আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

প্রাণিজ উৎস বাদে প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর উপায়

ডিম, মাছ ও মাংস ছাড়াও প্রোটিনের উৎস হতে পারে উদ্ভিজ্জ খাবার।

বাঙালির পরিচয় মাছে ভাতে। তবে আজকাল মুরগির মাংসই বেশি খাওয়া হয়। দাম, রান্নার সুবিধা, সহজলভ্যতা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণ আছে এর পেছনে।

অপরদিকে মুরগির ডিম আরেকটি খাবার যা বাঙালির খাদ্যাভ্যাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

এছাড়াও গরু, খাসি, কবুতর, কোয়েল পাখি ইত্যাদির মাংসও আছে খাদ্যাভ্যাসে। তবে তা নিয়মিত নয়। অনেকের জন্যই সেগুলো শখ করে বিশেষ দিনগুলোতে খাওয়ার খাবার।

পুষ্টিগত বিবেচনায় মাংস থেকে প্রোটিন পাওয়াই থাকে মূল উদ্দেশ্য। যা মুরগির মাংস ও ডিম থেকে পূরণ করায় কোনো ক্ষতি নেই। তবে কিছু মানুষ আছেন যারা প্রাণিজ উৎসের খাবার বাদ দিতে চান।

আবার ‘বার্ড ফ্লু’য়ের আতঙ্ক থেকেও অনেকে মুরগির মাংস ও ডিম থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কেউ হয়ত একেবারেই মাংস খাওয়া বাদ দিতে চান।

এখন প্রশ্ন হল, তাহলে প্রোটিনের চাহিদা মেটাবে কে?

খাদ্য ও ‍পুষ্টি বিষয়ক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রোটিনের চাহিদা মেটানো উপায়।

প্রোটিন যতটুকু দরকার

চাহিদা মেটানোর আগে তো জানতে হবে চাহিদাটা কতটুকু। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন মানুষের শারীরিক ওজনের প্রতি কেজির বিপরীতে ০.৮ থেকে ০.১০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন প্রতিদিন।

প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ উৎসের মধ্যে তুলনা করলে প্রোটিনের জন্য প্রাণিজ উৎসই আদর্শ। তবে যারা মাংস খান না তাদের কোনো উপায় নেই তা তো হতে পারে না।

‘সাপ্লিমেন্ট’ ছাড়াও আরও অসংখ্য উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস আছে।

উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণের সীমাবদ্ধতা হল তাতে সব ধরনের ‘অ্যামিনো অ্যাসিড’ পাওয়া যায় না। ফলে তা প্রোটিনের উৎস হিসেব পরিপূর্ণ হতে পারে না।

তবে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণের মাধ্যমে সেই সীমাবদ্ধতাও মোকাবেলা করা সম্ভব। 

কোন ফল ও সবজি খাবেন

প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ফল ও সবজি খাওয়া প্রত্যেকের লক্ষ্য থাকা উচিত। প্রোটিনের উৎস হিসেবে ফল বেশ দুর্বল। তবে অনেক সবজিতে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন পাওয়া যায়।

পালংশাক, বক চই, মসুর ডাল ও শাক, ফুলকপি, মাশরুম, মটরশুঁটি, ভূট্টা, ব্রকলি ইত্যাদি তাদের মধ্যে অন্যতম। ফলের মধ্যে কলা, পেয়ারা, জাম, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি থেকে প্রোটিন মিলবে।

বাদাম ও বীজ ধরনের খাবার

এই ধরনের খাবারে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ মিলবে প্রচুর। পুষ্টিবিদরা বলেন, প্রতিদিন একমুঠ পরিমাণ বাদাম কিংবা বীজ-জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত সবার। এদের মধ্যে কয়েকটি প্রোটিনের উৎস হিসেব চমৎকার। যেমন ‘শিয়া সিড’ মাত্র দুই টেবিল-চামচ পরিমাণ খেলেই প্রায় চার গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যাবে। ‘হেম্প সিড’ও প্রায় একই পরিমাণ প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে। এছাড়াও খেতে পারেন ‘ফ্লাক্সসিড’, কুমড়ার বীজ, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট ও চিনাবাদাম।

শষ্যজাতীয় খাবার

যব, ‘কিনোয়া’, বার্লি, গম ইত্যাদি শষ্যজাতীয় খাবারের মধ্যে আদর্শ প্রোটিনের উৎস। আবার চালও এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে যা শরীরে গিয়ে প্রোটিন উৎপাদন করে।

যারা পুরোপুরি শাকাহারি তাদের জন্য ভিন্ন প্রোটিনের ‍উৎস হতে পারে ‘পিনাট বাটার’, ‘টোফু’, ‘স্পিরুলিনা’ ও ‘ইস্ট’।

মনে রাখতে হবে, যে ধরনের খাদ্যাভ্যাসেই অনুসরণ করা হোক না কেনো খাবারের ভিন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একই খাবার দিনের পর দিন খেলে যতটুকু স্বাস্থ্যগত উপকার পাবেন, বিভিন্ন ধরনের খাবার খেলে সবসময়ই তার তুলনায় বেশি উপকার মিলবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com