আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

নীল অপরাজিতা ফুল থেকে তৈরি ব্লু টি, কেন এই চা কেন পান করা উচিৎ

নীল অপরাজিতা ফুল থেকে তৈরি চা আজ ব্লু টি নামে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। এই চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য আদৌ কি ভালো? কি কি উপকার রয়েছে এতে? উদ্ভিদ থেকে তৈরী এই হার্বাল চা আমাদের শরীরের জন্য এক দারুন ঔষধি রূপে কাজ করে।

বাড়িতে একটি নীল অপরাজিতার গাছ থাকলে তা শুধু নান্দনিক শোভাই বর্ধন করে না, সাথে এই উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত ফুলের চা যদি তৈরি করে সকালে খাওয়া হয়, তাহলে তা সমাধান করতে পারে শারীরবৃত্তীয় অনেক সমস্যার। বলা হয়, ডায়াবেটিসের জন্যও এই চা বিশেষ উপকারী।

ঠিক কি কি উপকার রয়েছে ব্লু টি তে, চলুন জেনে নেওয়া যাক –

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট –এ সমৃদ্ধ –

অপরাজিতা ফুলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হজমে সাহায্য করে। বমি ভাব হলে তা কাটাতেও সহায়তা করে এই চা।

ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা দূর করে –

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই নীল-চা। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই চা মস্তিষ্ক জনিত সমস্যা যেমন ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস (Reducing the risk of cancer) –

নীলকণ্ঠের সমাদৃত এই ফুলটি ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে থাকা যৌগ এবং একাধিক উপকারী উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

স্ট্রেস রিলিফ (Stress Relief) –                            

সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই নীল চা। সকালে এক কাপ নীল-চা যদি আপনি পান করেন, তবে মানসিক অশান্তি, চঞ্চলতা ও হতাশা থেকে নিমেষেই মিলবে মুক্তি।

স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি নীল অপরাজিতার চা ত্বকের পরিচর্যায়ও ব্যবহৃত হয়।

বলিরেখা দূর করে –

অপরাজিতা ফুলে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা অ্যান্টি-গ্লাইসেটিন নামে পরিচিত। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড কোলাজেন তৈরি করে ত্বকের ইলাস্টিসিটি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলে বলিরেখার মতো সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যায় সহজেই।

চুল পড়া রোধ করে (Reduce Hair Fall) –

এই ফুলে অ্যান্থোসায়ানিন থাকায় চুল পড়ার সমস্যাতেও কাজ করে নীল-চা। এই চা পান করলে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যার ফলে হেয়ার ফলিকলের বৃদ্ধি ঘটে এবং চুল পড়া বন্ধ হয়।

কিভাবে তৈরি করবেন নীল অপরাজিতার চা:

অপরাজিতা ফুল থেকে চা তৈরির জন্য প্রথমে ফুলগুলিকে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর দেড় কাপ জলে ৫-৬টি শুকনো অপরাজিতা দিয়ে জল ফোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ধীরে ধীরে ফুটন্ত জল নীল হতে শুরু করলে কাপে ঢেলে চিনি মেশাতে হবে। একটু ভিন্ন স্বাদের জন্য লেবু দিতে পারেন, তবে এতে নীল রঙ পালটে হালকা বেগুনি হয়ে যাবে। এছাড়া গন্ধের জন্য দারুচিনি, লবঙ্গ, এলার, আদা ইত্যাদিও মেশাতে পারেন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com