আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধিগুলোর মধ্যে ক্যানসার অন্যতম। বাংলাদেশেও উচ্চ মৃত্যুহারের জন্য দায়ী রোগের মধ্যে একটি হলো ফুসফুসের ক্যানসার। তাই ফুসফুস ক্যানসার যাতে প্রাথমিক পর্যায়েই প্রতিরোধ করা যায়, সে জন্য এর উপসর্গ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখতে হবে। বলা হয়ে থাকে, শ্বাসযন্ত্রের যাবতীয় রোগের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসার সবচেয়ে মারাত্মক। তবে আশার কথা হলো, প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিলে জটিলতা এড়ানো যায়। আর এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

এ লক্ষ্যে এসকেএফ অনকোলোজি নিবেদিত ‘বিশ্বমানের ক্যানসার চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে’ অনুষ্ঠানের ১৩ তম পর্বে অতিথি হিসেবে যোগ দেন ডা. জাহান আফরোজা লাকী, এমবিবিএস, এমফিল (রেডিওথেরাপি), অনকোলোজিস্ট (ক্যানসার রোগ বিশেষজ্ঞ), সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, রেডিওথেরাপি বিভাগ, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এ অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় ছিল ফুসফুসের ক্যানসার।

অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল এবং এসকেএফের ফেসবুক পেজে সম্প্রচারিত হয়। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ডা. মো. শাহরিয়ার ইসলাম।বিজ্ঞাপন

ডা. জাহান আফরোজা লাকী বলেন, ‘ফুসফুস ক্যানসার সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আগে ক্যানসার কী তা জানতে হবে। স্বাভাবিকভাবে মানবদেহ অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষ দ্বারা গঠিত। সুস্থ দেহে এ কোষগুলো নিয়মিত ও সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে বিভাজনের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বৃদ্ধিসাধন ও ক্ষয়রোধ করে। সাধারণত, একটি কোষ থেকে ক্যানসারের উৎপত্তি হয়।

শ্বাসযন্ত্রের সবচেয়ে মারাত্মক রোগ ফুসফুস ক্যানসার
Tapos

একটি কোষ যখন নিয়মিত ও সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে বিভাজন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোষবিভাজনের মাধ্যমে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই অনিয়ন্ত্রিত কোষবিভাজনের ফলে সেখানে একটি পিণ্ড বা চাকা সৃষ্ট হয়, যাকে আমরা টিউমার বলে থাকি। এই টিউমার দুধরনের হতে পারে—ক্ষতিকারক ও অক্ষতিকারক। এর মধ্যে ক্ষতিকারক টিউমারগুলোকে আমরা ক্যানসার বলে থাকি। যখন ফুসফুসের কোষের মধ্যে এই অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন হয়ে থাকে, তখন সেটিকে আমরা ফুসফুস ক্যানসার বলি।’

বাংলাদেশের পুরুষদের এক নম্বর ক্যানসার হলো ফুসফুস ক্যানসার। যারা ধূমপায়ী তারা এ ধরনের ক্যানসার থেকে একেবারেই ঝুঁকিমুক্ত নন। এদের ক্ষেত্রে ফুসফুস ক্যানসার এমনভাবে শরীরে সৃষ্টি হবে যা বেশির ভাগ সময়ই টের পাওয়া যাবে না। কারণ, নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ অনেক সময় চোখে পড়বে না। আর অন্যান্য ক্যানসারের থেকে ফুসফুস ক্যানসার বেশ মারাত্মক। কারণ, এতে লক্ষণ সহজে ধরা পড়বে না। নারীদের ক্ষেত্রেও এ রোগে আক্রান্ত রোগীর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর বা ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা থাকলে এর হাত থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। এটি এমন একটি অসুখ, যার কারণ হিসেবে চিকিৎসকেরা মূলত ধূমপানকে চিহ্নিত করেন। তা ছাড়া যাঁরা টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন এবং যাঁদের পরিবারে ধূমপায়ী ব্যক্তি রয়েছেন, তাঁদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, পরোক্ষ ধূমপানের মাধ্যমেও অনেকেই আক্রান্ত হয়ে থাকেন এ রোগে।

