আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে

গর্ভাবস্থায় ভ্রুণ তৈরি ও বেড়ে ওঠার জন্য প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল বিভিন্ন রকমের হরমোন তৈরি করে। তখন গর্ভবতী মায়ের শরীরে বেশি মাত্রায় গ্লুুকোজ তৈরি হয়।

আর এই গ্লুকোজকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য মায়ের শরীরে তখন বেশি ইনসুলিন দরকার হয়। শরীর হঠাৎ এই পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকে না বলে যথেষ্ট ইনসুলিন নিঃসরণ করতে পারে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে থাকে; আর তখন দেখা দেয় ডায়াবেটিস।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে নানা জটিলতা বাড়ে। বিশেষ করে জন্মের সময় বাচ্চার ওজন বেশি হতে পারে। ফলে প্রসবের সময় সমস্যা তৈরি করে। এ ছাড়া মায়ের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, প্রি-এক্লাম্পশিয়া বা খিঁচুনির ঝুঁকি তৈরি, সময়ের আগে প্রসব হওয়া, মৃত সন্তান প্রসব করা ইত্যাদি ঝুঁকি থাকে।

ঝুঁকি বেশি যাদের
* গর্ভবতীর পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে বা বংশে কারো ডায়াবেটিস থাকলে

* প্রথম গর্ভধারণকালে বয়স পঁচিশের বেশি হলে

* অতিরিক্ত ওজন বা ওবিসিটি থাকলে

* আগে গর্ভধারণের সময় ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে

* গর্ভপাতের ইতিহাস থাকলে

* মায়ের উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ইত্যাদি।

লক্ষণ ও করণীয়
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে তেমন নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে নানা উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন—

* ঝাপসা দৃষ্টি

* যোনিপথ ও চামড়ায় সংক্রমণ

* অতিরিক্ত ক্লান্তি

* অতিরিক্ত পানির তৃষ্ণা

* ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ

* বমি বমি ভাব বা বমি ইত্যাদি দেখা দেওয়া।

আবার ক্ষুধা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়াও গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ।

পরীক্ষা
কারো গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে কি না এটা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার উপায় হলো ব্লাড গ্লুুকোজ পরীক্ষা করা।

এই পরীক্ষা গর্ভের ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহে আবারও করা উচিত। এ ছাড়া রক্তের এইচবিএ১সির মাত্রা বলে দেয় পূর্ববর্তী তিন মাসে ব্লাড গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে ছিল কি না।

যদি মাত্রা বেশি থাকে তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই নির্ধারিত তারিখের আগেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে প্রসব করিয়ে ফেলতে হয়। কেননা এ অবস্থায় শেষের দিকে গর্ভস্থ শিশুটি মারাও যেতে পারে।

নিয়ন্ত্রণের উপায়
যাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের উচিত গর্ভধারণের পরিকল্পনা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। এ ক্ষেত্রে ভালো উপায় হলো গর্ভধারণের আগেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা। আর গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা।

আশার কথা হলো, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অনেক গর্ভবতী নারীর ইনসুলিন নিতে হতে পারে, যাতে রক্তের গ্লুকোজকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে এসংক্রান্ত জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com