আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

প্রতিদিন মাছ খেলে শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে

বাঙালি জাতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে মাছে ভাতে বাঙালি কথাটি। সারা বিশ্ব জুড়ে সবথেকে বেশি যে খাবারটা খাওয়া হয়, তা হল মাছ। মাছ খেতে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই ভালোবাসি।

মাছ মানবদেহে অন্যতম আমিষ যোগানদাতা। মাছে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। মাছে এত পরিমাণ পুষ্টিগুণ থাকে যে, সাস্থ্য রক্ষায় এটির ভূমিকা অতুলনীয়। মাছে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনসহ যথেষ্ট পরিমাণ চর্বি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস ইত্যাদি কার্যকরী উপাদান।

মাছ খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। মাছ শুধু একটি পদ নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। তাহলে জেনে নিন, সত্যিই মাছ খেলে আমাদের শরীরের কী কী উপকার হয়-

মাছে খুব কম পরিমাণে ফ্যাট থাকে। মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

নিয়মিত কিংবা সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন মাছ অবশ্যই খাওয়া উচিত্‌। হাঁপানি এবং প্রস্টেট ক্যানসারের হাত থেকে রক্ষা করে মাছ। এছাড়াও অনেক রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।

অন্যান্য খাবারের চেয়ে মাছ অনেক বেশি সহজপাচ্য। তাই মাছ খেলে আপনার মেটাবোলিজম অনেক দ্রুত হয় ফলে ওজনও অনেক নিয়ন্ত্রণে থাকে। মাছ খেলে মোটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারেই থাকে না।

মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা চোখ ভালো রাখে। রেটিনা সুস্থ রাখে এবং ড্রাই আইজ বা চোখের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।

ভিটামিন ডি, আয়োডিন, অসংখ্য ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়। এর প্রত্যেকটাই আমাদের সুস্থ থাকার জন্য এবং রোগ প্রতিরধের জন্য দরকার। তাই মাছ খেলে আমাদের অনেকগুলো সমস্যার সমাধান একসঙ্গে হয়ে যাবে।

প্রতিদিন মাছ খেলে শরীরে কোলাজেন বৃদ্ধি পায়। যেহেতু কোলাজেন ত্বক এবং চুল, দুটোর জন্যই ভালো, সেহেতু মাছ খেলে এই দুটোই উজ্জ্বল ও সুস্থ থাকে। মাছের এই গুণ আছে যে সে সেল মেম্ব্রেনের মধ্যে তরল ভাব বজায় রাখে। জার জন্য শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা আবার ফিরে আসে এবং চুলও নরম আর শাইনি হয়।

প্রতিদিন মাছ খেলে মানসিক অবসাদের পাশাপাশি, মানসিক অস্থিরতাও কমায় এবং যখন তখন মুড সুইং হওয়াও রোধ করে।

নিয়মিত মাছ খেলে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কিছুটা কমে। আমেরিকায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষের ওপর স্টাডি করা হয়েছে। যারা সপ্তাহে মাত্র একদিন মাছ খান তাদের হার্টের অসুখের হার অন্যদের থেকে ১৫% কম।

তৈলাক্ত মাছে থাকে ডিএইচএ অর্থাৎ ডোকোসাহেক্সানোয়িক অ্যাসিড যা এক ধরনের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্স (মস্তিষ্কের কোষের ভিত্তি) তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। আমেরিকার মেরিল্যান্ডের ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, যেসব ৬০ বছর পেরনো মানুষ সপ্তাহে দুই দিন বা তার বেশি দিন মাছ খান তাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।

বার্ধক্যজনিত কারণে চোখের ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে ফিশ ডায়েট। ইনস্টিটিউট অব হেলদি এজিংয়ে ৬৫ থেকে ৯৪ বছর বয়সী ৮ শ ব্যক্তির ওপর সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা নিয়ম করে সপ্তাহে দুই দিন মাছ খান তাদের অ্যালঝাইমার্স ডিজিজের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

এমনকি এদের ডিমেনশিয়া অর্থাৎ ভুলে যাওয়ার অসুখ অন্যদের তুলনায় কম। নিয়মিত মাছ খেলে বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।

ব্লাড সুগারের মাত্রা বজায় রাখে মাছ। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করে।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোনও মহিলা যদি নিয়মিত মাছ খান, তাহলে তাঁদের প্রি-ম্যাচিওর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

শিশুরা যদি ছোট বয়স থেকেই মাছ খায়, তাহলে তাদের মধ্যে হাঁপানি হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।

পুষ্টিবিজ্ঞানীদের পরামর্শ, সপ্তাহে ৩৫০ থেকে ৪০০ গ্রাম মাছ খেতে পারলে অনেক অসুখকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে। ছোট থেকেই মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ভালো হয়। ইলিশ হোক বা পোনা, প্রতিদিনের খাবারে রাখুন এক টুকরা মাছ।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com