ফুসফুস ক্যানসারের প্রথম ও প্রধান উপসর্গ হলো কাশি। সাধারণত, একটানা দীর্ঘদিন কাশি থাকলে তা ফুসফুস ক্যানসারের পূর্বলক্ষণ হিসেবে মনে করা হয়। অনেক সময় কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। এর আরেকটি উপসর্গ হলো শ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতা। বিভিন্ন সময়ে কাজ করতে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে। ফুসফুসে ক্যানসারের একটি সাধারণ উপসর্গ হলো বুকে ব্যথা হওয়া।

সাধারণত গ্রামে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল নয়, সেসব রোগীর আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ বিড়ি। আবার পরিবেশের ধুলোবালু, হাইড্রোকার্বন থেকেও অনেকে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত, জনবহুল নগরীগুলো, যেখানে প্রচুর ট্রাফিক, সেসব অঞ্চলে যানবাহনের কালো ধোঁয়া মানুষের নিশ্বাসের সঙ্গে ঢুকে পড়ছে। এ কারণে অনেক রকম কেমিক্যাল ফুসফুসে ঢোকার কারণে প্রচুর মানুষ ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে।

তবে বর্তমানে ফুসফুস ক্যানসার নির্ণয় ও চিকিৎসার সুবিধা বাংলাদেশের প্রতিটি বড় শহরেই রয়েছে। ফুসফুসে ক্যানসার থেকে বাঁচতে হলে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিগুলোয় ক্রোমিয়াম, নিকেল, ক্যাডমিয়ামের কারণে যেন ক্ষতি না হয়, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সেসব কর্মক্ষেত্রে যদি সঠিক নিয়ম মেনে চলা হয়, তাহলে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আমাদের দেশে একসময় প্রচুর পরিমাণে ডিজেল ব্যবহার হতো, যা বর্তমানে অনেকটাই কমে গেছে। ডিজেল থেকে নির্গত ধোঁয়ার কারণে অনেক ক্ষতিসাধন হয়ে থাকে।বিজ্ঞাপন

ফুসফুস ক্যানসারের প্রথম ও প্রধান উপসর্গ হলো কাশি। সাধারণত, একটানা দীর্ঘদিন কাশি থাকলে তা ফুসফুস ক্যানসারের পূর্বলক্ষণ হিসেবে মনে করা হয়। রোগীর যদি নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া একটানা দীর্ঘদিন কাশি থাকে এবং তিনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, তাহলে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অনেক সময় কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। এর আরেকটি উপসর্গ হলো শ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতা। বিভিন্ন সময়ে কাজ করতে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে। ফুসফুসে ক্যানসারের একটি সাধারণ উপসর্গ হলো বুকে ব্যথা হওয়া। অনেক সময় ক্যানসার হাড়ে ছড়িয়ে পিঠে ব্যথা ছড়াতে পারে। অনেকের আবার তা মাথায় ছড়িয়ে বমিভাব এবং লিভারে গিয়ে জন্ডিস হয়।

শ্বাসযন্ত্রের সবচেয়ে মারাত্মক রোগ ফুসফুস ক্যানসার
Tapos

এ ছাড়া এটি ত্বকেও ছড়াতে পারে। আবার রোগীর খাবারে অরুচি ও অনীহা দেখা দেয়। কারও কারও দেহের ওজন অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। এগুলোই ফুসফুসে ক্যানসারের মূল উপসর্গ। এর কোনো একটি বা একাধিক উপসর্গ দেখা দিলে ফুসফুস ক্যানসার হিসেবে ধরে নিয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।বাংলাদেশের পুরুষদের এক নম্বর ক্যানসার হলো ফুসফুস ক্যানসার। যারা ধূমপায়ী তারা এ ধরনের ক্যানসার থেকে একেবারেই ঝুঁকিমুক্ত নন। এদের ক্ষেত্রে ফুসফুস ক্যানসার এমনভাবে শরীরে সৃষ্টি হবে যা বেশির ভাগ সময়ই টের পাওয়া যাবে না। কারণ, নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ অনেক সময় চোখে পড়বে না। আর অন্যান্য ক্যানসারের থেকে ফুসফুস ক্যানসার বেশ মারাত্মক। কারণ, এতে লক্ষণ সহজে ধরা পড়বে না। নারীদের ক্ষেত্রেও এ রোগে আক্রান্ত রোগীর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর বা ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা থাকলে এর হাত থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। এটি এমন একটি অসুখ, যার কারণ হিসেবে চিকিৎসকেরা মূলত ধূমপানকে চিহ্নিত করেন। তা ছাড়া যাঁরা টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন এবং যাঁদের পরিবারে ধূমপায়ী ব্যক্তি রয়েছেন, তাঁদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, পরোক্ষ ধূমপানের মাধ্যমেও অনেকেই আক্রান্ত হয়ে থাকেন এ রোগে।

সাধারণত গ্রামে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল নয়, সেসব রোগীর আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ বিড়ি। আবার পরিবেশের ধুলোবালু, হাইড্রোকার্বন থেকেও অনেকে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত, জনবহুল নগরীগুলো, যেখানে প্রচুর ট্রাফিক, সেসব অঞ্চলে যানবাহনের কালো ধোঁয়া মানুষের নিশ্বাসের সঙ্গে ঢুকে পড়ছে। এ কারণে অনেক রকম কেমিক্যাল ফুসফুসে ঢোকার কারণে প্রচুর মানুষ ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে।

শ্বাসযন্ত্রের সবচেয়ে মারাত্মক রোগ ফুসফুস ক্যানসার
Tapos

তবে বর্তমানে ফুসফুস ক্যানসার নির্ণয় ও চিকিৎসার সুবিধা বাংলাদেশের প্রতিটি বড় শহরেই রয়েছে। ফুসফুসে ক্যানসার থেকে বাঁচতে হলে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিগুলোয় ক্রোমিয়াম, নিকেল, ক্যাডমিয়ামের কারণে যেন ক্ষতি না হয়, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সেসব কর্মক্ষেত্রে যদি সঠিক নিয়ম মেনে চলা হয়, তাহলে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আমাদের দেশে একসময় প্রচুর পরিমাণে ডিজেল ব্যবহার হতো, যা বর্তমানে অনেকটাই কমে গেছে। ডিজেল থেকে নির্গত ধোঁয়ার কারণে অনেক ক্ষতিসাধন হয়ে থাকে।

ফুসফুস ক্যানসারের প্রথম ও প্রধান উপসর্গ হলো কাশি। সাধারণত, একটানা দীর্ঘদিন কাশি থাকলে তা ফুসফুস ক্যানসারের পূর্বলক্ষণ হিসেবে মনে করা হয়। রোগীর যদি নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া একটানা দীর্ঘদিন কাশি থাকে এবং তিনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, তাহলে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অনেক সময় কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। এর আরেকটি উপসর্গ হলো শ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতা। বিভিন্ন সময়ে কাজ করতে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে। ফুসফুসে ক্যানসারের একটি সাধারণ উপসর্গ হলো বুকে ব্যথা হওয়া। অনেক সময় ক্যানসার হাড়ে ছড়িয়ে পিঠে ব্যথা ছড়াতে পারে। অনেকের আবার তা মাথায় ছড়িয়ে বমিভাব এবং লিভারে গিয়ে জন্ডিস হয়।

এ ছাড়া এটি ত্বকেও ছড়াতে পারে। আবার রোগীর খাবারে অরুচি ও অনীহা দেখা দেয়। কারও কারও দেহের ওজন অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। এগুলোই ফুসফুসে ক্যানসারের মূল উপসর্গ। এর কোনো একটি বা একাধিক উপসর্গ দেখা দিলে ফুসফুস ক্যানসার হিসেবে ধরে নিয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com