আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

গ্লোব বায়োটেক করোনা ভ্যাকসিন: ছয় মাসের মধ্যে বাজারে আসতে পারে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের তৈরি টিকা

করোনাভাইরাসের কার্যকর এবং নিরাপদ একটি টিকার অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব
করোনাভাইরাসের কার্যকর এবং নিরাপদ একটি টিকার অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব

বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করা তিনটি ভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য এটাও জানিয়েছে যে, নভেল করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যেই এই ল্যান্ডস্কেপ ডকুমেন্টটি তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট একটি পণ্যের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া বোঝায় না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ল্যান্ডস্কেপ ডকুমেন্টে ক্লিনিক্যাল ইভালুয়েশনের তালিকায় মোট ৪২টি এবং প্রি-ক্লিনিক্যাল ইভালুয়েশনের তালিকায় ১৫৬টি ভ্যাকসিনের নাম রয়েছে।

প্রি-ক্লিনিক্যাল ইভালুয়েশনের তালিকায় তিনটি ভ্যাকসিন স্থান পেয়েছে যেগুলো বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড তৈরি করছে। এগুলো হলো DNA plasmid vaccine , Adenovirus Type 5 Vector , D614G variant LNP-encapsulated mRNA ।

গত ৮ই মার্চ থেকে তারা এই টিকা আবিষ্কারের কাজ শুরু করে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে এর মধ্যে D614G variant LNP-encapsulated mRNA ভ্যাকসিনটির উন্নয়নের কাজ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে।

কীভাবে শুরু হলো?

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এই রোগটির জন্য ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ করতে শুরু করে গ্লোব বায়োটেক।

তখন আন্তর্জাতিকভাবে যেসব জেনোম সিকোয়েন্স ছিল, সেগুলো বিশ্লেষণ করে একটি বিশেষ ধরনের মিউটেশনের খোঁজ পান গ্লোব বায়োটেকের বিজ্ঞানীরা। এই মিউটেশনটি হলো D614G ।

তখন এই মিউটেশনের সংখ্যা খুবই কম ছিল বলে জানান গ্লোব বায়োটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাকন নাগ।

তিনি বলেন, ওই সময়ে তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই জেনোম মিউটেশনটি ভবিষ্যতে মারাত্মক প্রভাব তৈরি করবে। তখন তারা এটি নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।

“ওই সময়ে আসলে কেউ ধারণা করতে পারেনি যে এই স্ট্রেইনটি সারা বিশ্বে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করবে,” বলেন তিনি।

গ্লোব বায়োটেক বলছে, বর্তমানে সারা বিশ্বে যতগুলো স্ট্রেইন আছে তার মধ্যে D614Gটি ১০ গুণ বেশি সংক্রামক এবং এর বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কেউ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট বানায়নি।

কোন পর্যায়ে আছে?

তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের মধ্যে উন্নয়নের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে এলএনপি ভিত্তিক D614G variant LNP-encapsulated mRNA ক্যান্ডিডেটটি। মূলত এটির প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে এটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে।

গ্লোব বায়োটক বলছে, এই ভ্যাকসিনটির একটি ক্যান্ডিডেটের প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
গ্লোব বায়োটক বলছে, এই ভ্যাকসিনটির একটি ক্যান্ডিডেটের প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি এন্ড রেগুলেটরি অপারেশনের ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এই ভ্যাকসিনটির তিনটি ক্যান্ডিডেটের মধ্যে একটির প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি চলছে।

এ নিয়ে গত ১৪ই অক্টোবর আইসিডিডিআরবির সাথে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। তারাই এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটি পরিচালনা করবে।

বর্তমানে আইসিডিডিআরবির প্রটোকল ডেভেলপমেন্ট রিভিউ নিয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, তাদের নিজস্ব কিছু ব্যবস্থা আছে যা তারা অনুসরণ করে কাজ করছেন।

মি. মহিউদ্দিন জানান, আইসিডিডিআরবি দ্রুততার সাথে এবিষয়ে একটি আবেদন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসি’কে জমা দেবে।

বাকি দুটো স্ট্রেইন এখনো প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।

আর কী কী ধাপ বাকি?

একটি ভ্যাকসিন উন্নয়নের বেশ কয়েকটি ধাপ থাকে। D614G variant LNP-encapsulated mRNA ক্যান্ডিডেটটি এরই মধ্যে ছয়টি ধাপ পার হয়ে এসেছে। এটি এখন সপ্তম ধাপে রয়েছে।

এই ধাপে ক্লিনিক্যাল বা হিউম্যান ট্রায়াল করা হয়। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যে আবার তিনটি ধাপ রয়েছে। অনেক জায়গায় চারটি ধাপও থাকে।

গ্লোব বায়োটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাকন নাগ বলেন, এই টোটাল হিউম্যান ট্রায়ালটি বাকি আছে।

এর বাইরে ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট বা উন্নয়নের কাজটি এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে।

“এটি মানব শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে কিনা এবং মানব দেহে এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা সে বিষয়টি এখন দেখতে হবে।”

মি. নাগ জানান, এরই মধ্যে এই ভ্যাকসিনটি প্রাণীদেহে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সেখান থেকে খুবই আশাপ্রদ ও ভাল ফল পাওয়া গেছে। যার ফলশ্রুতিতেই আসলে হিউম্যান ট্রায়ালে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

“বর্তমানে যে তথ্য-উপাত্ত আছে সেটি খুবই আশাপ্রদ যে মানব শরীরেও এটি খুব ভাল ফলাফল দেবে,” বলেন তিনি।

কবে নাগাদ আসবে?

গ্লোব বায়োটেক জানায়, নিয়ম অনুযায়ী এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।

কিন্তু ব্যবস্থাপনা ও অনুমোদনের বিষয়গুলো গ্লোব বায়োটেকের হাতে নেই বলে জানান তারা।

এই বিষয়গুলোর জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তারা এটি দ্রুততম সময়ে অনুমোদন দিলে ছয় মাস সময়ে মধ্যে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন গ্লোব বায়োটেকের কর্মকর্তারা।

কতদূর যাবে এই ভ্যাকসিন?

মি. নাগ বলেন, বর্তমানে D614G ভ্যাকসিনটি প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাচ্ছে। এর পরে বাকি ধাপগুলো অতিক্রম করে এই ভ্যাকসিনটি সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানায় গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ তাদের তৈরি করা ভ্যাকসিনটি ট্রায়াল করে দেখার আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, ভ্যাকসিনটি দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে।
গবেষকরা বলছেন, ভ্যাকসিনটি দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে।

মি. নাগ বলেন, বাংলাদেশ যেমন চাইনিজ, ইন্ডিয়ান কিংবা রাশিয়ার ভ্যাকসিনের জন্য ছুটছে ঠিক তেমনি অন্য দেশগুলোও আমাদের ভ্যাকসিন তাদের দেশে ট্রায়ালের ব্যাপারে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

ভ্যাকসিনের D614G ক্যান্ডিডেটটি অন্য আর কারো কাছে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা আশা করছেন যে এটি একটি “সুপিরিয়র” ভ্যাকসিন হবে।

ভ্যাকসিনের তিনটি ক্যান্ডিডেটের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

ব্যানকোভিড নামে যে ভ্যাকসিনটি গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড বানাচ্ছে তার যে তিনটি ক্যান্ডিডেট রয়েছে তাদের মধ্যে মূলত প্রযুক্তিগত পার্থক্য রয়েছে।

এছাড়া তিনটি ক্যান্ডিডেটের উদ্দেশ্যই কোভিড-১৯ প্রতিহত করা।

এই ভ্যাকসিনটির যে মলিকিউলটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে সেটি সব ক্যান্ডিডেটের ক্ষেত্রেই এক। আর সেটি হচ্ছে D614G।

কিন্তু এই ক্যান্ডিডেটগুলো উৎপাদন করার প্রযুক্তি ভিন্ন।

এর মধ্যে যে ক্যান্ডিডেটটি সবচেয়ে এগিয়ে আছে অর্থাৎ D614G variant LNP-encapsulated mRNA- এটির উৎপাদন প্রযুক্তি এখনো পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এবং সবচেয়ে বেশি নিরাপদ বলে তারা দাবি করছেন।

এরপরে Adenovirus Type 5 Vector নামে যে ক্যান্ডিডেটটি রয়েছে সেটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ভ্যাকসিন তৈরি করছে তার প্রায় কাছাকাছি বলে উল্লেখ করেন মি. নাগ।

আর ভ্যাকসিনটি যাতে সস্তায় দেয়া যায় তার জন্য আরেকটি প্রযুক্তি নিয়েও কাজ চলছে বলে তিনি জানান। সেটি হচ্ছে ডিএনএ প্রযুক্তি। কিন্তু এই প্রযুক্তি খুব নিরাপদ বলে অতীতে প্রমাণিত হয়নি। তাই এর উন্নয়নের কাজটিও পিছিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।

কিভাবে কাজ করবে ব্যানকোভিড ভ্যাকসিন?

এ বিষয়ে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাকন নাগ বলেন, ব্যানকোভিড ভ্যাকসিন যখন মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে তখন এর এমআরএনএ নামে মলিকিউলটি দেহের নির্দিষ্ট কিছু কোষে প্রবেশ করবে।

এই মলিকিউলটি কোভিড-১৯ ভাইরাস সার্স-কোভ-২- তার স্পাইক প্রোটিনের সান্নিধ্যে আসবে।

এই স্পাইক প্রোটিনটি তখন অ্যান্টিজেন হিসেবে কাজ করবে এবং পরবর্তীতে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।

মি. নাগ বলেন, টিকা দেয়া হলে শরীরে এই অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়া এবং এর মেমোরি সেল ও টি-সেল তৈরি হয়ে যাবে। ফলে ওই ব্যক্তি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই অ্যান্টিবডি সেটি শনাক্ত করতে পারবে এবং দ্রুত তারা সেটি দেহ থেকে সরিয়ে দেবে।

তখন আর এই জীবাণুটি মানুষকে রোগাক্রান্ত করতে পারবে না বলে তিনি জানান।

  • গবেষকরা বলছেন, ভ্যাকসিনটি দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে।

    গবেষকরা বলছেন, ভ্যাকসিনটি দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে।

  • গ্লোব বায়োটক বলছে, এই ভ্যাকসিনটির একটি ক্যান্ডিডেটের প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    গ্লোব বায়োটক বলছে, এই ভ্যাকসিনটির একটি ক্যান্ডিডেটের প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

  • করোনাভাইরাসের কার্যকর এবং নিরাপদ একটি টিকার অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব

    করোনাভাইরাসের কার্যকর এবং নিরাপদ একটি টিকার অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব

  • গবেষকরা বলছেন, ভ্যাকসিনটি দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে।
  • গ্লোব বায়োটক বলছে, এই ভ্যাকসিনটির একটি ক্যান্ডিডেটের প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
  • করোনাভাইরাসের কার্যকর এবং নিরাপদ একটি টিকার অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com