খাদ্যপোযোগী অংশে থাকে আর্সেনিকের উপস্থিতি।
অতি সমপ্রতি আমরা পাটের জিনোম আবিষ্কার করেছি। এ থেকে প্রতীয়মান হয়ে যে, গবেষণা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। কিন্তু এসব সমস্যা মোকাবেলায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সরকারের কৃষি বান্ধব নীতিমালা এবং গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ নিশ্চিত করা। আমার বিশ্বাস প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা পেলে আমাদের কৃষি গবেষকরা এসব সমস্যা সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করে কৃষিকে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
বসতবাড়িতে সবজি চাষ সুস্থ থাকি বারো মাস”
দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরনের জন্য এবং শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য আমরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর সবজি রাখি। বাংলাদেশে বর্তমানে অপুষ্টি একটি প্রধান সমস্যা যদিও আমরা খাদ্যে স্বয়ং সর্ম্পূনতা অর্জন করতে পেনেছি। আর বাড়ির আশেপাশে সবজি চাষ কওে খুব সহজেই আমরা এ অভাব পূরণ করতে পারি। যেহেতু আমাদের জনসংখ্যা অধিক এবং কৃষিভূমি তুলনামূলকভাবে অনেক কম তাই বসতবাড়ির আশেপাশে পতিত জমিতে এবং বাসার ছাদে সবজি চাষ করেত পারি। এভাবে নিজেরা নিজেদের পরিচর্যায় নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত পুষ্টিকর সবজি চাষ করে আমরা সুস্থ ও সবল দেহ ও মনের অধিকারী হতে পারি।
মাথাপিছু সবজির প্রাপ্যতাঃ
FAO এর মতে প্রতিদিন মাথাপিছু ২২০ গ্রাম সবজি গ্রহণ করা উচিত । কিন্তু আমাদের দেশে তার অর্ধেকও গ্রহন করা হয় না। তাই এই হার বাড়াতে হলে বাড়ির আশে-পাশে সবজি উৎপাদনের কোন বিকল্প নাই।
পুষ্টি নিরাপত্তার ভূমিকাঃ
দেশের বিপুল দরিদ্র্য জনগোষ্ঠির পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হলে অবশ্যই বাড়ির আশে-পাশে অধিক পরিমাণে সব ধরনের সবজি চাষ করতে হবে । কারন সব ধরণের সবজিতে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন , খনিজ লবণ , প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যা আমাদেরকে সুস্থ, সবল এবং রোগমুক্ত রাখার জন্য খুব বেশী দরকার।
নিরাপদ খাদ্যে ভূমিকাঃ
বসতবাড়ির আশে-পাশে পতিত জমিতে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করে আমরা আমাদের নিজেদের পুষ্টি চাহিদা নিজেরাই পূরণ করতে পারি। এই প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত সবজি কীটনাশক ও অন্যান্য ভেজালমুক্ত ফলে আমরা সহজেই নিরাপদ খাদ্র পেতে পারি। কেননা বাজার থেকে প্রাপ্ত সবজি বিভিন্ন ভেজালযুক্ত হওয়ায় আমাদেরকে বিভিন্ন ধরণের মারাত্বক রোগের হুমকীর মধ্যে পড়তে হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি। এমতাবস্থায় নির্ভেজাল সবজি এবং পুষ্টির চাহিদা পূরনে বসতবাড়ির আশে-পাশে সবজি চাষের কোন বিকল্প নাই।
দারিদ্র্য -বিমোচনে ভূমিকাঃ
আমাদেও গ্রামঞ্চলে বাড়ির আশে-পাশে যেসব জায়গা পড়ে তাকে আর অল্প অংশেই বিভিন্ন রকম সবজি চাষ কওে আমরা যেমন আমাদের চাহিদা পূরণ করতে পারি তেমনি বাজারে বিক্রি করে নগদ অর্থও পেতে পারি। আর এটা করতে পারলে গ্রামাঞ্চলের বিপুল জনগোষ্ঠির দারিদ্র্য বিমোচন করাও সম্ভব হবে।
মোট সবজি উৎপাদনে ভূমিকাঃ
বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও জনসংখ্যার তুলনায় তা প্রায় অপ্রতুল।জনসংখ্যা বড়ছে এবং চাষযোগ্য ভূমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। মাঠে সবজি উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। তাই দেশের মোট সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে বসতবাড়ির আশে-পাশে সবজি চাষই এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন এটা আমাদেও নিঃসন্দেহে একটা বড় অর্জন। কিন্তু দারিদ্র্য পীড়িত বিপুল জনগোষ্ঠির এই দেশে পুষ্টির ব্যাপক ঘাটতি রয়ে গেছে। এই ঘাটতি পূরণ এবং সুস্থ-সবল ও সমৃদ্ধ জাতি গড়তে হলে বসতবাড়ির আশে-পাশে সবজি চাষের ওপর সর্বাত্বক গুরুত্ব দেয়া উচিত। আর এটা করতে পারলে পুষ্টির চাহিদা পূরনের পাশাপাশি নির্ভেজাল ও নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করে দেশের মানুষকে রোগমুক্ত রাখা সম্ভব। এজন্য বসত –বাড়ির আশে-পাশে সবজি চাষের কোন বিকল্প নেই। আজ আমাদের একটাই স্লোগান হওয়া উচিত “বসতবাড়িতে সবজি চাষ সুস্থ থাকি বারো মাস ”
পরিবেশ
পরিবেশ আলোকচিত্রী ২০২১: এ বছরের পুরস্কার বিজয়ী ও চূড়ান্ত পর্বে আসা ছবির তালিকায় আছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রীরা
লেখক
বিবিসি বাংলাএনভায়ারমেন্টাল ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার ২০২১ – বর্ষসেরা পরিবেশ আলোকচিত্রী ২০২১ – নির্বাচিত হয়েছেন স্পেনের আলোকচিত্রী আন্তোনিও অ্যারাগন রিনানসিও। তার তোলা গানার আফিয়াডেনিইগবা সমুদ্র সৈকতে উপকূলীয় ভাঙনে বিধ্বস্ত একটি বাসাবাড়ির মেঝেতে ঘুমন্ত এক শিশুর ছবি এবছরের সেরা পরিবেশ আলোকচিত্রের পুরস্কার পেয়েছে।
এই ছবির নাম ফটোগ্রাফার দিয়েছেন ‘দ্য রাইজিং টাইড সান্স’ (জোয়ার পানির শিশুপুত্ররা)। ছবিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।
মি. রিনানসিও পুরস্কার মূল্য হিসাবে পেয়েছেন দশ হাজার পাউন্ড।
‘এনভায়ারমেন্টাল ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার’ বা বর্ষসেরা পরিবেশ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার এটা ১৪তম বছর। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পরিবেশের ওপর বিশ্বের সবচেয়ে উদ্দীপনামূলক ফটোগ্রাফিগুলো তুলে ধরা হয়।
এই পুরস্কারের মধ্যে দিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার ক্ষমতা, এই লক্ষ্যে তাদের সৃজনশীলতা এবং পাশাপাশি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানে সাড়া দেবার প্রয়াসকে উৎসাহিত করা হয়।
এ বছরের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে গ্লাসগোয় জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬এ।
নিচে রয়েছে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী অন্যান্য ছবিগুলো। আলোকচিত্রীদের নিজেদের দেয়া ছবির বর্ণনাসহ ছবিগুলো পরিবেশ প্রতিকূলতার নানা দিক তুলে ধরেছে।
ইয়াং এনভায়ারমেন্টাল ফটোগ্রাফার অফ দ্যা ইয়ার: বর্ষসেরা তরুণ পরিবেশ আলোকচিত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন আমান আলী, দিল্লির যমুনা ঘাটে তার তোলা ছবির নাম – আগুন।
”ভারতের দিল্লিতে যমুনা নদীর ঘাটে ধেয়ে আসা দাবানল নেভানোর চেষ্টা করছে এক কিশোর।”
রেজিলিয়েন্ট ক্যাটেগরিতে পুরস্কার: ‘সহনশীলতা’ সিরিজের সেরা ছবি হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছেন বাংলাদেশের নোয়াখালিতে তোলা আশরাফুল ইসলামের ছবি – সার্ভাইভ ফর অ্যালাইভ (বেঁচে থাকার জন্য)
শুষ্ক ফেটে যাওয়া জমির ফাঁকে একটু ঘাসের সন্ধানে ভেড়ার পাল।
বাংলাদেশে চরম খরার কারণে সব ধরনের প্রাণীর জীবন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্লাইমেট অ্যাকশন ক্যাটেগরিতে বিজয়ী: ছবির নাম ‘দ্য লাস্ট ব্রেথ’- তুলেছেন কেনিয়ার নাইরোবিতে কেভিন অনিয়ানগো।
“এক কিশোরের পেছনে দেখা যাচ্ছে বালির ঝড় উঠেছে- এর মধ্যে সে নিঃশ্বাসের জন্য অক্সিজেন নিচ্ছে গাছ থেকে। আগামী দিনে যে পরিবর্তন আসছে এই ছবিতে তা নিয়ে রয়েছে শিল্পীর কল্পনা।”
পানি এবং নিরাপত্তা ক্যাটেগরিতে বিজয়ী: সন্দীপনি চট্টেপাধ্যায়- ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দামোদর নদের ছবি তুলেছেন তিনি । ছবির নাম – গ্রিন ব্যারিয়ার- সবুজের বাধা
“অস্বাভাবিক বর্ষা মরশুম আর খরার কারণে ভারতের দামোদর নদ ভরে উঠেছে শ্যাওলার আস্তরণে।
“শ্যাওলার বিস্তারের কারণে নদীর জলে আলো ঢুকতে পারে না, ফলে জলের নিচে জলজ জীবগুলো অক্সিজেন শুষে নিতে পারে না। এর প্রভাব পড়ছে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য আর পরিবেশের ওপর।”
এনভায়রমেন্টস অফ দ্যা ফিউচার ক্যাটেগরি: ভবিষ্যতের পরিবেশ বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন ইতালির মিশেল লাপিনি। মডেনার নোনানতোলায় পানারো নদীতে তোলা এই ছবির নাম তিনি দিয়েছেন ‘ফ্লাড’।
“অতিবৃষ্টি আর গলে যাওয়া বরফের পানির ঢলে প্লাবিত পো উপত্যকার পানারো নদীতে ডুবে যাওয়া একটি বসতবাড়ি।”
সাসটেনেবল সিটিস পর্যায়ে বিজয়ী: আইসল্যান্ডের রেইকানেসব্যায়ারএ এই ছবিটি তুলেছেন সিমন ট্রামন্টি। ছবির শিরোনাম – নেট জিরো ট্রানজিশন- ফোটোবায়োরিঅ্যাক্টার (সার্বিক নিগর্মন শূন্যে রূপান্তর – আলোকসংশ্লেষ প্রযুক্তির চুল্লি)
“আইসল্যান্ডের রেইকানেসব্যায়ার-এর আলগালিফ জ্বালানি কেন্দ্রে আলোক সংশ্লেষ প্রযুক্তির একটি জৈব চুল্লি। ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা থেকে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করে এই চুল্লি টেকসই অ্যাস্টাজ্যান্থিন উৎপাদন করে।
“আইসল্যান্ড জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করছে।”
নদীতে মাছ ধরা- ছবিটি তুলেছেন আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে।
“পুরো নদী ভরে উঠেছে সবুজ শ্যাওলায় – তারই মধ্যে বহু জেলে এখানে আসেন মাছ ধরতে।
“নদীর পানির নিচে ভরাট সবুজ শ্যাওলা।”
ধূপ কাঠি শুকাচ্ছে- ছবি তুলেছেন ভিয়েতনামের হ্যানয়তে আজিম খান রনি।
“ভিয়েতনামে হ্যানয়ের একটি গ্রাম কোয়াং ফু সাউ-তে হাজার হাজার ধূপ কাঠি পরিবেষ্টিত হয়ে কাজ করছেন কর্মীরা। এখানে কয়েক শত বছর ধরে প্রথাগত পদ্ধতিতে ধূপ কাঠি তৈরি করা হয়ে আসছে।
“ভিয়েতনামে মানুষের ধর্ম পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ধূপ কাঠি।”
প্লাস্টিকে বিপন্ন পরিবেশ- বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তোলা সুব্রত দে-র ছবি
“আমি এই ছবিটি তুলেছি বাংলাদেশে চট্টগ্রামের একটি প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানায়।
“প্লাস্টিক আবার ব্যবহারযোগ্য করলে তা প্লাস্টিক দূষণ এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের নিগর্মন থেকে পরিবেশকে রক্ষা করে।”
হুকড পাপ – বঁড়শিতে গাঁথা শাবক- মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়া এলাকায় করোনাডো দ্বীপে ছবিটি তুলেছেন সিলিয়া কুজালা।
“আমি এই সিন্ধুঘোটক শাবককে দেখি মুখের ভেতর বঁড়শি গাঁথা অবস্থায়।
“আমি যতক্ষণ সাঁতার কাটছিলাম শাবকটা আমার কাছে কাছে ছিল এবং মনে হচ্ছিল সে আমার কাছে সাহায্য চাইছে।”
নিমোর বাগান- আলোকচিত্রী গিয়াকোমো ডি’অরলান্দো, ইতালি
“নিমোর বাগান হল একটি বিকল্প কৃষি পদ্ধতি। যেখানে পরিবেশগত কারণে গাছপালার বৃদ্ধি খুবই কঠিন, সেখানে মূলত এই কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
“জলবায়ুর পরিবর্তনে ক্রমশ আরও চাপের মুখে পড়া আমাদের ভবিষ্যত পরিবেশগত সমস্যা মোকাবেলায় এই পরিবেশ বান্ধব সমাধান ব্যবহার করে পানির নিচে কৃষিকাজের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে এই টেকসই প্রকল্প।”
ক্লিন এনার্জি – পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি শিরোনামে এই ছবি তুলেছেন পেদ্রো ডি অলিভিয়েরা সিমোস এস্তেভেস, পর্তুগালের সেরা ডি সাও মাকারিও-তে
“মেঘলা দিনে পাহাড়ের পেছন দিয়ে সূর্য অস্ত যাবার কয়েক মুহূর্ত আগে বায়ু-চালিত টার্বাইনের ছবি।
পলিগোনাল ফরেস্ট – স্পেনের সালামাঙ্কার সিয়েরা ডি বেজারে বহুমাত্রিক বর্ণময় এই জঙ্গলের ছবি তুলেছেন রবের্তো বুয়েনো
“জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলার একটা মৌলিক পথ হল জঙ্গলকে ভালভাবে বাঁচিয়ে রাখার পদ্ধতি।
“এটি চেস্টনাট গাছের অরণ্য- জঙ্গল মালিকরা টেকসই পদ্ধতিতে এই অরণ্যকে সজীব রাখেন।
“তারা জঙ্গলের গাছ কাটেন এক বিশেষ পদ্ধতিতে। বিশেষভাবে তৈরি এই এলাকাকে বলা হয় পলিগোনাল এলাকা- সেখানে বড় বড় গাছের ফাঁকে ছোট ছোট জায়গা খালি রাখা হয় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বনায়নের জন্য।”
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন