আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

পানিশূন্যতা রুখতে তরমুজের বিকল্প

তীব্র দাবদাহে পানির চাহিদা পূরণে পানির পাশাপাশি প্রয়োজন এমন সব ফল যাতে পানি আছে অধিক পরিমাণে। কিন্তু এসবের মাত্রা ছাড়া দাম চিন্তার কারণ হলেও রয়েছে অনেক বিকল্প।

এখন এই তীব্র দাবদাহে আমাদের দেশে নাকাল হচ্ছে জনজীবন। সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দেশব্যাপী। আর তার মধ্যেই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগণ পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখছেন। ইফতার থেকে সাহ্‌রির সময়টুকুতে গ্লাসের পর গ্লাস পানি পান করেও যেন কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। তাই পানি বা শরবত পান করার পাশাপাশি একটু খেয়াল করে বেশি শতাংশ পানি আছে—এমন খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় রাখলে নিশ্চিন্তে পানিশূন্যতা ও তা থেকে সৃষ্ট শারীরিক জটিলতা রোধ করা সম্ভব অনেকটাই।

তরমুজের মাত্রা ছাড়া দাম নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বিকল্প সন্ধানই শ্রেয়
তরমুজের মাত্রা ছাড়া দাম নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বিকল্প সন্ধানই শ্রেয়

কিন্তু পানিযুক্ত খাবার বললেই আমরা যেন বুঝি তরমুজ, শসা আর ডাব। আর তাই তো সুযোগ বুঝে বর্ধমান চাহিদার ফায়দা নিয়ে তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিমের মতো ঢাউস সব তরমুজ অমানবিক রকমের চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে, শসা হাঁকাচ্ছে সেঞ্চুরি আর অস্বাভাবিক বেশি দামের ডাবগুলো নিজেরাই পানিশূন্যতায় ভুগছে। অথচ এই খাবারগুলো ছাড়াও আরও অনেক সহজলভ্য খাবার আছে, যাতে পানির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। এবার সেদিকেই একটু চোখ ফেরানো যাক।

পেঁপে

পাকা পেঁপে হজমে সহায়ক
পাকা পেঁপে হজমে সহায়ক

পাকা পেঁপে ইফতারে অত্যন্ত উপাদেয়। হজমে সহায়ক ও প্রচুর ভিটামিন ‘এ’-এর খুব ভালো উৎস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৮৮ থেকে ৯১ শতাংশ জলীয় অংশ আছে পেঁপেতে। থাই লাল পেঁপে ও দেশি হলদে পেঁপে দুইই পাওয়া যাচ্ছে এখন সব জায়গায়। আবার পুষ্ট অথচ সবুজ কাঁচা পেঁপে কুরিয়ে বা ঝুরি করে ইফতারের জন্য পেঁয়াজ-মরিচ মিশিয়ে সালাদ বানানো যায় সহজেই।বিজ্ঞাপন

আনারস

ভিটামিন ‘সি’-এর খনি আনারস
ভিটামিন ‘সি’-এর খনি আনারস

দেশে এখন ঐতিহ্যবাহী জলডুগি ছাড়াও একেবারে ছোট সাইজের রসে ভরপুর ‘চেরি আনারস’ পাওয়া যায় বেশ সুলভেই। ভিটামিন ‘সি’-এর খনি এই আনারস জাতভেদে টক-মিষ্টি কিছুটা কমবেশি হলেও এতে জলীয় অংশ কিন্তু একেবারে ৮৭ শতাংশের মতো। পেঁপের মতো আনারসও হজমে সহায়ক, যা এই গরম আবহাওয়ায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার।

বাঙ্গি

গরমে রসাল ফল হিসাবে বাঙ্গির কোনোই তুলনা নেই
গরমে রসাল ফল হিসাবে বাঙ্গির কোনোই তুলনা নেই

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যতই ট্রল আর বিরূপ কৌতুক করা হোক না কেন, এই গরমে রসাল ফলের মধ্যে কিন্তু বাঙ্গির কোনোই তুলনা নেই। বিভিন্ন আকার-আকৃতির এই মাস্ক মেলন ফল এ দেশে বাঙ্গি, চিনাল, ফুটি—এমন অনেক নামে পরিচিত। আরেক মেলন-জাতীয় ফল তরমুজের তুলনায় রং, রূপ আর মিষ্টতার নিরিখে পিছিয়ে থাকায় বাঙ্গি প্রায়ই বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হয়। অথচ পুষ্টিগুণ আর জলীয় অংশের পরিমাণের দিক থেকে কিন্তু বাঙ্গি একেবারেই তরমুজের সমানে সমান। এতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯০ শতাংশ আর দ্রবণীয় ফ্রুক্টোজ বেশ কম হওয়ায় বাঙ্গি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। তবে সবার জন্যই এ ক্ষেত্রে বাঙ্গিতে আলগা চিনি না মিশিয়ে তা অন্যান্য মিষ্টি ফলের সঙ্গে মিশিয়ে ফ্রুট সালাদ হিসেবে বা খেজুরের চিনি ছিটিয়ে খেলে বেশি ভালো।

শাকালু বা জিকামা

পানিশূন্যতা রুখতে তরমুজের বিকল্প
ছবি: উইকিপিডিয়া

আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে এই শাকালু বা জিকামা খুব সুলভেই পাওয়া যায়। শাকালু বা জিকামাতে প্রায় ৮৫ শতাংশ পানি থাকে। আবার আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে এই গরমকালের রোজার দিনে শাকালু হতে পারে খুবই আদর্শ খাবার। খুবই কম চিনিযুক্ত কচকচে রসাল শাকালু ইফতারে নাগালের বাইরে চলে যাওয়া শসার উত্তম বিকল্প হতে পারে।বিজ্ঞাপন

দই

দই পানিশূন্যতা রুখতে আদর্শ
দই পানিশূন্যতা রুখতে আদর্শ

আমরা ব্যাপারটা খুব খেয়াল না করলেও ঘরে পাতা বা স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি দই কিন্তু পানিশূন্যতা রুখতে একটি খুবই আদর্শ খাবার। প্রাকৃতিকভাবে প্রস্তুত দইতে জলীয় অংশের পরিমাণ ৭৫ শতাংশেরও বেশি। এদিকে দুধ হজমে যাদের সমস্যা হয়, দই তাদের জন্য খুবই সহজপাচ্য একটি খাবার। সেই সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম আর পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা প্রো-বায়োটিক তো এতে প্রচুর আছেই। তাই ইফতারে দই-চিড়া, দই দিয়ে ফলের চাট, দইবড়া, দই-বুন্দিয়া ইত্যাদি খেলে তা পুষ্টি সাধনের সঙ্গে পানিশূন্যতাও দূর করবে।

নারিকেলের ফোঁপড়া

নারিকেলের ফোঁপড়া অত্যন্ত মজাদার ও উপকারী খাবার
নারিকেলের ফোঁপড়া অত্যন্ত মজাদার ও উপকারী খাবার

আকাশছোঁয়া দামের জন্য ডাবের পানি প্রায় অধরা হলে কী হবে, অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত কিন্তু অত্যন্ত সুলভে মেলা বেশি পেকে যাওয়া অঙ্কুরিত নারিকেলের ফোঁপড়া বা ফোঁপা কিন্তু এই ডাবের পানি ঘনীভূত হয়েই তৈরি হয়। প্রায়ই বেশ কম দামে ফেরিওয়ালার ঠেলাগাড়িতেই পাওয়া যায় এই অত্যন্ত মজাদার ও উপকারী খাবার। একটু স্পঞ্জি টেক্সচারের এই ফোঁপড়ায় কিন্তু ৯০ শতাংশই পানি। আর এতে উপকারী খাদ্য আঁশ, ভালো কোলেস্টেরল উৎপাদনকারী ফ্যাটি অ্যাসিড আর বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মিনারেলও আছে যথেষ্ট পরিমাণে। মিষ্টি স্বাদের নরম রসাল এই কোকোনাট হার্ট বা নারিকেলের ফোঁপড়া কিন্তু এই শুষ্ক আর প্রচণ্ড গরমের দিনে খাওয়ার জন্য খুবই উপযোগী।

চালকুমড়া, পটোল, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ও ঝিঙে

এখন চালকুমড়া, পটোল, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ও ঝিঙে সহ
এখন চালকুমড়া, পটোল, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ও ঝিঙে সহ

গরমের দিনে মোটামুটি সহজলভ্য এই সবজিগুলোর দাম এখনো কিছুটা সহনীয় পর্যায়েই আছে শসা বা বেগুনের তুলনায়। এ-জাতীয় সব সবজিতেই কম বেশি ৯০ শতাংশের মতো জলীয় অংশ থাকে। তাই এসব সবজি দিয়ে তৈরি ঝোলসমেত পাতলা তরকারি, নরম সবজি খিচুড়ি, ভেজিটেবল স্যুপ, চাইনিজ ভেজিটেবল কারি ইত্যাদি পদ খাদ্যতালিকায় রাখলে তা শরীরে পানির অভাব বেশ খানিকটা পূরণ করতে পারে।
এভাবে একটু খেয়াল করে বেশি জলীয় অংশসমৃদ্ধ খাবারগুলো প্রতিদিনই খাওয়া উচিত সচেতনভাবে। কেজি দরে দুর্মূল্য তরমুজ, শসা আর ডাবের দাম নিয়ে হাহুতাশ না করে বিকল্প এই বেশি বেশি পানিযুক্ত সুলভ ও সহজলভ্য খাদ্যগুলোর প্রতি আমাদের আগ্রহী হতে হবে। তবে এই গরমে অতিরিক্ত পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে পানির সঙ্গে প্রয়োজনীয় মিনারেল ও লবণ বেরিয়ে যায় বলে এ–সংক্রান্ত যেকোনো অসুস্থতার ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শেই ডায়েট ও চিকিৎসা ঠিক করে নেওয়া উচিত।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com