প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বেড়েই চলেছে। বিশ্বে করোনার আলফা, বিটা, গামা, ডেলটা, ল্যামডা এবং কাপ্পা প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে সংক্রামক এবং ভয়ঙ্কর ডেল্টা স্ট্রেন৷ যার একটি ডেল্টা প্লাস রূপও রয়েছে। আগামী দুইমাসের মধ্যে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বিশ্বজুড়ে ৷ আর এই প্রেক্ষিতেই করোনা টিকার কার্যকারীতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। সেই আবহেই এবার বড় ঘোষণা করল বায়োকন লিমিটেডের একটি সংস্থা বায়োকন বায়োলজিস্ট লিমিটেড৷ সম্প্রতি সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে করোনাভাইরাস রুখতে এবার সরাসরি অ্যান্টিবডি প্রবেশ করিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার কাজ করা হবে।
নভেল করোনাভাইরাসকে আটকাতে ‘নভেল অ্যান্টিবডি’ আনতে চলেছে সংস্থাটি। এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আমেরিকার সংস্থা এডাজিও থেরাপেটিকস-এর তরফে লাইসেন্সে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একটি বিবৃতিতে জানান হয়েছে যে ভারত এবং কয়েকটি নির্দিষ্ট বাজারে এডিজি২০ নামক একটি অ্যান্টিবডির কর্মাশিয়ালি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এডিজি২০ হল একটি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি, যারা সার্স-কোভ-২ এবং করোনাভাইরাসের প্রজাতিগুলোর স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দেখায়। সংস্থার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, এডাজিওর এই একক এজেন্টের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সকল মিউটেটেড প্রজাতি এবং আগামী দিনে আসন্ন নানা প্রজাতির বিরুদ্ধে সফলভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে এই অ্যান্টিবডি চিকিৎসা।
গবেষকদের মতে, নতুন অ্যান্টিবডি চিকিৎসায় পরীক্ষাগারে তৈরি অ্যান্টিবডিটি দেহে ইন্ট্রামাসকুলার পদ্ধতিতে প্রবেশ করানো হবে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে। বায়োকন বায়োলজিস্ট এবং এডাজিও থেরাপেটিকস যৌথভাবে দাবি করেছে করোনা লড়াইয়ে এই পদ্ধতিই সফলভাবে লড়াই জয় করতে পারবে।
বায়োকন বায়োলজিস্ট-এর প্রধান কিরণ মজুমদার বলেন, বাইরে থেকে প্রবেশ করানো এই অ্যান্টিবডি শরীরে ঢুকে আরও অ্যান্টিবডি তৈরি করবে নিজেদের মতো। যারা অনায়াসে করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে। ফলে দেহে অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি পাবে৷ এর জন্য ভ্যাকসিন ডোজের আলাদা করে প্রয়োজন হবে না৷ এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিম্ম আয়ের দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চলেছে।
বিশ্বকে সুরক্ষিত করতে হলে সুপিরিয়র বায়োলজিক থেরাপির প্রয়োজন। আজীবন করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে তাই আগামী দিনে অ্যান্টিবডি চিকিৎসা আলোর পথ দেখাবে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন