এগ্রোবিজ
বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলেই ব্যবস্থা
লেখক
কালের কণ্ঠগত ১ জুলাই থেকে দেশের কোন কোন ব্যবসায়ী কী পরিমাণ পেঁয়াজ, খেজুর, ভোজ্য তেল, ছোলা, চিনি ও ডাল কত দামে আমদানি করেছেন তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গত শনিবার থেকে শুরু করা এই তালিকা তৈরির কাজ আসন্ন ঈদ পর্যন্ত চলবে। রমজান সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কোনো আমদানিকারক অতিরিক্ত মুনাফা করতে এই ছয় খাদ্যপণ্য বেশি দামে বিক্রি করে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করলে শুল্ক গোয়েন্দারা তাঁর আমদানি নিষিদ্ধ করার মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবে। জেল-জরিমানার মতো আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে আমদানিকারকের সব তথ্য স্বরাষ্ট্র, অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকারে পাঠানো হবে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুর রউফ কালের কণ্ঠকে বলেন, শবেবরাতের কয়েক দিন আগে থেকে রমজানের কেনাকাটা শুরু হয়। প্রতিবছরই এ সময়ে কিছু খাদ্যপণ্যের চাহিদা কয়েক গুণ বাড়ে। অতীতে দেখা গেছে, এই চাহিদা সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিংবা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বেশি দামে কিনেছেন এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করেন। ব্যবসায়ীর কারসাজিতে বাধ্য হয়েই ভোক্তাকে এসব পণ্য কয়েক গুণ বেশি দামে কিনতে হয়। এবার রমজানে এসব কারসাজি রোধে আমদানিকারকদের আমদানির তথ্য শুল্ক গোয়েন্দারা অধিক গুরুত্ব দিয়ে সংগ্রহ করছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেন লাভের জন্য। কিন্তু নিজের পকেট ভারী করতে মানুষকে কষ্ট দিয়ে জিম্মি করে কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করা হলেই ধরা হবে। বাজারে কোনো পণ্য অতিরিক্ত বেশি দামে বিক্রি হলে খোঁজ নেওয়া হবে, তা কোন আমদানিকারক কী দামে কী পরিমাণে এনে কোন পাইকারি বিক্রেতার কাছে কত দামে বিক্রি করেছেন। যদি দেখা যায়, আমদানিকারক আমদানি করা দামের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করেছেন, তাহলে ওই আমদানিকারকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, প্রতি মাসে পাঁচ-ছয় হাজার মেট্রিক টন খেজুরের চাহিদা থাকলেও শুধু রমজানে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন লাগে। রোজা ঘিরে আমদানিকারকরা এরই মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার টন খেজুর আমদানি করেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, বছরে ভোজ্য তেলের চাহিদা ২৪ লাখ টন। রমজানে চাহিদা থাকে আড়াই থেকে তিন লাখ টন। সারা বছর ১৮ লাখ টন চিনির চাহিদার তিন লাখ টনই লাগে রোজায়। সারা বছর পাঁচ লাখ টন মসুর ডালের মধ্যে শুধু রোজায় লাগে ৮০ হাজার টন। বছরে ৮০ হাজার টন ছোলার ৮০ শতাংশই রোজায় লাগে। বছরে ২৫ লাখ টন পেঁয়াজের পাঁচ লাখ টনই দরকার হয় এ মাসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ডিসেম্বরে এক লাখ ৪৩ হাজার টন চিনি আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দুই লাখ ৩৩ হাজার টন হয়েছে। ডিসেম্বরে ৫১ হাজার টন ছোলা, মসুর ও অন্যান্য ডাল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়। জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ৯৫ হাজার টন। ডিসেম্বরে ১৪ হাজার টন খেজুরসহ অন্যান্য ফল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে। জানুয়ারিতে এ হিসাব বেড়ে হয়েছে ২৩ হাজার টন। তিন লাখ দুই হাজার টন ভোজ্য তেল আমদানির ক্রয়াদেশ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জানুয়ারিতে দেওয়া হয় দুই লাখ ৭১ হাজার টনের। ডিসেম্বরে প্রায় ১২৩ মিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের তেলবীজ আমদানি করা হয়েছে।
এবারের রোজায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে এ ছয় পণ্যেও শুল্ককর কমানো বা মওকুফ করেছে এনবিআর। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এতে এ ছয় খাদ্যপণ্য এরই মধ্যে গত বছরের তুলনায় বেশি আমদানি করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে পাম অয়েল আমদানি করা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ২০৮ টন, গত পুরো অর্থবছর আমদানি করা হয়েছিল আট লাখ ৭৬ হাজার ৪৩৫ টন।
গত জুলাই-জানুয়ারিতে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করা হয়েছে তিন লাখ ৬৭ হাজার ৯৩৬ টন। আগের বছর একই সময়ে আমদানি করা হয়েছিল তিন লাখ ৪২ হাজার ৩৩৫ টন। গত অর্থবছরে কলাই ডাল আমদানি করা হয় এক লাখ ৭৯ হাজার ১১৪ টন। গত জানুয়ারি পর্যন্ত আমদানি হয়েছে দুই লাখ ৯০ হাজার ৩৮৪ টন। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে ৬০ হাজার ৩৩১ টন চিনি আমদানি করা হয়েছে। গত বছর এই সময়ে আমদানি করা হয় ৫৭ হাজার ৬৯৫ টন।
দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা কালের কণ্ঠকে বলেন, শবেবরাতের কয়েক দিন আগে থেকে খাদ্যপণ্য বিক্রি বাড়ে। ক্রেতার চাহিদা বিবেচনায় ব্যবসায়ীরাও প্রস্তুতি নিয়েছেন। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এই চাহিদা সামনে রেখে কম দামে কিনে কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করেন। কঠোরভাবে বাজার নজরদারি করা হলে এই কারসাজি রোধ করা সম্ভব।
আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার
ওষধি উদ্ভিদ কালমেঘ চাষে ব্যাপক আয়
নির্দিষ্ট পুঁজিতে মিশ্র চাষে কৃষকদের ব্যাপক আয়ের সুযোগ
কেমন হবে আগামীর কৃষি:
সুদান ঘাস চাষ করবেন যেভাবে
৩ অর্থবছরে ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কাঁকড়া-কুচিয়া রপ্তানিতে আয় প্রায় ৯৮৯ কোটি টাকা
সবজিতে স্বস্তি, দাম বেড়েছে মুরগির
ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করল ১৪ ট্রাক ভারতীয় কাঁচা মরিচ
ডাল, তেলের দাম বাড়িয়ে বুধবার থেকে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি
তিন কারণে বাড়ছে চাল, ডাল, আটাসহ নিত্যপণ্যের দাম
জয়পুরহাটে পাঁচবিবি উপজেলার বিনধারার গ্রামে এবার হচ্ছে মাঠজুড়ে চায়না জাতের তরমুজের চাষ। উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম শাহিন এবং কয়েকজন প্রান্তিক কৃষক বিনধারা মাঠে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে চায়না জাতের ব্লাকবেবী তরমুজের চাষ করছেন।
আকারে ছোট খেতে সুস্বাধু এ জাতের তরমুজের গায়ের রং কালো হওয়ায় ”ব্লাকবেবী” হিসাবেই পরিচিত। ব্লাকবেবী চাষ অন্য ফসলের তুলনায় বহুগুনে লাভজনক।
মাচা পদ্ধতিতে বারোমাসি তরমুজ চাষ বিবেচিত হচ্ছে সম্ভাবনাময় একটি কৃষি পণ্য হিসাবে। এই তরমুজের জীবনকাল মাত্র ৬০ দিনের। ১ বিঘা জমির জন্য প্রয়োজন ৫০ গ্রাম বীজ। যার দাম ৩ হাজার ৮’শ টাকা। বিঘাপ্রতি সেড তৈরীর মালসিং পেপার ৭ হাজার ৫’শ, মাচা পদ্ধতিতে শেড তৈরীর বাঁশ আর মজুরী খরচ ১০ হাজার, সার মাটি আর বালাই নাশক স্প্রে বাবদ ৭ হাজার ৫’শ, পরিচর্য্যা মজুরী ৬ হাজার, পরিবহন খরচ ২ হাজার সর্বমোট বিঘা প্রতি তরমুজ চাষে খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
এক বিঘা জমিতে ৬০ দিনে তরমুজ উৎপাদন হয় প্রায় ১২ ’শ থেকে ১৫’শ পিস তরমুজ যার ওজন প্রায় ৪ থেকে ৪.৫ মেট্রিক টন। প্রতিটি তরমুজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে যার বিক্রি মূল্য হয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় নীট লাভ থাকে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। যা তুলনামূলক অন্যান্য ফসলের চাইতে অনেক লাভজনক। একটি সেড তৈরী হলে সেই শেডে নুন্যতম তিনটি তরমুজের আবাদ করা যায়। ফলে স্থায়ী এই খরচটি পরের দু’বার হয় না। ফলে পরের দু’বারে উৎপাদন খরচ কমে গিয়ে লাভের ভাগ আরো বেশী হয়।আবার বারোমাসই এই তরমুজ পাওয়া যায় বলে এর চাহিদা বেশী। তাইওয়ানের জেসমিন-১, জেসমিন-২ ও ব্লাক প্রিন্স জাতের তরমুজে পোকামাকড়ের আক্রমণ তুলনা মূলক বলে ফসলে মার খাওয়ার ঝুঁকিও কম। গাছের গোড়ায় জলাবদ্ধতা ছাড়া এই জাতের উৎপাদন ব্যাহত হবার আর কোন কারন নেই। এই তরমুজ অনেক সুস্বাদু, পুষ্টিকর। সবচেয়ে বড় আশা জাগানিয়া কথা হচ্ছে বোরো ধান কাটার পর প্রায় দু’ আড়াই মাস জমি পতিত থাকে। দু’টি ধান চাষের মাঝে অনায়াসে একার তরমুজের ফলন সম্ভব। ফলে জমির সঠিক ব্যবহার যেমন নিশ্চিত হচ্ছে তেমনি বাড়ছে আয়। এ সব কারনে তরমুজ চাষে বাড়ছে কৃষকের সংখ্যা।
সরেজমিনে দেখাযায়, পলিথিন দিয়ে তরমুজের বীজ বোপনের জন্য বরাবর বেড তৈরী করা হয়েছে। বাশ ও জিআই তারে তৈরী ঝাংলায় তরমুজ গাছের সবুজ পাতাগুলো শোভা বর্ধন করছে। কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিচিত এক বন্ধুর এ জাতের তরমুজ চাষে লাভবান হয়েছে এবং তার কথা শুনেই তিনিও শুরু করেছেন। প্রায় ৪০ হাজার টাকা বিঘা প্রতি খরচ হলেও এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রয় হবে এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি। চায়না তরমুজ ছাড়াও তিনি টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী সবজিও চাষ করেছেন।
সুদূর যুক্তরাজ্য থেকে ‘পোকা’ এনে সিলেটের বিশ্বনাথে খামার গড়ে তুলেছেন খলিলুর রহমান নামের এক প্রবাসী যুবক। উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের নিজ বাড়ির পাশে ‘হাজি বায়োসাইকেল কোম্পানি’ নামে প্যারেট পোকার (ব্ল্যাক সোল্ডার ফ্লাই) এই খামারটি গড়ে তুলেছেন তিনি। এ ধরনের পোকার খামার সিলেট বিভাগে এই প্রথম বলে জানা গেছে।
রোববার সকালে সরেজমিনে খামারটিতে গিয়ে দেখা যায়, একটি টিনসেড ঘরের ভেতরে ৫টি বড় মশারি দিয়ে সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে ৫টি খাঁচা। খাঁচার ভেতরে রয়েছে পোকা। আর এই পোকার খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে পরিত্যক্ত বিভিন্ন খাবার (ওয়েস্ট ফুড)।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী খলিলুর রহমান জানান, মাতৃভূমিতে কিছু একটা করার ইচ্ছে ছিল দীর্ঘদিন থেকে। তাই জন্মভূমি বিশ্বনাথে একটি কোয়েল পাখি ও লেয়ার মুরগির খামার করি। কিন্তু কোয়েল পাখি ও লেয়ার মুরগির খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় চিন্তা করি কীভাবে কম মূল্যে খাবার সংগ্রহ করা যায়। এরপর সিদ্ধান্ত নেই একটি প্যারেট পোকার খামার করার। যাতে কম মূল্যে খামারের কোয়েল পাখি ও লেয়ার মুরগির পুষ্টিকর খাবার সংগ্রহ সম্ভব হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যর একটি ফার্ম থেকে ১৫০ গ্রাম (প্রায় ১৫০টি) পোকা সংগ্রহ করে দেশে নিয়ে আসি। এরপর গত ২৬ জুন থেকে বাড়ির পাশে খামার তৈরি করে থেকে পোকার চাষ শুরু করি।
তিনি আরও জানান, পাখি ও মুরগির পুষ্টিকর খাবার ‘প্যারেট পোকা’। এই পোকায় রয়েছে ৪০ শতাংশ প্রোটিন ও ২০ শতাংশ ফ্যাট। একটি স্ত্রী পোকা ৫০০ থেকে ৬০০টি ডিম দেয়। ডিম থেকে বাচ্চা (লার্ভা) জন্ম নেয়। এরপর ২১দিনে পোকা পরিপূর্ণ হলে তা পাখি ও মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৫ দিনে একটি পোকা ডিম দেয়ার উপযুক্ত হয় এবং ডিম দেয়ার পরই ওই পোকা মারা যায়। মরা এই পোকাই কোয়েল ও মুরগির প্রিয় খাবার।
পোকার খাদ্য হিসেবে উচ্ছিষ্ট ও পঁচা খাবার ব্যবহৃত হয়। চাষের জন্য প্রতি কেজি পোকা ১২ হাজার টাকা এবং পাখি ও মুরগির খাবারের জন্য ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। এটি একটি লাভজনক খামার। খামারে তিন ধরনের (ভিটল, কিক্রেটস ও ব্ল্যাক সোল্ডার ফ্লাই) পোকা চাষ করা হচ্ছে।
খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ‘বায়োকনর্ভাশন ইনোভেটিভ’ সেন্টার শুরু করার লক্ষ্যে ১৫০ গ্রাম (প্রায় ১৫০টি) পোকা ২৫০ টাকায় ক্রয় করি। বর্তমানে আমার খামারে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার পোকা রয়েছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামারটি আরও বড় করার পরিকল্পনা আছে।
এদিকে পোকার এই ব্যতিক্রমী খামার দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সের লোকজন প্রতিদিন খলিলুর রহমানের খামারে ভিড় করছেন। মানুষের এই আগ্রহ ও কৌতুহল তাকে আরও বেশি খামারের প্রতি মনোযোগী করে তুলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে পোকার এই ব্যতিক্রমী খামার দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সের লোকজন প্রতিদিন খলিলুর রহমানের খামারে ভিড় করছেন। মানুষের এই আগ্রহ ও কৌতুহল তাকে আরও বেশি খামারের প্রতি মনোযোগী করে তুলছে বলে জানান তিনি।
ওষধি উদ্ভিদ কালমেঘ নিয়ে মোটামুটি সবাই বর্তমানে ওয়াকিবহাল। বীরুৎ-জাতীয় এই উদ্ভিদের ভেষজ গুণ প্রচুর পরিমানে থাকায় বর্তমানে আমাদের রাজ্যে কালমেঘ চাষ প্রচুর পরিমানে হচ্ছে। শারীরিক সমস্যা দূর করতে কালমেঘের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কালমেঘ পাতার রস রক্ত আমাশা দূর করা ছাড়াও, কৃমির সমস্যা রোধ করতেও ভীষণ কার্যকরী। মূলত বীজ থেকে এই কালমেঘের চাষ হয়। জন্ডিস, কৃমি, ম্যালেরিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, যকৃতের সমস্যার জন্য কালমেঘ খুবই উপকারী। সর্দি-কাশি ও চামড়ার রোগ দূর করতেও কালমেঘের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। জুন-জুলাই মাসে মূলত এই ফসলের চাষ হয় এবং মার্চ-ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ এর বীজ সংগ্রহ করা হয়।
মাটি ও জলবায়ু: (Soil and Climate)
যে কোনও ধরণের জলবায়ুতেই এই গাছের চাষ সম্ভব যেমন, তেমনই বিভিন্ন মাটিতেও এটি বেড়ে উঠতে পারে। তবে বেলে-দোআঁশ মাটি এই চাষের জন্য আদর্শ৷ কালমেঘ চাষের আগে জমি ভালো করে কর্ষণ করে নিতে হবে। ১৫ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে কালমেঘের বীজ বপন করা উচিত। ঠান্ডা আবহাওয়ায় মূলত কালমেঘের চাষ ভালো হয়।
সার প্রয়োগ ও সেচ (Fertilizer and Irrigation)
প্রথমে মাটি, বালি, জৈব সার মিশিয়ে বীজের জন্য মাটি প্রস্তুত করে নেওয়া উচিত। বীজ থেকে চারা বেরোলে তা চাষের জমিতে পোঁতা হয়। কালমেঘের ভালো ফসলের জন্য জমিতে গোবর সার ব্যবহার করেন অনেকে। মূলত বর্ষাকালে এটি চাষ করা হয় তাই সেচ কার্যের তেমন প্রয়োজনীয়তা পড়ে না৷ তবে প্রথম প্রথম তিন-চার দিন পর পর প্রয়োজনাসুরে জল দিতে হয়। এরপর আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী সপ্তাহে সপ্তাহে জলসেচ দেওয়া যেতে পারে৷
পরিচর্যা (Caring)
অন্যান্য চাষের মতন কালমেঘেরও পরিচর্যা করা উচিত। আগাছা থাকলে তা যত্নের সঙ্গে কেটে দেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে জমিতে যাতে জল না জমে। চারা রোপনের তিন মাসের মাথায় ফসল সংগ্রহ করে নেওয়া উচিত। বাজারে কালমেঘের প্রচুর পরিমানে চাহিদা থাকায়, এই চাষ করে কৃষকরা অধিক উপার্জন সহজেই করতে পারবেন।
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অসম, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশে কালমেঘের চাষ প্রচুর পরিমানে হয়। কৃষকরা এই ওষধি উদ্ভিদ চাষ করে ভালোই উপার্জন করছেন, তা এই রাজ্যগুলিতে কালমেঘের ব্যাপক চাষই প্রমাণ করে।
বর্তমান যুগে খাদ্যসামগ্রীর চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে | অন্যদিকে, চাষযোগ্য জমি এবং জলাশয়ের পরিমান কমছে | তাই এহেন অবস্থায়, মিশ্র চাষ (Mixed Farming) একমাত্র উপায়| বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে এই মিশ্র চাষ বেশ লাভজনক | মিশ্র চাষ বলতে বোঝায় বিভিন্ন প্রকার প্রাণী ও উদ্ভিদের চাষের মধ্যে সমন্বয়সাধন, যার ফলে একটি প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট অপ্রয়োজনীয় পদার্থ অন্য প্রক্রিয়ায় মূল্যবান উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে অপ্রয়োজনীয় পদার্থের চক্রাকার আবর্তন ঘটায়।
script data-ad-client=”ca-pub-3140114751019908″ async=”” src=”https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js”>ধরে নেওয়া যাক, কোনো এক কৃষকের জমি এবং পুকুর আছে | সেখানে মাছ চাষ হচ্ছে যেমন তেমনি আছে হাঁসের দল | আবার, পাড়ে চড়ছে দেশি মুরগি | হাঁস-মুরগির মল পুকুরে মাছের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে। আবার ছাগল ও গরু চাষও হচ্ছে সেখানেই এক কোণে। যার বর্জ্য ব্যবহার হচ্ছে পুকুর পাড়ের সব্জি চাষে সার হিসাবে। একসঙ্গে একই জায়গায়, এভাবে চাষ করে অনেকটাই খরচ কমানো সম্ভব || সাথে, গ্রামীণ অর্থনীতির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে |
script data-ad-client=”ca-pub-3140114751019908″ async=”” src=”https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js”>মিশ্র চাষের উদ্দেশ্য (Objective of integrated farming):
এই মিশ্র চাষের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো প্রাকৃতিক পরিবেশে সৃষ্ট কোনো বর্জ্য পদার্থ না, একের বর্জ্য অন্যের প্রয়োজনে ব্যবহার হবে | কোনো কিছুই এখানে বাদ দেওয়া যায়না | এই যে আবর্তন, এটাই হলো এই চাষের মূল উদ্দেশ্য | এই তত্ত্বকেই কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ ও প্রাণির চাষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হচ্ছে | এই প্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ, একজনের সৃষ্ট বর্জ্য অন্যজনের সার বা খাবার হিসাবে ব্যাবহৃত হচ্ছে | অনেক চাষ এক জায়গায় হয় বলে এই পদ্ধতিতে জমি কম লাগে। বহুমুখী উৎপাদন হয় বলে এই পদ্ধতিতে চাষ করে লাভের পরিমান বেশ ভালোভাবেই বাড়ানো যায় |
script data-ad-client=”ca-pub-3140114751019908″ async=”” src=”https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js”>বিভিন্ন প্রকার মিশ্র চাষের উদাহরণ (Types of integrated farming):
সাধারণত, বিভিন্ন ধরণের সংহত চাষ বা ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং করা যায় | যেমন, গবাদি পশুর সঙ্গে মাছ-সব্জির চাষ করা যেতে পারে, আবার হাঁস-মুরগির সঙ্গে মাছ-সব্জির চাষ করা যেতে পারে, ধান সংলগ্ন জমিতে মাছ-হাঁস চাষ করেন অনেকে, আবার বিভিন্ন প্রাণির (গরু-ছাগল-শুয়োর-হাঁস-মুরগি) সংহত চাষও করা যায় | যেমন,
