শহর এবং শহর ছাড়িয়ে খানিকটি শহরতলির দিকেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে একটি ধাবা। ‘রং দে বাসন্তী’। তারা কিন্তু পুজোর মেনু নিয়ে প্রস্তুত। ইএম বাইপাস, ডায়মন্ড প্লাজা, মধ্যমগ্রাম, বেহালা, সোদপুর, সেক্টর ফাইভে রয়েছে এই ধাবার শাখা। এই ধাবার ট্রেডমার্ক একটি রেসিপি ‘দিল্লি কা বাটার চিকেন’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। কীভাবে বানায় এই রেসিপি তারা? আনন্দবাজার ডিজিটিলের পাঠকদের জন্য ভাগ করে নিলেন কর্তৃপক্ষ ।
উপকরণ
৫০০ গ্রাম চিকেন ব্রেস্ট (ছোট পিস করে কাটা)
১/২ কাপ পুদিনা পাতা বাটা
১/২ কাপ ধনে পাতা বাটা
২ চা-চামচ আদা বাটা
১চা চামচ রসুন বাটা
২ টেবিল চামচ ঘি
২ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
২ চা চামচ জিরে গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ ছাতু
৫০ গ্রাম কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো
১/২ কাপ সর্ষের তেল
১ কাপ কাজুবাদাম বাটা
১ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা
১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ ফুড কালার
২টি পাতিলেবুর রস
স্বাদমতো নুন
১/২ কাপ দই
গ্রেভির জন্য
১০০ গ্রাম মাখন
২৫০ মিলি ফ্রেশ ক্রিম
৪টি পেঁয়াজ
১ কাপ কাজু
৫-৬টি টোম্যাটো
৪-৫টি শুকনো লঙ্কা
৮-১০ কোয়া রসুন
১.৫ চামচ আদা বাটা
২ চা চামচ চিনি
স্বাদ মতো নুন
৩ চা চামচ কসৌরি মেথি
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
৪ কাপ জল
প্রয়োজন অনুযায়ী গোটা গরম মশলা
১ টি বড় এলাচ
১টি স্টার অ্যানিস
২-৩টি তেজ পাতা
প্রণালী: প্রথমে মাংসের ব্রেস্টগুলো একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে একে একে ধনেপাতা বাটা, পুদিনা পাতা বাটা, কাজুবাদাম বাটা, দই, লেবুর রস, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, আদা বাটা, রসুন বাটা, ঘি, গরম মশলা গুঁড়ো, স্বাদ মতো নুন, ফুড কালার, পাতিলেবুর রস, ছাতু ও সর্ষের তেলে গুলে রাখা কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
সময় হলে মাংসের টুকরোগুলো গ্রিলারে বা তাওয়ায় গ্রিল করে নিন। মাইক্রোওভেনেও রান্না করা যেতে পারে। তৈরি হল কাবাব।
একটি কড়াইয়ে সাদা তেল ও মাখন ভাল করে গরম করে নিতে হবে এবং তার মধ্যে দিতে হবে তেজপাতা, ছোট এলাচ, বড় এলাচ, স্টার অ্যানিস ও দারুচিনি। এ বার একটু ভাল করে নাড়িয়ে দিতে হবে। এরপরে দিতে হবে পেঁয়াজ,আদা, রসুন, টোম্যাটো, কিছুটা মাখন, কাজুবাদাম। অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রেখে পরিমাণমতো জল দিয়ে ঢেকে দিন।
টোম্যাটো গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার স্বাদ মতো নুন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। অল্প চিনি দিন। বেশ থকথকে হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে দিন। ঠান্ডা হলে মিক্সার গ্রাইন্ডারে বেটে নিন। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। ছেঁকে রাখা পেস্ট কড়াইয়ে দিয়ে ভাল করে ফুটতে দিন।
এ বার কাবাবগুলো দিয়ে দিন ও ক্রিম দিন। বেশ গাঢ় হয়ে এলে আরও কিছুটি মাখন ও ক্রিম দিন। কসৌরি মেথি হাতে ঘষে নিয়ে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ চাপা দিয়ে রাখুন। তারপর গরম গরম পরিবেশন করুন তন্দুরি রুটি বা বাটার নান দিয়ে। দিল্লি কা বাটার চিকেন এ বার তাহলে বাড়িতেই?
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন