আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

দিনের বেলায় ক্লান্তি এড়াতে ৭ খাবার

অনেক সময় ঘুম না পেলেও শরীর যেন দুর্বল মনে হয়, ক্লান্তিভাব আসে। ঘুম থেকে ওঠার পর, কাজের মাঝে, শরীর যেন আর চলতে চায় না। আর, অতিরিক্ত ক্লান্তিভাবের ফলে শরীর কাহিল হয়ে পড়ে। আপনিও কি এই সমস্যায় ভুগছেন? ভাল ঘুম হওয়া সত্ত্বেও আপনিও কি প্রায়ই দিনের বেলা ক্লান্ত বোধ করেন? এক্ষেত্রে, একটু খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিলেই এই সমস্যা কমতে পারে।

এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে ক্লান্তিভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই খাবারগুলি আপনাকে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি সরবরাহ করতে পারে। তাহলে জেনে নিন ক্লান্তি থেকে বাঁচতে কী কী খাবার খাদ্যতালিকায় রাখবেন।

১. টাটকা মওসুমি ফল

ডায়েটে টাটকা মওসুমি ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলো আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করবে এবং ক্লান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়তা করবে। কো-এনজাইম কিউ১০, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রনের মতো পুষ্টি উপাদান অনেক ফলের মধ্যে পাওয়া যায়, যা আপনার শরীরকে শক্তি উৎপাদন ও সংরক্ষণে সাহায্য করবে।

২. সবুজ শাকসবজি

সবুজ শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া অত্যন্ত উপকারি! পালং শাক, ব্রকোলি, ক্যালে, লেটুস বা সুইস চার্ডের মতো শাকসবজি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলো প্রচুর ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। আপনি এই সবজি স্যুপ বা সালাদে দিয়েও খেতে পারেন।

৩. চিয়া সিড

চিয়া সিডকে এনার্জির ছোটখাটো পাওয়ার ব্যাংক বলা যেতে পারে, কারণ এতে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবার থাকে। এই ছোট্ট বীজগুলি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্ক এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়াও, চিয়া সিড ম্যাগনেসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস, যা ক্লান্তি এবং স্ট্রেসের মোকাবিলায় সাহায্য করে।

৪. বাদাম

প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর বাদাম এবং দেহের শক্তিও বাড়ায়। আখরোট, আমন্ড, ব্রাজিল নাটস, পিক্যান, কাজু বা হ্যাজেলনাটের মতো বাদাম আপনার রুটিন ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দুর্দান্ত। এগুলি কেবল এনার্জি বাড়াতেই সহায়তা করে না, পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাও রাখে।

৫. ওটস

ওটস ফাইবারে পূর্ণ এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করে। লো-ফ্যাট মিল্ক বা আমন্ড মিল্কের সঙ্গে খেতে পারেন, তবে চিনি এড়িয়ে চলাই ভাল। ওটস-এর সঙ্গে ফল যোগ করতে পারেন। ওটস দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং এনার্জি সরবরাহ করে।

৬. মাশরুম

মাশরুম হল এনার্জির এক দুর্দান্ত উৎস। এটি প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ। এছাড়াও, ফোলেট এবং বি-ভিটামিন, যেমন-রিবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ইত্যাদি প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলোও রয়েছে। মাশরুম ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে। এগুলো সালাদের সঙ্গে, স্যান্ডউইচে বা স্ন্যাক্স হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

৭. কলা

ক্লান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কলা অন্যতম সেরা খাবার। পটাশিয়াম, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ কলা এনার্জির দুর্দান্ত উৎস। স্মুদি, মিল্কশেকে দিয়ে বা এমনিও খেতে পারেন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com