আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

দুই বাংলার স্বাদ ঘুরছে মার্কুইস লেনের ইছামতীর তীরে

মার্কুইস লেনের মুখটায় ঢুকতে গেলেই রান্নার গন্ধ ঝাপটা মারে নাকে। গলির মুখেই নামকরা বাঙালি রেস্তরাঁ। রগরগে তেল-ঝালের গন্ধ নাকে মেখে ওই রাস্তা বরাবর কিছুটা এগিয়ে গেলে ১৬ নম্বরে এসে থমকাতেই হবে আপনাকে। কারণ, তখন রান্নার জুতসই গন্ধটা তত ক্ষণে আরও তীব্র হয়েছে। অসংখ্য পাইস হোটেলের মাঝে বেশ বড়সড় একটা রেস্তরাঁ। দুই বাংলার রান্নার মেনু সাজিয়ে রেখেছে টেব্‌লে। চিংড়ি পকোড়া, কচুপাতা চিংড়ি, মাটন ভুনার পাশে এদের বিখ্যাত পদ ‘খাসির পায়া’।

ইছামতী। লকডাউনের পর আবার খুলবে সম্প্রতি। স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস, শরীরের তাপমাত্রা মাপা— কোভিড-পরবর্তী সব রকম সচেতনতাই তাঁরা নেবেন। মাস্ক না পরলে ঢুকতে দেওয়া হবে না নতুন নিয়মে। হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে তবেই প্রবেশ করতে পারবেন রেস্তরাঁয়। খাবার টেব্‌লেও স্যানিটাইজার রাখা থাকছে। আপনার সামনেই থালা-বাসন স্যানিটাইজ করে তবে তাতে খেতে দেওয়ার নতুন অভ্যাস রপ্ত করে ফেলছে ইছামতী।

এমনিতে প্রতি দিন তিন বেলা খোলা থাকে এই রেস্তরাঁ। সকালে জলখাবার মেলে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। এর পর দুপুরে ১২ টা থেকে ৪টে ও সন্ধে ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রেস্তরাঁ খোলা থাকবে। দু’জন খাওয়ার মোট খরচ কর-সহ ৫০০ টাকা। এই ইছামতীরই দুই বিখ্যাত পদের রেসিপি ভাগ করে নিলেন সেখানকার শেফরা। সহজ উপাদানে বানানো এই রান্নাগুলো আনলকডাউন পর্বেও সারতে পারেন বাড়িতে। 

আরও পড়ুন:মুচমুচে পাউরুটির ভিতরে ঝুরো পনির! চা-কফির পাশে একেই রাখুন প্লেটে

চিংড়ি পকোড়া

উপকরণ

চিংড়ি: ১০০ গ্রাম

পেঁয়াজ: ৫০ গ্রাম

লঙ্কা কুচি: ২৫ গ্রাম

সাদা তেল:  ২৫০ গ্রাম

চিনি: ২৫ গ্রাম

নুন: ২৫ গ্রাম

বেকিং সোডা: ২৫ গ্রাম

ধনে পাতা কুচি: ২৫ গ্রাম

চালের গুঁড়ি: ২৫ গ্রাম

ণালী:প্রথমে ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ ভিনিগারে ভিজিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। তার পর চিংড়ি মাছগুলিকে ছোট ছোট করে কেটে তাতে নুন, চিনি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনে পাতা কুচি দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। তার মধ্যে বেকিং পাউডার ও চালের গুঁড়ি মিশিয়েএকে গোল বলের আকারে গড়ে নিতে হবে। এ বার কড়ায় তেল গরম হলে চিংড়ির বলগুলো বাদামি করে ভেজে কাসুন্দির সঙ্গে পরিবেশন করুন। সঙ্গে চা থাকলে বিকেলের আড্ডায় জলযোগ নিয়ে আর ভাবতে হবে না।

আরও পড়ুন:ভেটকির কুড়কুড়ে! বিকেলের স্ন্যাক্সের আর চিন্তা কি?

কচুপাতা চিংড়ি

উপকরণ

দুধ-কচু পাতা: ২ আঁটি

নুন: ৫০ গ্রাম

চিংড়ি মাছ: ২৫০ গ্রাম

হলুদ: ২৫ গ্রাম

পোস্ত: ৫০ গ্রাম

চারমগজ: ১০০ গ্রাম

সাদা তেল: ২০০ গ্রাম

সরষের তেল: ১০০ গ্রাম

কাঁচা লঙ্কা বাটা: ৫০ গ্রাম

চিনি: ২৫ গ্রাম

প্রণালী:প্রথমে দুধ-কচু পাতাগুলোকে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন। তার পর চিংড়ি মাছ সাদা তেলে একটু ভেজে নিয়ে তার মধ্যে নুন-লঙ্কা বাটা-পোস্ত দিয়ে ভাল করে কষিয়ে চারমগজ দিয়ে দিন। এর পর পাতাগুলো থেকে ভা করে জল ঝরিয়ে রাখুন। ভাল করে কষিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দেওয়ার পর সর্ষের তেল উপর ছড়িয়ে দিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com