আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

প্রাকৃতিক উপায়ে সুগার নিয়ন্ত্রণ

ডায়াবেটিস হলে শরীর স্বাভাবিক উপায়ে ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না। তখন রক্ত চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হয় বিকল্প উপায়ে। সমস্যা গুরুতর হওয়ার আগে চাইলে প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সুগার।

হালকা ব্যায়াম

নিয়মিত ২০-৩০ মিনিটের হাঁটাচলা ও কাজেকর্মে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলেই ব্লাড সুগার হাতের মুঠোয় থাকবে। এ ছাড়া নাচ, হাইকিং, সাঁতার কাটাও আদর্শ ব্যায়াম। এগুলো শরীরের সুগার কমাবে।


শর্করা কম, ফাইবার বেশি

হাই ব্লাড সুগারে আক্রান্ত রোগীদের অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। ভাতের পরিবর্তে রুটি-সবজি বেশি খেতে বলা হয়। তবে নিয়ম করে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় ভুট্টা, বার্লি, ওট রাখুন। এতে সুগার তো নিয়ন্ত্রণে থাকবেই, খিদে ভাবটাও থাকবে না। আবার শরীরের ফাইবারের চাহিদাও পূরণ হবে।

অন্যদিকে ফাইবার জাতীয় খাবার চিনি শোষণ করে ধীরগতিতে। নারীদের ২৫ গ্রাম ও পুরুষদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ৩৮ গ্রাম আঁশ থাকা জরুরি। 

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মেপে খাওয়া

আমাদের খাবারগুলোর একটি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সূচক (জিআই) আছে। যার ইনডেক্স যত বেশি, তাতে সুগারও তত বাড়বে। তাই কোন খাবারের জিআই কত তা একফাঁকে জেনে নিন। যেমন সাধারণ সাদা ভাতের জিআই ৭০-৭৭। আবার বাদামি তথা ব্রাউন রাইসের (রান্না করা) জিআই ৬৪-৭২।

কম জিআই খাবারের তালিকায় আছে-শিম, ডাল, মটরশুঁটি, গমের রুটি, নাশপতি, আপেল, কমলা, মাশরুম, ওটস, টকদই, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি। 

পর্যাপ্ত পানি

উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের শরীর হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। এর জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতেও কিন্তু রক্তের শর্করা কমে।

চাপমুক্ত থাকুন

দুশ্চিন্তা করলেই শরীরে গ্লুকাগন ও করটিসল হরমোন বেড়ে যায় যা সুগার বাড়িয়ে দেয়। তাই ফুরফুরে মেজাজে থাকার চেষ্টা করুন। সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি। 

ছোট প্লেট

হুট করে খাওয়া কমাতে গেলে দেখা যায় আমাদের শরীর ও মন, কোনোটাই সায় দিচ্ছে না। মনকে কীভাবে বোঝাবেন? ছোট প্লেট ব্যবহার করুন। রেস্টুরেন্টে যেয়ে খেতে হয়, এমন খাবার পরিহার করুন। সময় নিয়ে খান। প্রয়োজনে কাঁটাচামচ ব্যবহার করুন। এতে মগজটা ধরে নেবে আপনি অনেক খাবার খাচ্ছেন ও খিদে ভাবটাও চলে যাবে।

ম্যাগনেসিয়াম ও ক্রোমিয়াম

ম্যাগনেসিয়াম ও ক্রোমিয়াম রক্তের চর্বির বিপাকে সহায়তা করে। এটি ইনসুলিনকে কোষের সঙ্গে বন্ধন তৈরি করতেও সহায়তা করে। ফল, শাক-সবজি, মসলা, লেটুস, কাঁচা পেঁয়াজ, পাকা টমেটো, যব, মটরশুটি, গোল মরিচ, আলুবোখারা ইত্যাদি ক্রোমিয়ামের ভালো উৎস। আর ম্যাগনেসিয়াম পাবেন গাঢ় রঙের শাক, অ্যাভোকাডো, কলা, বাদাম ও বীজ, ডার্ক চকোলেট, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদিতে। 

আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার খালি পেটে এবং খাওয়ার পরও গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে। এটি অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর করে। শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখে। এ ছাড়াও আপেল সিডার ভিনেগারের ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com