আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

নানা গুণের ব্রকলি

ফুলকপির মতো দেখতে সবুজ ব্রকলি কয়েক হাজার বছর আগে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও এশিয়া মাইনরের দিকে এমনিই জন্মাত। আর রোমান শাসনামলে আমলে ইতালীয়দের হাতে এর চাষাবাদ শুরু হয়। ১৭-১৮ শতকে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। আর ১৯ শতকে ইতালিয়ানদের মাধ্যমে ব্রকলি আসে উত্তর আমেরিকায়। বর্তমানে উৎপাদনের দিক দিয়ে এগিয়ে আছে চীন, ভারত আর আমেরিকা।
দুনিয়ায় কয়েক জাতের ব্রকলি আছে। তবে বাংলাদেশে ক্যালাব্রেসে ব্রকলি আর স্প্রাউটিং ব্রকলি বেশি পাওয়া যায়। সুস্বাদু এই সবজির পুষ্টিগুণ বিবেচনা করলে নিঃসন্দেহে ‘সুপারফুড’-এর আওতায় পড়ে।
বিজ্ঞাপন

পুষ্টি উপাদান

ব্রকলি সেদ্ধ বা বেক করলে এর পুষ্টি উপাদান হ্রাস পায়
ব্রকলি সেদ্ধ বা বেক করলে এর পুষ্টি উপাদান হ্রাস পায়

এক কাপ কাঁচা ব্রকলিতে (৯১ গ্রাম) আছে ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২ দশমিক ৬ গ্রাম প্রোটিন, শূন্য দশমিক ৩ গ্রাম ফ্যাট, ২ দশমিক ৪ গ্রাম ফাইবার। আর রয়েছে দৈনন্দিন চাহিদার ১৩৫ শতাংশ ভিটামিন সি, ১১৬ শতাংশ ভিটামিন কে, ১৪ শতাংশ ভিটামিন বি৯ (ফোলেট), ১১ শতাংশ ভিটামিন এ, ৮ শতাংশ পটাশিয়াম, ৬ শতাংশ ফসফরাস, ৩ শতাংশ সেলেনিয়াম।

ব্রকলি সেদ্ধ বা বেক করলে এর পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে ভিটামিন সি হ্রাস পায়। ভাপে সেদ্ধ করলে একটু কম নষ্ট হয়। সবচেয়ে ভালো হয় কাঁচা খেলে। এতে পুষ্টিমান অপরিবর্তিত থাকে।

অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের আধার

ব্রকলিতে আছে উচ্চমাত্রার গ্লুকোরাফানিন। হজমের সময় যা সালফোরাফেন নামের শক্তিশালী অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে রূপান্তরিত। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই সালফোরাফেন শরীরে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ফলে হওয়া অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

ব্রকলিতে আছে উচ্চমাত্রার গ্লুকোরাফানিন
ব্রকলিতে আছে উচ্চমাত্রার গ্লুকোরাফানিন

হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে

রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ভিটামিন কে একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান এবং আমাদের হাড়কে সুস্থ ও সবল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ব্রকলিতে এ উপাদান আছে মাত্রাতিরিক্ত। ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অস্টিওপরোসিসে আক্রান্তদের হাড়ভাঙন প্রতিরোধ করে।বিজ্ঞাপন

হৃৎস্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে

সালফোরাফেন অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়। আর ভালো কোলেস্টেরলের (এইচডিএল) মাত্রা বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডকে বিভিন্ন হৃদ্‌রোগ হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

অসাধারণ ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ সবজি
অসাধারণ ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ সবজি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে

ব্রকলির মতো এমন অসাধারণ ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ সবজি খুব কমই আছে। আধা কাপ ব্রকলি সারা দিনের ভিটামিন সির চাহিদার প্রায় ৮৪ শতাংশ পূরণ করার ক্ষমতা রাখে। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ, সর্দি-কাশি, জ্বর, মুখের ঘা ইত্যাদি আরও অনেক রোগ থেকে বাঁচতে আমাদের খাদ্যতালিকায় ব্রকলি যোগ করা উচিত।

দৃষ্টিশক্তির জন্য

ব্রকলিতে আছে লুটিন আর জিয়াজেন্থিন নামের ক্যারোটিনয়েড। ২০০৩ ও ২০০৬ সালে করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুটি ক্যারোটিনয়েড বার্ধক্যজনিত কারণে চোখের যে সমস্যা হয়, যেমন: ক্যাটার‍্যাক্ট, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ইত্যাদির ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে থাকে। এর বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ–তে রূপান্তরিত হয়। এটা সবাই জানে, ভিটামিন এ চোখের জন্য বিশেষ উপকারী।

ব্রকরি স্যুপ
ব্রকরি স্যুপ

ক্যানসার প্রতিরোধে


সালফোরাফেনের মতো ব্রকলিতে আছে উচ্চমাত্রার ক্যায়েম্পফেরোল। এটি একধরনের ফ্ল্যাভনয়েড, যা শরীরের বিভিন্ন ইনফ্ল্যামেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস আর ইনফ্ল্যামেশনই ব্রেস্ট, প্রোস্টেট, ব্ল্যাডার, কোলোরেক্টাল, রেনাল ইত্যাদির ক্যানসারের জন্য দায়ী। তাই এই ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য পুষ্টিবিদেরা সবাইকে ব্রকলি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com