মাছ চাষ ও শুয়োর এবং ছাগল পালন:
একসাথে ছাগল, শুয়োর এবং মাছ চাষ করা যায় | ছাগল ও শুয়োরের মল থেকে উচ্চ মানের সার তৈরি হয়। মাছের খাবার হিসাবে এটি যেমন কাজে লাগে তেমনই পুকুরে ফেললে উর্বর পাঁক তৈরি হয়। যা পরে শাক-সব্জির সার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। সরাসরি মলকেও সার হিসাবে দেওয়া যায় সব্জি চাষে। ৩৫-৪০টি দেশীয় ঘুঙরু জাতের শুয়োর বা ছাগল এক হেক্টর জলাশয়ের জন্য যথেষ্ট। এক্ষেত্রে সবুজ ঘাস বা কন্দ জাতীয় ফসল পুকুর পাড়ে চাষ করলে ছাগল ও শুয়োরের খাবার বাইরে থেকে কিনতে হয় না।
script data-ad-client=”ca-pub-3140114751019908″ async=”” src=”https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js”>হাঁস পালন ও মাছ চাষ:
একসাথে হাঁস ও মাছ চাষ করা বেশ সুবিধাজনক |হাঁসের জন্য জীবাণুমুক্ত পরিবেশ দেয় পুকুরের মাছ। অন্য দিকে হাঁস পুকুরের অনিষ্টকারী কীটপতঙ্গ ও গুগলি খেয়ে মাছেদের সুবিধা করে। হাঁস পুকুরে ডুব দিয়ে গুগলি তুলে খাবার সময় যে আলোড়নের সৃষ্টি হয়, তার ফলে তলদেশে জমে থাকা গ্যাস বেরিয়ে যায়। অনেক সময় মাটিতে আবদ্ধ প্রয়োজনীয় খাদ্যোপাদানের মুক্তি ঘটে। হাঁসের চলাফেরায় জলে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে। হাঁসের মল সরাসরি পুকুরে পড়ে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্যকণার উৎপাদন বাড়ায়। হাঁসের মলে (শুষ্ক ওজনের ভিত্তিতে) নাইট্রোজেন থাকে ২.১৫ শতাংশ, ফসফরাস ১.১৩ শতাংশ এবং পটাশিয়াম ১.১৫ শতাংশ। ব্যবহারিক দিক থেকে দেখলে হাঁসপালন অনেক বেশি লাভজনক। কারণ হাঁস ২-৩ বছর পর্যন্ত ডিম পাড়ে। দেশি হাঁসের ডিম পাড়ার ক্ষমতা বছরে ১২০-১৩০টি। খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস বছরে ২৮০-৩০০টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। পুকুর থেকে নিজেদের খাদ্য নিজেরাই সংগ্রহ করে নেয় হাঁসেরা। রোগব্যাধিও মুরগির তুলনায় কম। এতে কৃষকদের পকেট ভরে ভালো করে |
মাছ, সব্জি চাষ ও গরু পালন:
script data-ad-client=”ca-pub-3140114751019908″ async=”” src=”https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js”>আবার , গরু, মাছ ও শাক-সব্জি একসাথে চাষ করা যায় | গোবর ও গোমূত্রে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ ও জৈব পদার্থ থাকে। যা মাছ চাষ এবং শাক-সব্জি চাষে জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করে চাষের খরচ কমানো যায়। এক্ষেত্রে গোয়ালঘর পুকুরপাড়ে করতে হবে, যাতে গোবর সহজে পুকুরে ফেলা যায়। পুকুর পাড়ে সবুজ ঘাস ও অন্য শাকসব্জি গরুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
মুরগি ও মাছ চাষ:
মুরগির মল উৎকৃষ্ট জৈব সার। যা পুকুরে দিয়ে পুকুরের জৈব উৎপাদন বাড়ানো যায়। আবার সরাসরি মাছের খাদ্য হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। একটি মুরগি বছরে ১৫ কেজি কম্পোস্ট সার দেয়। ৫০০-৬০০টি মুরগি এক হেক্টর পুকুরের জন্য যথেষ্ট।
বিভিন্ন কৃষি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে কৃষিবিদদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে আমরা পেয়েছি অধিকাংশ ফসলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উন্নত ফলনশীল জাত। এর ফলে বেড়েছে ফসলের উৎপাদন ক্ষমতা এবং দেশের মোট খাদ্য উৎপাদন।
বর্তমানে যেভাবে সরকারী এবং বেসরকারীভাবে কৃষির উপর গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করবে ইনশাল্লাহ।
যদিও আমাদের কৃষি আমার মতে সঠিক পথেই এগোচ্ছে, কিন্তু কথা হলো আগামী দিনে কেমন হবে আমাদের কৃষি। আমাদের কৃষি উৎপাদন কি দিন দিন বাড়তেই থাকবে? বিজ্ঞান সম্মত উত্তর হবে বাড়তেই থাকবে না কিন্তু আরো উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। কেননা আমাদের ফসলের জাত সমূহের উৎপাদন ক্ষমতা উপযুক্ত পরিবেশে আরো বেশি। প্রশ্ন এখানেই যে, আমরা চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ কি ধরে রাখতে পারব? প্রতিবছর কৃষি জমি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে বাড়ি-ঘর ও শিল্প কারখানা নির্মানের জন্য। নিবিড় চাষাবাদের ফলে আমাদের মাটির উর্বরতা ও উৎপাদন ক্ষমতা আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে। চাষযোগ্য জমিতে লবনাক্ততা বাড়ছে দিন দিন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষির উপর, ফলে উৎপাদন দিন দিন কমছে। এসব সমস্যার বাহিরে যে সমস্যা আমাদের জন্য অদূর ভবিষ্যতে প্রকট হয়ে দাড়াবে তা হলো আর্সেনিক বিষাক্ততা।
জমিতে ফসল ফলানোর জন্য শতকরা ৫ ভাগ জৈব পদার্থ থাকা জরুরী। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ জমিতে এর পরিমাণ মাত্র শতকরা ২ ভাগ এর কাছাকাছি। এছাড়াও আমাদের মাটিতে গাছের বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদন এর পরিমাণ আশংকাজনক হারে কমে গেছে। ৯০ এর দশকে আমাদের জমিতে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট সার প্রয়োগ করার প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু এখন আমাদের জিংক, বোরন সার জমিতে প্রয়োগ করতে হচ্ছে এবং আশংকা করা হচ্ছে যে, অদূর ভবিষ্যতে মাটি থেকে গ্রহণকৃত ১৪টি খাদ্য উৎপাদনের অধিকাংশ সার হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। এর ফলে আমাদের জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাবে।
বাংলাদেশের ২০ ভাগ অঞ্চল উপকূলীয় এবং দেশের চাষযোগ্য জমির ৩০ ভাগ এই উপকূলীয় অঞ্চলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে, আমাদের অধিকাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার পরিমান দিন দিন বাড়ছে। ফলে এসব অঞ্চলে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। উপকূলীয় অধিকাংশ অঞ্চলে শুধুমাত্র কিছু স্থানীয় লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাত বছরে একবার চাষ করা হয়। ফলে আশানুরুপ ফলনও পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এসব কিছু ছাড়িয়ে আর্সেনিক বিষাক্ততা আমাদের কৃষির জন্য। স¤প্রতি এক গবেষনা সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের ৬১টি জেলায় আর্সেনিক পাওয়া গেছে। অপরিকল্পিতভাবে ভুগর্ভস্থ পানি উত্তোলন এই আর্সেনিক দূষণের প্রধান কারণ। কৃষিবিদদের জন্য চিন্তার কারণ হলো যে, আর্সেনিক দূষিত পানি দ্বারা যে সকল ফসলে সেচ প্রদান করা হয় সেসব ফসলের খাদ্যপোযোগী অংশে থাকে আর্সেনিকের উপস্থিতি।
অতি সমপ্রতি আমরা পাটের জিনোম আবিষ্কার করেছি। এ থেকে প্রতীয়মান হয়ে যে, গবেষণা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। কিন্তু এসব সমস্যা মোকাবেলায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সরকারের কৃষি বান্ধব নীতিমালা এবং গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ নিশ্চিত করা। আমার বিশ্বাস প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা পেলে আমাদের কৃষি গবেষকরা এসব সমস্যা সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করে কৃষিকে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন