আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

বাতজ্বর : বিধ্বংসী এক ঘাতক

উন্নয়নশীল দেশে বাতজ্বর এখনো একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে আছে। প্রাথমিক অবস্থায় এর ক্ষতিকর প্রভাব তেমন ব্যাপক না হলেও পরবর্তীকালে যদি হার্টের ভাল্ব আক্রান্ত হয়, তাহলে তার শারীরিক ও অর্থনৈতিক চাপে রোগীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। তাই শুরুতেই যদি রোগটি প্রতিরোধ/প্রতিকার করা যায় তাহলে দূরবর্তী জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

বাতজ্বর কাদের হয়?সাধারণত ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী বাচ্চাদের বাতজ্বর হয়ে থাকে। তবে এর পরেও হতে পারে। এক লাখ শিশুর মধ্যে ১০০ জন বাতজ্বরে আক্রান্ত হয়। উন্নত জীবনমান তথা অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাতজ্বরের প্রকোপ কমে আসে।

বাতজ্বর কেন হয়?

অস্বাস্থ্যকর ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে শিশুরা একটি বিশেষ ব্যাকটেরিয়া (group A Streptococcus) দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হয়। গলায় ইনফেকশন (pharyngitis), বারবার টনসিল আক্রমণ ইত্যাদি কারণে এই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে শরীর একটি এন্টিবডি তৈরি করে। সমস্যা হলো streptococcus জীবানুর দেহকোষের প্রোটিনের সঙ্গে হার্টভাল্ব, গিরার ঝিল্লির প্রোটিনের প্রচুর মিল রয়েছে। ফলে জীবানুর বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া এন্টিবডি হার্টভাল্ব ও গিরার ঝিল্লির প্রোটিনের বিরুদ্ধে এক আত্মঘাতী যুদ্ধের সূচনা করে। এই যুদ্ধ সামান্য থেকে গুরুতর বিপর্যয় ঢেকে আনতে পারে।

বাতজ্বরের লক্ষণ কি?

প্রথমে কিছুদিন গলা ব্যথা, হালকা কাশি, জ্বর। তারপর ২/৩ সপ্তাহ বিরতি। হঠাৎ গিরায় গিরায় ব্যথা। একটি বড় গিরা ব্যথা হয়ে ফুলে যাওয়া, কয়েক দিনের মধ্যে ভালো হয়ে আরেকটি বড় গিরা আক্রমণ। শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, জ্বর, খাদ্যে অরুচি, পায়ে পানি আসা, প্রচণ্ড দুর্বলতাসহ বিছানালগ্ন হওয়া ইত্যাদি।

চিকিৎসক বুঝবেন কি করে?

বাতজ্বর নির্ণয় মূলত রোগের ইতিহাস ও লক্ষণনির্ভর। অর্থাৎ ল্যাব টেস্ট এখানে মূল ভূমিকা পালন করে না। যে কারণে এই রোগটি অনেকের নজর এড়িয়ে যেতে পারে। এসব বিবেচনায় এনে বাতজ্বর সঠিকভাবে নির্ণয় করবার জন্য major পাঁচটি এবং minor পাঁচটি পয়েন্ট ঠিক করা হয়েছে। এগুলোকে Jones criteria বলা হয়।

ক। মুখ্য লক্ষণ (major criteria):
১। গিরা প্রদাহ বা migrating polyarthritis.
২। হৃদপিণ্ডের প্রদাহ
৩। সিডেনহাম কোরিয়া
৪। চর্মে গোটা বা subcutaneous nodules
৫। চর্মে রক্তঝিল্লি বা Erythema marginatum

খ। গৌণ লক্ষণ (minor criteria):
১। গিরা ব্যথা (mono or polyarthalgia)
২। জ্বর
৩। prolong PR interval in ECG
৪। high ESR
৫। high CRP

গ। পূর্ববর্তী ইনফেকশন এর প্রমাণ:
১। culture positive of group A streptococcus
২। high ASO টাইটার।

রোগ নির্ণয়: দুইটি মেজর লক্ষণ (নং ক) এবং ইনফেকশন এর প্রমাণ (নং গ)
অথবা একটি মেজর লক্ষণ (নং ক) ও দুইটি গৌণ লক্ষণ (নং খ) এবং ইনফেকশন এর প্রমাণ (নং গ)।

চিকিৎসা কি?

প্রাথমিক প্রতিকার

১। বাতজ্বর রোগ নির্ণয় হবার সঙ্গে সঙ্গে যেটা করতে হবে সেটা হল রোগীকে পর্যাপ্ত শারীরিক বিশ্রাম দেয়া। বিশ্রাম হার্টের উপর কাজের চাপ কমায়। ফলে হার্ট দ্রুত সেরে উঠতে পারে।

২। Inj Benzyl penicillin 1.2 million units deep IM stat or Tab Penoxymethyl penicillin 250 mg 6 hourly for 10 days দিতে হবে।

৩। সাপোর্টিভ চিকিৎসা: গিরার তীব্র প্রদাহে এ্যাসপিরিন, হৃদপিণ্ডে প্রদাহে স্টিরয়েড, হার্ট ফেইল্যুর-এ ডাইয়্যুরেটিকস ইত্যাদি।

পরবর্তী প্রতিরোধ

৩। বাতজ্বর একটি পুনঃপুন আক্রমণের রোগ। যতবার এটি হবে তত হার্টের বিশেষ করে ভাল্বের ক্ষতিসাধন করবে। তাই এটি যাতে বারবার না হতে পারে সেজন্য তিন সপ্তাহ পরপর inj Benzathine penicillin 1.2 million units deep IM or Tab Penvik/ Oracyn K 250 mg twice daily নিয়মিত দিতে হবে। যদি হার্টের ভাল্বের ক্ষতি না হয়ে থাকে তাহলে ২৫ বৎসর বয়স পর্যন্ত অথবা শেষ ইনফেকশন থেকে কমপক্ষে ৫ বছর পর্যন্ত দিতে হবে। কিন্তু যদি ইতিমধ্যে ভাল্বের ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে এই ওষুধগুলো শেষ অ্যাটাক থেকে ১০ বছর বা ৪০ বৎসর বয়স পর্যন্ত দিতে হবে।

মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেরে বাংলা নগরস্থ সরকারি বাতজ্বর কেন্দ্র এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

অনেকে প্রশ্ন করেন দীর্ঘদিন পেনিসিলিন খেলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা? না, কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে শুরুতেই যদি পেনিসিলিন-এ এলার্জি থাকে তবে এর পরিবর্তে Erythromycin বা Cephalosporin দেয়া যেতে পারে।

দাঁতের চিকিৎসা ও অন্যান্য

যাদের হার্টভাল্ব একবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের দাতের চিকিৎসা, মূত্রনালীতে নল দিয়ে পরীক্ষা বা অন্য কোন ইনভেসিভ প্রসিডিওর করার আগে/পরে ১ গ্রাম Amoxicillin or Amoxyclav or ceftriaxone IV or oral দিতে হবে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত ভাল্বে ইনফেকশন (infective endocarditis) বাসা বাধতে না পারে।

সুদূরপ্রসারী দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা

বলা হয়ে থাকে বাতজ্বর গরীবদের ব্যাধি। এর কারণ আগেই বলেছি। অস্বাস্থ্যকর ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে এই রোগের প্রকোপ ও বিস্তার বেশি। তাই দুর্ভাগ্যজনক হলো অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল মানুষেরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা ততটা ব্যয়বহুল না হলেও যদি হার্টের ভাল্ব নষ্ট হয়ে যায় তাহলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। 

প্রথমত লেখাপড়া বিঘ্নিত হয়, কর্মশক্তি লোপ পায়। প্রতিযোগিতামূলক জীবনে পিছিয়ে পড়ে। আর যদি ভাল্বে অপারেশন বা বেলুন চিকিৎসা নিতে হয় সেটা হয়ে পড়ে অত্যন্ত ব্যয়বহল এবং ঝুঁকিপূর্ণ জটিল চিকিৎসা।

আপনার করণীয় কি?

প্রথমত, বুঝতে হবে এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। যথা সম্ভব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করতে হবে। বাচ্চাকে বলতে হবে খাবার পর (পূর্বে নয়) তিন বেলা দাঁত পরিষ্কার করতে হবে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয়/আইসক্রীম এড়িয়ে চলতে হবে। গলা ব্যথা বা টনসিল হলে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে। ডাক্তার যদি নিশ্চিত না-ও হতে পারেন ১০ দিনের একটি পেলিসিলিন ট্যাবলেটের কোর্স দিলে কোন ক্ষতি নেই। এক্ষেত্রে over-treatment is better than under-treatment!

একবার হার্টভাল্ব ক্ষতিগ্রস্ত হলে যাতে আরও খারাপ না হয় সেজন্য উপরে উল্লেখিত নিয়মে চিকিৎসা নিতে হবে।
বছরে একবার একজন দক্ষ চিকিৎসককে দিয়ে কালার ডপলার ইকোকার্ডিওগ্রাম করাতে হবে। ভাল্বের ক্ষতি তীব্রমাত্রায় পৌঁছালে অপারেশন বা বেলুন চিকিৎসা নিতে বিলম্ব করা উচিত হবে না।

অপারেশনের পরবর্তী সময়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগী মনে করতে পারেন যে, অপারেশন তো হয়েই গেল, আর সমস্যা নেই। এটা অত্যন্ত ভুল ধারণা। অপারেশন পরবর্তী সময়ে ওষুধপত্রের ডোজ ঠিক করা, যাদের মেটালিক ভাল্ব লাগানো হয়েছে তাদের নিয়মিত বিরতিতে INR পরীক্ষা করা জরুরি। এসব রোগীর ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।

যাদের ভাল্ব অপারেশন হয়ে গেছে তাদের হতাশার কিছু নেই। তিরিশ বছর আগে অপারেশন হয়েছে এমন অনেক রোগীও আমাদের কাছে আসেন। তারা সবাই প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com