ব্রাজিলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাস টিকার ট্রায়ালে অংশ নেয়া এক স্বেচ্ছাসেবী মারা গেছেন।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ গোপনীয়তা রক্ষার নিয়ম মেনে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি।
তবে বিবিসি জানতে পেরেছে যে ঐ স্বেচ্ছাসেবীকে টিকা দেয়া হয়নি।
ট্রায়ালে অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবীদের অর্ধেককে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি দেয়া হয়েছে, বাকি অর্ধেককে দেয়া হয়েছে মেনিনজাইটিসের অনুমোদিত একটি ভ্যাকসিন।
অংশগ্রহণকারী বা তাদের পরিবারের সদস্যরা জানে না যে ঠিক কোন টিকাটি তাদের দেয়া হয়েছে।
এর মাধ্যমে গবেষকরা বুঝতে পারেন দুই ধরণের টিকা শরীরে প্রবেশ করালে কী ধরণের প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা এরকম নির্দিষ্ট ঘটনায় মন্তব্য করতে না পারলেও এটি নিশ্চিত করছে যে তারা ‘সকল বাধ্যতামূলক পদ্ধতি অনুসরণ করে’ ট্রায়াল পরিচালনা করেছে।
অক্সফোর্ড আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যাওয়া প্রথম ভ্যাকসিনগুলোর একটি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ভ্যাকসিনের ফেইজ ১ এবং ফেইজ ২ এর ট্রায়াল সফল হয়েছে এবং ফেইজ ৩ এর জন্য যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল ও ভারতে স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলাকালীন সময়ে গত মাসে যুক্তরাজ্য এক রোগীর মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ার পর ট্রায়ালটি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল, তবে কয়েকদিন পরেই আবার ট্রায়াল শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ফেইজ ৩-এর ট্রায়াল এখনও শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এই সপ্তাহের শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপ শুরু হতে পারে বলে ব্লুমবার্গ পত্রিকাকে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
ট্রায়াল ‘অব্যাহত থাকা উচিত’
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ অ্যানভিসা বলছে যে অংশগ্রহণকারীর মৃত্যুর বিষয়টি তারা জানতে পারে ১৯শে অক্টোবর।
ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন ২৮ বছর বয়সী একজন চিকিৎসক এবং তিনি কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জটিলতায় মারা গেছেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঐ চিকিৎসক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।
তবে এই তথ্য অ্যানভিসা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে: “ট্রায়ালে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীর বিষয়ে স্বাধীন রিভিউ করা হয়েছে। ঐ স্বাধীন রিভিউ পদ্ধতি ছাড়াও ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সুপারিশ করেছে যেন ট্রায়াল অব্যাহত থাকে।”
ভ্যাকসিনটি অনুমোদিত হলে এই ভ্যাকসিনটি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন