আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

করোনাভাইরাস: মৃত্যু কমছে কিন্তু নতুন রোগী কেন বাড়ছে?

হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা
এখন কি স্বাভাবিক জীবনে পুরোপুরি ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে?
এখন কি স্বাভাবিক জীবনে পুরোপুরি ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে?

সরকার এবং গণমাধ্যম কি করোনাভাইরাস নিয়ে অতিরিক্ত করছে? এখন কি স্বাভাবিক জীবনে পুরোপুরি ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে?

এগুলো সবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বিবেচনায় নিলে এ বিষয়ে আরও বেশি মনোযোগ দেয়া দরকার।

শুরু করা যাক ইতিবাচক কয়েকটি বিষয় দিয়ে।

সারা বিশ্বেই করোনাভাইরাসে গুরুতর আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসছে।

গত কয়েকমাস ধরেই হাসপাতালগুলোয় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ভর্তির সংখ্যা কমছে।

যুক্তরাজ্যে একসময় যখন প্রায় ২০ হাজার রোগী ভর্তি ছিলেন, এখন সেই সংখ্যা কমে এসেছে আটশোর নীচে।

একপর্যায়ে পুরো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র কোভিড-১৯ রোগীতে ভর্তি ছিল, যাদের অনেককে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।

ভেন্টিলেশনে রাখা রোগীর সংখ্যা তিন হাজার তিনশো হতে কমে এখন নেমে এসেছে মাত্র ৬৪ জনে।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল এপ্রিল মাসে, এরপর থেকেই তা কমতে শুরু করেছে।

সারা বিশ্বেই করোনাভাইরাসে গুরুতর আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসছে
সারা বিশ্বেই করোনাভাইরাসে গুরুতর আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসছে

করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরবর্তী ২৮ দিনের মধ্যে যাদের মৃত্যু হয়েছে, সেই হার এখন প্রায় ৯৯ শতাংশ কমে এসেছে। একসময় যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন এরকম মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার হলেও এখন তা প্রতিদিন ১০ জনে নেমে এসেছে।

অন্যান্য রোগের সঙ্গে তুলনা করলে প্রোস্টেট ক্যান্সারে প্রতিদিন যুক্তরাজ্যে গড়ে ৩০ জনের মৃত্যু হচ্ছে আর স্তন ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে প্রতিদিন ৩০জন নারী।

তবে করোনাভাইরাসের মৃত্যুর পরিসংখ্যানের মতো সেসব মৃত্যুর খবর টেলিভিশনের খবরে ফলাও করে প্রচার করা হয় না।

তবে গত কয়েকমাস ধরেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সেটার কারণ হয়তো হতে পারে পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক কার্ল হেনেগান বলছেন, ”মার্চ এবং এপ্রিলের দিকে যদি তাকান, তখন নাজুক ব্যক্তিদের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বেশি ছিল। যেমন কেয়ার হোমগুলোয় এক হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু এখন তরুণদের মধ্যে বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।”

”দ্বিতীয়ত, ভাইরাসটির সংক্রমণের মাত্রাও কমে গেছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলায় মানুষজন কম মাত্রায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসছে, কারণে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার প্রবণতাও কমে গেছে।”

সুতরাং এখন কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলেও তার সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি। চিকিৎসকরা এখন আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছেন যে, কোভিড-১৯ এর সঙ্গে কীভাবে আরও দক্ষতার সঙ্গে লড়াই করা যাবে।

হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা
হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা

সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ২ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি চারদিনে প্রায় ১০ লাখ নতুন রোগী যোগ হচ্ছে।

মহামারি শুরু হওয়ার পর বিশ্বে আট লাখের বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

তবে সেটা ফুসফুসের আরেকটা সংক্রামক ব্যাধি, যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াতে পারেনি।

বাতাস বাহিত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, টিউবারকুলোসিস বা টিবি রোগে প্রতি বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোয় প্রায় ১৫ লাখ লোকের মৃত্যু হয়। দারিদ্র, অপুষ্টি, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কখনো কখনো এইচআইভির কারণেও মানুষজন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

তবে কোভিডের সঙ্গে পার্থক্য হলো, অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এটা অনেক সময় চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। যদিও ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার ঊর্ধ্বগতিও লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা।

কিন্তু এখন কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে?

এর মানে যদি হয় যে, শিশুদের স্কুল খুলে দেয়া, তাহলে উত্তর হতে পারে হ্যাঁ। কারণ তথ্যপ্রমাণ বলছে যে, শিশুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। যদিও তাদের পর্যাপ্ত সচেতনতার অভাব থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

তবে বয়স যত বেশি হবে, তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ততো বেশি হবে।

অধ্যাপক ডেভিড স্পিগেলহালটারের মতে, বিশ বছরের একজনের তুলনায় আশি বছরের একজন পুরুষের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০০ গুণ বেশি।

তবে এই ভয়াবহ রোগটির বিরুদ্ধে বিজয়ে আমাদের এখনো অনেক দূর যেতে হবে।

ভয়াবহ রোগটির বিরুদ্ধে বিজয়ে এখনো অনেক দূর যেতে হবেভয়াবহ রোগটির বিরুদ্ধে বিজয়ে এখনো অনেক দূর যেতে হবে
ভয়াবহ রোগটির বিরুদ্ধে বিজয়ে এখনো অনেক দূর যেতে হবে

এখনো আসলে গ্রীষ্মকাল চলছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, এমন ভাইরাস গ্রীষ্মের মাসগুলোয় ততটা শক্তিশালী হয় না। মানুষ এখনো বাইরে সময় কাটাচ্ছে। যদিও বেশিরভাগ মানুষ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে, কারো সঙ্গে হাত মেলায় না। সুতরাং একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু এখনো করোনাভাইরাস দূর হয়নি।

মানুষজন যেহেতু অফিস-আদালত করতে শুরু করেছে, বাইরে বের হচ্ছে, অতএব সামনের কিছুদিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বোঝার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

”আমরা জানি, শীতের সময় বিশেষ করে উত্তরের আবহাওয়ায় ফুসফুসের ভাইরাস বিশেষভাবে বেড়ে যায়। সুতরাং এটা এখনো শেষ হয়নি, বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে,” বলছেন ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ওয়েন্ডি বারক্লে।

ফ্রান্সে দেখা গেছে, সেখানে শুধু নতুন রোগী শনাক্ত নয়, বরং কোভিড-১৯ জনিত অসুস্থতার হার অনেক বেড়ে গেছে।

”মানুষজন যদি মনে করে যে, ভাইরাসের সংক্রমণ শেষ হয়ে গেছে, সেটা ভুল হবে। ভাইরাসটি এখনো ছড়াচ্ছে এবং আমরা যদি সতর্ক না থাকি, অসুস্থতার হার আরও বাড়বে। আমার মতে, মানুষকে এই পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে যেন তারা হাত ধোয়া আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে।” বলছেন অধ্যাপক কার্ল হেনেগান।

তিনি এক্ষেত্রে সুইডেনের উদাহরণ অনুসরণ করার পরামর্শ দেন, যেখানে কখনোই লকডাউন দেয়া হয়নি।

”সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল আচরণ করা ছাড়া তারা বাড়তি কিছু করেনি। এর মানে হলো রেস্তোরা খোলা থেকেছে, কিন্তু মানুষজন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেছে এবং কি করছে, সে বিষয়ে সতর্ক থেকেছে।” তিনি বলছেন।

তিনি বলছেন, কীভাবে কিছু মানুষ সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সক্ষমতা অর্জন করেছে, সেটাও বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ।

সম্ভবত প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু সেখানে টি-সেলের একটা প্রভাব আছে, যেটি সংক্রমিত সেল শনাক্ত এবং ধ্বংস করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পাশাপাশি তিনি মনে করেন, করোনাভাইরাস আরও কিছুদিন থেকে যাবে।

”আমি মনে করি, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি সফলভাবে পশুপাখি থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে এবং সেটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবন কম। সবচেয়ে বড় আশা হতে পারে টিকা, যা নাজুক ব্যক্তিদের জন্য সহায়ক হবে।” তিনি বলছেন।

সামাজিক দূরত্ব এবং হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা
সামাজিক দূরত্ব এবং হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা

এডিনবরা ইউনিভার্সিটির ইমুউনোলজি এন্ড ইনফেকশন ডিজিজেস বিভাগের অধ্যাপক ইলেনর রাইলি বলছেন, মহামারির শুরুতে যতটা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের জন্য তার চেয়ে ভালো প্রস্তুতি নেয়া দরকার।

”আমরা হয়তো রোগী শনাক্তের ক্ষেত্রে সংখ্যা বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু আমার মনে হয় না যে, সেটা এপ্রিল মাসের মতো হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়বে,” তিনি বলছেন।

”আমরা এখন ব্যক্তি বিশেষে ঝুঁকির বিষয়টি ভালোভাবে জানি এবং সেভাবে বয়স্ক ও স্বাস্থ্য সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে পারি। পাশাপাশি অন্য সবাই তাদের নিয়মিত জীবনযাপন চালিয়ে যেতে পারেন।”

এর মানে হলো, মহামারি নিয়ন্ত্রণে এখনো আমাদের প্রত্যেকের বিশেষ ভূমিকা রাখার প্রয়োজন রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব এবং হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে যাদের সঙ্গে বসবাস বা ঘনিষ্ঠতা নেই, তাদের থেকে দূরে থাকাই ভালো।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com