আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

চুল-ত্বকের উপকারী বন্ধু পুদিনা

পুদিনা (মিন্ট) পাতা মানুষের পরিচিত সেই প্রাচীনতম গাছগাছড়া, যা রান্নায় ব্যবহৃত হয়। এর অসাধারণ ওষুধি গুণও আছে।এটি পলিফেনলেরও গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এর বায়ুনাশকারী এবং অ্যান্টি স্প্যাজমোডিক বৈশিষ্ট্যও আছে। পুদিনা বা মিন্টের কড়া অথচ সজীব গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে এবং শরীর ও মনকে তরতাজা করতে সাহায্য করে। পুদিনা অ্যাসেনশিয়াল অয়েলের ঘ্রাণ নিলে সঙ্গে সঙ্গে রক্তে সিরোটোনিন নিঃসৃত হয়, যা এটি মানসিক চাপ ও অবসাদ হ্রাস করতে সুপরিচিত।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতা পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

ব্রণ দূর করতে

পুদিনা পাতা পেস্ট ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণের উপর লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি দেবে।

ত্বক ঠাণ্ডা রাখতে

পুদিনা পাতার রস ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ঠাণ্ডা রাখবে এটি।

বলিরেখা দূর করতে

পুদিনা পাতা পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে দূর হবে ত্বকের বলিরেখা।

উকুন তাড়াতে

পুদিনার শিকড়ের রস উকুন তাড়াতে খুবই কার্যকর। পুদিনাপাতা বা শিকড়ের রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখতে হবে। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুইবার করলে এক মাসের মধ্যেই চুল উকুনমুক্ত হবে।



লোমকূপ পরিষ্কার করতে

পুদিনা পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। বিশেষ করে যেখানে ব্ল্যাকহেডস বেশি থাকে সেখানে লাগান। লোমকূপ ভেতর থেকে পরিষ্কার করবে এটি।

হজমে সাহায্য করে  

পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে, মেন্থল আর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে, যা উৎসেচকগুলিকে সাহায্য করে খাবার হজম করতে । পুদিনা পাতায় থাকা অ্যাসেনশিয়াল অয়েলের শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণাগুণ রয়েছে, যা পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে।



ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো করে

পুদিনা পাতার প্রদাহনিরোধক এবং অ্যান্টি–ব্যাকটিরিয়াল গুণাগুণ রয়েছে যা ব্রণ, পিম্পল সারাতে কাজে লাগে । পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আছে, যা ব্রণ দূর করে । তাছাড়া এটি ত্বক পরিস্কার করতেও ভাল কাজে আসে । পুদিনার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণও রয়েছে যা শরীর থেকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল দূর করে ত্বককে পরিষ্কার এবং তরুণ বানাতে সাহায্য করে । আর যেভাবে পুদিনা পাতা ত্বককে স্বাস্থ্যবান করে তোলে , তা হল এটি ত্বকের আর্দ্রতা দরে রাখে, মরা কোষ পরিষ্কার করে দেয় এবং ত্বক থেকে ময়লাও দূর করে দেয় । ফলে ত্বক টোনড এবং উজ্জ্বল লাগে ।

মুখের স্বাস্থ্য ভালো হয়



পুদিনা পাতা চিবোলে মুখের স্বাস্থ্য ভাল হয়, দাঁতও ভাল থাকে । পুদিনায় এসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে, যা খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। মাউথওয়াশে পেপারমেন্ট অয়েল থাকে, তা মুখের ব্যাকটিরিয়া দূর করতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর মাড়ি ও দাঁত হয় ।

সর্দি-কাশি থেকে রেহাই


যদি কেউ সর্দি-কাশিতে ভোগেন এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, তাহলে তাদের জন্য পুদিনা পাতা হল সেরা রেমেডি । বেশিরভাগ ভেপার রাব এবং ইনহেলারেই মিন্ট থাকে । মিন্ট প্রাকৃতিকভাবে গলা এবং নাকে জমে থাকা সর্দি দূর করে, ব্রঙ্কাইটিস সারায় এবং ফুসফুসে জমে থাকা সর্দি দূর করে । রেসপিরেটরি চ্যানেলগুলি ছাড়াও মিন্ট বার বার কাশির সমস্যাকেও দূর করে ।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com