আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত কি-না বুঝবেন যেসব লক্ষণে

বায় দূষণ ও ধূমপানের কারণে ফুসফুস প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ধুমপায়ীর পাশাপাশি পরোক্ষ ধূমপানের কারণেও আপনার ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

যদিও প্রাকৃতিকভাবেই ফুসফুস সেসব ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে নেয়। তবুও দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান ও বায়ুদূষণের কারণে ফুসফুস তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

ফুসফুসের সমস্যা হলে প্রথমে যে লক্ষণটি প্রকাশ পায় তা হলো শ্বাসকষ্ট। অনেকেই প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে প্রাধান্য না দেওয়াই এর প্রভাব বাড়তে থাকে। অনেকেই ভাবেন, বয়স বাড়ার কারণে কোনো কাজে হাঁপিয়ে উঠলে বোধ শ্বাসকষ্ট হয়। তবে বিষয়টি সাধারণ নয়।

lung-4.jpg

শ্বাসকষ্টের ইঙ্গিত হতে পারে সিওপিডি, হাঁপানি এবং ফুসফুস ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের প্রথম লক্ষণ। প্রথমদিকেই যদি শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে আপনি জানতে পারেন, তাহলে ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।

শুধু শ্বাসকষ্ট নয় ফুসফুসে রোগ বাসা বাঁধলে দেখা দেয় আরও কিছু লক্ষণ। যেগুলো আপনার জন্য সতর্কতামূলক হতে পারে। তবে যারা বিষয়গুলো সাধারণ ভেবে ভুল করেন; তাদের জন্য মারাত্মক হতে পারে ফুসফুসের ব্যাধি-

>> নিয়মিত শুকনো কাশি ফুসফুসের রোগের একটি লক্ষণ। যদি ৮ সপ্তাহ টানা কাশি থাকে; তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমেছে। প্রাথমিক এ লক্ষণ আপনাকে ইঙ্গিত দেয়, শ্বাসযন্ত্রের ব্যবস্থায় ত্রুটি ঘটলেই একটানা কাশি হয়।

>> শ্বাসকষ্ট কখনো সাধারণ সমস্যা হতে পারে না। অনেকে ভেবে থাকেন শারীরিক কসরতের কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে! ধারণাটি ভুল। ফুসফুসে সমস্যা থাকলে আপনি অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠতে পারেন। এটিও একটি সতর্কতা লক্ষণ।

lung-4.jpg

>> ক্রমাগত যদি আপনার শ্লেষ্মা বা কফ উঠে থাকে; তাহলেও চিন্তার বিষয়। বায়ুপথ যখন সংকুচিত হয়ে আসে; তখন শ্লেষ্মা উৎপাদন বেড়ে যায়। যদি আপনার শ্লেষ্মা উৎপাদন এক মাস বা তারও বেশি সময় ধরে চলমান থাকে; তবে এটি ফুসফুসের রোগকে ইঙ্গিত করে।

>> শ্বাস নেওয়ার সময় যদি বুকের মধ্যে শব্দ করে; তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফুসফুসের রোগ হলে এ ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। এর কারণ হলো আপনার ফুসফুসের বায়ুপথ একেবারেই সংকুচিত হয়ে এসেছে।

>> কাশির সঙ্গে রক্ত পড়ার কারণটিও ফুসফুসের রোগের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত। উপরের শ্বাসনালী থেকে রক্ত উঠে থাকে এক্ষেত্রে। এমনটি হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

>> দীর্ঘস্থায়ী বুকে ব্যথা অনুভব করলে অনেকে গ্যাস্ট্রিক বলে উড়িয়ে দেয়। বিষয়টি কিন্তু মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে। এক মাস বা তার বেশি সময় অবধি বুকে ব্যথা স্থায়ী হলে চিন্তার বিষয়। ফুসফুসে রোগ বাসা বাঁধলে শ্বাস নেওয়া বা কাশির সময় বুকে জোরে ব্যথা লাগতে পারে। এটিও একটি সতর্কতা।

lung-4.jpg

উপরোক্ত এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। ফুসফুসের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন, আপনার ফুসফুস কেমন আছে।

যদি ফুসফুসের কোনো রোগে আপনি ভুগেও থাকেন, প্রাথমিক পরীক্ষার পর দ্রুত সেরে উঠতে পারবেন। পাশাপাশি ফুসফুসের যত্নে পুষ্টিকর খাবার ও শরীরচর্চা করা উচিত।

মহামারি করোনার এ সময় সুস্থ থাকতে ফুসফুসের বাড়তি যত্ন নেওয়ার বিকল্প নেই। এজন্য জীবনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা জরুরি।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com